কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম

 হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমাদের সম্পন্ন আর্টিকেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য যা একটি সাধারণ রোগ ।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় বিষয়টি অনেকের অজানা। তাহলে, চলুন অজানা বিষয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা শুরু করি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
বন্ধুরা, আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য ঘরোয়া উপায় দূর করতে হয়। অনেকেই আছে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে। অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চাই, তো আজকে আমাদের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আর্টিকেলটি সম্পন্ন না করলে হয়তোবা আপনি বুঝতে পারবেন না কোষ্ঠকাঠিন্য কিভাবে দূর করা যায়।

ভূমিকা

কোষ্ঠকাঠিন্য যা মানুষের শরীরের জন্য অস্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। একজন মানুষ যখন স্বাভাবিকভাবে মলমূত্র ত্যাগ করতে পারেনা সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। একজন চিকিৎসকের মতে একজন ব্যক্তি নিয়মিত আঁশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরেও ।এক সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে তাকেই কোষ্ঠকাঠিন্য বলে বিবেচিত করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কিছু লক্ষণ আছে যেমন মলত্যাগের জন্য অনেক বেশি সময় হয়। 

অনেকক্ষণ চাপ ধরার পর মলত্যাগ করতে হয়, কঠিন বা নরম শুষ্ক পেটের ব্যাথা অনুভব করা ইত্যাদি ।কোষ্ঠকাঠিন্যেরে অনেক কয়েক রকমের রোগ হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এমনও হয় যে দুই থেকে তিন দিন পর পর পায়খানা হয়।খাবারের পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ না থাকলে, বিশ্রাম বা ঘুমের অভাব ঘটলে মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। বন্ধুরা, শুধু এটুকুই নয় আমাদের এই আর্টিকেলে থাকছে ।কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে আরো অনেক আলোচনা ।তো চলুন ,আমরা নিচে গিয়ে দেখি কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা গুলো।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম। তো বন্ধুরা আমাদের দেশে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম জানে না। আবার অনেকে হয়তো ব্যায়াম জানেন না।তো যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্য করে চলুন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম কনটেন্ট নিয়ে আমাদের আলোচনা শুরু করে দেই। 

এইজন্য মানুষের জন্য বা তার শরীরের জন্য নিয়মিত পায়খানা হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত পায়খানা না হলে তার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কারণ নিয়মিত না হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় এমন হয় যে অনেকের পায়খানা পরিষ্কার হয় না। কিন্তু পায়খানা ঠিক রাখতে আমাদের নিয়মিত খাদ্য ও বিশ্রাম প্রয়োজন ।
বজ্রাসন
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়ামের মধ্যে বজ্রাসন একটি ।এই ব্যায়াম টি করার ফলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে এই ব্যায়ামটি করার ফলে। আপনি ইচ্ছে করলে এই ব্যায়ামটি সকালে খাবার পর ৫থেকে ১০ মিনিট। আপনি এই ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়ামটি করার জন্য আপনাকে একটি হাঁটু হাঁটুর ওপর আরেকটি হাটু দিয়ে বসতে হবে ।এবং আপনার হাত দুটি হাতের ওপরে থাকবে এবং জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে হবে।
বলাসন
বলাসন সবার কাছে সবার কাছেই পরিচিত ব্যায়াম। পেট পরিষ্কার রাখতে এই ব্যায়াম অনেক কার্যকরী।এই ব্যায়াম টি মাত্র ২ মিনিটে। আর এই দুই মিনিটের ব্যায়াম আপনার পেটের অনেক সমস্যা দূর করতে সক্ষম। এই ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে ছোট বাচ্চাদের মত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এবং আপনার হাত দুটোকে সামনে রেখে শরীর টি সামনের দিকে নিতে হবে।
পবনমুক্তাসন
এই ব্যায়াম আপনি যদি করে থাকেন। তাহলে দেখবেন আপনার শরীরের জন্য এটা অনেক উপকার হয়ে গেছে। এই ব্যায়ামটি করতে হলে আপনাকে দুটি হাটু মুড়িয়ে আপনার পেটের কাছে শক্ত করে ধরে রাখতে হবে এবং জোরে নিশ্বাস নিতে হবে।
মালাসন
এই ব্যায়াম পেটের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ।এই ব্যায়ামটি করার জন্য আপনাকে স্কয়াতের মত দাড়িয়ে থাকতে হয় ।পিট ও পা সোজা রাখতে হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়টি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়। আজকাল আজকাল বেশিরভাগই মানুষ। বদহজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অনেক সময় খাবার খারাপ হওয়ার কারণে। কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে। আজকে আপনাদের কাছে এমন কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হবে ।যার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। প্রথমে আসি কিসমিস নিয়ে আমরা অনেকেই জানি, কিসমিস একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল। 

