করলার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভবতী অবস্থায় করলা খেলে কি হয়

 আজকের পোস্টটিতে আমরা জেনে নিই। করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।করলার আমাদের শরীরের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখে।করলার খেলে আমাদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। করলার উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে।তো চলুন আজকে আমরা জেনে নিই করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

করলার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভবতী অবস্থায় করলা খেলে কি হয়
করলার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং আমাদের শরীরের রোগ সংক্রমণ বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।ও ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য করলা খেতে পারি। আমাদের শরীরে হওয়া বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে করলা ।তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

ভূমিকা

করলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।করলা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এবং করলায় রয়েছে রক্তে চিনি কমানোর উপাদান।আবার আমাদের অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায় করলার জুস খেয়ে।করলায় আছে পালং শাকের চেয়ে অনেক ক্যালসিয়াম এবং কলার চেয়েও দ্বিগুণ পটাশিয়াম।করলার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক মা আমরা আজকে বলবো করলা এমন একটি সবজি তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি।করলা একটি লো ক্যালোরি সমর্পণ সবজি। 
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা করলা খেলে আমাদের হজম ভালো হয় এবং পেট পরিষ্কার করে করলা।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি করলা এটা ডায়াবেটিস রোগীদের যাদুর মতো কাজ করে থাকে। এবং করলার জুস সুগারের মাত্রা কমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।করলাতে মে ভিটামিন সি আছে তা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য দুইটাই ভালো রাখে। করলা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী দিক। করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। এছাড়াও করলার জুস খেলে জ্বর কমে যায়।

করলা খাওয়ার নিয়ম

করলা খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য করলা খেতে হবে। এবং করলার সাথে পানি মিশিয়ে জুস করে খেলে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহে উপকার হয়। এবং করলা হজম প্রক্রিয়ার গতি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা কমাতে প্রতিদিন করলা খেতে পারি আমরা।করলা তেতো হলে ও অনেক উপকারিতা আছে এই সবজিতে। করলা খাওয়ার নিয়ম তেতো হলে ও আমাদের অনেকেরি প্রিয় সবজি করলা।করলার মচমচে ভাঁজি করলেও সমান স্বাদ করলা ।

গরম ভাতের পাতে আলু-করলা ভাজি খাবারকে আনন্দদায়ক করে থাকে।চৈত্রসংক্রান্তিতে করলা বা তেতো খাবার খাওয়া বাঙালির শত বছরের ঐতিহ্যও বটে। করলার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না পুষ্টিমান ও কেন নিয়মিত করলা খাবেন সে সম্পর্কে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ। করলার উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায় এবং করলায় থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এবং করলা ভাইরাস ও কৃমিনাশক হিসেবে ও কাজ করে থাকে।রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য উত্তম পথ্য করলা।

করলার অপকারিতা

করলার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। করলা খাওয়ার অপকারিতা অনেক করলা আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারিতা তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে করলার। গর্ভাবস্থায় করলা খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং গর্ভবতীর মেয়েদের স্বাস্থ্যর জন্য অত্যাধিক তিতা খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। করলা থেকে গর্ভবতী মেয়েদের সাবধান থাকতে হবে। করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এবং রক্ত শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে করলা।ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আপনার নিয়মিত ঔষধের সাথে তিতা করলা গ্রহণ করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় । করলা এমন ভাবে আমাদের শর্করা কমাবে যে আমরা কমায় চলে যেতে পারি। 

তাই করলা চার ভাগের এক ভাগ জুস করে খেতে হবে। শিশুদের জন্য করলা খুব একটা ঠিক না। শিশুরা করলা খেলে শিশুদের পেট ব্যথা পেট ফাঁপা এবং বমি হতে পারে। তাই করোলা শিশুদের জন্য বিষ ক্রিয়া হতে পারে। করলার অপকারিতা লিভারইনফ্লেমেশন হতে পারে রাতে আমাদের শরীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খরচ কম হয়।বেশী খেলে লিভার এনজাইমকে উন্নত করে লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। সব খাবারের যেমন ভালো দিক আছে তেমন খারাপ দিক ও আছে। তেমনি করলার উপকারিতা ও অপকারিতা ও আছে।

করলা খেলে কি কি উপকার হয়

করলা খেলে কি কি উপকার হয় তা আমরা জানবো। করলা খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং করলা আমাদের শরীরের রোগ সংক্রমণে সাহায্য করে। করলা একটি তীত ও সবজি হলে ও আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান করলা। এবং করলা রস শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে। ও স্ট্যামিনা পাশাপাশি ভালো ঘুম হয়ে থাকে করলা খেলে। করল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই ও আমাদের শরীরকে রোগ সংক্রমণের লড়তে সাহায্য করে থাকে। করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। করলার উপকার অনেক যা বলে বোঝানো যাবে না।

অনেক রোদ্দুর মাঝে নিরাপদে থাকি আমরা করলা খেয়ে। করলায় আছে রক্তে চিনি কমানোর উপাদান। এবং করলা আমাদের শরীরে হজম শক্তি বাড়ায়। ও আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য ও পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা কমাতে নিয়মিত করলা খেতে পারি। করলা খেলে কি কি উপকার হয় তা আমরা জেনে নিলাম। করলা এমন একটি সবজি যা খেলে আমাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।দেহে প্রাণোচ্ছলতা তৈরি করে দেহের মধ্যকার বিষবর্জ্যকে সাফসুতরো করে করলা।ফিলিপিনসের স্বাস্থ্য দফতর ডায়াবেটিকদের করলা খাওয়ার সুপারিশ করে।

