খামাচি কেন হয় - খামাচি লক্ষণ

 প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আজকে আমরা জেনে নিব ঘামাচি কেন হয়। ত্বকরন্ধ্রে ঘাম জমে থাকার কারণেই ঘামাচি বের হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় গরমেই। তো বন্ধুরা আজকে জেনে নিই ঘামাচি কেন হয়। আজকে আমরা আলোচনা করবো ঘামাচি কেন হয়‌ তা নিয়ে।

ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচির লক্ষণ কি
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হলেই ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর আমাদের শরীরে লক্ষণ দেখা দেয় গরমে।গরম বাড়তেই ত্বকের নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আমাদের শরীরে।ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচির লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

ভূমিকা

ত্বকরন্ধ্রে ঘাম জমে থাকার কারণেই ঘামাচি বের হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় গরমেই। যখন বাতাসে গরমের আদ্রতা বেশি থাকে এবং ঠান্ডার আদ্রতা কম থাকে বা গরম বেশি থাকলে গা ঘেমে যায় ঘামাচি হয়ে থাকে।ঘামাচি কেন হয় তা আমরা জেনে নিব আজকে।ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এর নামকরণ হয়েছে ঘাম শব্দটি থেকে। 

গরমের সময় আমাদের ত্বকে  লাল রং এর মত রং ধারণ করে এবং ফুসকুড়ি যার মত প্রকাশ পায়।সেটিই হলো ঘামাচি বা হিট র‍্যাশ আমরা সাধারণত ফুসকুড়ি চুলকালেই তখন ঘামাচির আক্রমণ ভেবে থাকি। উল্লেখ্য যে ঘামাচি হলে আমাদের ত্বক জ্বালা করতেও পারে।আমাদের ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির সাথে এক ধরনের জীবাণু মিশে থাকে। এই জীবাণুর নাম স্টেফ এপিডারমাইডিস। 

গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম বেশি নিঃসৃত হয়। তাই ধূলোবালিও জমে বেশি পরিমাণে। ত্বকের মৃত কোষে ধূলোবালি জমে যখন ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবে ঘাম নিঃসরণ হতে পারে না।অতিরিক্ত গরমের কারণে মূলত ঘামাচি হয়ে থাকে। এই ঘামাচি কোনই, হাটুর ভাজে, ঘাড়, মাথা, বগল, শরীরের উপরের দিকে এবং বাচ্চার জন্ম দিন ১৫ দিন পর।
থেকে মূলত ঘামাচি হতে শুরু করে দেয়। এই ঘামাচি এক সময় নিজে নিজে শেষ হয়ে যায়। এই ঘামাচি বেশিরভাগ সময় গরমের জন্যই হয়ে থাকে। ছোট ছোট ঘামের পানি লোমকূপে জমে থেকে ঘামাচি সৃষ্টি হয়ে থাকে।মিলিয়ারিয়া রুব্রা  নামে এক ধরনের ঘামাচি রয়েছে যা নানির গভীরে ব্লক তৈরি করে। এগুলোর বয়স একসাথে পর থেকে বাড়তে শুরু করে।

এগুলো বড় বড় ঘামাচি হয়ে থাকে যা ছোট ছোট মিহি দানার মত দেখা যায় কিন্তু এই খামাতে ওগুলো একসময় আপনা আপনি মিলিয়ে যায়।

ঘামাচি কমানোর উপায়

এবার আমরা জেনে নিব ঘামাচি কমানোর উপায় সম্পর্কে। যে ঘর ঠান্ডা নিয়ন্ত্রিত ঘর সে ঘরে যদি আপনি বসবাস করে থাকেন। তাহলে আপনি ঘামাচি থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত গোসল করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি ও বরফ লাগাবেন। ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন। ঘুমন্ত শিশুকে বারবার পাশ পরিবর্তন করে দিন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। 

অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। গরমে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন।ঘামাচি হলে সেই স্থানটি তুলো দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর সেই স্থানে আপনি বরফ লাগাতে পারেন। দিনে ২-৩ বার বরফ লাগানো যেতে পারে ।ঘামাচি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।ঘামাচি দূর করায় বেকিং সোডাও বেশ উপকারী। 

ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুছে নিন।নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটে নিয়ে আমাকে সে অংশ ধরে নিতে পারেন।রপর সেই স্থানে আপনি বরফ ঘষে নিতে পারেন। দিনে ৩-৪ বার বরফ লাগানো যেতে পারে। বরফের পরিবর্তে ঠান্ডা জল দিয়েও ত্বকের ঘামাচি হওয়া অংশটি ধুয়ে নিতে পারেন।

যদি ঘামাচি কমানোর চেষ্টায় রাতে পাউডার মেখে ঘুমান, তাহলে সকালে ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে গোসল করুন। ঘামাচি কমানোর চেষ্টায় রাতে পাউডার মেখে ঘুমান, তাহলে সকালে ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে গোসল করুন। কারণ, গায়ে পাউডার জমে থাকাও স্বাস্থ্যকর নয়।আজকাল নানা রকম ক্যালাইমিনো লোশন পাওয়া যায়। 

ঘামাচি কমাতে সে সব বেশ কার্যকর। তেমন কিছু মাখতে পারেন।বারবার গোসল করেন। গোসলের পানিতে মিশিয়ে দিতে পারেন লেবুর রস কিংবা নিম পাতা ভেজানো পানি। তাহলে দ্রুত আরাম মিলবে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে।ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন।

ঘামাচি মারার সাবান

এবার আমরা জেনে নিব ঘামাচি মারার সাবান সম্পর্কে। একেকজনের শরীরে একেক ধরনের ঘামাচি দেখা যায় ইত্যাদি। কোন কোন ঘাম আছে যা ক্ষতি করে এবং আমাদের শরীর অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে। ঘামাচি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বাজার চলতি কিছু পাউডার বা সাবান এ সমস্যা থেকে দূর করতে পারে। কিন্তু তাতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে যার ফলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

ঘামাচি মারার সাবান সম্পর্কে জানতেচলেছি আমরা।ঘামাচির মোক্ষম নিরাময় হল অ্যালোভেরা। ঘামাচির ওপর শুধু অ্যালোভেরার রস বা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগান। কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।নিম পাতা ঘামাচির উপশম হিসেবে ভালো কাজ করে। নিম পাতার রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে।

তার ওপর নিমের ডাল বোলালেও আরাম পাওয়া যায়।কাঠফাটা রোদ আর প্রখর তাপের চোখ রাঙানিতে গরমের এই সময়ে দেখা দেয় ত্বকের যাবতীয় সমস্যা। সারা দিন ঘেমেনেয়ে শরীরে জুড়ে দেখা যায় ঘামাচি। আর আর এভাবেই বেশিদিন থাকার কারণে চুলকানির সমস্যা হয়ে থাকে।ঘামাচি এক বার দেখা দিলে সহজে যায় না। আর এই র‌্যাশ মানুষের অনেক ক্ষতি করে থাকে।

এবং মানুষের অস্বস্তি তৈরি করে ওর শরীরের কষ্ট দ্বিগুণ করে দেয়। কিছু পাওডার বা সাবান এই সমস্যা থেকে দূর করতে পারলেও পুরোপুরি যায় না।চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে দিন।এক কাপ ঠান্ডা পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। 

পরিষ্কার কাপড় ডুবিয়ে ঘামাচির উপর ১০ মিনিট পর্যন্ত।ঘামাচির থেকে মুক্তি পেতে বরফের সেঁক দিতে পারেন। না হলে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জলে পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গা মুছে নিতে পারেন। ঘাম জমে বা তার উপর পাউডার দিলে ত্বকের ছিদ্রগুলির মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাই পাউডারের পরিবর্তে ঘাম পরিষ্কার করে তার উপর অ্যালো ভেরা জেল লাগাতে পারেন।

সম্ভব হলে দিনে দুইবার গোসল করুন।আর গোসলে অবশ্যই কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন।র‌্যাশ, প্রদাহ সব মিলিয়ে ত্বকের ক্ষতি তো হয়ই,সঙ্গে অস্বস্তি ও শারীরিক কষ্টও বাড়ে।

ঘামাচি কেন হয়

এবার আমরা জানবো ঘামাচি কেন হয় তা সম্পর্কে।ত্বকরন্ধ্রে ঘাম জমে থাকার কারণেই ঘামাচি বের হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় গরমেই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হলেই ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।গরম বাড়তেই ত্বকের নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। 

