মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা জেনে নিব মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। মসুর ডালের জুড়ি মেলা সেই সাথে দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে করে কোমল ও ফর্সা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক
আমরা আমাদের ত্বকের জন্য মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারি। মসুর ডাল ব্যবহার করে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারি।মুখের মৃতকোষ সরিয়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর স্মুদ করতে মসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার। সেই সাথে দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে করে কোমল ও ফর্সা।তো চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়- মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।

ভূমিকা

আমাদের মধ্যে যাদের স্কিন ড্রাই মসুর ডাল তাদের জন্য হতে পারে দারুণ একটা সমাধান। মসুর ডাল আর মধু স্কিনের মৃতকোষ দূর করে স্কিনে সফটনেস আনবে খুব এফেক্টিভভাবে। মধু আর মসুর ডাল এই উভয় উপাদান স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। ফলে স্কিনের স্মুদনেস বাড়ার সাথে সাথে উজ্জ্বলতাও বাড়বে।

যদি কেউ চায় ত্বকের রঙ ভীষনভাবে উজ্জ্বল করতে, কার্যকরভাবে ব্রণ ও সান ট্যান দূর করতে তাহলে এই উপটান তাদের জন্যই।সাথে সাথে এটি স্কিনকে করবে খুব স্মুদ এবং লাবন্যময়।মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যারা সিম্পল কিন্তু কার্যকর এক্সফলিয়েশন পছন্দ করেন, মসুর ডাল তাদের জন্য দারুন এক উপাদান। 

মুখের মৃতকোষ সরিয়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর স্মুদ করতে মসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার। সেই সাথে দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে করে কোমল ও ফর্সা।বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকেই কনের মুখে মসুর ডাল বেটে লাগানো হতো।কারণ এতে তাৎক্ষণিক ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। মসুর ডালে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান।এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর প্রোটিন থাকে। 

তাই মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের টিস্যু সজীব রাখে। সপ্তাহে ২-৩ বার মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারেই ত্বক হয়ে ওঠে টানটান। বলিরেখাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও মসুর ডাল খুবই উপকারী। দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রকোপ কমে।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব।মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা। এটি ব্যবহারে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যায়। কারণ এতে থাকে থাকে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন কে ও ভিটামিন এ।এই ভিটামিনগুলো ত্বকের সানট্যান দূর করে। তার সঙ্গে ত্বকে পুষ্টিও যোগায়। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই অনেক ফর্সা হয়ে যায়। 
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করে মসুর ডাল।এছাড়াও আপনার ত্বকের ট্যান সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে,এটি আপনার ত্বকও পরিষ্কার রাখে। ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে সাহায্য করে,এছাড়া তেল নিয়ন্ত্রণ করে।

মুখে মসুর ডালের উপকারিতা

এবার আমরা মুখে মসুর ডালের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চলেছি।সেই সঙ্গে ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে ত্বককে সুন্দর করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু স্টাডি-তে দেখা গেছে নিয়মিত মসুরের ডাল দিয়ে বানানো নানাবিধ ফেইস মাস্ক মুখে লাগাতে শুরু করলে ত্বকে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। 

সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।মুসুর ডাল প্রোটিনে ভরপুর, খেতেও খুব সুস্বাদু।বিশেষ করে গরমের দিনে আম দিয়ে মুসুর ডাল আদর্শ খাবার। এর পাশাপাশি রূপটান হিসেবেও মুসুর ডাল বাটা দারুণ কাজ করে মুখের ট্যান দূর করা থেকে মুখের বাড়তি রোম কমানো বা ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে আজও মুসুর ডালের ব্যবহার করা হয়। 

আপনার জন্য রইল মুসুর ডালের ফেস প্যাকের হদিশ। বাঙালি বাড়িতে মেয়ের বিয়ে ঠিক হলেই তাঁকেও যত্ন করে মুসুর ডাল বেটে লাগিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ আজও আছে। প্রতিটি ফেস প্যাক বানানোর জন্য।খানিকটা মুসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে মিক্সি বা শিলনোড়ায় বেটে নিন সমস্যা শেষ।মুখে মসুর ডালের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।

ছুটির দিনে ঘরোয়াভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে চাইলে এই ডাল ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহার করলে মুখের উপরিভাগে জমে যাওয়া মৃত কোষ উঠে যায় সহজেই। মিহি করে বাটা মুসুর ডালের সঙ্গে দু' চাচামচ দুধ মিশিয়ে দিন। সমানভাবে মুখে লাগিয়ে নিয়ে পর হালকাভাবে মেসেজ করুন।সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটার সঙ্গে।

সমপরিমাণ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।সাধারণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।তারপর মুখে মেখে ২ মিনিট স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ফেসওয়াশের  তৈলাক্ত মুখে অবশ্য নারিকেল তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল

এবার আমরা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল সম্পর্কে জানতে চলেছি।এক্ষেত্রে ৫০ গ্রাম মসুর ডালকে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে উঠে পানিটা ছেঁকে নিয়ে ডালটা বেঁটে নিতে হবে। তারপর ডালের পেস্টটির সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা দুধ এবং পরিমাণমত বাদাম তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কম করে হলেও ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

মুখের ট্যান ভাব কমাতে সাহায্য করত এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।পারেন মুসুর ডাল। মুসুর ডাল ভাল করে ধুয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে আরও একবার ধুয়ে পরিষ্কার শিল-নোড়া বা মিক্সিতে বেটে নিন।তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল সম্পর্কে জেনে নিই।তৈলাক্ত ত্বককে তার স্বাভাবিক নিয়মে থাকতে দিতে হব ফেসিয়াল বেশি করার ফলে তৈলাক্ত ত্বক তার স্বাভাবিকতা হারাবে। 

ত্বক ভালো রাখার প্রথম কথা হলো ত্বক পরিস্কার রাখা। যারা প্রতিদিন বাইরে কাজের জন্য করেন এবং যারা বাঁচাতে থাকেন তাদের দিনে অন্তত ৫ বার প্রয়োজন।দিনে একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে সহজে বাইরের ধুলাবালি জমে। ফলে ত্বক আরও মলিন হয়ে পড়ে। তাই ত্বক ভালো রাখতে বাড়ি ফিরে।

যে কোনো ফলের রস যেমন- তরমুজ, কলা, পেঁপে দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। টমেটোর রস পুরো মুখে লাগিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়াও শসার রস উপকারী।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মসুর ডাল ও বেসন বেশ উপকারী। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন লাগাতে পারেন।স্বাভাবিকভাবে থাকলে তৈলাক্ত ত্বকের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। 

তবে নিয়মিত যত্ন না নিলে বা ত্বক পরিস্কার না করলে ত্বকে একনে, পিম্পল, র‌্যাশ ও ব্ল্যাক হেডস হয়। তখন প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। প্রায় সব বিউটি সেলুনে তৈলাক্ত ত্বকের এসব সমস্যা উপযোগী নানা ধরনের ফেসিয়াল আছে।আমাদের খাদ্যাভ্যাসে একটু পরিবর্তন আনতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। ফলের জুস খেতে পারেন। হালকা তেল মসলার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। 

তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে পারলেই তৈলাক্ত ত্বক এই গরমেও থাকবে নরম কোমল আর সুন্দর। মুখের ত্বকের চেয়ে হাত-পায়ের ত্বক একটু ভারী হয়। তৈলাক্ত হাত-পা সবসময় আর্দ্র থাকে। প্রতিদিন হাত-পা পরিস্কার করতে হবে। সপ্তাহে একদিন লেবু, লবণ আর গরম পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর পা ঘষে পরিস্কার করে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। 

কিচেনে কাজ শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে একটু কুসুম গরম পানিতে হাত পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে তারপর একটু লেবু ঘষে পরিস্কার করে নিতে পারেন। মুখের ত্বকে তেলের প্রভাব বেশি হলেও হাত-পায়ে তেল বেশি দেখা যায় না।

ব্রনের দাগ দূর করতে মসুর ডাল

এবার আমরা জানবো ব্রনের দাগ দূর করতে মসুর ডাল সম্পর্কে।মসুর ডালের গুঁড়ার সঙ্গে ভেজানো মটরের ডাল, কাঠ বাদামের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেইস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। মসুরের ডালের গুঁড়া ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস দূর করে।

দুধ ও ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মসুর ডালের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটা ত্বক টানটান ও সতেজ রাখতে কার্যকর। প্যাক ব্যবহারের পরে তা পরিষ্কার করে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।মসুর ডাল বয়সের ছাপ কমাতে কার্যকর। রোদেপোড়াভাব কমাতে প্যাক তৈরিতে।

এই ডালের গুঁড়ার সঙ্গে শুকনো ফল যোগ করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আখরোটের গুঁড়া ও বেসন ব্যবহার করতে পারেন।ব্রনের দাগ দূর করতে মসুর ডাল সম্পর্কে জেনে নিই।দুধের সঙ্গে মসুরের ডালের পেস্ট ত্বকে খুব ভালো কাজ করে।মিশ্রণটি ত্বকে হালকা মালিশ করে শুকানোর পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের মৃত কোষ, দূষণ, বাড়তি তেল দূর হবে। 

দুধ ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এই প্যাক সপ্তাহে নিয়মিত একবার ব্যবহারে দাগছোপ দূর হয়।যাদের ত্বক শুষ্ক তারা মধুর সঙ্গে মসুর ডালের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন।আবার তৈলাক্ত ত্বকের ফেইস প্যাকের সঙ্গে ভিনিগার যোগ করলে উপকার পাওয়া যাবে, সাধারণ ত্বকে এর জন্য টক দই ভিনেগার ও মসুর ডাল এর সঙ্গে মিশিয়ে।

