টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় - টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ

প্রিয় বন্ধুরা,আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়টি হল টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়। আমাদের অনেকেরই টাইফয়েড জ্বর হয়েছে এবং আমাদের ছোট ভাই বা বোন আছে যাদের টাইফয়েড হয়েছে। আমরা অনেকে জানিনা, টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়।তাহলে চলুন,আমরা টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় শুরু করি।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় - টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণল
প্রিয় বন্ধুরা ,টাইফয়েড জ্বর নিয়ে বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আমাদের আজকের এই কন্টেন্টের। মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কারণ আজকে আমরা টাইফয়েড জ্বর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আমাদের এ কনটেন্ট আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।না পাড়লে হয়তো এই সম্পর্কে আপনি বুঝতে পারবেন না।

ভূমিকা

আমাদের অতি পরিচিত একটি রোগ হচ্ছে টাইফয়েড জ্বর। টাইফয়েড জ্বর হলে মানব দেহে অনেকগুলো প্রভাব দেখা যায়। এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যার রক্ত ও অন্ত্র বৃদ্ধি পায়। এই ব্যাকটেরিয়ার নাম সালমোনেলা টাইফি। এই রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্র জলপান খাদ্য ইত্যাদি সাহায্য ছাড়া। 

আজকে আমরা জানবো এই রোগ কিভাবে মানবদেহে ছড়ায়। তাছাড়া দূষিত খাবার ও পানি পান করলে। তাই আমরা এই রোগ থেকে সাবধানে থাকবো এবং দূষিত খাবার পচা বাঁশি খাবার খাব না

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানব। টাইফয়েড জ্বরের কিভাবে মানবদেহে ছড়ায় এবং কি কি কারনে হয় তা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে আসি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ। টাইফয়েড জ্বর হয় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে যার নাম সালমোনেলা টাইফি। সাধারণত বেশি ছড়ায় ঘনবসতি এলাকার মধ্যে। 
জ্বর যদি একটানা ১০৪ডিগ্রি ফারেনহাইট হয় তাহলে। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।জ্বরের সাথে সাথে মাথা ব্যথা শরীর দুর্বলতা দেখাতে পারে। জ্বরের সাথে কাশি ও প্রচন্ড পেট ব্যথা হয়। শিশুদের ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব হতে পারে। মুক্তা খানিকদের ওষুধ খাচ্ছে তারপরেও শরীরে জ্বর থাকতে পারে ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে যে টাইফয়েড জ্বর হয়েছে।

টাইফয়েড কি ছোঁয়াচে

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে,হ্যাঁ ছোঁয়াচে। টাইফয়েড জ্বর এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো টাইফয়েড জ্বর কিভাবে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়াতে পারে এমনকি অক্রান্ত ব্যক্তির হাচি কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগের মাধ্যমে এর রোগ ছড়াতে পারে।

টাইফয়েড জ্বর ছাড়াই সাধারণত সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। তাছাড়া ও দূষিত পানি পান করলে, পচা ও বাশি খাবার খেলে এই রোগ ছড়ায়। তাই আমাদের টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিক

প্রিয় বন্ধুরা টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। টাইফয়েড এর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। টাইফয়েড থেকে বাঁচাতে এই দিক গুলো আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিক।সাধারণত যাদের টাইফয়েড হয়েছে তাদের প্রথম ক্ষতিকর দিক হচ্ছে মাথার চুল পড়ে যাওয়া। 

এ রোগ হলে জটিলতা পরিপাকতন্ত্রে থেকে রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। এছাড়াও মস্তিষ্কে প্রদাহ, পিত্তথলিতে সংক্রাম, স্নায়বিক সমস্যা এমনকি কিডনিতেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা। সাধারণত টাইফয়েড শিশুদের আক্রান্ত বেশি। তাছাড়া যে কোন বয়সে এই রোগ হতে পারে। তাহলে বন্ধুরা আজকে আমরা জানতে পারলাম টাইফয়েড হলে কি কি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

