জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ - জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা ,আজকে আমরা জেনে নেব জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ।আমরা সকলেই জানি জলাতঙ্ক রোগ কুকুরের কামড়ে হয় ।তো জেনে নেই জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে। আজকে আমাদের পোস্টটি আলোচনা করা হবে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে।
জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ - জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা
মানুষ এই সংক্রমিত প্রাণীগুলির বা এদের লালার সংস্পর্শে আসলে ।এই প্রাণীগুলি যদি মানুষকে কামড়ায় অথবা আচোড় দেয় ।তাহলে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।তো বন্ধুরা আজকে জেনে নেওয়া যাক জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ-জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা সম্পর্কে।

ভূমিকা

জলাতঙ্ক হল ভাইরাস জনিত এক ধরনের জুনোটিক রোগ। যে রোগ টি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। রেবিজ ভাইরাস নামক এক ধরনের নিউরোট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়।এই রোগ সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্য প্রাণীদের প্রথমে সংক্রমিত করে। মানুষ এই সংক্রমিত প্রাণীগুলির বা এদের লালার সংস্পর্শে আসলে বা এই প্রাণীগুলি যদি মানুষকে কামড়ায় অথবা আচোড় দেয় তাহলে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।

জলাতঙ্ক রোগ এন্টার্কটিকা ছাড়া প্রায় সব মহাদেশেই দেখা গেছে,বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে। জলাতঙ্ক রোগের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে চব্বিশ থেকে ষাট হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে।জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।জলাতঙ্ক, যা হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত, একটি তীব্র ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রায় সবসময়ই মারাত্মক। এটি সংক্রামক রোগের বিভাগের অধীনে আসে এবং খামার বা বন্য প্রাণীদের দ্বারা সংক্রামিত হয়।

সাধারণত মাংসাশী যেমন কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, রেকুন। এটি বেশিরভাগ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আইসল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান এবং সাইপ্রাসের মতো দ্বীপগুলিতে জলাতঙ্ক নেই।মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক একটি উন্মত্ত প্রাণীর কামড়ের কারণে হয়। প্রাণীর লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। খামারের প্রাণী যেমন কুকুর, গরু, ঘোড়া, ছাগল, খরগোশ এবং বন্য প্রাণী যেমন কাঁঠাল, বাদুড়, কোয়োটস, শিয়াল।

এবং হায়েনারা আক্রান্ত হলে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে।জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী।মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ নথিভুক্ত করা হয়নি। যদি একটি উন্মত্ত প্রাণী একজন ব্যক্তির উপর একটি খোলা ক্ষত চাটতে পারে, তাহলে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। মাথা এবং ঘাড়ের ক্ষতগুলি আরও বিপজ্জনক কারণ সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে।

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি

এবার আমরা জানবো কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি সে সম্পর্কে।অস্বাভাবিক কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো, ক্ষুধামান্দ্য, খাওয়াদাওয়ায় অরুচি, বিকৃত আওয়াজ, কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, বিনা প্ররোচনায় অন্যকে আক্রমণ বা কামড় দেওয়ার প্রবণতা ইত্যাদি কিছু লক্ষণ প্রকাশ করতে পারেন।কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি তা আমরা জেনে নিব।এটি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত থাকে। 
প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, জ্বর এবং কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি। অত্যধিক লালা নিঃসরণ, গিলতে অসুবিধা, গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত এবং কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়।কামড়ের কয়েক দিন থেকে এক বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। প্রথমে, কামড়ের জায়গার চারপাশে ঝাঁকুনি, কাঁটা বা চুলকানির অনুভূতি রয়েছে। 

একজন ব্যক্তির ফ্লু-এর মতো উপসর্গও থাকতে পারে যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি।কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি তা আমরা জানলাম।রেবিজ ভাইরাস নামক এক ধরনের নিউরোট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। এই রোগ সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্য প্রাণীদের প্রথমে সংক্রমিত করে। মানুষ এই সংক্রমিত প্রাণীগুলির বা এদের লালার সংস্পর্শে আসলে বা এই প্রাণীগুলি যদি মানুষকে কামড়ায় অথবা আচোড় দেয়।

তাহলে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।জ্বর, খিদে না হওয়া ক্ষতস্থান ব্যাথা বা চুলকানি।কনফিউশন,অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা ,লালারসের ক্ষরণ বৃদ্ধি, উজ্জ্বল আলো কোলাহলে অসহিষ্ণু হয়ে ওঠা ঢোক গেলার সময় ডায়াফ্রাম, রেসপিরেটোরি মাসল ও কণ্ঠনালির তীব্র ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয় বিশেষ করে পানি পান করার চেষ্টা করলে ডায়াফ্রাম ও অন্যান্য ইন্সপিরেটোরি মাসলের তীব্র সংকোচন ও ব্যথা হয় ফলে রোগীর মধ্য হাইড্রোফোবিয়া তৈরি হয়।

