কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আছে পোস্ট আপনাদেরকে মুরগি সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানানো হবে। আপনাদেরকে জানানো হবে যে,কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায়। অনেক ব্যবসায়ীগণ রয়েছেন যারা ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায় জানতে চান।
কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
তো বন্ধুরা আছে আপনাদেরকে এই পোস্টে ডিম পাড়া মুরগি কিভাবে চিনবেন এছাড়াও একটি মুরগি বছরে ঠিক কতটি ডিম দিতে পারে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে এই পোস্টে। তো বন্ধুরা চলুন নিতে গিয়ে এই বিষয়গুলো জানা যাক।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমরা আজকে আলোচনা করবো মুরগী সম্পর্কে। মুরগীর বিভিন্ন দিক যেমন, কোন মুরগী কত দিনে ডিম দেয়,ডিম পাড়া মুরগী চিনবেন কিভাবে,ফাউমি মুরগী কত দিনে ডিম দেয়,দেশি মুরগী কত দিনে ডিম দেয় ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো,আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। 
মুরগি গৃহীত পালিত প্রানী,গৃহপালিত প্রানীর মধ্যে এটি অন্যতম। মাংস ও ডিমের জন্য অন্যতম উৎস। মুরগী ১০–১২ ফুটের বেশি উড়তে পারে না। এই মুরগি ১২-২০ টি ডিম পাড়ে ও তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়।মুরগির গা উজ্জ্বল,মোটা বর্ণের হয়। সারাবিশ্বে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি আছে।বিভিন্ন জাতের মুরগীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে। 

যেমন- ফাউমি মুরগী, সোনালী মুরগী, হোয়াইট লেগহর্ন, আসিল,রোড অ্যাইলান্ডরেড ইত্যাদি জাতের মুরগী রয়েছে। প্রায় সব জায়গায় সকল ধরনের মুরগী পালন করা হয়। এসব মুরগীর চাহিদা অনেক।বাংলাদেশ মুরগীর চাষ অধিক পরিমাণে করা হয়। খামারে,বাড়িতে উৎপাদন করে থাকেন। দেশি মুরগিপোল্ট্রি মুরগি,লেয়ার মুরগি, কক মুরগি।

হাইব্রিড মুরগি, ব্রয়লাম মুরগি হত্যাদি উৎপাদন করে থাকেন।বিভিন্ন জাতের মুরহি প্রাচীন যুগ থেকে উতপাদন হয়ে আসছে।মুরগীর উৎপত্তি এবং প্রজনন একটি চীনা থেকে। কিছু প্রাচীন সংস্কৃতি থেকে জানা যায় যে, ইংল্যান্ডে সাম্প্রতিক কালে মুরগি পালন করা হতো।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা মুরগী আমরা সকলেই চিনি।এবং এর মাংস ও ডিম আমরা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকি।

যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা মুরগী সম্পর্কে ধারনা আনতে পেরেছেন।আমরা মুরগী সম্পর্কে বিভিন্ন দিক আলোচনা করবো।পরবর্তী পাঠের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। আমাদের পরবর্তী পাঠে আলোচনা পড়ুন।

কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বিভিন্ন জাতের মুরগী উৎপাদন করা হয়। এখন আমরা জানবো কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সে সম্পর্কে,আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। চলুন শুরু করা যাক।
  • ফাউমি মুরগি: এই মুরগির আদি উৎপত্তি হয়েছে মিশরে। এই মুরগির পালকের রং হয়ে থাকে কালো এবং সাদা ফোঁটা ফোঁটা এক ধরনের এবং ঘাড়ের পালকের রঙ অনেক সময় সাদা এবং কানের লতি এবং গায়ের চামড়ার রং সাদা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ডিমের খোসার রংটাও সাদা হয়ে থাকে।প্রতিরোধ করার জন্য ক্ষমতা বেশি রাখে এবং এরা উৎপাদন বেশি করার জন্য।
এরা উৎপাদনকারী একটি জাত হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী এ মুরগিটি পালন করা যায় এবং এই মুরগি বছরে ১৫০ থেকে ২০০ টি ডিম দিয়ে থাকে।
  • রোড অ্যাইলান্ড রেড মুরগী: এই মুরগি আমেরিকার প্রথশ উৎপাদন করা হয়। সংক্ষেপে এদেরকে আর আই আর বলাও হয়।এই মুরগীর পালকের রং লাল এবং পাখনা ও লেজের পালকের মাথায় কালো দাগ থাকে।এই মুরগির গায়ের রং হলদে হয়ে থাকে এবং কানের রং হলুদ এবং লাল রঙের হয়ে থাকে। এই মুরগির ডিমের খোসা রং কিছুটা বাদামী রঙের হয়ে থাকে।

