থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় - পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা

 হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই থানকুনি পাতা চিনি না বা দেখিনি। তো চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। আমরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করবো থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় - পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা
আমরা অনেকেই আছি যারা থানকুনি পাতা চিনি না। থানকুনি এক ধরনের খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক পরিবাবের নাম ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবাবের উপপরিবার মনে করেন।তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় - পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা সম্পর্কে।

ভূমিকা

আমাদের শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে। ত্বকের ওজ্জ্বল্য বাড়ায় থানকুনি পাতা ৷ প্রতিদিন থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় বড় রোগের থেকে জয় পাওয়া সম্ভব ৷ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায় থানকুনি পাতা।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জেনে নিই।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। 

শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় তা আমরা জানতে চলেছি।

থানকুনি পাতায় অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে । এ কারণে অনেক জটিল রোগ খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। রক্তের জমাট শরীরে গঠন করতে সক্ষম হওয়া উচিত নয়। কারণ এটি মস্তিষ্ক, কিডনি এবং হার্টের ক্ষতি করে। অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে যা আমাদের সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে যার মধ্যে অন্যতম হলো থানকুনি পাতা।

হালকা তেতো স্বাদের এই পাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্ডিয়ান পেনিওয়ার্ট। থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ পুকুর এবং জলাভূমির পাশে পাওয়া যায়। এটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপেও জন্মে। থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় হিসেবেই। 

শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়।

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়

এবার আমরা জেনে নিব থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় সে সম্পর্কে।থানকুনির অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোক্যামিকেল ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক থাকে কোমল এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কম হয়।থানকুনি আমাদের অতি পরিচিত এক ভেষজ উদ্ভিদ। 

খেতের আইল, পুকুরপাড় বা জলার ধারে হর হামেশাই বেড়ে উঠতে দেখা যায় অসাধারণ ওষধিগুণ সম্পন্ন এই উদ্ভিদকে।থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং সক্রিয় উপাদান ম্যাডেকাস সাইড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এতে দূষণ ও সূর্যের রশ্মির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় তা আমরা জানবো।থানকুনির ম্যাডেকাসসাইড ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ত্বককে ভেতর থেকে ঠান্ডা ও প্রশান্ত করে। এতে ত্বকে সতেজ ভাব ফুটে ওঠে।থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার।

পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।থানকুনি পাতা ত্বককে সতেজ রাখতে ব্যবহার করা হয়। থানকুনিতে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।

মুখে ব্রণের দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ও লোমকূপ বন্ধ হওয়ার জন্য ত্বকে ব্রণ উঠতে পারে। থানকুনির পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়

এবার আমরা জানবো থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।আমাদের শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে। ত্বকের ওজ্জ্বল্য বাড়ায় থানকুনি পাতা ৷ প্রতিদিন থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় বড় রোগের থেকে জয় পাওয়া সম্ভব ৷ 

অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায় থানকুনি পাতা।থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জেনে নিই।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা।পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে।

পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় তা আমরা জানতে চলেছি।থানকুনি পাতায় অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে ।রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে । এ কারণে অনেক জটিল রোগ খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। রক্তের জমাট শরীরে গঠন করতে সক্ষম হওয়া উচিত নয়। কারণ এটি মস্তিষ্ক, কিডনি এবং হার্টের ক্ষতি করে।অনেক ভেষজ রয়েছে যেগুলো নানাভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। 

তার মধ্যে একটি হলো থানকুনি পাতা।হালকা তেতো স্বাদের এই পাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্ডিয়ান পেনিওয়ার্ট। থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ পুকুর এবং জলাভূমির পাশে পাওয়া যায়। এটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপেও জন্মে। থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় হিসেবেই। 

শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়।

পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা

এবার আমরা পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা সম্পর্কে জানতে চলেছি।পেটের যে কোনও রোগে থানকুনি পাতা খুব ভালো। আমাশয় থেকে আলসার সেরে যায় এই পাতার গুণেই। আর নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। ক্রনিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে খুবই ভালো থানকুনি পাতা।মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় থানকুনি পাতা। 

এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রচুর ফলিক অ্যাসিড। থানকুনি পাতা সেবনে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার।ঝুঁকি কমে।এই পাতা পেটের বিভিন্ন রোগ সারাতে পারে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশেও দুর্দান্ত কার্যকর।পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।থানকুনি পাতা তাদের স্বস্তি দেবে। 

এছাড়াও পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও এই পাতাটি কার্যকর।অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থানকুনি পাতা। এতে একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।ফলে সহজেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।পেটের রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতা কার্যকর। যে কোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