প্রতিদিন নিয়মিত পাঁচ থেকে সাতটি কিসমিস খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। আপনি যদি প্রতি রাতে গরম দুধের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে ।অনেকটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। আদিম কাল থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ইসবগুলের ভুষি ব্যবহার হয়ে আসছে। ইসুবগুলের ভুষি সাদা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু গরম দুধের সঙ্গে খেলে এর উপকারিতা অনেক।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় এরমধ্যে ক্যাস্টর অয়েল একটি ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল খুব উপকারী। এবং এটি প্রমাণিত হয়েছে আপনি যদি নিয়মিত হাফ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল প্লান করে থাকেন। অনেক উপকার পাবেন এছাড়াও গরম দুধের সঙ্গে খেলেও ।অনেক উপকার পাবেন। আমরা অনেকেই জানি খেজুর যদি গরমদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয় ।তাহলে সেটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। গরম দুধের সঙ্গে শুকনো যে খেজুরগুলো রয়েছে। সেগুলো যদি একসঙ্গে সিদ্ধ করে খেতে পারেন।

তাহলে, আপনার বদহজম এবং পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। আমলা রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সেজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য এর সময় আমলার রস পান করতে পারেন। ডাল যেখানে রয়েছি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে বিরত থাকতে চান। তাহলে, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ডাল যোগ করতে পারে। শন বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান।তাহলে নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে

এবার আমরা আলোচনা করবকোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে আপনাকে সবুজ শাকসবজি খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রচুর পরিমাণে ভূমিকা রাখে। সবুজ শাকসবজির মধ্যে ব্রকলি, পালংশাক,স্প্রাউট,ব্রাসেলস।অনেকেই হয়তো জানেন ২০১৭ সালে একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে। একজন সুস্থ লোক যদি নিয়মিত ব্রকলি ও স্প্রাউট খেয়ে থাকেন।

তাহলে তিনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে দূরে থাকবেন। এছাড়া শন বীজ,ডাল, আমলা রস,খেজুর, কিসমিস, ইসুবগুলের ভুষি,দই, খেয়ে থাকেন ।তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও কমলা,নাশপাতি আপেল জাতীয় ফল খেলে।কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ ভালো হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে বিরত থাকতে মাঝেমধ্যে সকালের জলখাবারে ওটমিল যোগ করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভূমিকা পালন করে ।পানি যা মানব দেহের জন্য অন্যতম প্রয়োজন। 

মানুষের দেহের জন্য প্রতিদিন 8 থেকে 10 প্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করুন। এতে আপনিও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে অনেক সাহায্য করবে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আজ আঁশ যুক্ত খাবার নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহন করুন। দূর হতে অনেক সাহায্য করবে। 

তো আপনাদের অনেকেই মনে প্রশ্ন ছিল ।যে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে।তো আজকে আমরা তাদের জানিয়ে দিলাম ।তো এই খাবারগুলো খাবারে তালিকায় যোগ করুন ।এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হাত থেকে বিরত থাকুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়। তাহলে চলুন বন্ধুরা আলোচনাটি তাড়াতাড়ি শুরু করি। কোষ্ঠকাঠিন্য এক ধরনের রোগ। এবং এ রোগ থেকে ভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে ।কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যে সব রোগ হয় সেগুলো হলো। রক্তে সল্পতা, একটু কাজ হলে ক্লান্ত অনুভব করা, ঘুম না হওয়া ,চোখে ব্যথা করা ,চোখের নিচে কালো দাগ পড়া ,মাথা ঘোরা, কোমরে ব্যথা, অলসতার দিন দিন বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও অনেক দিন থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে কিন্তু আপনি কোন চিকিৎসা না করে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার যে লক্ষণ গুলো দেখাইতে পারি। সেগুলো হল মুখে ঘা, চুলকানি, মেসতা। এছাড়াও মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল রোগ না হলেও আপনি যদি তার সহজে প্রতিকার বা ভালো করে না ফেলেন। তাহলে সেটা পরবর্তী সময়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
প্রথমত প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পাইলস ও এলানফিশার হয়। এছাড়াও যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারাও বেশিক্ষণ মল ধরে রাখতে পারেন না। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য মানুষের প্রচুর পরিমাণ অশান্তি ও চাপ সৃষ্টি করে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জেনে গেলাম। যে তথ্যগুলো আমাদের অনেকেরই অচেনা ছিল।এই তথ্যগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি ।তো বন্ধুরা,এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করুন। এবং শেয়ারের মাধ্যমে অনেকে দেখার সুযোগ করে দিন।

এবং আমাদের পাশেই থাকুন এবং আপনার যা যা দরকার। তা আমাদের এই ওয়েব সাইটে সার্চ করে দেখে নিন। ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন , আমাদের পাশেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#