স্কিনব়্যাশের প্রকোপ বেড়েছে। মুখে, হাতে, পায়ে চুলকানি বা লাল ভাবের মতো সমস্য়াও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।আরও একটি সমস্যা কমবেশি সবার মধ্যেই দেখা যায়। গরম বাড়তেই গায়ে, হাত-পায়ে ঘামাচি দেখা দেয়। পিঠেও ভরে যায় ঘামাচি। শুরুতে সমস্যা কম থাকলেও সঠিক সময়ে ঠিকঠাক ট্রিটমেন্ট না করলেই কিন্তু ঘামাচির সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।

ঘামাচি কেন হয় তা আমরা জেনে নিব।ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এর নামকরণ হয়েছে ঘাম শব্দটি থেকে। গরমের সময় আমাদের ত্বকে লাল বর্ণ ধারণ করে।ফুসকুড়ি যখন প্রকাশ পায় সেটি হল ঘামাচি অথবা হিট র‍্যাশ সাধারণত ফুসকুড়ি যখন চুলকাতে শুরু হয়। মূলত তখনই ঘামাচি আক্রমণ করে থাকে। 

এটা উল্লেখ রয়েছে যে ঘামাচি যখন আক্রমণ করে। তখন আমাদের ত্বক অনেক জ্বালাপোড়া করে। আমাদের ত্বকে যে ঘামের গ্রন্থি রয়েছে সেখানে অনেক জীবাণু এর সঙ্গে থাকে। জীবাণুর নাম হচ্ছে স্টেফ এপিডারমাইডিস। আর গরমকালে বেশিরভাগ ঘাম ঝরে থাকে।তাই ধূলোবালিও জমে বেশি পরিমাণে। 

ত্বকের মৃত কোষে ধূলোবালি জমে যখন ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবে ঘাম নিঃসরণ হতে পারে না তখন স্টেফ এপিডারমাইডিস-এর সংস্পর্শে এসে ঘামাচির উৎপত্তি হয়।

ঘামাচির লক্ষণ

এবার আমরা জানবো ঘামাচির লক্ষণ সম্পর্কে।অতিরিক্ত ঘামাচির কারণে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া, শারীরিক দুর্বলতা, ঘামে অসহনশীলতা, ক্ষুধামান্দ্য, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা হতে পারে। সেই সঙ্গে শরীর চুলকাতেও থাকে। চুলকাতে চুলকাতে ঘামাচিতে ইনফেকশন হয়ে একজিমার আকার ধারণ করে। অনেক সময় ঘামাচি বড় হয়ে ফোড়ায় রূপান্তরিত হয়।

উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতিনিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে। কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বের হতে পারে না।তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে যা ফুলে ওঠে, তাই হলো ঘামাচি। চুলকানি ও লাল দানার পাশাপাশি এগুলো অনেক সময় জ্বালা করে এবং ত্বকও লাল হয়ে যায়।ঘামাচির লক্ষণ এগুলো হতে পারে আমাদের শরীরে।

শিশুদের মাথা, ঘাড়, বগল, শরীরের ওপরের অংশে, রানের ভাঁজে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে ঘামাচি দেখা যায়। বড়দের সাধারণত বুকে-পিঠে-পেটে ঘামাচি হয়। কয়েক ধরনের ঘামাচি আছে। যেমন মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা নামের ঘামাচি শিশুদের।একটা বাচ্চা জন্মের ১৫ দিন পর থেকে ঘামাচি দেখা দেয়। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে এটা কম দেখা দেয়। 

স্পটিকের মত স্বচ্ছ ছোট ছোট দানা যেগুলো দেখা দেয় সেই গুলোই ঘামাচি।এই ঘামাচি গুলো অল্প দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। ঘামের মে গ্রন্থে রয়েছে সেই গ্রন্থী নারীর ভেতরে বাধা তৈরি হয়।আর এই জন্য ঘামগুলো লাল লাল দানার মত হয়ে যায়। এগুলো এক সপ্তাহ বা সাত দিন এর বয়স হলে তা শুরু হয়।ছোট-বড় সবারই এটা হয়ে থাকে। 