এই অবস্থার জন্য বাংলায় এই রোগকে জলাতঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়েছে।এছাড়াও, রোগীর ডিলিউশন, হ্যালুসিনেশন ও পাগলামিশরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর অক্ষমতা, চেতনাশূন্যতা, ইত্যাদি।

জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

এবার আমরা জানবো জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে।জলাতঙ্কের জন্য দুই ধরনের টিকা রয়েছে। ক্ষতের তীব্রতা ও আধিক্যের ওপর ভিত্তি করে কারও ক্ষেত্রে এক ধরনের, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে উভয় ধরনের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। যত তাড়াতাড়ি জলাতঙ্কের এ টিকা গ্রহণ করা যায়, ততই মঙ্গল। সাধারণত প্রথম দিন টিকা দেওয়ার পর ৩, ৭, ১৪, ২৮ ও ৯০তম দিনে টিকার মোট ৬টি ডোজ প্রয়োগ করতে হয়।

র‌্যাবিস ভাইরাস দ্বারা কোনো মানুষ বা প্রাণী আক্রান্ত হলে যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় জলাতঙ্ক রোগ। কুকুর, বিড়াল, বানর, বাদুড়, বেজি ইত্যাদি প্রাণী র‌্যাবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং এরা মানুষকে কামড়ালে এই রোগ হয়। এটি এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীর দেহে স্থানান্তরিত হতে পারে তার লালা বা রক্তের দ্বারা। এদের মুখের লালায় র‌্যাবিস ভাইরাসের জীবাণু থাকে। কোনোভাবে তা সুস্থ প্রাণীর রক্তের সংস্পর্শে এলে, রক্তের মাধ্যমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে

এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়।এই ভাইরাস প্রায় সব স্তন্যপায়ী প্রাণীকেই আক্রান্ত করতে পারে। মানুষ সাধারণত কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে বেশি আক্রান্ত হন। যে কুকুর র‌্যাবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সেই কুকুর কাউকে কামড়ালেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। দেশে বেশির ভাগ জলাতঙ্ক রোগই হয় কুকুর কামড়ালে। এই রোগ মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডকে প্রভাবিত করে।জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।এই রোগ প্রতিরোধের উপায় হলো টিকা নেয়া। 

এই ভাইরাসের অনেকরকম টিকা আবিষ্কার হয়েছে। সবচেয়ে নিরাপদ টিকা হলো হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল ভ্যাকসিন । অন্যান্য টিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পিউরিফাইড চিক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন, ডাক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন, নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন, ইত্যাদি। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে টিকা নেওয়াকে প্রি-এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস ও আক্রান্ত হওয়ার পরে টিকা নেয়াকে পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস বলে।

জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা

এবার আমরা জেনে নিব জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা সম্পর্কে।ইমিউনোফ্লোরেসেন্স নামক একটি পদ্ধতিতে ত্বকের একটি ছোট টিস্যু ব্যবহার করে রেবিস অ্যান্টিজেন সনাক্ত করা যায়। সংক্রামিত রোগীর লালা থেকে ভাইরাসটি আলাদা করা যেতে পারে বলে মনে হয়। জলাতঙ্ক রোগটি খুবই ভয়াবহ হয়ে থাকে যার কারণে আমাদের এটি পরীক্ষা করা অতি জরুরী। 

এটা আমরা খুব সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করে থাকবো তার জন্য আমাদের জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা হবে। জলাতঙ্ক রোগীর শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত বের করে নিয়ে সেটিকে সুন্দরভাবে পরীক্ষা করা এবং পরীক্ষার সময় রক্ষা রাখতে হবে রক্ত অবশ্যই নেওয়ার পরে, সর্বনিম্ন এক মিনিট আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং এটি খুবই সুক্ষ মস্তিষ্কে পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

তবে আমাদের উচিত হবে জলাতঙ্ক রোগীকে ঘরের তাপমাত্রার মধ্যেই থাকা, বিশেষ করে রোগটি ধারা পড়বে অতি দ্রুত। এছাড়া আমরা জলাতঙ্ক রোগীকে ঘরোয়া ভাবেও পরীক্ষা করে নিতে পারি, যে রোগীর শরীর বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা, তার জন্য আমাদের অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন যে আমাদের কিছু ঘরোয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে দিতে পারে সে আসলেই বিষক্রিয়া হয়েছে।

