থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় - থাইরয়েড কি
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো থাইরয়েড কমানোর উপায়।আমরা অনেকেই থাইরয়েড কথাটি শুনে থাকলেও থাইরয়েড কমানোর উপায়।হয় জানি না।তো আজকে আমরা জানবো থাইরয়েড কমানোর উপায়।হয় বা এটা কোন ধরনের রোগ তা আজ আমরা বিস্তারিত জেনে নেব আজকের আলোচনার মাধ্যমে তাহলে দেরি না চলুন শুরু করি।
থাইরয়েড এক ধরনের রোগ,যেটা বিষয়ে অধিকাংশ লোকজনই অজানা।অনেকে জানে না কি থাইরয়েড কি কিভাবে হয়।এবং কি কি খেলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। অনেকে হয়তো থাইরয়েড নিয়ে চিন্তিত থাকি এ রোগ কেমন করে ভালো হবে। কি খেলে ভালো হবে এইগুলা বিষয় নিয়ে। তো চলুন আজকের এই পাটের মাধ্যমে শুরু করা যাক,থাইরয়েড কি - থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা থাইরয়েড নিয়ে বিস্তারিত জানব। থাইরয়েড যা আমাদের ভয়েস বক্সের নিচে এবং শ্বসননালীর চারপাশে থাকে। থাইরয়েড এক ধরনের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে থাকে, এবং আমাদের দেহের বিপাকীয় কাজের সাহায্য করে থাকে। থাইরয়েড মেজাজ, শক্তি, হৃদস্পন্দন,বিপাক।
এবং আমরা জানি গর্ভঅবস্থায় মেয়েদের হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে, এই থাইরয়েড পরিবর্তন করে। শুধু এটুকুই নয় আমরা আজকে জানবো থাইরয়েড কি এটা এক ধরনের রোগ না অন্য কিছু আমরা কি লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝবো আমাদের থাইরয়েড হয়েছে এবং থাইরয়েড হলে আমরা কি কি খাব এসব কিছু বিস্তারিত জেনে নেব এই আর্টিকালের মাধ্যমে।
থাইরয়েড কি
প্রিয় বন্ধুরা, থাইরয়েড কি এটা সম্পর্কে কি আমাদের সবার ধারণা রয়েছে। একদমই না ,তাই আজকে আমরা জানবো থাইরয়েড কি, চলুন শুরু করে দিই। থাইরয়েড যা চিকিৎসা জগতের সাধারণ নাম।এটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে সঠিক নিয়মে হরমোন তৈরি তে বাঁধা দেয়।এই থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে থাকে,তা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় কাজ সাহায্য করে থাকে।
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে,তখন আমাদের শারীরিক বিপাকীয় কাজে তার প্রভাব হয়।এমন অবস্থায় আমাদের শরীর খুব দ্রুত শক্তি ব্যবহার করে থাকে ,যাকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে।যার ফলে হাইপারথাইরয়েডিজমে ক্লান্তি অনুভব হয়। যদি হায়রে হরমোন কম উৎপাদন হয় তাহলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসিম ।
এবং বেশি উৎপাদন হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিসিম ।বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম থাইরয়েড কি, এটা কি ধরনের রোগ। যদি আপনাদের আমাদের এই পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিব
থাইরয়েডের লক্ষণ
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি থাইরয়েডের লক্ষণ পাটটি নিয়ে। থাইরয়েড যা চিকিৎসা জগতের সাধারণ নাম।থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু এ লক্ষণগুলো আমাদের সাধারণ জীবন যাপনের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ।তাই এক্ষেত্রে অনেক সময় বোঝা যায় না যে এটা থাইরয়েড রোগ না আমাদের জীবনে সমস্যা গুল।
থাইরয়েডের লক্ষণগুলো দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে হাইপারথাইরয়েডিজমর, হাইপোথাইরয়েডিজমর । চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলো কি কি যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের থাইরয়েড রোগ হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি।
হাইপারথাইরয়েডিজমের লক্ষণগুলো:
- অনেকে সময় ঘুমের সমস্যা হয়।
- শরীরের ওজন কমে আসা।
- পেশি দুর্বল হয়ে আসে এবং কম্পন সৃষ্টি হয়।
- থাইরয়েড গ্রন্থি বৃদ্ধি পাওয়া এবং গলগন্ড হওয়া।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক হয় এবং মাসিক চক্র প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
- চোখের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
- গরম সহ্য করতে না পারা।
- ক্লান্তবোধ সৃষ্টি হয়।
- ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন মাসিক হতে শুরু করে, অতিরিক্ত মাসিক হয়।
- অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা।