এই ঘামাচিতে খুব চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘামাচিতে পুঁজ জমতে দেখা যায়। আর মিলিয়ারিয়া প্রোফান্ডা নামের ঘামাচি ত্বকের গভীর স্তরে ঘাম নিঃসরণের ফলে জমা হয়

পাউডার কোনটা ভালো

এবার আমরা জানবো পাউডার কোনটা ভালো হবে।ট্যালকম পাউডার তৈরীর প্রধান উপাদান ট্যালক, যার রাসায়নিক নাম হাইড্রাস ম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট এটি প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে নরম খনিজ কঠিন পদার্থ। ট্যালক একটি পাউডার হিসাবে, আর্দ্রতা ভাল শোষণ করে এবং ঘর্ষণকে হ্রাস করতে সহায়তা করে, এটি ত্বককে শুকনো রাখতে এবং র‍্যাশ রোধে সহায়তা করে।

ট্রান্সলুসেন্ট পাউডারকে আমরা সেটিং পাউডার অথবা ফিনিশিং পাউডার হিসেবে বেশি চিনি।সেটিং পাউডার মেকআপ করার পর ফেইস থেকে অতিরিক্ত অয়েল শুষে নিয়ে ফাউন্ডেশনকে ঠিক জায়গায় রাখতে সাহায্য করে। এটার কোনো কালার নেই, আপনার স্কিনের নিজস্ব রঙটাই প্রকাশ পাবে। রেগুলার ইউজের জন্য বিবি ক্রিমের সাথে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার অনেকেই প্রিফার করেন।

পাউডার কোনটা ভালো হবে তা আমরা জেনে নিব।লুজ পাউডার বা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হচ্ছে নরমাল সেটিং পাউডার। এর বেশি একটা স্থায়ীত্ব থাকে না।বর্তমানে লিকুইড ক্রিমের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এবং মেকআপ কে সুন্দর করে বসিয়ে দিতে এবং সহজে ত্বকে বসিয়ে দেয়। তাছাড়া আই মেকআপ অর্থাৎ কাজলের জন্য চোখের নিচে অনেক সময় কালো দাগ পরে। 

আবার বাড়তি আইশ্যাডো এর কারণেও চোখের নিচে দাগ পরে। বর্তমানে মুয়া ব্র্যান্ডের পাউডার গুলো অনেক ভালো আপনি অনলাইন বিভিন্ন পেজ থেকে এই ব্র্যান্ডের পাউডার পেয়ে যাবেন। যেসব বেবি পাউডার রয়েছে তা ছোটদের ত্বকে ব্যবহারের চেয়ে বড়দের ত্বকে বেশি কার্যকরী।।বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে।

তাই বড়দের প্রসাধনী বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়। এ কথা চিন্তা করেই বাজারে এসেছে এবং আসছে নানা ব্র্যান্ডের বেবী পাউডার। শুধু বাচ্চারাই নয়, বরং বড়রাও এ পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

মুখে ঘামাচি কেন হয়

এবার আমরা জানবো মুখে ঘামাচি কেন হয় তা সম্পর্কে।ত্বকরন্ধ্রে ঘাম জমে থাকার কারণেই ঘামাচি বের হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় গরমেই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হলেই ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।মুখে ঘামাচি কেন হয়।

তা আমরা জানলাম।গরম বাড়তেই ত্বকের নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। স্কিনব়্যাশের প্রকোপ বেড়েছে। মুখে, হাতে, পায়ে চুলকানি বা লাল ভাবের মতো সমস্য়াও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আরও একটি সমস্যা কমবেশি সবার মধ্যেই দেখা যায়। গরম বাড়তেই গায়ে, হাত-পায়ে ঘামাচি দেখা দেয়। পিঠেও ভরে যায় ঘামাচি। 

শুরুতে সমস্যা কম থাকলেও সঠিক সময়ে ঠিকঠাক ট্রিটমেন্ট না করলেই কিন্তু ঘামাচির সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা পানি বা বরফ নিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানগুলোতে সেঁক দিন। অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে সেঁক দেবেন।ঘামাচির ওপর এলোভেরার যে জেল রয়েছে সে জেলের সঙ্গে হলুদ মিশে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। 

