চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা - শিশুকে চালের গুড়া খাওয়ানো

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা জেনে নিব চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা - শিশুকে চালের গুড়া খাওয়ানো
আমরা বেশিভাগ মানুষেরা বাড়িতে সাধারণত গমের আটা দিয়ে তৈরি করি রুটি।তবে এখন পাওয়া যায় চালের আটাও চালের আটায় আছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা -শিশুকে চালের গুড়া খাওয়ানো হয় তা সম্পর্কে ‌

ভূমিকা

চাল কিন্তু একটি শস্য দানা শস্যর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ করা হয়ে থাকে আর এই ধান থেকেই চাল পাওয়া যায় একটি মানুষের প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ভাতের প্রয়োজন হয়। তাহলে তিন বেলার হিসেব দাড়াছে আরো দ্বিগুণ।পেট ও মন দুটোই ভরে ভাত খাওয়ার মাধ্যম এ। চাল থেকে রান্না করা ভাত আমাদের প্রতিদিন খাবারের একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ। ভাত ছাড়া বাঙালির চলেই না।আর ভাত বলতে আমরা সিদ্ধ চালের ভাতকেই বুঝি।

কুমিল্লা, এবং সিলেট বিভাগের মানুষজন ছাড়া সব বিভাগের মানুষ সিদ্ধ চালের ভাত খেয়ে থাকে। আতপ চাল সিদ্ধ চালের মতো ঝরঝরে নয়। আঠালো তবে সুস্বাদু এবং সুগন্ধি।ভাত খাওয়ার জন্য আমরা মূলত সিদ্ধ চালকেই বেছে নিই। কারন ভাত ঝরঝর, চিকন এবং দেখতে ধবধবে সাদা। মূলত এখানে আমরা চোখের গুরুত্বকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় পুষ্টিকে নয়। কারণ চালের পুষ্টিগুন বিচারে আতপ চালের ভাত সিদ্ধ চালের ভাত থেকে কয়েক গুন বেশি উপকারী।

চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব।স্বাস্থ্যের জন্য আতপ চাল ভালো। এতে কম রাসায়নিক পদার্থ মিশানো হয় বাজারজাতকরন করার জন্য। অপরদিকে সিদ্ধ চালকে আরো আর্কষনীয় করে তুলতে রাসায়নিক অনেক পর্দাথ মিশানো হয়।যেমন চাল কেটে চিকন করা, ঔষধ মিশানো হয় পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য। সবশেষে মম দেয়া হয় চকচকে ভাব আনার জন্য।হজমের ক্ষেত্রে আতপ চাল ভালো এবং সুস্বাদু।

অল্পতেই আপনার পেট ভরে যায়। সিদ্ধ চাল স্বাদহীন এবং পরিমানে লাগে বেশি। তবে বর্তমান সময়ে সিদ্ধ চালের ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রনের ফলে উপকারিতা শুন্যের কোঠায়। চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক কিছু ।ময়দা হলো আটার পরিশোধিত রূপ। আটা যখন পরিশোধন করে সুজি, বেসন, ময়দা ইত্যাদি হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তখন তাতে গ্লুটেন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি অ্যালার্জির অন্যতম নিয়ামক।
বিশ্বের সব দেশেই খাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো সংরক্ষণের জন্য গ্লুটেন ব্যবহার করে। আর কৃত্রিম জুসে ব্যবহার করা হয় ফ্রুক্টোজ। সব ধরনের ইনস্ট্যান্ট ও প্রক্রিয়াজত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ।

সুজি তৈরির নিয়ম

এবার আমরা সুজি তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে চলেছি।মিলের মধ্যে যখন গম দেয়া হয় তখন এই ইস্পাতের রোলারগুলো গমের উপর থেকে তুষ ও অঙ্কুর আলাদা করে ফেলে। সাথে সাথে গমের শর্করার অংশটুকু মোটা দানায় ভেঙে যায়। চালুনির মাধ্যমে এই দানাগুলো আলাদা করে নিয়ে সুজি প্রস্তুত করা হয়।আধুনিক ময়দা উৎপাদন ব্যবস্থায় গম থেকে ময়দা প্রস্তুত করাতে খাঁজকাটা ইস্পাতের রোলার ব্যবহার করা হয়। রোলারগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়।