মূলত মুরগি তাদের মাংস এবং মুরগির ডিম এই দুইটির জন্য পালন করা হয়ে থাকে।। পূর্ণ বয়স্ক একটি মোরগের ওজন ৩-৪ কেজি ও মুরগীর ওজন ২.৫- ৩ কেজি। এদের বার্ষিক ডিম উৎপাদন ১৫০- ২০০ টি।
  • সোনালি মুরগি ঃএদের গায়ের রং হয়ে থাকে সোনালী রঙের মধ্যে কালো এবং পাখায় রং হয়ে থাকে সাদা ফটো এবং গায়ের রং হলুদ কালো এরকম হয়ে থাকে। এদের আকার মাঝে মাঝে হয়ে থাকে।। ডিমের খোসা ক্রিম বর্ণের।এই মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।এরা ডিম উৎপাদনকারী জাত হিসাবে পরিচিত। এ জাত আমাদের দেশীয় আবহাওয়ায় পালনের উপযোগী।
পূর্ণ বয়স্ক একটি মোরগের ওজন ২- ২.৫ কেজি ও মুরগীর ওজন ১.৫- ২ কেজি। এদের বার্ষিক গড় ডিম উৎপাদন ১৫০- ২০০ টি।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয়।আশা করি আমাদের আলোচনাটি পরেছেন।আরো জানতে পরবর্তী পাঠের আলোচনা পড়ুন।

ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা অনেকেই ডিম পাড়া মুরগী চেনেন না।আজকে আমরা আলোচনা করবো ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায়।আপনারা আমাদের এই পাঠের আলোচনা পড়লে ডিম পাড়া মুরগী চিনতে সুবিধা হবে।চলুন শুরু করা যাক। বেশি ডিম দেওয়া মুরগির মাথা ছোট হয়ে থাকে। এর, হালকা এবং গায়ে কম মাংস থাকে। 

ডিম পাড়া মুরহির মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রঙ কিংবা গোলাপি বর্ণের । তবে ডিম পাড়া মুরগী অবশ্য নরম, সুগঠিত ও প্রস্ফুটিত হবে।ডিম পাড়া মুরগীর চোখের বর্ণ হবে উজ্জ্বল। এদের চোখ সবসময় সতর্ক থাকে। এদের নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার। যেসব মুরগির ডিম পেড়ে থাকে তাদের দেহ সুগঠিত হয়ে থাকে। এরা পরিমাণ মতো খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।

এবং খাদনালি সবসময় খাবারে ভর্তি থাকে, এবং এদের পেটের ডিম থাকার জন্য এদের ওজন অনেক ভারী এবং এদের পেট অনেক লম্বা এবং প্রশস্ত হয়ে থাকে। এদের শরীরে কোন অংশে কোন রকমের অপূর্ণতা দেখা যায় না। এসব মুরগিগুলো সুস্থ অবস্থায় এদের পালক অনেক উজ্জ্বল হয়ে থাকে।। এসব মুরগি সাধারনত মার্চ মাসের দিকে পালক পাল্টায়। 

তবে মাথার উপরিভাগের পালক শূন্য হয়ে টাকের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডিম পাড়া মুরগির মলদ্বার হবে প্রশস্ত ও ডিম্বাকৃতি। পরীক্ষা করলে সেখানে আর্দ্র ও রক্তাভ দেখাবে। এসব মুরহির মলদ্বারের উভয় পাশে হাত দিলে পাছার হাড় অনুভব করা যায়।এই উৎপাদনশীল মুরগির দুই হাড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে দুই ইঞ্চি। এই জাতের মুরগির তলপেটে হাত দিয়ে বোঝা যাবে এর ডিম ধারণের ক্ষমতা। 

এই মুরগি ডিম দেওয়া অবস্থায় তলপেট প্রশস্ত ও নরম থাকে। মুরগি ডিম পাড়া অবস্থায় বুকের হাড়ের নিম্নভাগ এবং পাছার উভয় হাড়ের মাথা থেকে দুই ইঞ্চির মতো হয়ে থাকে।যেসব মুরগি ডিম পাড়ে তাদের তলপেটে কোনো প্রকার মেদ থাকবে না, এবং মুরগির পেটে হাত দিলেই ডিম রয়েছে কিনা তা অনুভব করা যাবে।। চামড়া হবে পাতলা ও নরম। 

