বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় - বন্ধ্যাত্ব কেন হয়

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়। আমরা অনেকেই জানিনা বন্ধ্যাত্ব মানে কি এবং বন্ধ্যাত্ব কোন কারণে হয়। তাই জেনে নিব বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়। তো চলুন আজকের পোস্টে আলোচনা বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।
বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় - বন্ধ্যাত্ব কেন হয়
বন্ধ্যাত্ব মানে হচ্ছে দুই বছর বা এর একাধিক সময় কোন ধরনের। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া গর্ভধারণে এ ব্যর্থ হলে তাকে বলা হয় বন্ধ্যাত্ব। তো চলুন বন্ধুরা আজকে জেনে নেওয়া যাক বন্ধুত্ব কাকে বলে এবং বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়-বন্ধ্যাত্ব কেন হয় সম্পর্কে।

ভূমিকা

দুই বছর বা এর অধিক সময় কোন ধরণের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে তাকে ডাক্তারি ভাষায় বন্ধ্যাত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। প্রতি ১০০টি দম্পতির মধ্যে ৮৪টি প্রথম বছরে এবং ৯২টি দম্পতি দ্বিতীয় বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে সমর্থ হন। তাই বলা যায়, প্রতি ১০০টি দম্পতির মধ্যে ৮টি দম্পতি বন্ধ্যাত্বের শিকার হন। বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা আজকে আমরা জেনে নেব।রোগীর পূর্বে এমন কোন হিস্ট্রি থাকলে যেগুলো তার বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।

পেলভিক ইনফেকশন এর হিস্ট্রি, অথবা এমন কোন অপারেশন যা তার ফার্টিলিটি কমিয়ে দিতে পারে।বন্ধ্যাত্বের বহুবিধ কারণ থাকে, স্বামী-স্ত্রী যেকোন একজন বা উভয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। গর্ভধারনের জন্য দরকার একটি সুস্থ্ ওভাম সবল বীর্য, নরমাল ইউটেরাস বা জরায়ু এবং নরমাল পেলভিক এ্যানাটমি।প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না।জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে যা জন্মগত হতে পারে।

আবার অসুখের কারণে হতে পারে।জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।আরও কিছু অসুখ আছে।ওভারিয়ান চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে হতে পারে।হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যার কারণে হতে পারে।আর যৌনবাহিত রোগের কারণে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গগুলোর ক্ষতি করে। সেজন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।মহিলা বন্ধ্যাত্বকে 1 বছর পর্যন্ত চেষ্টা করার পর।
মহিলা কারণগুলির কারণে গর্ভবতী হওয়ার অক্ষমতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যখন কোনো দম্পতির নারী সঙ্গী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তখন বন্ধ্যাত্বকে নারী বন্ধ্যাত্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ সম্পর্কে।প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না। জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে।জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।হরমোনের সমস্যা- হরমোনের ওঠানামার কারণে শরীরে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। 

এর মধ্যে রয়েছে ব্রণ, ঠান্ডা হাত -পা, যৌন কামনা কমে যাওয়া, স্তনবৃন্ত স্রাব, মুখের চুল বৃদ্ধি, মাথার চুল পাতলা হওয়া, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিই ।মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে উঠছে। প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে দম্পতিদের গর্ভধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।কিছু মহিলাদের পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে কম ব্যথা হয় বা একেবারেই হয় না।

আবার অনেক মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন প্রচণ্ড ব্যথা এবং ক্র্যাম্পের সম্মুখীন হতে হয়। এ ছাড়াও, তাদের পিরিয়ডের সময়কাল অনেক দিন স্থায়ী হয়। এন্ডোমেট্রিওসিস একটি সমস্যা যেখানে জরায়ুর ভিতরে পাওয়া একটি টিস্যু বৃদ্ধি পায় এবং জরায়ুর বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এই টিস্যু ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা জরায়ুর বাইরের অংশে এবং অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথা হতে পারে। 

এন্ডোমেট্রিওসিসের আরও কিছু উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অন্ত্রের নড়াচড়ায় ব্যথা, যৌনতা, অন্ত্রের অতিক্রমের সময় ব্যথা, সহবাসের সময় ব্যথা। গর্ভাবস্থা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ সম্পর্কে জানলাম ্অনিয়মিত পিরিয়ড সাইকেলের মধ্যে মিসড পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন হয় না। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস), স্থূলতা, কম ওজন এবং থাইরয়েডের সমস্যা সহ বেশ কয়েকটি কারণে ডিম্বস্ফোটনের অনিয়ম হতে পারে।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো পুরুষদের বন্ধ্যাতের লক্ষণ সম্পর্কে।পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শুক্রাণু তৈরি না করতে পারা। ৩০-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাশয়ের গুণগত ত্রুটি, ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১-৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ভেরিকোসিল, এটি সাধারণত ঘটে।