 যাতে তাদের মধ্যে গমের দানার চেয়ে সামান্য কম থাকে।সুজি তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।সুজির মধ্যে থাকা প্রোটিন ও ডায়টেরি ফাইবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শক্তিশালী করতে তুলতে সাহায্য করে। সুজির মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেট।যদিও আটাতে তুষ এবং জীবাণু রয়েছে যা এটিকে উচ্চ ফাইবার তৈরি করে ।

কঠোর প্রক্রিয়াকরণের কারণে সুজির অভাব হয় এবং এর ফলে কিছু পুষ্টির ক্ষতি হয়। সুতরাং, সুজির তুলনায় আটার হজম শক্তি অনেক বেশি এবং শেষ পর্যন্ত আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।একটি দ্রুত এবং সহজ ব্রেকফাস্ট জন্য সুজি এবং ময়দা জল যোগ করুন  এটি বিভিন্ন রান্না করা সবজি এবং মাংসের সাথে সবচেয়ে ভাল। তবে আপনি যদি ব্যস্ত থাকেন তবে আপনি এটি মধু এবং কিছু নারকেল দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।সুজি তৈরির নিয়ম এগুলো।

একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে মাঝারি আঁচে সুজি, এলাচ ও দারুচিনি হালকা টেলে নিন। এরপর তুলে আলাদা পাত্রে রাখুন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। বলক উঠে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা সুজি দিয়ে দিন। এরপর তাতে কিশমিশ দিয়ে দিন। দুধ শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। উপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

সুজি খেলে কি মোটা হয়

এবার আমরা জানবো সুজি খেলে কি মোটা হয় তা সম্পর্কে।এই ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে, যার ফলে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় আর সহজেই ওজন কমে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই খাদ্য শরীরে শক্তির জোগান দেয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম সুজি থেকে ৩৬০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়।ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন দ্বারা প্রকাশিত একটি তথ্য অনুসারে, সুজি ক্যালোরি।

কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, থায়ামিন, ফাইবার, ফোলেট, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস। এই সমস্ত পুষ্টি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই জন্য, আপনার খাদ্যতালিকায় সুজি থেকে তৈরি খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।সুজি ওজন কমাতে সাহায্য করে, শুধুমাত্র আপনি যদি সুজির সঙ্গে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার যোগ করেন তবেই। আর একথা অবশ্যই মনে রাখবেন শরীরচর্চা এবং সুষম আহারের যৌথ প্রয়াসেই ওজন হ্রাস সম্ভব হয়।

সুজি খেলে কি মোটা হয় তা আমরা জেনে নিব।দ্রুত দুর্বলতা কাটাতেপারে সুজি। হঠাৎ ক্লান্ত লাগলে সুজি খান, ফিরে পাবেন এনার্জি।প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে সুজিতে। এটি ডায়েট চার্টে তাই রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন সুজি।যারা ওজন কমাতে চান তারা সুজি খান প্রতিদিন।সুজিতে জিঙ্কসহ এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।সুজিতে ২৫ ভাগ ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা মাংসপেশি ও হাড়ের জন্য উপকারী।

যদি আপনি অল্প অল্প করে বারে বারে খান তবে মেটাবলিজম বেড়ে যাবে আর ওজন কমে যাবে। তাই ওজন বাড়াতে পেট ভরে চার ঘণ্টা পর পর খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। তবে শরীর সক্রিয় থাকবে। আর এতে শরীরের পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিকমত কাজ করবে। ব্যায়াম করলে যে শুধু ওজন কমে তা কিন্তু নয়।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ব্যায়াম। ব্যায়াম করলে ক্ষুধার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। আর এতে করে খাওয়ার প্রতি আগ্রহও অনেক বেড়ে যায়। তাই ওজন বাড়াতে প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুবই জরুরী।