গর্ভবতী অবস্থায় করলা খেলে কি হয়

এবার আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জেনে নেব গর্ভবতী অবস্থায় করলা খেলে কি হয়। আপনারা যদি গর্ভবতী হন তাহলে করলা খেতে হবে ভেবে চিন্তে কারণ করলা খুব এবং খুব খারাপ একটা সবজি। তাই গর্ভবতী অবস্থায় করলা খাওয়ার সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। কারণ পরবর্তীতে করলা খাওয়ার প্রভাবটি পড়তে পারে গর্ভে থাকা শিশুটির উপর। তাই আমাদের করলা খেতে হবে সাবধানতা ভাবে বিশেষ ভাবে গর্ভবতী অবস্থায়।আপনার ডায়েটে ইতিমধ্যে অবশ্যই কিছু পরিবর্তন হয়ে যাওয়া আমাদের উচিত। 

গর্ভ অবস্থায় আপনাদের শরীরে এবং দেহে প্রচুর পরিবর্তন হয় পরিবর্তনগুলি মোকাবেলা করার জন্য আপনাদের নির্দিষ্ট ডায়েটরি এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় আমাদের করলা খাওয়ার শিশুর ক্ষতি হতে পারে। গর্ভ অবস্থা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেই সময় আমাদের গর্বে থাকা শিশুর জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। এবং আমাদের গর্ব অবস্থায় খাদ্য ভ্যাসে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। করলা তেতো হলেও পুষ্টিগুণে ভরা সবজি। গর্ব অবস্থায় আপনাদের ফলিক এসিড খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

খনিজটি অনাগত শিশুকে বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি থেকে দূরে রাখতে পারে।করলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।গর্ভাবস্থায়ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার গর্ব অবস্থায় করলা খেলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যেমন, করোলা খেলে অনেকের শরীরে বিষ ক্রিয়া বেড়ে যায়। তখন আমাদের শরীরে পেট ,ব্যথা বমি বমি ভাব, দৃষ্টিতে সমস্যা হয় গর্ব অবস্থায় আমাদের করলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত করলা খেলে পেট ব্যথা হতে পারে। আজকে আমরা জানতে পারলাম গর্ভবতী অবস্থায় করলা খেলে কি হয়।

করলার উপকারিতা

এবার আমার জেনে নেব করলার উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। করলা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের রোগ সংক্রমণের জন্য সাহায্য করে থাকে। করলায় আছে রক্তে চিনি কমানোর উপাদান ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে প্রতিদিন করলা খেতে পারেন। করলার উপকারিতা অনেক করলা খেয়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারি আমরা। করলা এমন একটি সবজি যা খেলে আমাদের শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। আমাদের শরীর থেকে গরম বের করে দেয় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। অনেক রোদ্দুর থেকে রক্ষা করে করে করলা সবজি।

মেটফরমিন বা গ্লিবেনক্ল্যামাইড খাওয়ানোর পাশাপাশি খাওয়ানো হয়েছিল করলার নির্যাস।ফিলিপিনসের স্বাস্থ্য দফতর ডায়াবেটিকদের করলা পর অনেক সুপারিশ করছে।করলায় থাকা ইনসুলিন সম পলিপেপটাইড পি এবং অ্যালকালয়েড তথা ক্ষারীয় উপাদান ব্লাড সুগার কমায়। করলার থাকে অলিয়ানোলিক এসিড গ্লাইকোসাইড। করলা অগ্নাশয়ের বিটা সেলের সংখ্যাধিক্য ঘটিয়ে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন বাড়াই।করলায় থাকে চারনাতিন নামে বিভিন্ন স্টেরয়েডের সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া একটি যৌগ বা উপাদান যেটি ব্লাড সুগার কমানোর ঔষুধ করলা। কররা রস বা করোলা খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

করলার চাষ পদ্ধতি

করলার চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিব। করলা কুমড়া পরিবারভুক্ত অন্যতম প্রধান সবজি। করলা সাধে তিক্ত হলেও বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিকট এটি একটি সবজি করলা। করলায় আছে অনেক ধরনের ওষুধি গুণ ও করলার রস আমাদের শরীরের বহুমূত্র চর্মরোগ, বাত এবং হাঁপানী রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়। উষ্ণ আর আদ্র আবহাওয়া করলা ভালো জন্মে । পরিবেশ গত ভাবে করলা একটি কষ্টসহিষ্ণু উদ্ভিদ। মোটামুটি শুকনো আবহাওয়াতে ও করলা জন্মানো যায় তবে বৃষ্টি পাত আধিক্য জন্য ক্ষতিকর।
কারণ করলা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।তাই শীতের দু’এক মাস বাদ দিলে বাংলাদেশে বছরের যে কোন সময় করলা জন্মানো যায়।শীত কালে করলা গাছের বৃদ্ধি হার কম হতে পারে।জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। সারা বছর চাষ করা যায়। উচুঁ বেড তৈরি করে লবণাক্ত এলাকায় চাষ করা যায়। মাটি ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে ১৫-২০ দিন বয়সের চারা পরেরদিন বিকালে রোপণ করতে হবে। চারা মাটির দলাসহ লাগাতে হবে করলা।এইভাবে আমরা করলা চাষ করতে পারি।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানালাম করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।করলা খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের রোগ সংক্রমণে সাহায্য করে।করলা খেতে তিতো হলে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার।করলা খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।তো আমরা আজকের পোস্টটিতে করলার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।তো যদি আমাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন আর অবশ্যই আপনারা সবাই আমাদের পাশে থাকুন।যাতে আমরা আপনাদের এইরকম আরো পোস্ট দিতে পারি । ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#