কিসমিসের উপকারিতা অপকারিতা - খাওয়ার নিয়ম

 পোস্টটি আপনার জন্য আপনারা এ পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন কিসমিসের উপকারিতা অপকারিতা আমরা সকলে কিসমিস এর  নিয়ম গুনাগুন ক্ষমতা অনেকেই সঠিক ভাবে জানে তার কারণে  কিসমিসের উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি আপনারা সকলে জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে কিসমিসের উপকারিতা অপকারিতা আমাদের চলাচল জীবনে কত ভূমিকা রেখেছে।

তো বন্ধুরা চলুন আমরা এই পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে পড়ি এবং জেনে আসি কিসমিসে কত রকম ক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা এই পোস্টটি করার মাধ্যমে পোস্টে লিখা সমূহের নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করব তাহলে আমাদের উপকারিতা বুঝতে পারব তো চলুন দেরি না করে পোস্টটি পড়ে নেওয়া যাক।
ভূমিকা

কিসমিস যা শুকনো আঙ্গুর। আঙ্গুর কে ইংরেজিতে রেইসিন ও বলা হয়। কিসমিস খালি মুখে ও খাওয়া যায় আবার সুস্বাদু খাবারের ব্যবহার করা হয়। কিসমিসে রয়েছে কোলেস্টেরল ,সোডিয়াম ,পটাশিয়াম, শর্করা  ,খাদ্য আঁশ ,চিনি ,প্রোটিন, ভিটামিন সি ,ভিটামিন ডি ,ক্যালসিয়াম ,লোহা ,ম্যাগনেসিয়াম, পাইরিডক্সিন ,সায়ানোকোবালেমিন ।কিসমিস কে শুকনো রাজার ফল বলা হয়। 

কিসমিসের রং সোনালী ও বাদামের রঙের হয়ে থাকে ,এটি খুব একটি পুষ্টিগুণ ও একটি শক্তিশালী ফল

কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই জানি কিসমিস খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা কি জানি প্রতিদিন কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা , কিসমিসে রয়েছে পুষ্টিগুণ ও হাজারো উপকারী। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। কিসমিসে রয়েছে আরো ফাইবার, আয়রন,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আরো অনেক পুষ্টিগুণ।যা শক্তি বৃদ্ধি করে ত্বক উজ্জ্বল ও চুল উজ্জ্বল করে। 

আরো পরুন ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

চলুন এবার জানা য়াক কিসমিস ভেজিয়ে রাখা পানির উপকারিতা কি কি হয়।কিসমিস ভেজিয়ে রাখা পানিতে রয়েছে আয়রন,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার।কিসমিস ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিসমিস ভিজিয়ে রাখা পানিতে পটাশিয়াম থাকে যা হাই ব্লাড প্রেসার কে বসে রাখে। নিয়মিত কিসমিস খেলে রক্তস্বল্পতা কমে যায়। 

তাহলে আমরা আজকে এই প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে পারলাম কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ।এছাড়াও আরো অনেক রয়েছে, কিসমিসে থাকা আ ঘনইরন রক্ত হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, তাছাড়া কিসমিসে থাকা তামা যা রক্তে লাল রক্ত কণিকা তৈরি করে থাকে। হজম শক্তি শক্তি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ করে, শরীরকেবিষ মুক্ত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ইত্যাদি।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

কিসমিস যা মিষ্টি খাবারের একটি চেনা উপাদান। কিন্তু আমরা কি কেউ জানি যে আমাদের প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত , পায়েস হালুয়া পোলাও থেকে শুরু করে অনেক সুস্বাদু খাবারের এটি ব্যবহার করা হয়। দিনে কতটুকু কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন তা আমাদের জানা দরকার, কারণ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া উচিত।

অর্থাৎ প্রতিদিন আমরা ৮ থেকে ১০ টি কিসমিস খেতে পারি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে থাকে। আমরা জানি কিসমিস খেলে অনেক উপকার হয়, কিসমিস একটি পুষ্টিগুণ ফল। কিসমিস মূলত আঙ্গুর থেকে তৈরি হয়,শুকনা আঙ্গুর হচ্ছে কিসমিস। তাহলে এই প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

আমরা আসলেই জানলে অবাক হব রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস ও মধু একসঙ্গে খান তাহলে,আপনার শুক্রাণু এর সংখ্যার বেড়ে যাবে। কিসমিসে থাকে আয়রন ও তামা এবং মধুতে থাকা অ্যামাইনো এসিড, নিয়াসিন,কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি6,রাইবোফ্লাবিন এবং ভিটামিন সি থাকে যা দূর্বলতা দূরীকরণ করে থাকে। 

রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত কিসমিস খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।আবার যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা যদি রাতের কিসমিস খেয়ে ঘুমায় অনেক উপকার পাবে। কিসমিস অন্ত্রের আন্দোলন সহজ করে,যা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, যা মল প্রচুর পরিমাণে যোগ করে এবং সহজে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এটি সহজেই শরীর থেকে ময়লা বের করে ।

এবং শরীরে কে ডেটক্সিফিকশনে সাহায্য করে।রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে হার সুস্থ থাকে, কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম যা হারের ঘনত্ব বর্ধক করে এবং হার শক্তিশালী করে তোলে। আপনারা সবাই পোস্টটি পুরোপুরি পড়লে জানতে পারবেন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় , রাতে নিয়মিত কিসমিস খেলে ওজন কমতে শুরু করে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

কিসমিসের ক্ষতিকারক দিক

কিশমিশে যেমন রয়েছে উপকারি দিক ঠিক তেমন আমাদের জানতে হবে কিসমিসের ক্ষতিকারক দিক । যাদের অ্যালার্জিজনিত রোগ আছে তারা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ ওদেরও তো কিসমিস খাওয়ার ফলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।আবার যারা ডায়াবেটিকস রোগ নিয়ে ভুগছেন তারা অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ কিসমিসে রয়েছে চিনি।

অতিরিক্ত কিসমিস খেলে আপনার ডায়াবেটিকস বেড়ে যেতে পারে। যারা শরীরের ওজন কমাতে চান না, তারা অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না কিসমিস শরীরের ওজন কমায়। তাহলে আমরা জেনে গেলাম কিসমিসের ক্ষতিকারক দিক গুলো তাছাড়াও অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে হজম শক্তির বিঘ্ন ঘটে।

কিসমিসের পুষ্টিগুণ

কিসমিস যা রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা হয়তোবা ভেবেই অবাক হব কিসমিসের পুষ্টিগুণ আসলে কতটুকু কিন্তু এটি আমাদের সাধারণভাবে খুব কমই খাওয়া হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে ৩০৪ কিলক্যালরি এনার্জি। আরো রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ,ফ্লুকটোজ, যা দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে৭৪.৬গ্রাম। 

বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ানোর অভ্যাস করালে তাদের দাঁত ভালো থাকে।প্রোটিন আছে১.৮ গ্রাম, সোডিয়াম২০.৪মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম।কিসমিসে থাকা ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভিতরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।ফাইবার রয়েছে ১.১গ্রাম আরো রয়েছে ফাইবার, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম,আয়রন যার পরিমাণ১.১গ্রাম,০.৩গ্রাম ৮৭মিলিগ্রাম,৭.৭মিলিগ্রাম। 

কিসমিসে আরো রয়েছে বোরক নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা হারের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে থাকে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার হতে বাধা দেয়, ক্যাটেচিন এটি এক ধরনের পলিফেনলিক যা ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এই কনটেন্ট দ্বারা আমরা জানতে পারলাম কিসমিসের পুষ্টিগুণ মান কত।

এছাড়াও কিসমিসে থাকা ফাইবার পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে ও আরো কাজ করে যেমন: শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা।

সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা

আমরা সবাই জানি কিসমিস একটি পুষ্টিণুনউপকারে একটি ফল চলুন আজকে প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে আসি সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা : কিসমিসে থাকা পুষ্টিগুণ যা যৌন দুর্বলতা দূর করতে করতে সাহায্য করে। কিসমিস আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, আর তাড়াতাড়ি হজম হলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কিসমিস খেলে মন ভালো থাকে, আমরা সবাই জানি যে সেক্সের সময় শরীর ও মন ভালো থাকলে কোন যৌন সমস্যা হয় না। কিসমিস রক্ত  চলাচল ঠিক রাখে আর রক্ত চলাচল ঠিক থাকলে কোন যৌন সমস্যা হয় না। কিসমিস সেক্স পাওয়ার বাড়ায়। আপনারা তো জানতে পারলেন যে সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কত অপরিসীম তবে এই নিয়মগুলো মানতে কেউ ভুলবেন না।

শেষ কথা

হ্যালো বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কিসমিস একটা ফল, এটা সবাই জানেন অনেকে মনে করেন,কিসমিস একটি ক্ষতিকারক ফল। কিন্তু আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জেনে গেলেন কিসমিস একটি পুষ্টিণুন ও উপকারী ফল, যা খেলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে থাকে, এবং আমাদের অনেক উপকর থাকে। 

আমাদের ওয়েবসাইটে এইরকম আরো অনেক পোস্ট আছে পোস্টগুলো পড়ুন ,শেয়ার করার মাধ্যমে পোস্টে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আমাদের ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করুন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#