বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় - হেঁচকি কেন হয়
আলাইকুম পাঠক ভাইয়েরা, আজকে আমরা জেনে নিব বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করবো আমরা বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।
হেঁচকি শুধুমাত্র খাওয়ানোর কারণেই হয় না এবং এটি যেকোনও সময়ে হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার শিশুর মুখে একটি প্যাসিফায়ার লাগানো থাকলে তা আপনার শিশুর ডায়াফ্রামকে শিথিল করতে এবং হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।তো চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিই বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায়- হেঁচকি কেন হয় তা সম্পর্কে।
ভূমিকা
হেঁচকি শুধুমাত্র খাওয়ানোর কারণেই হয় না এবং এটি যেকোনও সময়ে হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার বাচ্চার মুখে প্যাসিফায়ার লাগিয়ে রাখতে পারে এতে দেখবেন আপনার বাচ্চার একটি বন্ধ হয়ে থাকবে।শিশু মায়ের বুকের দুধ খেয়ে থাকলে হেঁচকি ওঠার সাথে সাথে শিশুকে খানিকটা বুকের দুধ খাওয়ান। তাহলে তরল দুধ শিশুর খাবারের পথ নরম ও মসৃণ করবে এবং ডায়াফ্রাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যদি শিশু বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খায়, তাহলে হেঁচকি উঠলে শিশুকে নরম খাবার খেতে দিন। এক্ষেত্রে আপেলের সস, রাইস সিরিয়াল, চটকানো কলা এগুলা বেশ ভালো সমাধান হতে পারে।যদি শিশুর বয়স ১ বা তার থেকে বেশি হয় তাহলে তাকে সাধারণ তরল পানি খেতে দিন। এতেও ডায়াফ্রাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে শিশুকে গ্লাসে করে পানি না খাওয়ানোই শ্রেয়।
আপনার বাচ্চার অল্প এই বয়সে ওয়াটার বোতল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো হবে।যখন আপনার বাচ্চার ওঠা হেঁচকি ওঠা শুরু করবে। তখন বাচ্চাকে ধীরে অল্প করে খাওয়াবেন। কারণ তাড়াহুড়ো করে খাওয়াতে গেলে হেঁচকি বেশি হয়ে যেতে পারে। যদি আপনার বাচ্চা খেতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে খাওয়াতে যাবেন না। দরকার হলে পরপর অল্প অল্প করে খাওয়াবেন।অনেক সময় বাচ্চাকে তার ইচ্ছার বাইরে খাওয়াতে গেলে দেখবেন। আপনার বাচ্চার হেঁচকি ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আর বাচ্চাকে যখন তাকে সোজা করে বসে খাবার খাওয়াবেন। আপনি যদি বাচ্চাকে স্বাভাবিকভাবে খাবার খাওয়ান তাহলে দেখবেন আপনার বাচ্চার ডায়াফ্রাম স্বাভাবিকভাবে অবস্থান করছে এবং খাবার চলাচলের কোনরকম সমস্যা হয় না বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকটাই জেনে গেলাম এ সময় বাচ্চারা অনেকটাই কাবু হয়ে যায় আর এ সময়ে একটু সমস্যা হয় শিশুটি দেওয়া ডায়াফ্রমের সংকোচন তাড়াতাড়ি বন্ধ হওয়ার জন্যই।
সাধারণত বাচ্চাদের হেচকি হয় মাঝে মাঝে দেখা যায় শিশুর এমনভাবে হেঁচকি শুরু হয়েছে যে যা থাকতে চায় না সে সময় যদি কিছু প্রয়োগ করে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার বাচ্চার হেঁচকি তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত হেঁচকি ওঠার কারণ
