চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা - চাষ পদ্ধতি
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার পোস্ট চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা - চাষ পদ্ধতি। এই পোস্টের মাধ্যমে চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা - চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জানানো হবে।চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা - চাষ পদ্ধতি আমাদের অনেকেরই তা অজানা আবার চিয়া সিড অনেকের কাছে নতুন শব্দ।
বিদেশি একটি পূণ্য চিয়া সিড। অনেকেই আছে যারা এখনো চিয়া সিড এর কথা জানেন না। আবার অনেকে এই বিদেশি পণ্যটির সাথে পরিচিত। কিভাবে চিয়া সিড খাওয়া হয় চিয়া সিডের উপকারিতা অপকারিতা সবকিছু জানিয়ে দেয়া হবে আমারএই পোস্টের মাধ্যমে। চিয়া সিডের সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
সালভিয়া কলম্বিয়ারিয়া ফুল থেকে তৈরি এক ধরনের উদ্ভিদ। সিয়াবীজের রং গুলো ধূসর সাথে কালো এবং সাদা দাগ যুক্ত হয়ে থাকে। সিয়া বীজ একটি বিদেশি পণ্য বাংলাদেশের যার উৎপাদন খুবই কম, কয়েকটি জেলায় মাত্র চিয়া সিডের উৎপাদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে এখনো যারা চিয়া সিডে কথায় জানেন না।
আরো পড়ুন বিট লবণের উপকারিতা ও অপকারিতা
চিয়া সিড নামে একটি খাদ্য আছে এখনো হয়তো তা অনেকেই জানেন না। আবার যারা এই পণ্যের সাথে পরিচিত তারা জানে উপকারিতা। কিন্তু,আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, খেলে কি কি হয় সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে।তাহলে দেরি না করে চিয়া সিড,নিয়ে বিস্তারিত শুরু করা যাক।
চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা যারা চিয়া সিড সম্পর্কে জানে কিন্তুচিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কোন ধারণা আমাদের নেই তো আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেব। বর্তমান সময়ে আমরা খাবার নিয়ে অনেকে,অনেক সচেতন।
কোন খাবারে কোন পুষ্টিগণ রয়েছে এবং কি উপকারিতা রয়েছে এইটা জানতে আমরা আগ্রহী হয়ে থাকি। চিয়া সিড যেটা একটি বিদেশি পণ্য। চিয়া সিড এক ধরনের সুপার ফুড খাবার। বর্তমানে অনেকেই খাবারে তালিকায় চিয়া সিড রাখছেন।চিয়া সিড যা মরুভূমির সালভিয়া কলম্বিয়ারিয়া ফুল এর একটি উদ্ভিদ। এটি সাধারণত আমেরিকায় বেশি দেখা যায়।
চিয়া সিডের উপকারিতাঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,আর চিয়া সিডে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যামান। চিয়া সিডে বিদ্যমান রয়েছে ওমেগা থ্রি যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। মুরগির ডিমের থেকে তিনগুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে চিয়া সিডে। এই প্রোটিন মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয়। চিয়া সিডে যে ক্যালসিয়াম রয়েছে তা দুধের থেকে ৫গুণ বেশি।
এছাড়াও স্যালমন মাছের থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ৮গুণ বেশি রয়েছে। এছাড়াও আরো রয়েছে
- কোয়েরসেটিন
- কেম্পফেরল
- ম্যাগনিয়াম,
- ক্লোরোজেনিক,
- পটাশিয়াম এবং
- দ্রব্যনীয় ও অদ্রব্যনীয়
- খাদ্য আঁশ।
চিয়া সিডের অপকারিতা
সবকিছুরই ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিক ও রয়েছে।কয়েক জন বিজ্ঞানী দ্বারা গবেষণা করে দেখা গেছে, চিয়া সিড অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার হয়।চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা অতিরিক্ত খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সেট খেলে ওজন কমে যায়, অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যায়।
চিয়া সিড দিয়ে রূপচর্চা
প্রিয় বন্ধুরা,আজকের বিষয়টা চিয়া সিড দিয়ে রূপচর্চা কী ভাবে করা যায়। চিয়া সিড যা খাওয়ার ফলে অনেক উপকার, হয় আবার অপকারও হয়। কিন্তু চিয়া সিড দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করা যায় এই পোস্টটার মাধ্যমে আমরা তা জানবো। পুষ্টিগুণের ভান্ডার চিয়া সিড দিয়ে এখন রূপচর্চা করা যায়। যদি আপনি একটা বাটিতে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিডের সঙ্গে ১চামচ লেবু ও ৪চামুচ নারিকেল তেল।
একসঙ্গে নিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ফেলতে পারেন।এই ফেসপ্যাক ২০মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। এছাড়াও আপনি ২ টেবিল চামচ ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর এক টেবিল চামচ মধু ও কিছুটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ময়েশ্চার ও উজ্জ্বল হবে এবং বার্ধক্যে জনিত দাগ দূর হবে।