জলাতঙ্ক কি ছোঁয়াচে রোগ

এবার আমরা জেনে নিই জলাতঙ্ক কি ছোঁয়াচে রোগ সে সম্পর্কে।তবে এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। এতে শরীরের আর কোনো অসুবিধা হয় না।কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বানর, বেঁজি, বাদুড় ইত্যাদি র্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত উল্লেখিত প্রাণি মানুষকে কামড়ালে মানুষের এ রোগ হয়। এসব আক্রান্ত প্রাণির মুখের লালায় র্যাবিস ভাইরাস থাকে। এ লালা পুরোনো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের বা এসব ধরনের প্রাণী যদি নখ দিয়ে আঁচড় দেয় এবং সেখানে যদি লাল ভাগ হয়ে রক্তের কোন চিহ্ন দেখা যায় সেখান থেকে আমাদের এই রূপটি ছড়াতে পারে।

এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।সন্দেহজনক প্রাণি কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মাঝে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। কারো শরীরে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উন্মত্ত বা পাগলামো আচরণ এবং মৌন আচরণ—এ দুই ধরনের আচরণ দেখা দিতে পারে।অস্বাভাবিক আচরণে আক্রান্ত ব্যক্তির কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি হবে অস্বাভাবিক। সে উদ্দেশ্য ছাড়াই ছুটে বেড়াবে, ক্ষুধামন্দা হবে।

বিকৃত আওয়াজ করবে, বিনা প্ররোচনায় অন্যকে কামড়াতে আসবে ইত্যাদিএছাড়া পানির পিপাসা খুব বেড়ে যাবে, তবে পানি খেতে পারবে না। পানি দেখলেই আতঙ্কিত হবে, ভয় পাবে। আলো-বাতাসের সংস্পর্শে এলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। খাবার খেতে খুবই কষ্ট হবে, খেতে পারবে না। শরীরে কাঁপুনি, মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হবে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা দেবে।জলাতঙ্ক কি কি ছোঁয়াচে রোগ তা আমরা জানলাম।

রেবিজ ভাইরাস নামক এক ধরনের নিউরোট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। এই রোগ সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্য প্রাণীদের প্রথমে সংক্রমিত করে। মানুষ এই সংক্রমিত প্রাণীগুলির বা এদের লালার সংস্পর্শে আসলে যেহেতু এই প্রাণীগুলি মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক তার কারণে এই প্রাণীগুলির লালা থেকে বিরত থাকা এবং সামান্য আসর দেওয়ার পর যদি সেখানে লাল মাংস বের হয় বা রক্তের কোন স্পর্শ পায় তাহলে সেখানে জলাতঙ্ক হবে। 

জলাতঙ্ক রোগ কেন হয়

এবার আমরা জানবো জলাতঙ্ক রোগ কেন হয় তা সম্পর্কে।জলাতঙ্ক হল ভাইরাস জনিত এক ধরনের জুনোটিক রোগ যে রোগ টি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। রেবিজ ভাইরাস নামক এক ধরনের নিউরোট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। এই রোগ সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্য প্রাণীদের প্রথমে সংক্রমিত করে।কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বানর, বেঁজি, বাদুড় ইত্যাদি র্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত উল্লেখিত প্রাণি মানুষকে কামড়ালে মানুষের এ রোগ হয়।

এসব আক্রান্ত প্রাণির মুখের লালায় র্যাবিস ভাইরাস থাকে। এ লালা পুরোনো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে এলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।জলাতঙ্ক রোগ কেন হয় তা আমরা জানবো।পশুর কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। লাসা ভাইরাস বহনকারী প্রাণীর কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে।

জলাতঙ্ক রোগের ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কুকুর এই রোগের জন্য দায়ী। কুকুর, বিড়াল ও বানরের কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে। পশুর ক্ষত এবং চোখ থেকেও জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে। পশুর কামড়কে হালকাভাবে গ্রহণ করা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। গরু, কুকুর, বিড়াল, মহিষ বা বানরের মতো কোনও প্রাণী কামড়ালে বাড়িতে চিকিৎসা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। ডাক্তার জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে টিকা দেবেন।
জলাতঙ্ক রোগ এমন একটি মারাত্মক যেখান থেকে উপসর্গ রোগের মতো রোগ কে বাসা বাঁধতে খুব সহজেই হতে পারে জলাতঙ্ক রোগটি বা রোগীটি চিকিৎসা বিহীন যতদিন থাকবে ঠিক ততদিনই তার বিপদ ক্রমশই বাড়বে কেননা একটি রোগী জলাতঙ্ক হওয়ার পরে ঠিক প্রথম দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে উপসর্গ রোগের বাসা বাঁধিয়ে দেয়।

শেষ কথা

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে। আমাদের যে কোন পশু কামড়ালে আমাদের হালকাভাবে নেওয়া উচিত না। কারণ যেকোনো পশুর কামড়ালে সেখান থেকে সৃষ্টি হয় জলাতঙ্ক রোগ। জলাতঙ্ক রোগ একটি ভাইরাসের সমান যার কারনে মানুষ মৃত্যুবরণ ও করে থাকে। তাই আমাদের জলাতঙ্ক রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।আর আমাদের পোস্ট গুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#