শিশুদের টাইফয়েড হলে করণীয়

শিশুদের টাইফয়েড হলে করণীয় সম্পর্কে আমরা জানবো। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা তাহলে চলুন জেনে নিই শিশুদের টাইফয়েড হলে আমাদের করণীয় কী। প্রথম অবস্থায় আমরা অ্যান্টবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করব। মূলত ব্লাড কালচার পরীক্ষা আগেঅ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। কারণ কালচারের পরীক্ষা করতে প্র ায় ৭২ ঘন্টা সময় লাগে।

আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কারন শিশুকে শেয়ার ে ইঞ্জেকশন দিতে হবে তাই হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।তাছাড়াও শিশু যদি ঠিকমতো খেতে না পারে তার কারণে বমি বমি ভাব করে। তাই স্যালাইন, ইঞ্জেকশন , গ্লুকোজ কিংবা অ্যান্টিবায়েটিক ইনজেকশন দেওয়ার জন্য হলেও শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। 

শিশুদের টাইফয়েড হলে এই করণীয় গুলো আমাদের যথারীতি ভাবে পালন করতে হবে। তা না হলে যে কোন বিপদজনক ঝুঁকি মুখোমুখি হতে হবে।

টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়

টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে আসি টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়।টাইফয়েড রোগীদের জন্য তরল জাতীয় খাবার প্রদান করতে হবে শিরা পথে । 

তীব্র পানি শূন্যতা দেখা দিলে ও ঔষধ প্রদান করতে হবে শিরা পথে। শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে ভিজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে হবে। তাছাড়াও অসুস্থতার কারণে যে পুষ্টি হীনতায় ভুগছে সে পুষ্টি পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। 

তাছাড়া টাইফয়েড রোগীদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। আদা সেদ্ধ করে বা কাঁচা খাওয়াতে পারলে রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। টাইফয়েড জোরে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত তা খাবার খাবে তা হল পাতি লেবু রস ফলের রস ডাবের পানি। তাছাড়া দইয়ের ঘর মিল্ক ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়াতে হবে। টাইফয়েড রোগীদের বেশি করে জলীয় খাবার খেতে হবে। পাতি লেবু রস বেশি করে খেতে হবে। 

তাছাড়া বেশি করে ডাবের পানি খেলে জলীয়র অভাব পূরণ হবে। টাইফয়েড হলে আমাদের উচিত এই খাবার গুলো রোগীদের খেতে দেওয়া।এতে করে রোগী যে অপুষ্টিতে ভুগছে তার অভাব পূরণ হবে। এতে করে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় সম্পর্কে এখন আমি আপনাদের বলব। জ্বর হলে গোসল করা একেবারে নিষেধ নয়। তবে আমাদের ধারণা জ্বর হলে গোসল করলে আরো ঠান্ডা বসে যায় এতে করে রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৈজ্ঞানিকভাবে চিকিৎসা করে পাওয়া গেছে যে জ্বর হলে গোসল করা একেবারে নিষেধ নয়। 
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। গোসল না করার কারণে মানুষ অস্বস্তিতে ভোগে।যার কারনে মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণে খারাপ লাগা অনুভূতি কাজ করে। তাছাড়া জ্বর ছাড়ার সময় শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এজন্য খারাপ লাগা আরো বেশি হয়। 

তাই যদি গোসল করা হয় তাহলে শরীর হালকা অনুভূতি হয়। এর কারণে অনেকটা ফ্রেশ লাগে এবং রোগীদের সতেজ লাগে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, তাই টাইফয়েড জ্বর নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল।যে ,টাইপের জলের লক্ষণ কি বা কি খেলে টাইফয়েড জ্বর ভালো হয় টাইফয়েড জ্বর হলে গোসল করা যায় নাকি ।এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন আমাদের মনে থেকে গিয়েছিল।আর আজকে আমরা এই কন্টেনের মাধ্যমে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে টাইফয়েড জ্বর নিয়ে।

বন্ধুরা,এরকম কনটেন্ট পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার আইটি টা ভিজিট করুন। এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আমাদের পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#