গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা - কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক

প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা, আজকে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা আমাদের শরীরের উপর কি প্রভাব পড়তে পারে। তো আমরা জেনে নিব গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা - কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক
কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। কামরাঙ্গা ফলটি ভিটামিন এ ও সি এর ভালো উৎস।আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় কামরাঙ্গা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে থাকে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া উপকারিতা-কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।

ভূমিকা

এর অ্যালজিক অ্যাসিড খাদ্য নালি (অন্ত্রের) ক্যান্সার হতে বাধা দেয়।পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে যে কারণে এর রস রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়।শুষ্ক ফল জ্বরে ব্যবহার হয়।শীতল ও টক তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।জনপ্রিয়তার কারণ ফল হিসেবে সাধারণ মানুষের পছন্দ আর এর ওষুধি গুণাগুণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কিন্তু অতি সম্প্রতি কামরাঙ্গা বা কামরাঙ্গার রস খাওয়ার পর কিডনি বিকল হওয়াতে যত বিপত্তি, এর মধ্যে অনেকেই তা ডায়াবেটিসের জন্য খেয়েছেন।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।কামরাঙ্গা একটি পাঁচ-কোণযুক্ত, মোমের মতো হলদেটে সবুজ রঙের ফল যাকে ক্যারামবোলাও বলা হয়। শীতল এই ফলের গাছ মূলত শ্রীলঙ্কার এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাভেরোয়া ক্যারামবোলা। কামরাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

এবং জরুরী পুষ্টিগুণ উপাদান বর্তমান। প্রয়োজনীয় এই পুষ্টিগুণের মধ্যে আছে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিনয়েড যৌগ, জৈব অ্যাসিড, খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য বিশেষ কিছু সহায়ক পদার্থ আর এই জন্যই গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া ভাল।কামরাঙ্গার পুষ্টি, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ এবং জৈব অ্যাসিড সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং সহজ প্রসবের জন্য অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে, ভাবী মায়ের ডায়েটে কামরাঙ্গা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ফলের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় এনার্জি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায়, তাজা কামরাঙ্গার রসে চুমুক দিলে গলা ও মুখের সংক্রমণ কমিয়ে আনে এবং সারিয়ে তোলে।
এছাড়াও ফলটি অন্যান্য একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। কামরাঙ্গায় অক্সালেটের পরিমাণ বেশি।গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় লোভনীয় টক-মিষ্টি স্বাদের খাবার খেতে চায় আর কামরাঙ্গা ঠিক সেই স্বাদের ফল।

কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয়

এবার আমরা জানবো কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয় তা সম্পর্কে।এসব ফাইবার বিপাক ও হজম ক্রিয়া উন্নত করে- এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, পেট কামড়ানি ও ডায়রিয়া থেকে উপশম পাওয়া যায়। কামরাঙার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সোরিয়াসিস ও ডার্মাটাইটিসের উপসর্গ প্রশমিত করতে পারে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনের মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।অতিরিক্ত কামরাঙা খেলে প্রধানত কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। 

কিডনির পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের আক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে কামরাঙার অন্যতম একটি উপাদান হলো অক্সালিক অ্যাসিড। কিডনি নষ্টের প্রধান কারণ কামরাঙায় থাকা অক্সালেট ও নিউরোটক্সিন। ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে। তাই অত্যধিক সেবনে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট পাথর হয়ে কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তবে খালি পেটে কামরাঙা খেলে ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।

যাঁদের কিডনি দুর্বল তাঁরা এই মারাত্মক নিউরোটক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে না। তখন এটি শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে ব্রেন এবং নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, এমনকি খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে।কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয় তা আমরা জানবো। তাহলে শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি হয়ে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। 