এবার আমরা জানবো অতিরিক্ত হেঁচকি ওঠার কারণ সম্পর্কে।দ্রুত খাওয়ার কারণে খাবারের সাথে সাথে পেটের ভেতর বাতাস প্রবেশ করার কারণে ভ্যাগাস নার্ভের কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে হেঁচকি তৈরি হয়। চেতনানাশক, উত্তেজনাবর্ধক, পার্কিনসন্স রোগ বা কেমোথেরাপির বিভিন্ন ধরণের ওষুধ নেয়ার ফলেও হেঁচকি তৈরি হতে পারে। এছাড়া কিছু অসুখের ক্ষেত্রেও মানুষের হেঁচকি হতে পারে।হঠাৎ শুরু হওয়া হেঁচকি বা হিক্কা প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।অনেক সময় এ বিরক্তিকর হেঁচকি অনবরত চলতেই থাকে, যেন শেষই হতে চায় না। তবে বেশিরভাগ সময় হেঁচকি উঠে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই চলে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হেঁচকি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। বিশেষ করে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্য এটি একটি সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে।ফুসফুসের নিচে ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা নামক পাতলা মাংসপেশীর স্তরের হঠাৎ অনৈচ্ছিক সংকোচনের ফলে সৃষ্ট ঝাঁকুনি থেকেই হেঁচকি তৈরি হয়। যা মিনিটে চার থেকে পাঁচবার হয়ে যায়।
চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি সিনক্রোনাস ডায়াফ্রাগমাটিক ফ্লাটার বা সিংগুল্টাস নামে পরিচিত। হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মত হয়। যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে।অতিরিক্ত হেঁচকি ওঠার কারণ সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।পাকস্থলী যদি হাওয়ায় কারণে বেশি ফুলে যায় সেক্ষেত্রে পাকস্থলীর উপর অংশ ডায়াফ্রামকে বিরক্ত করে ও হেঁচকি ওঠে।বেশি মসলাদার ও ঝাল খাবার খাওয়ার কারণেও হেঁচকি উঠতে পারে।
আবার এমন কিছু খাবার যেগুলো পাকস্থলীতে জ্বালার সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে ডায়াফ্রামও একইভাবে বিরক্ত হয় ও হেঁচকি ওঠে।ধরুন কেউ হঠাৎ করে যদি অনেকগুলো মরিচ খায়, পরবর্তী সময়ে তার হেঁচকি উঠতে পারে। অতিরিক্ত মসলাদার খাবারেও একই সমস্যা হতে পারে।পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা থাকলেও হেঁচকি উঠতে পারে। আবার কারো ক্ষেত্রে লিভার বড় হলে জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো সমস্যা হলে হেঁচকি ওঠে।
হেঁচকি উঠলে কি করতে হয়
এবার আমরা জানবো হেঁচকি উঠলে কি করতে হয় তা সম্পর্কে।হেঁচকি সকলেরই ওঠে কিন্তু যখন ওঠে তখন যেন থামার নাম বন্ধ করে না। যার জেরে কোনও দরকারী কাজ করতে গিয়েও ভুলে যাই আমরা। অনেক সময় জল খেলেও যেন যেতেই চায় না এই হেঁচকি। কিন্তু এখানে হেঁচকি কমানোর কতগুলি উপায় দেওয়া হল। যার মাধ্যমে কিছুক্ষণের মধ্যেই কমে যাবে হেঁচকি।হেঁচকির কারণ হতে পারে কিছু অসাবধানতা। এই যেমন তাড়াহুড়া করে খাবার খাওয়া, পানি পান করা।
খাবার সময় কথা বলা বা অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া। তা ছাড়া জোরে হাসা, হঠাৎ ভয় পাওয়া, আবেগ, উত্তেজনা ইত্যাদি কারণেও হেঁচকি উঠতে পারে। কিছু অসুখের কারণেও এটা হতে পারে।শ্বাস নিয়ে যতক্ষণ পারা যায় বন্ধ রেখে আস্তে আস্তে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে। এটা করতে হবে বেশ কয়েকবার। বিরতি দিয়ে প্রয়োজনে বারবার করতে হবে।কাগজের ব্যাগ দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে একাধারে বেশ কয়েকবার। তবে সাবধান, পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করবেন না।