এই মুরহি সুস্থ অবস্থায় দাঁড়ানোর ভঙ্গি স্বাভাবিক থাকে। মুরগিগুলো ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বার, ঠোঁট, ঝুঁটি, গলার ফুল ও পায়ের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে। এদের রঙ পরিবর্তন শেষ হলে বুঝতে হবে ডিম পাড়ার সময় শেষ। বেশি ডিম দেওয়া মুরগির আচরণ হবে সতর্কভাব, ভদ্র ও চঞ্চল। ডিম পাড়ার সময় বাসায় ঢুক এরা কোনো সময় অলস বসে থাকবে না ।

এই মুরগির পিঠে হাত রাখলে সহজে হাত বসে যায়। যেসব মুরগি সুস্থ সেসব মুরগি দেখে শুনে পালন করতে হবে। কারণ এ উপায়ে যারা মুরগি পালন করে থাকেন তারা এই দিক থেকে লাভবান হবেন এবং রোগ বালাই এর সম্ভাবনা অনেক কমে থাকবে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন ডিম পাড়া মুরগি চেনার উপায়।

আশা করি আমাদের আলোচনা পড়ে সহজেই ডিম পাড়া মুরগী ক্রয় করতে পারবেন।আশা করি আমাদের আলোচনা আপনাদের ভালো লাগবে।আরো জানতে পরবর্তী আলোচনা পড়ুন।

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা মুরগীর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি।এখন জানবো ফাওমি মুরগী সম্পর্কে। আপনারা সকলেই ফাওমি মুরগীর সাথে পরিচিত।প্রায় সবাই ফাওমি মুরগী মাংস খেয়ে থাকি। এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। একন আমরা আলোচনা করবো ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? অনেকে তা জানেন না আমাদের পাঠের মাধ্যমে জেনে নিন। 

ফাউমি মুরগী এক ধরনের মিশরীয় মুরগি।ফাইউমি একটি প্রাচীন জাত হিসাবে পরিচিত। এই মুরগির একটি একক ঝুটি আছে। এমনকিএর সমীক্ষাও রয়েছে।এই মুরগির চিরুনি, কানের পাত্র এবং ওয়াটলগুলি উজ্জ্বল লাল; চোখগুলি গাবাদামী, চঞ্চু এবং পায়ের নখ শিং রঙযুক্ত থাকে।এই জাতের মুরগী দুটি রঙের। 

স্বীকৃত রূপালী-পেনসিল এবং সোনার-পেন্সিলযুক্ত; প্লামেজের রঙের প্যাটার্নটি বেলজিয়াম ব্রিকেলের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে। ফাউমি মুরগী ডিম দেওয়ায় জন্য বেশ খ্যাত।ফাউমি মুরগী দেশি মুরগীর মতো ছোট সাদা আকারের ডিম দিয়ে থাকে।ফাউমি মুরগী সক্রিয় ও রোডরানার পাখির মতো হয়ে থাকে। এদের নীর্লভ কালো পা,লালচে কানের লতি,মাথায় একক ঝুটি থাকে।ডিমের খোসা সাদা।

ফাউমি জাতের মুরগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।ডিম উৎপাদনকারী জাত হিসাবে বেশ পরিচিত। ফাউমি জাতের মুরগী আমাদের দেশীয় আবহাওয়ায় পালনের উপযোগী। এই জাতের মুরগী বার্ষিক গড় ডিম উৎপাদন ১৫০- ২০০ টি।ফাউমি মুরগি সাধারণত ২ বছর বয়স থেকে ডিম পাড়া শুরু করে। এই মুরগির ম্যাচিউরিটি প্রবনতা বেশি। 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আমাদের আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পরছেন।আমরা সটিক তথ্য দিয়ে আপনাদের কে সহায়তা করে থাকি।নিচের বিস্তারিত আলোচনাটি পড়ুন।

দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে ফাউমি মুরগী ও এি মুরগী কত দিনে ডিম পাড়ে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি।এখন আমরা আলোচনা করবো দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? এ সম্পর্কে জানতে আমাদের আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।আমরা সকলেই দেশি মুরগী পালন করে থাকি।এবং দেশি মুরগী মাংস খেয়ে থাকি। দেশি মুরগী পালনে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। 
দেশি মুরগি জাতভেদে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে এদের ভালো মানের খাদ্য দিলে এর আগেও ডিম দিতে পারে।এই মুরগী উন্নত জাতের দেশি মুরগি একাধারে ২ থেকে ২.৫ বছর ডিম পারে। এরপর ক্রমান্বয়ে ডিম দেয়ার হার কমে যায়। দেশি মুরগি বছরে ১৫০ থেকে ১৮০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ার ক্ষমতা থাকে। 