তাছাড়া যাদের ইতিমধ্যে কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙ্গা বা এর রস পান করেন, তাহলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি-ও রয়েছে।কামরাঙ্গায় থাকা ক্যারাম্বক্সিন নামক উপাদানের জন্য এটি হয়। তবে, যাদের কিডনির অসুখ নেই, সাধারণ পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।কামরাঙ্গায় অতি অল্প ক্যালরি এবং প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, আঁশ, এবং এন্টি-অক্সিডেণ্ট রয়েছে। আমাদের দেশে এই ফলের ওষধি গুনগুন সুবিদিত। 

অতএব, গবেষণালব্ধ তথ্য ও চিকিৎসকদের নির্দেশনা বলছে ফলটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের ক্ষেত্রেই শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে, কিডনির রোগীদের জন্য কামরাঙ্গা বিপদজনক। কিন্তু সাধারণভাবে কামরাঙ্গা খেতে কোন সমস্যা নেই।

গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খেলে কি হয়

এবার আমরা জেনে নিব গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খেলে কি হয় তা সম্পর্কে।পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে যে কারণে এর রস রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়।শুষ্ক ফল জ্বরে ব্যবহার হয়।শীতল ও টক তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।জনপ্রিয়তার কারণ ফল হিসেবে সাধারণ মানুষের পছন্দ আর এর ওষুধি গুণাগুণ।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

কিন্তু অতি সম্প্রতি কামরাঙ্গা বা কামরাঙ্গার রস খাওয়ার পর কিডনি বিকল হওয়াতে যত বিপত্তি, এর মধ্যে অনেকেই তা ডায়াবেটিসের জন্য খেয়েছেন।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।কামরাঙ্গা একটি পাঁচ-কোণযুক্ত, মোমের মতো হলদেটে সবুজ রঙের ফল যাকে ক্যারামবোলাও বলা হয়। শীতল এই ফলের গাছ মূলত শ্রীলঙ্কার এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাভেরোয়া ক্যারামবোলা। 

কামরাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জরুরী পুষ্টিগুণ উপাদান বর্তমান। প্রয়োজনীয় এই পুষ্টিগুণের মধ্যে আছে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিনয়েড যৌগ, জৈব অ্যাসিড, খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য বিশেষ কিছু সহায়ক পদার্থ আর এই জন্যই গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া ভাল।কামরাঙ্গার পুষ্টি, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ এবং জৈব অ্যাসিড সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং সহজ প্রসবের জন্য অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খেলে কি হয় তা আমরা জানবো। 

কামরাঙ্গা একটি পুষ্টিগুণে ভরা ফল যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে, ভাবী মায়ের ডায়েটে কামরাঙ্গা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ফলের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় এনার্জি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায়, তাজা কামরাঙ্গার রসে চুমুক দিলে গলা এবং মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং সারিয়ে তোলে।

এছাড়াও ফলটি অন্যান্য একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। কামরাঙ্গায় অক্সালেটের পরিমাণ বেশি।গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় লোভনীয় টক-মিষ্টি স্বাদের খাবার খেতে চায় আর কামরাঙ্গা ঠিক সেই স্বাদের ফল।

কামরাঙ্গার উপকারিতা 

এবার আমরা কামরাঙ্গার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব।এর অ্যালজিক অ্যাসিড খাদ্য নালি (অন্ত্রের) ক্যান্সার হতে বাধা দেয়।পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে যে কারণে এর রস রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়।শুষ্ক ফল জ্বরে ব্যবহার হয়।শীতল ও টক তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়।

এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি।কামরাঙ্গায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।কামরাঙ্গার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব।এতে থাকে এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়। এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।

পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।শুকানো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী।২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।আর এগুলোই কামরাঙ্গার উপকারিতা।

গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।এর অ্যালজিক অ্যাসিড খাদ্য নালি (অন্ত্রের) ক্যান্সার হতে বাধা দেয়।পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে যে কারণে এর রস রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়।শুষ্ক ফল জ্বরে ব্যবহার হয়।শীতল ও টক তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।জনপ্রিয়তার কারণ ফল হিসেবে সাধারণ মানুষের পছন্দ আর এর ওষুধি গুণাগুণ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা আছে বলে অনেকের কাছে সমাদৃত। কিন্তু অতি সম্প্রতি কামরাঙ্গা বা কামরাঙ্গার রস খাওয়ার পর কিডনি বিকল হওয়াতে যত বিপত্তি, এর মধ্যে অনেকেই তা ডায়াবেটিসের জন্য খেয়েছেন।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।কামরাঙ্গা একটি পাঁচ-কোণযুক্ত, মোমের মতো হলদেটে সবুজ রঙের ফল যাকে ক্যারামবোলাও বলা হয়। শীতল এই ফলের গাছ মূলত শ্রীলঙ্কার এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাভেরোয়া ক্যারামবোলা। 

কামরাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জরুরী পুষ্টিগুণ উপাদান বর্তমান। প্রয়োজনীয় এই পুষ্টিগুণের মধ্যে আছে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিনয়েড যৌগ, জৈব অ্যাসিড, খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য বিশেষ কিছু সহায়ক পদার্থ আর এই জন্যই গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া ভাল।কামরাঙ্গার পুষ্টি, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজপদার্থ এবং জৈব অ্যাসিড সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং সহজ প্রসবের জন্য অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে যা.

আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে, ভাবী মায়ের ডায়েটে কামরাঙ্গা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ফলের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় এনার্জি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায়, তাজা কামরাঙ্গার রসে চুমুক দিলে গলা এবং মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং সারিয়ে তোলে। 

এছাড়াও ফলটি অন্যান্য একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। কামরাঙ্গায় অক্সালেটের পরিমাণ বেশি।গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় লোভনীয় টক-মিষ্টি স্বাদের খাবার খেতে চায় আর কামরাঙ্গা ঠিক সেই স্বাদের ফল।

কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক

এবার আমরা জানতে চলেছি কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।কিডনি নষ্টের প্রধান কারণ কামরাঙায় থাকা অক্সালেট ও নিউরোটক্সিন। ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে। তাই অত্যধিক সেবনে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট পাথর হয়ে কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তবে খালি পেটে কামরাঙা খেলে ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।সাধারণত যাদের কিডনি ভালো স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।

তবে এরা যদি অত্যধিক কামরাঙ্গা বা রস অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণে অনেক দিন গ্রহণ করে তাহলে শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে।তাছাড়া যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙ্গা বা রস যেমন একটি বা কয়েক টুকরা কামরাঙ্গা খেলেই কিডনি বিকল হয়ে যায়।অন্যদিকে যাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর রয়েছে, তারা কামরাঙ্গা খেলে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

এই অবস্থায় মানুষের মৃত্যুর হার বেশি। আগে মনে করা হতো কিডনি ফেইলিউরের মাত্রা বাড়ার কারণে এ অবস্থা হয়, কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গেছে কামরাঙ্গার ক্যারাম্বক্সিন নামক উপাদানের জন্য এ অবস্থা হয়।কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিই আমরা।কিডনি কেয়ার সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত জানান, গ্রামে কামরাঙা ফলটির বেশ জনপ্রিয়। কিডনির সমস্যা না থাকলে অল্প করে খাওয়া যেতেই পারে ফলটি। তবে সমস্যা থাকলে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। 
কাঁচা বা টক কামরাঙার রস বেশি ক্ষতিকর। কিন্তু মিষ্টি কামরাঙা তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় আমাদের কামরাঙ্গা খাওয়া ঠিক না ভুল। আর কামরাঙ্গা খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে কিনা ‌। তাই নিয়ে আজকে আমাদের পোস্টটিতে জানালাম গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা কেমন বা গর্ব অবস্থায় কামরাঙ্গা খেলে কি হয়। 

কামরাঙ্গা সম্পর্কে অনেক ধারণা দিলাম আপনাদের। তো আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#