এই পাতা হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়তা করে। অনেকের আমাশয় হয়। এই পাতা তা দূর করে। বিশেষ করে ক্রনিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে খুবই ভালো থানকুনি পাতা।থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে। থানকুনি পাতা সেবনে।

অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। অবসাদ এবং উদ্বেগ রোধে সহায়তা করে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা মানসিক চাপ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস রোধে কার্যকরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে।পেটের রোগ নিরাময় করতে থানকুনি পাতা দুর্দান্ত কার্যকর। 

যেকোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পেটে আলসারের মতো রোগের প্রকোপ থেকেও স্বস্তি দিতে পারে। এছাড়া, পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও এই পাতাটিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে।

থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়

এবার আমরা জানবো থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয় সম্পর্কে।প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। সকাল-সকাল খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খেলে যেমন উপকার মেলে, তেমনই কাঁচা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। 

ইচ্ছে হলে খেতে পারেন থানকুনি পাতার পেস্ট অথবা বড়াও।থানকুনি পাতা ধুয়ে কুচি করে নিন।এবার থানকুনি পাতা কুচি, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, বেসন ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিবেন। পাত্রে তেল দিয়ে গরম করুন। বড়া বা পিঁয়াজুর মতো করে বানিয়ে গরম তেলে দিয়ে ভেজে পরিবেশন করুন।প্রথমে থানকুনি পাতা ভালভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে।

কেটে শিল পাটা বা ব্লেন্ডারে পিষে নিন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রস বের করে নিন। এরপর রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার জুস।থানকুনি পাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। সুস্থ ও সবল থাকতে নিয়মিত এটি খান। থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয় তা আমরা জানতে চলেছি।গ্রামের সব বাড়িতেই থাকত থানকুনি পাতার গাছ। 

পরবর্তীতে শহরতলির বেশ কিছু বাড়িতেও লাগানো হত এই গাছ। কারোর হাত কিংবা পা কেটে গেলে বা পেটের কোনও সমস্যা হলেই খোঁজ পড়ত থানকুনি পাতার। কোনও একটা ঘর থেকে নিশ্চিত পাওয়া যেতই। এমনকী প্রাচীন আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও এই পাতার প্রচুর গুণাগুণ বর্ণিত রয়েছে। অনেক ওষুধও তৈরি হত এই পাতার রস থেকে। কিন্তু এখন এই পাতার দেখা আর প্রায় পাওয়াই যায় না। 

এমনকী এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা থানকুনি পাতা চেনেও না। কিন্তু শরীরকে নানা দিক দিয়ে সুস্থ রাখতে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন এই পাতার রস খেতে পারলে অন্যরকম কোনও চিন্তা থাকবেই না।ভেষজ উপাদানে ভরপুর থানকুনি পাতা পেটের রোগ সারাতে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ সারাতে থানকুনি পাতার জুড়ি নেই।

থানকুনি পাতার ব্যবহার

এবার আমরা থানকুনি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চলেছি।শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে। ত্বকের ওজ্জ্বল্য বাড়ায় থানকুনি পাতা ৷ প্রতিদিন থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় বড় রোগের থেকে জয় পাওয়া সম্ভব ৷ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়।

অনেকের থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। এছাড়াও অনেকের দেহেই অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ থাকে। ফলে শরীরের প্রতি কোশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়। ফলে অনেক সমস্যার উপশম হয়। হাত ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া এসব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

থানকুনি পাতার মধ্যে থাকে নানা রকম খনিজ উপাদান, যা তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যে কারণে অনেক জটিল রোগ থেকে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেওয়া একদম উচিত নয়। কারণ এর ফলে হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। অন্য অঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করে রাখবেন।

থানকুনি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই।অনেক ভেষজ রয়েছে যেগুলো নানাভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি হলো থানকুনি পাতা। হালকা তেতো স্বাদের এই পাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্ডিয়ান পেনিওয়ার্ট। থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ পুকুর এবং জলাভূমির পাশে পাওয়া যায়। 

এটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার।দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপেও জন্মে। থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় হিসেবেই। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়। জেনে নিন এর উপকারিতা- পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে।
থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি পেট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।সেজন্য প্রথমে পরিষ্কার ও তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন। এরপর সেই পানি একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। এরপর তার সঙ্গে যোগ করুন মধু। পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করুন।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় তা সম্পর্কে।আমরা অনেকেই আছি যারা থানকুনি পাতা চিনি না বা দেখিনি।থানকুনি এক ধরনের খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক পরিবাবের নাম ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবাবের উপপরিবার মনে করেন।

তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#