একটি ফেসপ্যাক বানী তা ব্যবহার করতে পারেন।মালিশ করে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সাদা ভিনিগারের বদলে লেবুর রস যোগ করা যেতে পারে।মসুর ডালের গুঁড়ার সঙ্গে ভেজানো মটরের ডাল, কাঠ বাদামের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেইস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে। 

যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।মসুরের ডালের গুঁড়া ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস দূর করে। তবে সপ্তাহে একাধিকবার ব্যবহার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। যাদের ত্বক সংবেদনশীল ও অতিরিক্ত শুষ্ক তাদের এই ডাল ব্যবহার না করাই ভালো।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

এবার আমরা জানবো মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।আমাদের মধ্যে যাদের স্কিন ড্রাই মসুর ডাল তাদের জন্য হতে পারে দারুণ একটা সমাধান। মসুর ডাল আর মধু স্কিনের মৃতকোষ দূর করে স্কিনে সফটনেস আনবে খুব এফেক্টিভভাবে। মধু আর মসুর ডাল এই উভয় উপাদান স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। ফলে স্কিনের স্মুদনেস বাড়ার সাথে সাথে উজ্জ্বলতাও বাড়বে। 

যদি কেউ তাদের ত্বক  অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বলহবে।তাহলে এই উপটান তাদের জন্যই। সাথে সাথে এটি স্কিনকে করবে খুব স্মুদ এবং লাবন্যময়।মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যারা সিম্পল কিন্তু কার্যকর এক্সফলিয়েশন পছন্দ করেন, মসুর ডাল তাদের জন্য দারুন এক উপাদান। 

মুখের মৃতকোষ সরিয়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর স্মুদ করতে মসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার।সেই সাথে দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে করে কোমল ও ফর্সা।বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকে মুখেমন্ডলে মসুরের ডাল ব্যবহার করা হতো।কারণ এতে তাৎক্ষণিক ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। মসুর ডালে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান।এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর প্রোটিন থাকে। 

তাই মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের টিস্যু সজীব রাখে। সপ্তাহে ২-৩ বার মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারেই ত্বক হয়ে ওঠে টানটান। বলিরেখাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও মসুর ডাল খুবই উপকারী। দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রকোপ কমে।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব।মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা। এটি ব্যবহারে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যায়। কারণ এতে থাকে থাকে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন কে ও ভিটামিন এ।এই ভিটামিনগুলো ত্বকের সানট্যান দূর করে। তার সঙ্গে ত্বকে পুষ্টিও যোগায়। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই অনেক ফর্সা হয়ে যায়। 

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করে মসুর ডাল।এছাড়াও আপনার ত্বকের ট্যান সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে,এটি আপনার ত্বকও পরিষ্কার রাখে। ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে সাহায্য করে,এছাড়া তেল নিয়ন্ত্রণ করে।

মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক

এবার আমরা জানবো মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।মসুর ডাল বেশি খেলে এতে উপস্থিত ফাইবার পেট খারাপ করতে পারে। যাদের রক্তে ফসফরাসের পরিমাণ বেশি বা যারা কিডনি ও দুর্বল হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মসুর ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস রয়েছে, যে কারণে এটি রক্তে ফসফরাসের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

মসুর ডাল গ্লুটন মুক্ত।ডালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায় তা প্রায় সবাই জানেন।মসুর ডাল এমনই একটি ডাল, যার পুষ্টিগুণ ও বিপুল ঔষধি গুণ রয়েছে। মসুর ডালকে ক্যালোরি এবং প্রোটিনের অনন্য সমন্বয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক পুষ্টি প্রদানে কার্যকর হতে পারে। 

মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিই আমরা।এমনই একটি ডাল, যার পুষ্টিগুণ ও বিপুল ঔষধি গুণ রয়েছে। মসুর ডালকে ক্যালোরি এবং প্রোটিনের অনন্য সমন্বয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।যা স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক পুষ্টি প্রদানে কার্যকর হতে পারে। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। 

এই কারণেই মসুর ডাল ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আবার কিছু মানুষের জন্য মসুর ডাল ক্ষতিকর হতে পারে। কাদের জন্য মসুর ডাল ক্ষতিকর, তা অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, নাহলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।কোনো ডাল খাওয়া হোক বা না হোক, বর্তমানে আমরা অনেকেই খাবারের তালিকায় মসুরের ডাল রাখার চেষ্টা করি।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মসুর ডাল স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী হলেও বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস তা হিতে বিপরীত হতে পারে।মসুর ডালে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার, যা শরীরের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে তাই পরিমিত মসুর ডাল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লেকটিন। এই উপাদান শরীরের হজমশক্তিকে দুর্বল করে তোলে। যদি কোনো ব্যক্তি আইবিএস-এর মতো রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে মসুর ডাল খাওয়ার কারণে তার স্বাস্থ্য অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানালাম মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।মসুর ডালকে ক্যালোরি এবং প্রোটিনের অনন্য সমন্বয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক পুষ্টি প্রদানে কার্যকর হতে পারে। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে।

যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে।তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#