জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে - জিভে ঘা কেন হয়

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করব জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে বিষয়টি নিয়ে।আমাদের অনেকেরই জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে বিষয়টি জানা নেই। তাহলে, চলুন অজানা বিষয় জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করি।

জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে - জিভে ঘা কেন হয়
প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের অনেকেই অনেকেরই জিভে ঘা হয়ে থাকে। কিন্তু কি কারনে হয়ে থাকে,কি খেলে ভালো হবে। তা আমাদের হয়তো অনেকের জানার ইচ্ছা। তো আজকে আমাদের পুরো আলোচনা নিয়ে বন্ধুরা আমরা তাড়াতাড়ি আমাদের আলোচনা শুরু করি।

ভূমিকা

জিভে ঘা সাধারণত আলসারের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। যাদের ভিটামিনের সমস্যা রয়েছে তাদের জিভে ঘা হয়ে থাকে। জিভে ঘা সাধারণত ভিটামিন C এর অভাবে হয়ে থাকে। জিভে ঘা হলে মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আজকে আমরা এই আর্টিকালের মাধ্যমে জানতে পারবো জিভে ঘা কেন হয়।

জিভেতে ঘা হলে কি করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব। প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে জেনে আসি জিভের সম্পর্কে।

জিভে ঘা কেন হয়

জিভে ঘা কেন হয় সে সম্পর্কে আজকে আমরা এ আর্টিকেলে জানতে চলেছি। আমরা কি জানি জিভে ঘা কেন হয়? যদি না জেনে থাকি তাহলে আমাদের এই আইডি কালের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন।মূলত জিভে ঘা এটি এক ধরনের আলসার। এটি ভিটামিন C এর অভাবে হয়ে থাকে। ভিটামিন C এর অভাব শরীলে দেখা দিলে জিভেতে ঘা হয়ে থাকে। 

আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করি। এ পথ যদি শক্ত বা জোরে জোরে করা হয় তার কারণে মুখে ঘা হতে পারে।মুখ গহব্বরে যত্ন না নেওয়ার ফলেও মুখের ঘা হয়ে থাকে। তাছাড়া যারা ধূমপান করে বা জর্দা খায় তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাছাড়া হরমোনের সমস্যার কারণে ও মুখে খাওয়াতে পারে। 
আবার গর্ব অবস্থায় কিংবা পিরিয়ড চলাকালীন মুখে খাওয়াতে পারে। এগুলো কারণে সাধারণত মুখে ঘা হয়।

জিভে গোটা হলে করণীয়

জিভে গোটা হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের পড়তে হবে।জিভে গোটা হলে করণীয় কি তা আমরা এই আর্টিকেল মাধ্যমে জানতে চলেছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি জিভে গোটা হলে করণীয় কি। শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিদ্যমান থাকতে হবে। 

এ সমস্যা যদি আবহাওয়া নিতে হয় ।তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঘরের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে হবে। নেশা দ্রব্য জিনিস থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন ধূমপান, তামাক জাতীয় কিছু খাওয়া, মদ্যপান, কিংবা অন্যান্য নেশা জাতীয় জিনিস। এটি যেহেতু ভিটামিনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তার জন্য ভিটামিন ডাক্তার দেখাতে হবে।

জিভে ঘা দূর করার উপায়

জিভে ঘা দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তাহলে চলুন জেনে আসি জিভে ঘা দূর করার উপায় সম্পর্কে। জিভে ঘা দূর করার একটি হচ্ছে লবণ। হালকা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে গ্লুকোজ করলে মুখের ঘা অনেকটাই কমে যায়। লবণে রয়েছে ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা। এটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

তাছাড়া বেকিং সোডা দিও মুখের ঘা দূর করা যায়। ব্রেকিং সোডা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে কুলকুস করলে মুখের ঘা দূর করা যায়। কিংবা ব্রেকিং সোডা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ও মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা যা মুখের ঘায়ে দুর্দান্ত কাজ করে।

জিভে গোড়ায় গোটা কেন হয়

জিভে গোড়ায় গোটা নানা কারণে হয়ে থাকে।সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি জিভে গোড়ায় গোটা কেন হয়।তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া হল:- জিভে গোড়ায় গোটা রোগ হওয়ার কারণ তামাক পাতা চিবালে, ধূমপান করলে। তাছাড়া ও রিফ্লাক্স এর কারনে জিভে গোড়ায় গোটা রোগ হয়।

তাছাড়া এ রোগ অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন পরিবেশে বসবাস করার কারণে হয়ে থাকতে পারে। জোবার গোড়ায় গোটা রোগ দেখা দিতে পারে প্রতিনিয়ত জিহ্বা পরিষ্কার করার ফলে। তা ছাড়া জীবভাগ গোটা রোগ দেখা দেয় ভিটামিন এর অভাব দেখা দিলে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আবহাওয়ার কারণেও জিভে গোড়ায় গোটা রোগ দেখা দেয়।

জিভে ঘা হলে কি করা উচিত

জিভে ঘা হলে কি করা উচিত। জিভে ঘা হলে প্রথম অবস্থায় আমাদের করণীয় যা করতে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। জিভে ঘা হলে আমাদের শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। কারণ সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে জিভেতে ঘা হয়। 

তাই আমাদের উচিত বেশি করে সবুজ শাকসবজি ফলমূল এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। তাছাড়া খাবার খাওয়ার সময় যদি আমরা কাঁচা পেঁয়াজ খাই তাহলে জিভে ঘা নিরাময়ের জন্য খুবই উপকার করে। তাছাড়া ঝাল যুক্ত খাবার কিংবা মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 
জিভে ঘা থাকা অবস্থায় ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা আজকে আমরা আরটিকালের মাধ্যমে জানতে পারলাম জিভে ঘা হলে কি করা উচিত।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জিভ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানলাম।এই তথ্যগুলো আমাদের উপকারে আসবে। তো এরকম নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার আইটি ওয়েবসাইটটি মাঝেমধ্যে ভিজিট করুন। এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে তার একটু উপকার করে দিন।আমাদের পাশে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবে, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#