যখন আপনি আপনার অণ্ডকোষে শিরাগুলি বেড়ে থাকে। ভ্যারিকোসিল উভয় দিকে দেখা যায় এবং স্ক্রোটামের অভ্যন্তরটি আরও গরম করে তোলে; যা শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। বয়স 35 বছর এর পরে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব হ্রাস শুরু করায় একটি বড় কারণ হতে পারে।পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।অনেক সময় খাদ্যাভাসের খারাপ অভ্যাস এবং অনুপযুক্ত জীবনযাপনও পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব ঘটায়।

শক্ত পোশাক পরা, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম হওয়া। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, যে দম্পতিদের সন্তান হয়না, তাদের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর কারণ হচ্ছে - স্বামীর শুক্রাণুর মান নিম্ন ও সংখ্যা কম হওয়া।পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্ব সমস্ত বন্ধ্যাত্ব ক্ষেত্রে প্রায় 40%-50% জন্য দায়ী। 

শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমে যাওয়া জেনেটিক, জীবনধারা, চিকিৎসা বা পরিবেশগত কারণের ফল হতে পারে। সৌভাগ্যবশত, পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্বের বেশিরভাগ কারণ সহজেই নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা হয়।উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে।গাইনেকোমাস্টিয়া এবং স্তনের টিস্যু বৃদ্ধির অন্যান্য লক্ষণ (যেমন মুখ বা শরীরের চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়া)।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতা গুলি পিটুইটারি গ্রন্থি, যা হরমোন উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে, বা অণ্ডকোষের সমস্যা দ্বারা আনা হতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

এবার আমরা জানবো বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।বন্ধ্যাত্ব মানুষের জীবনে খুবই কষ্টকর একটা শব্দ। সাধারণ ভাবে আমরা বলে থাকি সন্তান হচ্ছে না। অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বন্ধ্যাত্বের সুনির্দিষ্ট কারন পাওয়া যায় না আবার অনেক সময় পাওয়া যায়। সন্তান না হওয়া বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূরীকরণে কিছু কিছু খাবার যদি আমরা খাবার তালিকায় রাখি আর কিছু খাবার যদি আমরা খাবার কিছুটা যেগুলা বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ রয়েছে সেগুলো যদি বাদ দিই তাহলে হয়তো সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী।ভিটামিন সি,ফোলেট,ভিটামিন এ,ভিটামিন ই ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার যেমন-- বিভিন্ন ধরনের ফল, রঙীন শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ইত্যাদি খাবার তালিকা বেশি করে রাখতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এসমস্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার পুরুষের শুক্রানু এবং মহিলাদের ডিম্বাণুর কোষ গুলোকে সুরক্ষা দেয় বা ক্ষতির হাত থেকে বাচায়।লাল চালের ভাত,লাল আটার রুটি, শাকসবজি, যেসমস্ত ফল ।

খোসা সহ খাওয়া যায় তা খোসা না ফেলে খাওয়া, বিভিন্ন ধরনের বীচি জাতীয় খাবার যেমন--মটরশুটি,শীমের বীচি,মটর,ছোলা ইত্যাদি। খাবারে যত খাদ্য আঁশের পরিমান বাড়বে ততই দেহের রক্তের শর্করা ব্যালন্স রক্ষা করবে এবং সেই সাথে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন হরমোনকে সহজ চলাচলে সাহায্য করবে।বন্ধ্যাত্ব কাটানোর জন্য প্রথমেই সুস্থ রাখা প্রয়োজন জননগ্রন্থিগুলো। 

এর জন্য পাতে রাখা প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। চেরি, পেয়ারা, কমলা লেবু, টমেটো, ব্লুবেরি, লাল ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলি গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি এই খাবারগুলি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার অবশ্যই পাতে রাখুন।

বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

এবার আমরা জানবো বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।বন্ধ্যাত্বের বহুবিধ কারণ থাকে, স্বামী-স্ত্রী যেকোন একজন বা উভয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। গর্ভধারনের জন্য দরকার একটি সুস্থ্ ওভাম সবল বীর্য, নরমাল ইউটেরাস বা জরায়ু এবং নরমাল পেলভিক এ্যানাটমি।প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না।জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে।

জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।আরও কিছু অসুখ আছে।ওভারিয়ান চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে হতে পারে।হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যার কারণে হতে পারে।আর যৌনবাহিত রোগের কারণে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গগুলোর ক্ষতি করে। সেজন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।মহিলা বন্ধ্যাত্বকে 1 বছর পর্যন্ত চেষ্টা করার পর মহিলা কারণগুলির কারণে।

গর্ভবতী হওয়ার অক্ষমতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যখন কোনো দম্পতির নারী সঙ্গী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তখন বন্ধ্যাত্বকে নারী বন্ধ্যাত্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়।বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা আমরা জেনে নিব।ভিটামিন- ই (ভিটামিন E)-এর অভাবে বন্ধ্যাত্ব হয়। ভিটামিন- কে (ভিটামিন K)-এর অভাবে রক্ত তঞ্চনের অসুবিধা হয়।

বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে| বাড়ছে মনসিক ক্লান্তি‚ পরিবর্তন আসছে শরীরে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব| একটু স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে কিন্তু এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।

বন্ধ্যাত্ব কেন হয়

এবার আমরা জানবো বন্ধ্যাত্ব কেন হয় সম্পর্কে।বীর্যে সমস্যা। এজোস্পার্মিয়া বা শুক্রাণুর অনুপস্থিতি; যা দুই কারণে হতে পারে। অচল শুক্রাণু ও ত্রুটিযুক্ত শুক্রাণু অধিক থাকা। পুরুষের প্রধান হরমোন (যেমন‌ টেস্টোস্টেরন) সঠিক মাত্রায় না থাকা।ডায়াবেটিস। ধূমপান। প্রজনন অঙ্গে কোনো আঘাত বা অস্ত্রোপচার। যৌনবাহিত অসুখ বা যক্ষ্মা।মহিলা বন্ধ্যাত্বকে 1 বছর পর্যন্ত চেষ্টা করার পর মহিলা কারণগুলির কারণে গর্ভবতী হওয়ার অক্ষমতা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। 

যখন কোনো দম্পতির নারী সঙ্গী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তখন বন্ধ্যাত্বকে নারী বন্ধ্যাত্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়।বন্ধ্যাত্ব কেন হয় তা আমরা জেনে নিব।দুই বছর বা এর অধিক সময় কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে তাকে ডাক্তারি ভাষায় বন্ধ্যাত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সাধারণত প্রতি ১০০ জন দম্পতির মধ্যে ৮৪ জন প্রথম বছরে এবং ৯২ জন দ্বিতীয় বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে সমর্থ হন।

তাই বলা যায়, প্রতি ১০০ জন দম্পতির মধ্যে ৮ জন বন্ধ্যাত্বের শিকার হন।সন্তান ধারণে ব্যর্থতার কারণ অগণিত। কারণ যা-ই হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসা বিদ্যমান। তবে কারণগুলো নিরূপণের পদ্ধতি ও চিকিৎসাপদ্ধতি সহজতর ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ থেকে শুরু করে জটিলতম ও বহুল ব্যয়সাপেক্ষ পর্যন্ত হতে পারে।এ ছাড়া সমিমলিত সমস্যার কারণে না হতে পারে এবং কখনো কখনো উভয়ের কোনো কারণ । কোনো দম্পতি অবশ্যই প্রজনন বয়সের মধ্যে যখন বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করে।

এক বছরের মধ্যে যদি বাচ্চা না হয়, একই সঙ্গে এক বছর কোনো জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ছাড়া যদি তারা চেষ্টা করে, আর এতে যদি সন্তান না হয়, তাহলে একে আমরা বলি বন্ধ্যাত্ব। না হওয়ার তো নিশ্চয়ই অনেক কারণ রয়েছে। বাচ্চা কীভাবে হয়, সেখান থেকে যদি ধরি, ওই জিনিসগুলো যদি অনুপস্থিত থাকে সেখান থেকে বন্ধ্যাত্ব হয়। ছেলেদের সন্তান হওয়ার জন্য লাগে শুক্রাণু। মেয়েদের থাকে ডিম্বাণু। এ দুটো একত্রিত হয়েই সন্তান ধারণ হয়।ভ্রূণ এক সময় জরায়ুতে বসে।

আস্তে আস্তে মানব শিশু জন্ম হয়। প্রথমে এ দুটো থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে দেখা হয় তাদের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। পুরুষদের যে ভ্রুণ থাকে সেটি যদি পুরোপুরি না পায়, তাহলে ভ্রুণ পাওয়া গেল না। অন্যদিকে মেয়েদের যদি ডিম্বাণু তৈরি না হয়, তৈরি না হলেও যদি সে আসতে না পারে, টিউবে যদি আসতে না পারে তাহলে ডিম্বাণু পাওয়া যায় না। ভ্রুণ আর ডিম্বাণু না পাওয়া গেলে সন্তান ধারণ হয় না। ভ্রুণের একটি গুণগত মান রয়েছে, সংখ্যা ঠিক থাকতে হবে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে সে ভালো ভ্রুণ দিল। ভ্রুণ গেল, টিউব দিয়েও এলো, তবে ইউট্রাসে কোনো সমস্যা রয়েছে, তাহলে ভ্রূণটা তার বের হয়ে যাবে, ঋতুস্রাব হয়ে যাবে। এই পুরো চক্রটার যেকোনো জায়গায় ব্যাঘাত ঘটলে সন্তান নিতে পারবে না।

শেষ কথা

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম ।বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয় ও বন্ধ্যাত্ব কেন হয়। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা বন্ধ্যাত্ব কি আর তারা যদি জানতে চান বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কে। আমাদের পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়েন। আর এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#