ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি - কি কি কারণে ঘনঘন কাশি হয়
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজ আমরা জানবো কিভাবে ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি। ঘনঘন
কাশি হলে করণীয় কি। ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি অবলম্বন করতে হবে। অন্যান্য রোগ বা
অসুখের মতো কাশি হলো আমাদের একটি কমন রোগ। কিন্তু এটা কমন রোগ হলেও অন্যান্য
রোগের চাইতে কাশিটা একটু বেশি কষ্টদায়ক রোগ।
যদিও কাশির রোগটা স্বাভাবিক কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যায়। আজ আমরাএই পোস্টের
মাধ্যমে জানবো যে, ঘনঘন কাশি থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, ঘনঘন কাশি হলে
আমাদের কি কি করনীয়, ঘনঘন কাশি হলে কি কি করতে হবে এবং কাশি হলে সর্তকতা কি??
আশা করি, এই তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি - ঘনঘন কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
- ভূমিকা
- ঘনঘন কাশি হওয়ার কারণ কি
- ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি
- ঘনঘন কাশি হলে কি কি ঔষধ সেবন করতে হবে
- ছোট বাচ্চাদের জন্য কাশির ঔষধ
- ঘনঘন কাশি হলে সর্তকতা কি কি অবলম্বন করতে হবে
- শেষ কথা
ভূমিকা
বন্ধুরা, আজ আমরা আমাদের জীবনের একটি কমন রোগ সম্পর্কে জানব। আমরা প্রতিনিয়ত
অনেকেই এ রোগে ভুগে থাকি । সাধারণত ঘনঘন কাশির জন্য ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞদের
পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে না। নিয়ম অনুযায়ী চেষ্টা করলে নিজে নিজে ঘনঘন কাশির
সমাধান করা যায়। সাধারণত ঘনঘন কাশিটা হয় একটু হালকা ঠান্ডা লাগলে।
আরো পড়ুন শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়
আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে, আবার বেশি রাত জাগলে ঘনঘন কাশি হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। তাহলে চলুন আমরা মাধ্যমে কি করলে এ রোগটি থেকে মুক্তি পাবো, এ বিষয়টি
নিয়ে আমরা নিজে আলোচনা শুরু করি।
ঘনঘন কাশি হওয়ার কারণ কি
প্রিয় বন্ধু এবার আমরা জানব ঘন ঘন কাশি হওয়ার কারণ কি ঘনঘন কাশি হওয়ার একটি
অন্যতম কারণ হলো -পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া, পানি কম পরিমাণ পান করা, শরীরে
ঠান্ডা লাগানো ইত্যাদি। আবার বৃষ্টির পানিতে একটু বেশি পরিমাণ ভিজলেও ঘনঘন কাশি
হতে পারে। বেশিরভাগ সময় ধূমপান, বায়ু দূষণ এবং হাপানির কারণে ও ঘনঘন কাশি হয়ে
থাকে।
ঘনঘন কাশি হলে করণীয় কি
প্রিয় বন্ধুরা, অতিরিক্ত কাশি হলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। সব সময় শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রচুর
পরিমাণ পানি পান করতে হবে পানির পাশাপাশি তরল খাবারের প্রয়োজন। এছাড়া সন্ধ্যায়
অথবা সকাল এ গরম চা খেতে হবে। চা-পানের পাশাপাশি পানিতে আদা, মসলা মরিচ, এলাচ,
ইত্যাদি ।
ছাড়া অন্যান্য মসলা দিয়ে পানি কুচুম কুশুম করে গড়গড়া করতে হবে। অনেক সময়
ফুসফুসের সমস্যার কারণে অতিরিক্ত কাশি হয়ে থাকে। ফুসফুসের সমস্যা হলে অভিজ্ঞ
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘনঘন কাশি হলে কি কি ঔষধ সেবন করতে হবে
৪/৫ দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঔষধটি সেবন করতে হবে। কাশি অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি
হলে সব সময় এলাচ মসলা মুখে রাখতে পারেন। ৪/৬ দিন ঘুম থেকে উঠে তুলসী পাতা
চিবিয়ে খেতে পারেন। তুলসী পাতা কাশি বা অতিরিক্ত কাশি নিরাময়ে উপযোগী। ৬ থেকে ৭
দিন কাঁচা হলুদ খেতে হবে।
এলকপ ট্যাবলেট ঔষধ প্রকাশ নিরাময় সেবন করতে পারেন। হাঁপানি এবং ফুসফুস জনিত
সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। যারা ধূমপান করেন তাদের ধূমপান করার
পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
ছোট বাচ্চাদের জন্য কাশির ঔষধ
ছোট বাচ্চাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তুলসী পাতা পিসে মধু দিয়ে কথা হবে। তুলসী
পাতা না থাকলে মধুও ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী।মধু খেলে সব সময় উষ্ণ থাকে এ
কারণে ঘনঘন কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
আরো পড়ুন ইসলাম অনুযায়ী যেভাবে ঘুমানো প্রয়োজন
ছোট বাচ্চাদের ঔষধের মধ্যে রয়েছে-এডাল(Adolef) মধুভাস(Madhuvas) অ্যাবেক্স(Abex)
রেমোকফ(Remocof) এডোভাস(Adovas) তুসকা প্লাস(Tusca plus) এমব্রোক্স(Ambrox)
ইত্যাদি।
ঘনঘন কাশি হলে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে
ঘনঘন কাশি যদি পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহ ধরে হয়। তাহলে বুঝতে হবে যে এ রোগটি
স্বাভাবিক রোগ না হতে পারে এটা যক্ষা কিংবা অন্য কোন সাইড ইফেক্ট। উপরোক্ত নিয়ম
অনুযায়ী ঔষধ সেবনের পর যদি ভালো ফলাফল না পাওয়া যায়। তাহলে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বা
নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা, সব সময় খেয়াল রাখবেন যে পরিবেশ অনুযায়ী আপনাদের একজাস্ট করে
চলতে হবে। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন যে উপরের বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে নিজের
যত্ন নিবেন এবং সুস্থ থাকবেন। এরকম তথ্য পেতে আপনারা মাঝে মাঝে আমাদের ওয়েবসাইট
ভিজিট করবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল বা পোস্টটি পড়ার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url