দেশি মুরগিগুলো একবারে ১২ থেকে ১৮ টি ডিম পারে। এরপর মুরগি কুঁচে ধরে থাকে। দেশি মুরগীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ডিম দেয়ার প্রাবল্য কমতে থাকে। ২ ধরনের দেশি মুরগী পালন করে থাকে। একটি স্থানীয় দেশি মুরগী ও উন্নত জাতের দেশি মুরগী। দুই ধরনের জাতের মুরগীর কোনো পার্থক্য হয়না।এদের ডিমের গড় ওজন ৫০ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। 

উন্নত জাতের দেশি মুরগী সাধারনত ১৪৫-১৫৫টির মতো ডিম দিয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সে সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।এবং মুরগীর ডিম পাড়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আরো মুরগীর সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করবো,দয়া করে আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

ব্রয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন জাতের মুরগীর ডিম উৎপাদন সম্পর্কে আলোচনা করেছি।এখন আমরা আলোচনা করবো ব্রয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন সম্পর্কে। আপনারা যারা ব্রয়লার মুরগী উৎপাদন সম্পর্কে জানেন না তারা জেনে নিন।বন্ধুরা আমরা সকলেই ব্রয়লার মুরগীর মাংস ও ডিম খেয়ে থাকি। এতে আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টি জোগান দেয়।

ব্রয়লার মুরগি পুষ্টিতে ভরা এবং সব স্তরের মানুষের অতি সুস্বাদু ও হজমযোগ্য। মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পালিত দ্রুতএই ব্রয়লার মুরগী। এদের দৈহিক বর্দ্ধনশীল নরম ও তুলতুলে হয়।মাংস বক্ষবিশিষ্ট ৪-৫ সপ্তাহ বয়সের স্ত্রী অথবা পুরুষ মুরগী ব্রয়লার নামে পরিচিত।দ্রুত মাত্রার দৈহিক বৃদ্ধির হার, খাদ্য রুপান্তর ক্ষমতা, মাংসের স্বাদ, নরম গুণের অধিকারী ব্রয়লার মুরগী। 

ব্রয়লার মুরগী সাধারনত ৫-৬সপ্তাহের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। ব্রয়লার মুরগীকে লেয়ার মুরগী ও বলা হয়। ১৮-২০সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। বেশির ভাগ ব্রয়লার মুরগী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর ও ১৬-২০সপ্তাহ পযন্ত ডিম দিয়ে থাকে। উৎপাদনকাল ৭২ থেকে ৭৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ডিম উৎপাদনকালীন সময়ে ব্রয়লার মুরগী গড়ে প্রায়।

এই মুরগিরা ২ কেজি খাবার খেয়ে ১ কেজি ডিম উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে এবং এদের জাত এবং বয়স অনুযায়ী খাদ্য প্রদান করা হয় এবং এদের ওজন বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে ,মুরগির খাদ্যে যদি পরিমাণ মতো ভিটামিন থাকে এবং এর পাশাপাশি অ্যামাইনো এসিড ,ফসফরাস এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে তাহলে আর সুস্থ থাকবে ।

এবং বিশুদ্ধ পানি এর জন্য ব্লিচিং পাউডার এবং ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।।ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও সংস্কার করে উৎপাদন করতে হয়।এই জাতের মুরগির ডিম উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে ডিমের আকার বড় হতে থাকে এবং ৪০ সপ্তাহ বয়সের পর মুরগির ওজন বৃদ্ধি স্হিতিশীল হয়। এবং ৫০ সপ্তাহ বয়সের পর ডিমের ওজন স্হিতিশীল পর্যায়ে আসে।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন ব্রয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।এই মুরগির ডিম উৎপাদন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।পরবর্তী পাঠে অন্যান্য মুরগির ডিম পাড়া সম্পর্কে আলোচনা করবো,আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

সোনালি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন জাতের মুরগীর ডিম পাড়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আশা করি আপনারা সকলেই মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। আমরা এখন আলোচনা করবো সোনালি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সে সম্পর্কে।দয়া করে আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এ জাতের মোরগ-এর সাথে ফাউমি জাতের মুরগীর মিলনে সৃষ্ট জাত।