বেশ উপকার পাওয়া যাবে।গরম আবহাওয়ায় শরীরের ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ঘামের বিভিন্ন উপাদান চামড়ার বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচি তৈরি করে। শিশুদের ঘর্মগ্রন্থি অপরিপক্ব, তাই ঘামাচি তাদের বেশি হয়।আঁটসাঁট পোশাক এবং কয়েকটি ওষুধের প্রভাবে ঘামাচি বাড়ে। 

ত্বকে বসবাসকারী স্ট্যাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিস ব্যাকটেরিয়া ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ করার নেপথ্যে ভূমিকা রাখে।অতিরিক্ত জ্বরের কারণেও ঘামাচি হতে পারে।

ঘামাচির মলম

এবার আমরা ঘামাচির মলম নিয়ে আলোচনা করব।ঘামাচি মলম হিসাবে,স্টেরয়েড মলম বা ক্যালামাইন লোশন অনেক ভালো। গরমের সময় কাজ করলে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন ঘরে বা কর্মের ক্ষেত্রে যেন যথেষ্ট পরিমাণে আলো বাতাস থাকে। আবার গরমের সময় টাইট জামা পরার কারণেও গরমের সমস্যা ঘামাচির সমস্যা বেড়ে যায়।ঘামাচি সমস্যার জন্য কসমেটিক ব্যবহার করা যায়। 

ভাপসা কিংবা স্যাতঁসেতেঁ পরিবেশের জন্য অনেক সময় গরম বেশি হয়।তৈলাক্ত কোন কিছু ব্যবহার করার মাধ্যমেও ঘামাচি বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু গরমে এমনিতেই ঘামের কারণে এক্রাইন গ্রন্থি ব্লক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই এসময় ভারি কাপড় পরিধান করা কিংবা কসমেটিক্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।ঘামাচির মলম সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।

গ্রীষ্মকালে দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণ ঘাম নিঃসরণ হতে থাকে। ফলে তখন এত বেশি পরিমাণ নিঃসরণ কেবল ঘর্মগ্রন্থির ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ফলে ওই গ্রন্থিকে ফুটো করে ত্বকের নিচে ঘাম জানতে শুরু করে এবং ওই স্থানটি ফুলে উঠতে শুরু করে। সেই সাথে থাকে প্রচণ্ড চুলকানি ও সামান্য জ্বালাপোড়া ভাব এবং খুব ছোট ছোট উদ্ভিদ। মূলত এটাই হচ্ছে ঘামাচি। 

ঘামাচি তিন ধরনের হয়। যেমন মিলিয়ারিয়া, কৃস্টালিনা। এ ক্ষেত্রে ঘর্ম নালীর মুখের অংশটি কালো দেখা যায় এবং এ ক্ষেত্রে ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত এ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গই থাকে না।তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উজ্জ্বল পানির দানা স্বাভাবিক ত্বকের ওপর হতে দেখা যায়। গরমে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো ঘামাচি। 
আবার রোদের কারণে এ সময় ত্বকে সানট্যানও পড়ে বেশি। পাশাপাশি ত্বকের ফুসকুড়ি কিংবা চুলকানির মতো সমস্যা বাড়তেই থাকে।গরমের কারণে ঘাড়ে, বুকে, কুচকিতে ও বগলে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি হয়। চুলকানি ও প্রদাহের কারণে এসব স্থান লালচে হয়ে ফুলে ওঠে ও চামড়া উঠতে থাকে।অতিরিক্ত ঘাম ঝরাই শরীরের লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে আসে এবং সেখানে ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয়।

এ ধরনের সমস্যা সব সময় একটু বেশিই দেখা দেয়। এ কারণে গরমে শিশুদের ত্বক এ এর বেশি প্রভাব পড়ে থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম ঘামাচি কেন হয় ও ঘামাচির লক্ষণ সম্পর্কে। ঘামাচি হচ্ছে আমাদের শরীরের গরমের সময় বেশি প্রভাব ফেলে। ঘামাচি দেখা দেয় বেশি গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড রোদে আমাদের শরীরে বের হয় ঘামাচি। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। 

তাহলে ঘামচি প্রতিকার কিভাবে করবো আমরা জানতে হলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বে। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#