হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা। তো চলুন আজকে আমরা জেনে আসি হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে আসুন
তো আমরা হাতিশুর গাছ দিয়ে অনেক রকমের রোগ নির্ণয় করতে পারি। তেমনি হাতিশুর পাতা দিয়ে টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। ও আরও দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া রোগটি নির্ণয় করতে পারি হাতিশুরের মূল দিয়ে। আজকের পোস্টটিতে আমরা হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

ভূমিকা

হাতিশুর এর গাছ আমরা নানা রূপ প্রতিরোধ করাতে ব্যবহার করতে পারি। যেমন টাইফয়েড রোগের জন্য হাতিশুরের পাতা খুবই কার্যকরী আবার অন্যদিকে দাঁতের মাড়ি ফোলে যাওয়ার জন্য হাতিশুরের মূল অনেক কার্যকরী ভাবে কাজ করে থাকে হাতিশুরের গাছ। এবং দেহে ছত্রাক জনিত সংক্রমনের লাল চাকা চাকা দাগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় হাতিশুর পাতার রস। হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা। গাছের নাম হ হাতিশুর হলে ও ঔষধি গুনে অনেক কার্য করি গাছ এইটা। ঔষধি গুণে ভরপুর হাতিশুর গাছ।

হাতিশুর গাছের বাঁকানো পুষ্পদন্ডে ফুটে থাকা সাদা সাদা ফুল। হাতির দাঁতের মতো শুভ্র এই ফুল । মোট এক দেড় ফুট লম্বা হয় হাতিশুর গাছটি। এই গাছের সারা দেহে ছোট ছোট লোম আছে। হাতিশুর গাছটিতে সারা বছর ফুল ফোটে কিন্তু শীতের সময় বেশি ফুটে থাকা দেখা যায়। হাতিশুর উদ্ভিদে ইনডিসিন পাইরোলিজিডিন এলকালয়েড্স ও হেলিওট্রিন নামক নানা ধরনের জৈব উপাদান পাওয়া যায়। গাছটির পাতা খসখসে হওয়ার জন্য একের বিপরীত অন্য পাতাটির অবস্থান থাকে। হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা।

হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা

আমাদের অনেক কাজে লাগে হাতিশুরের গাছ। না না ওষুধির গুণে ভরপুর এই গাছ হাতিশুর গাছ। হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা , যেসব কাজে লাগায় আমরা হাতিশুর গাছ। আমাদের ঠান্ডা লেগে হাত পা ফুলে গেলে বা বাগি ফুলা অর্থাৎ গুরু ও তলপেটের মাঝখানে কুচির দিকে ফুলে গেলে ।এই গাছের পাতা বেটে হালকা গরম করে লাগাইলে অনেকটা ব্যাথা ফুলে কমে যাবে। এবং সারা দেহে ছত্রাক জনিত রোগ লাল চাকা চাকা হয়ে বের হইলে হাতিশুর পাতার রস লাগাইলে সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবো।
কোন সময় আমাদের চোখ টকটকে লাল হলে মনে হয় কড়কড় করছে চোখের ভিতরে বালি পড়ে আছে।
এমনটা হলে আমরা হাতিশুর পাতার রস অব্যর্থ ওষুধ। আপনাদের যাদের একজিমা আছে তারা একজিমা রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা অপরিহার্য। হাতিশুর গাছের পাতার থেঁতলে আক্রান্ত স্থানের উপর দিলে কিছুদিনের ব্যবহারের জন্য একজিমা কমে যেতে পারে। আমাদের সর্দি লাগলে হাতিশুরের পাতা পিষে দুই চামচ পরিমাণ রস খেলে সর্দি ভালো হয়ে যাবে। হাতি সুরের পাতার উপকারিতা অনেক।

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, কোন জায়গা ফোলে গেলে হাতিশুর গাছের পাতার রস বের করে হালকা গরম করে খোলা জায়গা লাগাতে হবে। আমাদের জ্বর কাশিতে এই গাছের মূল পানির সঙ্গে ফুটিয়ে ক্বাথও তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। এবং আঘাত জনিত ফুলায় হাতিশুরের পাতা বেটে অল্প গরম করে লাগাইলে ব্যাথা কমে যাবে। হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম হাতিশুরের গাছ প্রথমত মাটি থেকে তুলে একদম ভোরবেলা ভালো করে ধুয়ে খালি পেটে যেকোন ভাবে রস গুলা খেতে হবে।

হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি উপকার হয়

হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি উপকার হয় তা আজ আমরা জানবো। হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। হাতিশুর গাছটির আগাছার সঙ্গে এখানে সেখানে জন্মায় তাই সাধারণত দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।গাছের ওপরের দিকের কাণ্ড চৌকো, নিচের দিকে অপেক্ষাকৃত গোলাকার। সংস্কৃত নাম শ্রীহস্তিনী। হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি উপকার হয়। হাতিশুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হেলিওট্রোপিয়াম ইনডিকাম, নামে ও পরিচিত হাতিশুর গাছ।

হাতিশুর গাছের অপকারিতা

হাতিশুর গাছের অপকারিতা কি তা আজ আমরা জানবো। হাতিশুর গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন ঔষধি গুনে ভরা । হাতিশুর গাছ পুড়ানো দালান ঘেঁষে বা রাস্তার পাশে অন্য ওগাছা গাছটির মাঝেও এই গাছটি দেখা যায় হাতিশুর গাছ। দেহের ছত্রাক জনিত রোগ সংক্রমনে লাল চাকা চাকা দাগ নিরাময় ব্যবহার করা হয় , হাতিশুর গাছের পাতার রস। এবং যেকোনো ফুলাই হাতিশুর গাছের পাতা বেটে হালকা গরম করে লাগাইলে ব্যথা কমে যায়।

জড় ও কাশিতেও এই গাছের মূল পানির সঙ্গে মিশিয়ে ক্বার্থ ও তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। বিষাক্ত পোকায় কামড়াইলে হাতিশুর গাছের পাতার রস বেটে লাগাইলে জ্বালা কমে এবং ফোলা কমে যায়। আঘাত জনিত ফুলাই হাতিশুর পাতার রস বেটে হালকা গরম করে লাগালে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাতিশুর গাছের অপকারিতা অনেক এর মধ্যে কিছু কয়েকটা জানালাম।

হাতিশুর গাছের মূলের উপকারিতা

হাতিশুর গাছের মূলের উপকারিতা সম্পর্কে জানব।জ্বর ও কাশিতে এই গাছের মূল জলের সঙ্গে ফুটিয়ে ক্বাথও তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। হাতিশুর গাছটি ঔষধি গুনে ভরপুর গাছ। হাতিশুর নামটি শুনে অন্যরকম মনে হলেও এর নামটি হাতিশুর। হাতিশুর গাছের মূলের উপকারিতা পুষ্পদন্ড হাতির সুরের মতো বাঁকানো, তাই গাছটির নাম হাতিশুর গাছ। এই হাতিশুর গাছটি ভেষজ বর্ষজীবী ছোট গুল্ম।হামিদুর গাছের পাতার রস বেটে হালকা গরম করে লাগাইলে ব্যাথা কমে যায়। হাতিশুর গাছের মূলের উপকারিতা।

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়া

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়া কি হাতিশুর গাছের শিকড় প্রথমত আমরা মাটি থেকে তুলে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে একদম ভোরবেলা খালি পেটে খেতে হবে । আমাদের দেহের ছত্রাক জনিত লাল চাকা চাকা দাগ নিরাময়ে এই পাতার রস ব্যবহার করা হয়। হাতিশুর গাছটির শিকড় খালি পেটে খেতে হয় যদি মধু না থাকে তাহলে শুধু দুই ইঞ্চি শিকড় আপনি চিবিয়ে রস খেয়ে ছাবা ফেলে দিবেন।
আর অবশ্যই হাতিশুর গাছের শিকড় খালি পেটে সেবন করতে হবে। হাতিশুর গাছের কান্ড রুম যুক্ত একান্তর বিন্যাস ও ডিম্বা কার পাতা বিশিষ্ট। হাতিশুর গাছটির কিছুটা মাইকের মত হয়ে থাকে একটি পাপড়িতে পাঁচটি খাস থাকে যা দেখতে অনেকটা কলমি ফুলের মত মনে হয়। তো আমরা জানলাম হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়া।

শেষ কথা

তো আজকে আমরা আপনাদের জানালাম হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। হাতিশুরের ঔষধি গুনেভরা গাছ। আমাদের নানা অসুখ দূর করতে পারে এই গাছটি। যেমন টাইফয়েড হলে এর পাতার রস কাজে লাগে। সর্দি জ্বর কাশি হলে হাতিশুরের পাতার রস কার্যকরী। আমাদের দাঁতের মাড়ি ফুলা গেলে গাছটি পাতার রস বেটে হালকা গরম করে লাগাইলে জ্বালাও ব্যাথা কমে যায়। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানালাম হাতে সুরের কাছে শিকড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তো আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের পাশে থাকুন এবং আমাদের সব পোস্টগুলি মন দিয়ে পড়ুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#