দুই টেবিল চামচ চিয়া সিডের সঙ্গে কয়েক ফোটা নারিকেল তেল নিয়ে ১৫মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন হবে। এছাড়াও চিয়া বীজ,টক দই,ওটস আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।এই ফেসপ্যাক রাতে ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে ত্বকের আদ্রর্তা বজায় রাখে।হ্যালো বন্ধুরা,চিয়া সিডের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানি।
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভালো
আজ আমরা জানবো চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভালো। আমরা অনেকে কিডনি নিয়ে চিন্তিত থাকি। কী খেলে কিডনি ভালো থাকবে,কী খেলে কিডনির সমস্যা হয়।চিয়া এই পণ্যটি আমাদের অনেকের কাছে নতুন, তাহলেই আজ আমরা জেনে আসি চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভালো। চলুন বিস্তারিত জেনেছি আসি।
চিয়া সিড কিডনির জন্য কোন ক্ষতিকর খাবার নয়। চিয়া সিড কিডনির জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।চিয়া সিডে রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন যা কিডনির জন্য অনেক ভালো। এই ফাইবার ও প্রোটিন কিডনির নিরামিষ ও বিটামিন ও মিনারেল সম্পন্ন করে থাকে। চিয়া সিডে থাকা আনুমানিক কিছু অ্যাসিড আছে যা কিডনিকে ভালো রাখে।
প্রিয় বন্ধুরা চিয়া সিড দিয়ে কিডনির কোন ক্ষতিকারক বিষয় পাওয়া যায়নি। চেয়ার সিট খাওয়ার ফলে কিডনির কোন ক্ষতি হয় তাহলে পরবর্তীকালে তা আমরা পরবর্তী আর্টিকালে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
চিয়া সিড চাষ পদ্ধতি
প্রিয় বন্ধুরা,আজকে আমাদের পাঠ বিদেশি পণ্য চিয়া সিড চাষ পদ্ধতি নিয়ে। আমরা অনেকেই এতক্ষণ চিয়া সিড এর সঙ্গে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা জানবো চিয়া সিড চাষ পদ্ধতি নিয়ে।এই চিয়া বীজ বর্তমানে ভারতে বেশি উৎপাদন ইচ্ছে। চিয়া সিডের বীজ সাধারণ জৈব হয়ে থাকে, এটি উৎপাদন করা খুব সহজ। দোআঁশ ও ভর্তা মাটি চিয়া বীজ উৎপাদনের জন্য ভালো।
এবং মাঝারি তাপমাত্রায় চিয়া বীজ চাষ করে থাকে।দুই ভাবে এটি বপন করা হয়। ম্প্রে ও নার্সারি পদ্ধতিতে বীজ বপন করে। আপনি দেড় কেজি চিয়া বীজ ১ বিঘা জমিতে চাষ করতে পারবেন। বীজ বপন করার আগে আপনার জমিতে তিনবার লাঙ্গল দিয়ে মাটির ঝুরঝুরে করে নিবেন। ভালো খবর পেতে আপনাকে ফসল ওঠার আগ পর্যন্ত দুই থেকে তিনবার আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চিয়া বীজ বপন পরে ১১০ দিনের মধ্যে আপনি চিয়া বীজ মাঠ থেকে আপনার ঘরে তুলতে পারবেন। এই চিয়া বীজ অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে জমিতে বপন করা হয়। চিয়া সিডের গাছ উপড়ে ফেলতে হয়,কাটতে হয় না।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমাদের পোস্ট চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নিয়ে।চিয়া সিড রান্না করে খেতে হয় না এটা ভিজে কোন ফলের জুস বা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।চিয়া সিডের বীজের স্বাদ নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য এটা যে কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়। আপনি চিয়া সিড রান্নার ওপর সাজিয়ে পেশ করতে পারেন অথবা সালাদ সঙ্গে পেশ করতে পারেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নেই আপনি এটি ওটস, ড্রিঙ্কস,জুস ইত্যাদির সঙ্গে খেতে পারেন। প্রাচীন যুগের মানুষেরা এটাকে সোনার চেয়েও মূল্যবান ভাবতেন। তারা ভাবতেন এটা খাওয়ার ফলে তাদের মধ্যে ক্ষমতা ও সততা চলে আসে। চিয়া সিড আপনি যদি কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে রাতে ঘুমানোর আগে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করেন ।
তাহলে আপনার শরীর অনেক সচিব ও সুস্থ থাকবে। এছাড়া আপনি ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে, এতে মধুর সঙ্গে যে কোন সময় পান করতে পারেন।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা ,চিয়া সিড নিয়ে আজকে আমরা বিভিন্ন অজানা তথ্য জেনে গেলাম। হয়তো এর মধ্যে অনেক তথ্য আমাদের জানা ছিল না। কিন্তু,আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে সব বিস্তারিতভাবে জানালাম। এরকম পোস্ট পেতে ফাস্ট ব্লগার আইটি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url