সুজি খেলে কি গ্যাস হয়

এবার আমরা সুজি খেলে কি গ্যাস হয় তা সম্পর্কে জেনে নিই।গ্যসট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। আর সেক্ষেত্রে তাঁদের বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন, বেশি জল খাওয়ার পরামর্য দেওয়া হয়ে থাকে। সঙ্গে পানি কিন্তু সঠিক মতো খেতে হবে কিছু কিছু সবজি আছে যা গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা করে থাকে এসব সবজি থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলে দেখবেন আপনি অনেক সুস্থ রয়েছেন।।

তাহলে এই সবজি ভুলেও খাবেন না।সুজির গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম। যার কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল খাবার।আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় সুজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা পরিপাকতন্ত্রকে ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।শরীরে এনার্জি বা শক্তি বজায় রাখার জন্য ভিটামিন, মিনারেল বা খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টির প্রয়োজন। এবং এই সবই সুজিতে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে। 

এটি হার্ট এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এবং এর সঙ্গে পেশীর মসৃণ কার্যকারিতায়ও সাহায্য করে।সুজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে এবং এটি খেলে রক্তস্বল্পতা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এবং আপনি যদি এই রোগের শিকার হন তবে এটি খেলে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়।সুজি খেলে কি গ্যাস হয় তা আমরা জেনে নিই।এই কারণেই লোকেরা এটিকে পাস্তা বা ম্যাকারনি গম হিসাবে উল্লেখ করে, কারণ পাস্তা বা কুসকুস তৈরিতে সুজির এক নম্বর ব্যবহার হয়।

পাস্তা তৈরির জন্য লোকেরা সুজি পছন্দ করার প্রধান কারণ হল এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটেন থাকে, যা রান্নার সময় পাস্তার আকৃতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।বস্তুত সুজি , চালের গুঁড়া ও চিনি- এই তিনটিই শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। কার্বোহাইড্রেট বেশি গ্রহণ করলে এবং প্রোটিন কম বা একেবারে গ্রহণ না করলে শরীরের ওনেকোটিক প্রেশার কমে যায়। কারণ।

প্রোটিন শরীরের ওনেকোটিক প্রেশার বজায় রাখে। প্রোটিন কম খাওয়ার কারণে শরীরে ওনেকোটিক প্রেশার কমে গেলে পানি বা তরল কোষের বাইরে চলে এসে চামড়ার নিচে জমা হয়ে ইডিমার সৃষ্টি করে। অনেকে এটা দেখে মনে করে যে বাচ্চা বেশ মোটাসোটা হচ্ছে। আসলে এই বাচ্চা তো রোগে ভুগছে। তাই শুধু সুজি কিংবা চালের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে সুজির কোনটিই ভালো খাবার নয় ।

চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা

এবার আমরা চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।চাল একটি শস্যদানা যা আমরা ধান থেকে পেয়ে। ফলনশীল শস্যের মধ্যে ধান সবচেয়ে বেশি ফলানো হয় আমাদের দেশে। প্রতিদিনকার আহারে জনপ্রতি মানুষের ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ভাত প্রয়োজন হয়। তাহলে তিন বেলার হিসেব দাড়াছে আরো দ্বিগুণ।পেট ও মন দুটোই ভরে ভাত খাওয়ার মাধ্যম এ। চাল থেকে রান্না করা ভাত আমাদের প্রতিদিন খাবারের একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ। ভাত ছাড়া বাঙালির চলেই না।

ভাত বলতে আমরা চালের সিদ্ধ ভাতকেই বুঝে থাকি কিন্তু কুমিল্লা এবং সিলেট বিভাগের লোকজন ছাড়া প্রায় সব বিভাগ এর লোকজন সিদ্ধ ভাত খেয়ে থাকে সিদ্ধ বলতে ঝরঝরে নয়। আঠালো তবে সুস্বাদু এবং সুগন্ধি।ভাত খাওয়ার জন্য আমরা মূলত সিদ্ধ চালকেই বেছে নিই। কারন ভাত ঝরঝর, চিকন এবং দেখতে ধবধবে সাদা। মূলত এখানে আমরা চোখের গুরুত্বকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় পুষ্টিকে নয়।