এ জাতের মোরগের গায়ের রং সোনালীর মধ্যে কালো, পাখায় সাদা ফোটা ফোটা। এবং মুরগীর গায়ের রং হলুদ কালো।এই জাতের মুরগীর আকার মাঝারি হয়ে থাকে । ডিমের খোসা ক্রিম বর্ণের হয়।এই মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।এরা ডিম উৎপাদনকারী জাত হিসাবে বেশ পরিচিত। বিভিন্ন দেশি মুরগি জাতের সাথে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে।

উন্নত জাতের ডিমের মুরগি তৈরি করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে ভালো বাজার দরের কারনে সোনালি মুরগিকে বানিজ্যিকভাবে পালন করা হয়।জাতের মুরগির ক্রসে সোনালি মুরগি উৎপাদন করা হয়। তাই সোনালিকে ক্রসব্রিড মুরগি ও বলা হয়ে থাকে। এই সোনালি জাতের মোরগের ওজন প্রায় ৩.২ কেজি এবং মুরগীর ওজন প্রায় ২.২ কেজি হয়ে থাকে। 

উন্নত খাদ্য ও ব্যাবস্থাপনায় ওজন আরো বেশি হতে পারে এই সোনালি মুরগির। সোনালি মুরগির লালচে ঝুটি ও পালকবিশিষ্ট এই জাতের মুরগি অন্যান্য দেশি মুরগির মতোই ১৬ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে।বলা যায় যে সোনালি মুরগির এই ডিম দেওয়া বৃদ্ধির হার ধীরগতির।সোনালি মুরহি ছয় মাস বয়স থেকে ভালোভাবে ডিমে দেয়।

শীতকালে সাধারনত একটু দেরিতে ডিমে আসা শুরু করে সোনালী জাতের মুরগী। সোনালী জাতের মুরগিগুলো ২ থেকে তিন বছরের মত এরা ডিম পেড়ে থাকে। বাণিজ্যকভাবে সোনালী মুরগি ডিমে লাভজনকভাবে যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে এটি ১৬ থেকে ১৮ মাস ডিম দিয়ে থাকে। এই মুরগি বছরে ১৮০ থেকে প্রায় ২২০ টি মোট ডিম দিয়ে থাকে। 

অরজিনাল ক্লাসিক সোনালি প্রথম বছরে প্রায় ৮০% ডিম দিতে সক্ষম হয়। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা সোনালি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন।আমাদের আলোচনাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই জানাবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পরছেন। এবং বিভিন্ন জাতের মুরগী উৎপাদন ও ডিম পাড়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।বিভিন্ন জাতের মুরগী বিভিন্ন সময়ে ডিম দিয়ে থাকে। শুধু ডিমই নয়,তাদের মাংস আমাদের শরীরের পুষ্টিকর।ডিম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে, শক্তিশালি করতে সাহায্য করে। 
সব ধরনের মুরগীতে পুষ্টি থাকে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, শক্তি, শর্করা থাকে। খনিজ এর মধ্যে আয়রন এবং সোডিয়াম থাকে এবং সি ভিটামিন পাওয়া যায়যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়াও মাংসে ফ্যাটি অ্যাসিডে কোলেস্টেরল বেশি থাকে।প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।মুরগীতে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।

যা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা সংশোধন করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মুরগি ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস এবং এতে জিঙ্ক থাকে, যা আমাদের চোখের জন্য উপকারী। প্রোটিন, শক্তি, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি ইত্যাদি মুরগীতে রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তাছাড়াও এটি চুলকানি, সংক্রমণ, লালভাবের মতো ত্বকের সম্পর্কিত।

সমস্যাগুলি দূর করতে সহায়তা করে থাকে। মুরগি খাওয়া ত্বকের সানবার্ন হওয়া এবং অ্যাংলিং প্রতিরোধ করে থাকে । ত্বকে সম্পর্কিত সমস্যা এড়াতে ডায়েটে চিকেন খেলে সমস্যা এড়াতে পারেন।মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডিম খেলে। মানবদেহের অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করে ও বয়স্কদের অস্থি ক্ষয়রোধ ও দুর্বলতা প্রতিরোধ করে মুরগির ডিম।

এছাড়াও স্ট্রোক, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, মানবদেহের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। আবার রক্তের ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডের উপস্থিতি হ্রাস করে ও মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। মুরগির ডিম ও মাংস সুস্থ সবল মেধাবী জাতি গঠনে সহায়তা করে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে।

আপনারা এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন । আমাদের পরবর্তী কন্টেন্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন,সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#