নাক মুখ বন্ধ রেখে নিশ্বাস ফেলতে চেষ্টা করুন, এটাকে ভালসালভা মেনুভার বলা হয়, কয়েকবার করুন।শ্বাস নিয়ে যতক্ষণ পারা যায় বন্ধ রেখে আস্তে আস্তে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে। কাগজের ব্যাগ দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে একাধারে বেশ কয়েকবার। নাকমুখ বন্ধ রেখে নিশ্বাস ফেলতে চেষ্টা করুন, এটাকে ভালসালভা মেনুভার বলা হয়। ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন।গরম দুধ পান করতে পারেন আর এভাবেই হেঁচকি কমাতে পারি আমরা।
হেঁচকি উঠলে কি করতে হয় তা আমরা জেনে নিই।বহু মানুষ হেঁচকির সমস্যা বন্ধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। হেঁচকি বন্ধ করতে শ্বাস কিছুক্ষণ বন্ধ রাখুন।হেঁচকি বন্ধ করতে হাঁটু জড়িয়ে ধরুন। বেশ কিছুক্ষণ এমন পদ্ধতি মেনে চললে হেঁচকি বন্ধ হয়।হেঁচকি থামাবার জন্য ঠান্ডা জল খাওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রয়োজনে বরফের কুঁচি খেতে পারেন।এক চামক চিনি খেতে পারেন এই সময়ে। এক টুকরো লেবু চুষে খান, এক চামক মধু কিংবা পিনাট বাটার খেলে হেঁচকি ওঠার সমস্যা বন্ধ হয়। জিভে এক ফোঁটা ভিনিগার দিলে এই সমস্যা বন্ধ হয়।
বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায়
এবার আমরা জানবো বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।হেঁচকি শুধুমাত্র খাওয়ানোর কারণেই হয় না এবং এটি যেকোনও সময়ে হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার শিশুর মুখে একটি প্যাসিফায়ার লাগানো থাকলে তা আপনার শিশুর ডায়াফ্রামকে শিথিল করতে এবং হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।শিশু মায়ের বুকের দুধ খেয়ে থাকলে হেঁচকি ওঠার সাথে সাথে শিশুকে খানিকটা বুকের দুধ খাওয়ান। তাহলে তরল দুধ শিশুর খাবারের পথ নরম ও মসৃণ করবে।
এবং ডায়াফ্রাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যদি শিশু বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খায়, তাহলে হেঁচকি উঠলে শিশুকে নরম খাবার খেতে দিন। এক্ষেত্রে আপেলের সস, রাইস সিরিয়াল, চটকানো কলা এগুলা বেশ ভালো সমাধান হতে পারে।যদি শিশুর বয়স ১ বা তার থেকে বেশি হয় তাহলে তাকে সাধারণ তরল পানি খেতে দিন। এতেও ডায়াফ্রাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
তবে শিশুকে গ্লাসে করে পানি না খাওয়ানোই শ্রেয়। এই বয়সের শিশুর জন্য নিপলযুক্ত ওয়াটার বটল ব্যবহার করা উত্তম।হেঁচকি বন্ধ হলে শিশুর খাবার গতি ধীর করুন। তাড়াহুড়া করে খাওয়াতে গেলে হেঁচকি বেশি উঠতে পারে। তাই শিশুকে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে খাওয়ান। খেতে না চাইলে জোর করবেন না। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পরে আবার খাওয়ান।অনেক সময় খাওয়ানোর সময় শিশুর পজিশনের কারণেও হেঁচকি উঠতে পারে। তাই শিশুকে যখনই খাওয়াবেন।
চেষ্টা করবেন শিশু যাতে সোজা হয়ে বসে। এতে ডায়াফ্রাম স্বাভাবিক জায়গায় থাকে এবং খাবার চলাচলে কোন সমস্যা হয় না।বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানব।এই সময় খুব সাধারণ বিষয়েই শিশু কাবু হয়ে যায় অতি দ্রুত। আর এরকমই একটি সমস্যা হলো শিশুর হেঁচকি দেওয়া।সাধারণত ডায়াফ্রামের সংকোচন এবং ভোকাল কর্ড দ্রুত বন্ধ হওয়ার কারণে শিশুর হেঁচকি হয়।
কিন্তু কখনো কখনো শিশুর ক্রমাগত হেঁচকি হতেই থাকে যা সহজে থামতেই চায় না। সে সময় কিছু বিশেষ উপায় প্রয়োগ করে আপনি সহজেই আপনার শিশুর হেঁচকি থামাতে পারেন।
হেঁচকি কেন হয়