- চুল পড়তে শুরু করে ।
- কোনো কাজে মনোযোগ না থাকা, কোনো কিছু মনে থাকে না।
- হৃদস্পন্দন কমে আসে
- রক্তের চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি হতে শুরু করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা শুরু হয়।
- শরীর ফোলতে শুরু করে।
- অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে শুরু করে।
থাইরয়েড কমানোর উপায়
হ্যালো বন্ধুরা, আমরা কী জানি থাইরয়েড কমানোর উপায়।হাতে গোনা হয়তো কয়েক জন কে পাওয়া যাবে যারা থাইরয়েড কমানোর উপায় জানেন। তো বন্ধুরা আমরা দেরি না করে চলুন আমাদের আলোচনা টি তাড়াতাড়ি শুরু করে ফেলি। থাইরয়েড গ্রন্থে শরীরের বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
চলুন আমরা জেনে নেই কি কি খেলে থাইরয়েড কমানো যায়।থাইরয়েড উৎপাদনে আপেল সিডার ভিনেগার সাহায্য করে থাকে। মেদ নিয়ন্ত্রণ ,শরীর থেকে টক্সিন বের করা ও পুষ্টিতে আপেল সিডার ভিনেগার ভূমিকা রাখে।নারিকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড যা গ্রন্থিকে তার কাছ কাজে সাহায্য করে থাকে। আমরা যদি নিয়মিত নারিকেল তেলের রান্না করে খায় ।
তাহলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। ভিটামিন বি১২ থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে থাকে।ডিম ,মাছ, মাংস,সিম, দুধ, আখড়া ইত্যাদিতে ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়। আমরা জানি ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের শরীরের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে 15 মিনিট সূর্যের আলো গায়ে লাগায় তাহলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকটাই কমে আসবে।
ভিটামিন ডি সব রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।দুগ্ধজাত দ্রব্য, তিলের বীজ,ডিমের কুসুম ইত্যাদি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার গ্রহণ করলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। আদা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি খাবার। আদা চা নিয়মিত গ্রহণ করলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। ব্যায়াম করার ফলে থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে থাইরয়েড সঠিক নিয়মে কাজ করে, দুধ দই পনির ইত্যাদি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার। মটরশুটিতে রয়েছে ,প্রচুর পরিমাণ ফাইবার প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ।
এবং রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এটি বাদামে রয়েছে সেলেনিয়াম যা থাইরয়েডের জন্য খুব উপকারী।
থাইরয়েড কি কারনে হয়
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমার আর্টিকেলটি থাইরয়েড কি কারণে হয় বিষয়ের ওপর। আমাদের অনেকেরই খুব কম ধারণা রয়েছে মূলত, থাইরয়েড কি কারনে হয় ।তাহলে চলুন ,অজানার বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনাটি শুরু করি। এই রোগটি অনেক সময় পারিবারিক সূত্র ধরেও হয়ে থাকে। অর্থাৎ বংশের উত্তরাধিকার ক্রমে রোগটি বংশবিস্তার করে।
এই রোগটি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস ধরে থাকে।থাইরয়েড হওয়ার বিশেষ একটি কারণ হচ্ছে আয়োডিনের অভাব।শরীরের যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন থাকে না মূলত সে সময়ে এই রোগটি দেখা দেয়। অনেক সময় আবার অতিরিক্ত কার্যকরী নোডলস কারণে থাইরয়েড হয়ে থাকে। অনেকগুলো নোডলস সহ যে গ্রন্থি সৃষ্টি হয় তাকে টক্সিক মাল্টি নোডলস গাইটার বলা হয়।
যদি আমরা এটা সহজ ভাবে জানতে চাই তাহলে গলার নিচে দিকে ফুলে যাওয়া কে গাইটার বলা হয়। আবার কেউ যদি গলার সার্জারি করে থাকে সেক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা, আমরা জানলাম থাইরয়েড কি। কি কারণে থাইরয়েড হয় আজকে আমরা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জেনে গেলাম। আমি আশা করি যারা থাইরয়েড নিয়ে চিন্তিত ছিলেন,থাইরয়েড কি ধরনের রোগ। বড় ধরনের রোগ না ছোট রোগ কিভাবে এটা ভালো করতে হবে। ভালো করার জন্য কি কি উপায় বা খাবার খেতে । তা আমার এই পোস্টে মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম।
এইরকম শিক্ষা নিয়ে পোস্ট পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এবং শেয়ার এর মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url