ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ কি
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জেনে নেই। আজকের বিস্তারিত আলোচনার বিষয়টি হলো ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জেনে নেই। তাহলে চলুন, ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জেনে নেই।
প্রিয় বন্ধুরা,আজ আপনারা জানবো, ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ।আপনারা যদি পুরো আর্টিকালটি মনোযোগ সহকারে পরেন, তাহলে বিষয়টি আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র: ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জেনে নেই
- ভূমিকা
- ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ
- কিভাবে ঘুমালে বরকত কমে যায়
- ইসলাম অনুযায়ী যেভাবে ঘুমানো প্রয়োজন
- শেষ কথা
ভূমিকা
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা একটি সাধারণ বিষয় ঘুমানোর নিয়ম সম্পকে আলোচনা করব। বন্ধুরা রাতে তো আমরা অনেকে ভাবে ঘুমায় কিন্তু ঘুমানোর নিয়ম আছে সেটা কি আমরা সবাই জানি। আমরা যেভাবে খুশি সেভাবে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু এটা ঠিক না। আজ আমরা সেটা জানবে এই পোস্টের মাধ্যমে। আমাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিছু নিয়ম আছে। আর সেই নিয়মগুলো মেনে চলা আমাদের উচিত।
ইসলামের মতেও রাতে কিছু ঘুমানোর নিয়ম আছে এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী ঘুমানো দরকার। তাহলে চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি। ঘুমানোর নিয়ম গুলো কি কি এবং কিভাবে আমাদের ঘুমানো প্রয়োজন।
ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজ আমরা জানবো ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ কি। আমাদের ঘুমের আগে কিছু কাজ থাকে এবং সে কাজগুলো করা আমাদের খুব দরকার। আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এবং এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। আর ঘুমানোর আগে কাজগুলো কি কি তা অনেকেই জানেন না। কিন্তু আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সে বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে।
আমরা যদি সে কাজগুলো করে ঘুমোতে যায়। তাহলে, খারাপ যেগুলো শয়তানি জিন রয়েছে তাদের থেকে নিরাপদে থাকবো। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি কাজগুলো কি কি।
ঘুমানোর আগে অজু করে ঘুমানো: ঘুমানোর আগে অবশ্যই অজু করে ঘুমানো প্রয়োজন। আর এ কথাটি ইসলাম ধর্মেও রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ওযু করে ঘুমাতেন। কারণ ওযু করে ঘুমালে আল্লাহ আপনার নিরাপদের জন্য একজন ফেরেশতাকে নিয়ে যেতে করে রাখবে।
আল্লাহ তায়ালার নামের দরজা বন্ধ করা: প্রতিদিন সন্ধ্যায় দরজা বন্ধ করার আগে আল্লাহ তায়ালার নামে বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ মাগরিবের আজানের পরেই, অন্ধকার নেমে আসে।আর এই অন্ধকারে মানুষজনের ক্ষতি করার জন্য তারা বাহিরে বের হয়ে আসে। এ দুষ্টু জিনেরা আপনার যেন কোন ক্ষতি না করে সেজন্য আল্লাহ তায়ালার নামে দরজা বন্ধ করুন।
ঘুমানোর আগে ক্ষমা চাওয়া: প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন। কারণ বলা যায় না যে আপনি যে রাতে ঘুমাচ্ছেন সেটি আপনার জন্য শেষ রাত হতে পারে। দিনে নিজের অজান্তে এবং জেনে শুনেও আমরা অনেক খারাপ কাজ করি। এজন্যই রাতে ঘুমানোর আগে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন। যেন সে রাতে মৃত্যু হলেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে যাইতে পারি।