এবার আমরা জানবো হেঁচকি কেন হয় তা সম্পর্কে।ফুসফুসের নিচে ড্রায়াফ্রাম নামে একটি পাতলা চামড়া থাকে। হঠাৎ করে এটি সংকুচিত হলে হেঁচকি ওঠে। এছাড়াও ভ্যাগাস নার্ভের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে, অতিদ্রুত খাবার খেলে বা ঝাঁঝালো পানীয় খেলেও হেঁচকি উঠতে পারে। দীর্ঘসময় ধরে জল না খেলেও হেঁচকি ওঠে।হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মত হয় যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে।
তখন ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে হিক শব্দ তৈরি হয়।ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংসপেশীর স্তর, যেটিকে ডায়াফ্রাম বলে, হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়।হেঁচকি কেন হয় তা সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।নবজাতকের হেঁচকি প্রায়শই শিশুর অতিরিক্ত খাওয়ানো, খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া বা প্রচুর বাতাস গিলে ফেলার কারণে হয়। এই জিনিসগুলির যে কোনও একটি পেটের বিষণ্নতা হতে পারে।যখন পাকস্থলী বিস্তৃত হয় তখন এটি আসলে ডায়াফ্রামের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেয়।
যার ফলে এটি খিঁচুনি এবং ভয়াল হেঁচকি হয়।খুব বেশি হেঁচকি উঠলে মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার খান। যেমন খেয়ে নিতে পারেন এক চামচ চিনি অথবা একটি রসগোল্লাও খেতে পারেন। যখন খুব বেশি হেঁচকি উঠবে তখন জোড় করে ঢেঁকুর তুলুন। দেখবেন ঢেঁকুর তুলতে তুলতে আস্তে আস্তে হেঁচকি কমে যাবে। হেঁচকির সময় শ্বাসনালিতে সামান্য খিঁচুনির মতো হয়, যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। এই সময় ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে 'হিক' শব্দ তৈরি হয়।
ফুসফুসের নিচের পাতলা মাংসপেশির স্তর থাকে। যাকে ডায়াফ্রাম বলে। হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়।যেকোনো কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। কারণগুলো হতে পারে খুব বেশি খাবার খাওয়া, খুব দ্রুত খাবার খাওয়া, নাচা, অ্যালকোহল বা কোমল পানীয় খাওয়া। এমনকি গোসল করতে গেলে, ভয় পেলে বা মানসিক চাপে থাকলেও এর সূত্রপাত হতে পারে।
এ ধরনের হেঁচকি সাধারণত ক্ষতি করে না। যেসব হেঁচকি বন্ধ হয় না, সেগুলোতে একটু সমস্যা থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমণ, কোনো অঙ্গের ক্ষতি হলে বা শুরুর দিকের কিছু টিউমার এবং ক্যান্সারের সাথে হেঁচকির ।
হেঁচকি বন্ধের ওষুধ
এবার আমরা জানবো হেঁচকি বন্ধের ওষুধ সম্পর্কে।এক চামক মধু কিংবা পিনাট বাটার খেলে হেঁচকি ওঠার সমস্যা বন্ধ হয়। ১০ জিভে এক ফোঁটা ভিনিগার দিলে এই সমস্যা বন্ধ হয়। হেঁচকি বন্ধ করতে হাঁটু জড়িয়ে ধরুন। বেশ কিছুক্ষণ এমন পদ্ধতি মেনে চললে হেঁচকি বন্ধ হয়।হেঁচকি থামাবার জন্য ঠান্ডা জল খাওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে বরফের কুঁচি খেতে পারেন।ক্লোরপ্রোমাজিন হল ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দ্বারা হেঁচকির জন্য অনুমোদিত একমাত্র ওষুধ।
এবং বহু বছর ধরে এটি পছন্দের ওষুধ ছিল। ক্লোরপ্রোমাজিন হল ফেনোথিয়াজিনের একটি ডাইমেথাইলামাইন ডেরিভেটিভ। এটি হাইপোথ্যালামাসে ডোপামিন বিরোধীতা দ্বারা কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করে,কানে আঙুল দিয়ে চেপে ধরুন।হেঁচকি বন্ধের ওষুধ সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যেন আপনি কিছুই শুনছেন না। অতিরিক্ত জোরে চেপে ধরবেন না। কিছুক্ষণ এভাবে থাকলেই হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।হেঁচকি উঠলে খেতে পারেন পিনাট বাটার।