কয়েক গুন বেশি উপকারী।চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব।স্বাস্থ্যের জন্য আতপ চাল ভালো। এতে কম রাসায়নিক পদার্থ মিশানো হয় বাজারজাতকরন করার জন্য। অপরদিকে সিদ্ধ চালকে আরো আর্কষনীয় করে তুলতে রাসায়নিক অনেক পর্দাথ মিশানো হয়।যেমন চাল কেটে চিকন করা, ঔষধ মিশানো হয় পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য। সবশেষে মম দেয়া হয় চকচকে ভাব আনার জন্য।হজমের ক্ষেত্রে আতপ চাল ভালো এবং সুস্বাদু।

অল্পতেই আপনার পেট ভরে যায়। সিদ্ধ চাল স্বাদহীন এবং পরিমানে লাগে বেশি। তবে বর্তমান সময়ে সিদ্ধ চালের ভাতখাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রনের ফলে উপকারিতা শুন্যের কোঠায়। চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক কিছু ।ময়দা হলো আটার পরিশোধিত রূপ। আটা যখন পরিশোধন করে সুজি, বেসন, ময়দা ইত্যাদি হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তখন তাতে গ্লুটেন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি অ্যালার্জির অন্যতম নিয়ামক।

বিশ্বের সব দেশেই খাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো সংরক্ষণের জন্য গ্লুটেন ব্যবহার করে। আর কৃত্রিম জুসে ব্যবহার করা হয় ফ্রুক্টোজ। সব ধরনের ইনস্ট্যান্ট ও প্রক্রিয়াজত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ।

চালের গুড়া খাওয়ানো

এবার আমরা জানবো শিশুকে চালের গুড়া খাওয়ানো সম্পর্কে।পুষ্টি গুড়া” ৬-৮ মাসের শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রধান খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে এবং প্রস্তুতে চালের গুড়া, ডালের গুড়া, বাদাম, গুড়/চিনি, কলা এবং গাজরের গুড়া ব্যবহৃত হয়েছে। চাল এবং ডালের মিশ্রণ হতে ক্যালোরি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। চাল-ডাল এবং বাদামের মিশ্রন খাবারের আমিষের মান বৃদ্ধি করে।ওজন কমাতে সুজি একটি অন্যতম খাবার।

কেননা সুজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। কোলেস্টেরল থাকে না। এ বিষয়ে পুষ্টি বিশারদ ডাক্তার রূপা দত্ত জানান দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে বাজার থেকে কী ধরনের সুজি কিনছেন তা খেয়াল রাখা উচিত। ফাইবার সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সুজি শরীরের পক্ষে উপকারী। দুধ বা সবজি সহকারে সুজি খেলে তা থেকে পুষ্টি পাওয়া যায়। সুতরাং সুজির তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে পছন্দ করলে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সুজির সঙ্গে খেলে ভালো হয়।

স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হওয়ায় এই খাদ্য শক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় সুজি আয়রনের ঘাটতি দূর করে। রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে।শিশুকে চালের গুড়া খাওয়ানো সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।অনেক মা বাচ্চাকে সুজি খাওয়াতে পছন্দ করেন। কেউ বা চালের গুঁড়া কিংবা চিনির সঙ্গে সুজি দিয়ে থাকেন। এই খাবার বাচ্চার জন্য মোটেও ভালো নয়।বস্তুত সুজি, চালের গুঁড়া ও চিনি- এই তিনটিই শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার।
 কার্বোহাইড্রেট বেশি গ্রহণ করলে এবং প্রোটিন কম বা একেবারে গ্রহণ না করলে শরীরের ওনেকোটিক প্রেশার কমে যায়। কারণ, প্রোটিন শরীরের ওনেকোটিক প্রেশার বজায় রাখে। প্রোটিন কম খাওয়ার কারণে শরীরে ওনেকোটিক প্রেশার কমে গেলে পানি বা তরল কোষের বাইরে চলে এসে চামড়ার নিচে জমা হয়ে ইডিমার সৃষ্টি করে।সুজি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। ‍শিশুদের ছোট থেকে সুজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরী করা উচিৎ। কারণ, এতে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে গেলাম চালের গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।আমাদের বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে সাধারণত গমের আটা দিয়ে তৈরি হয় রুটি। তবে এখন পাওয়া যায় চালের আটাও পাওয়া যায়।তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে ভালো লাগলে এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#