ঘুমানোর সময় ডান-কাত হয়ে ঘুমানো: ঘুমানোর সময় অবশ্যই ডান কাথ হয়ে ঘুমানো প্রয়োজন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখনই ঘুমাতেন তিনি ডানকাত হয়ে ঘুমাতেন। ডান কাতে ঘুমালে শরীর অনেক সুস্থ থাকে ও উপকার পাওয়া যায়।
তাহলে আজ আমরা জেনে গেলাম আমাদের ঠিক কিভাবে ঘুমানো প্রয়োজন।কিভাবে ঘুমালে বরকত কমে যায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়টি হবে কিভাবে ঘুমালে বরকত কমে যায়। ঘুম আমাদের শরীরের রিচার্জ করে থাকে। সকল প্রকার ক্লান্তি দূর করে দেয়। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে রাতে একটু ঘুমাতে যা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন রাতে এমন সময় আছে। যে সময়ে ঘুমালে আপনার বরকত কমে আসবে ।বা সেজন্য দিন দিন আপনার বরকত কমে আসছে। ফজরের আজানের মাধ্যমে আমাদের দিনের প্রথম ধাপ সকাল দিয়ে দিন শুরু হয়।
আর সকাল থেকে আমার জন্য বরকত পাই।সেজন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম দোয়া করে গিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে এমন অনেকে রয়েছেন যারা সকালে ফজরের নামাজে পড়েন না। অনেক রাত করে জেগে থাকেন এবং সকালে ফজরের আযানের সময় ঘুমিয়ে থাকেন।
এজন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলে গিয়েছেন এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যেতে। কারণ এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেলে। সকালে ফজরের নামাজের সময় সৃষ্টি হবে না ।এবং ফজরের নামাজ আদায় করার পর ঘুমাতে নিষেধ করেছেন।
ইসলাম অনুযায়ী যেভাবে ঘুমানো প্রয়োজন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, এবার আমরা জানবো,ইসলাম অনুযায়ী যেভাবে ঘুমানো প্রয়োজন। আমরা হয়তো জানি না ইসলামে কিভাবে ঘুমানোর নিয়ম হয়েছে। এবং আমাদের কিভাবে ঘুমাতে হবে তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি।ইসলাম অনুসারে আমাদের কিভাবে ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমানোর সময় উপুর হয়ে ঘুমানো যাবে না। কারণ উপরে ঘুমালে আমাদের শারীরিকভাবে সমস্যা হতে পারে যেমন হার্ড এর সমস্যা হতে পারে।
অধিকাংশ লোকজনই বর্তমানে চিৎ হয়ে ঘুমানো পছন্দ করেন। আর চিৎ ভাবে ঘুমানো ইসলামের জায়েজ রয়েছে। কিন্তু আপনাকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে কোন কাত হয়ে ঘুমানো জয়েস রয়েছে। চিতা ঘুমানোর সময় আপনাকে এটা খেলে রেখে ঘুমাতে হবে যে আপনার লজ্জার স্থান এর উপর থেকে যেন কাপড় সরে না যায়। চিত হয়ে ঘুমানোর অনেক সময় লজ্জাস্থানের উপর থেকে কাপড় পড়ে যায়। কিন্তু ইসলামে ডানকাত হয়ে ঘুমানোর কথা উল্লেখ রয়েছে।
আরো পড়ুন চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়
কারণ আমাদের প্রিয় নবী যখন বিশ্রাম নিতেন ডান কাত হয়ে বিশ্রাম নিতেন। এবংঘুমানোর সময় ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন। আমরা মহান এই আমলটি করার জন্য চেষ্টা করব। আর বিজ্ঞানের থেকে এটা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে ডান কাত হয়ে ঘুমালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
শেষ কথা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা,আজ আমরা জানলাম ঘুম সম্পর্কে অর্থাৎ কোন দিকে ঘুমানো প্রয়োজন। এবং কাত হয়ে ঘুমালে আমাদের শরীরের জন্য ভালো হবে। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং কিভাবে ঘুমালে আমাদের বরকত কমবে না। তো এরকম তথ্য পেতে আমাদের ফার্স্ট ব্লগার ওয়েবসাইট টি মাঝেমধ্যে ভিজিট করুন।এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন ,ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url