হেঁচকি উঠলে দেরি না করে খেয়ে নিন এক চামচ পিনাট বাটার। হেঁচকি দ্রুত থেমে যাবে।এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে ঘরোয়া উপায়েই হেঁচকি বন্ধ করতে পারেন। তবে প্রায়শই এ সমস্যায় ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। খাওয়ার সময়ে একটু ধীরে ধীরে খেলে এ সমস্যায় পড়বেন না।হাতের কাছে অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট থাকলে হেঁচকি থামাতে এটি খেতে পারেন। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম আছে, যা নার্ভগুলোকে শান্ত করে।
ফলে হেঁচকি থেমে যাবে।হেঁচকি উঠলেই লম্বা নিঃশ্বাস নিন। এরপর হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন। কয়েক মিনিট এভাবে থাকলে দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।হেঁচকি উঠলেই প্রথমেই এক গ্লাস পানি খান বা গার্গল করুন। দ্রুত থেমে যাবে হেঁচকি।বারবার হেঁচকি উঠলে জিভ বের করে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ টেনে ধরুন। অদ্ভুত লাগলেও এই পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর।শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটা কিন্তু বেশ কার্যকর। অনবরত হেঁচকি উঠলে জিভটা বের করে।
আঙ্গুল দিয়ে টেনে ধরে রাখুন কিছুক্ষণ হেঁচকি থেমে যেতে বাধ্য।বড় একটি নিঃশ্বাস নিন এবং যতক্ষণ সম্ভব আটকে রাখার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে নাক চেপে রাখতে ভুলবেন না। যাতে বাতাস বেরিয়ে যেতে না পারে। এতেআমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে একটা দরকারী কাজ করার ফাঁকে হেঁচকি উঠা শুরু করে দেয়। আর এটা কতটা বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার সেটা তখন বলে বুঝানো যাবেনা। লেবুর রস হেঁচকি বন্ধের জন্য লেবুর রস এক অনন্য কার্যকরী।
২ চা চামচ লেবুর রস মুখের মধ্যে রেখে, ধীরে ধীরে এটি পান করুন। এর অতিরিক্ত টক স্বাদ দ্রুত হেঁচকি বন্ধ করে দেবে।ঠান্ডা পানি এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি এক নিঃশ্বাসে পান করুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে এক মিনিট কুলি করতে পারেন। এটিও হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়া এক টুকরো বরফ মুখের ভিতর রেখে দিতে পারেন কয়েক সেকেন্ড।ভিনেগার হেঁচকি বন্ধ করার আরেকটি উপায় হলো ভিনেগার।
আরো পড়ুন লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ভিনেগারের টক স্বাদ আপনার মনোযোগ সরিয়ে হেঁচকি বন্ধ করে দেবে। সাদা ভিনেগার বা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। আধা চা চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি ধীরে ধীরে পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ ভিনেগার অল্প পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানালাম বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।হেঁচকি শুধুমাত্র খাওয়ানোর কারণেই হয় না এবং এটি যে-কোনও সময়ে হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনার শিশুর মুখে একটি প্যাসিফায়ার লাগানো থাকলে তা আপনার শিশুর ডায়াফ্রামকে শিথিল করতে এবং হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url