শ্বাসকষ্টের লক্ষণ - শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিব।শ্বাসকষ্টের লক্ষণ সম্পর্কে কিছু তথ্য।ঘন ঘন শ্বাস ফেলা বা নেওয়া, বুকের পাঁজর ওঠানামা, শ্বাসের গতি দ্রুত বা ঘন হওয়া, দম বন্ধ অনুভূতিএসব উপসর্গ দেখা দিলেই আমরা বলি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ হল, কাশি হওয়া। ধুলো-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার মতো বিরক্তিকর উপাদানগুলি হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। শ্বাসকষ্টের লক্ষণ আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শ্বাসকষ্টের লক্ষণ সম্পর্কে।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ - শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়
সিওপিডি হলে শেষ বয়সে শ্বাসকষ্ট হয়। আপনার শরীরে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে সেটা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়।তা সম্পর্কে আমাদের জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্বাসকষ্ট। যখন-তখনই হতে পারে শ্বাসকষ্ট। তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিইশ্বাসকষ্টের লক্ষণ -শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে ।

ভূমিকা

অ্যাজমার সমস্যা থাকলে অবশ্যই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আর একেবারেই নিজের ইচ্ছে মতো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি শ্বাসকষ্ট। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে গেলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।হাঁপানিতে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যায়।

তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাস সরু শ্বাসনালি দিয়ে বের হওয়ার সময় বাঁশির মতো শনশন আওয়াজ শোনা যায়।শ্বাসকষ্টের লক্ষণ অনেক আছে তা আমাদের জানাটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়, ফলে শারীরিক অস্বস্তিবোধ হয়। এতে বুকের মধ্যে টান বাড়ে, বুকে চাপ বোধ হয়। আমাদের শরীরে শ্বাসকষ্টের প্রভাব পড়লে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ।যাঁরা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, হাঁপানি হয় এমন সময় কাশি হলে সে কাশি সহজে দূর হয় না।

শীতকালে এই হাঁপানি রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে।হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ কাশি। ধুলাবালু, ধোঁয়ার মতো উপাদানগুলো হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। যখন এই ক্ষতিকর মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই প্রদাহ হয়। তা ছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় কাশির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য।হৃদ্‌পিণ্ডের রোগে যখন হৃদ্‌পেশির সংকোচন করার ক্ষমতা কমে যায়।

তখন ফুসফুসে রক্ত জমে ফুসফুসকে অনমনীয় করে তোলে, কখনো ফুসফুসে পানি জমে। এতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমেই মনে পড়ে হৃদ্‌রোগ আর ফুসফুসের রোগের কথা। এসব রোগকে আমরা বেশি ভয় পাই। লক্ষ করে থাকবেন, জোর করে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে থাকলে প্রয়োজনের তুলনায় বাতাস কম প্রবেশের জন্য রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং দম বন্ধ অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি করে।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়াতেও শ্বাসকষ্ট হয়। এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে রক্তে পিএইচ কমে গেলে বা অ্যাসিড জমে গেলে।তবে কখনো কখনো কোনো রোগের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অনুভূতিকে মেলানো যায় না। চোখের সামনে রোগী ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এর কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি উপায়

এবার আমরা জেনে নিব শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি উপায় সম্পর্কে।শ্বাসকষ্ট থাকলে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী শরীরচর্চা করুন, হাঁটাহাঁটি করুন।বাড়ির বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। ধুলোবালি এড়িয়ে চলতে হবে আমাদের।পেটের পেশিকে ব্যবহার করে গভীরভাবে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।সর্দি-কাশি হলে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।সর্দি-কাশি হলে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

আবার বর্তমানে করোনাকালীন প্রায় সব রোগীর মুখেই শোনা যায় শ্বাসকষ্টের কথা। বিভিন্ন কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মূলত সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগের কারণ, পেটের সমস্যা, গ্যাস ও হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, রক্তস্বল্পতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং টেনশনে থাকলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটির জন্য দায়ী ফুসফুসের সমস্যা।কিছু অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

আবার অস্থায়ীভাবেও শ্বাসকষ্টে সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় নাকে ধুলাবালি ঢোকার কারণেও মাঝেমধ্যে হালকা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনটি হলে খুব সহজে বাড়িতেই তা ম্যানেজ করা যেতে পারে। কিন্তু নিয়মিতভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে ।শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে সামনের দিকে ঝুঁকে বসতে হবে। এটি করলে শরীর রিলাক্স হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সুবিধা হয়। এভাবে ঝুঁকে বসার ফলে ফুসফুস ও হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

তাই শ্বাসকষ্ট হলে এ পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে। এটি করার ক্ষেত্রে কোনো চেয়ারে বসে, পা মেঝের সমতলে রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকতে হবে ।পেটের পেশিকে ব্যবহার করে গভীরভাবে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কোনো সমতল জায়গায় শুয়ে থেকে পেটের ওপরে হাত রাখতে হবে এবং তার পর নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে। আর আমরা এইভাবে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি উপায় বের করতে পারি।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হবে

এবার আমরা জেনে নিব শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হবে।আদাও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে।প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। সবুজ শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়। চিনাবাদাম, পেস্তা, কাজুবাদামে কারও কারও অ্যালার্জি থাকে। গমের প্রোটিন গ্লুটেনে অনেকের অ্যালার্জি হয়।ট্রান্সফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হাঁপানির সমস্যা বাড়াতে পারে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

সবুজ শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়। গাজরে বিটা ক্যারোটিন আছে, যা সুরক্ষা দেয়। সপ্তাহে দু–তিনটি আপেল খাওয়া ভালো।ব্রকলিতে সালফোরাফেউন থাকে, যা শ্বাসনালির কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়। আদা শ্বাসনালির সংকোচন ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর। আদা দিয়ে চা বা আদাকুচি চিবোলে শ্বাসকষ্ট কমে। রসুনে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। হাঁপানি রোগীর উপসর্গ কমাতে মধুও বেশ কার্যকর।শ্বাসকষ্টের রোগীর প্রধান সমস্যা ফুসফুসে থাকে।

এই রোগীদের ফুসফুসে ছোট ছোট বায়ু চলাচলের নালী ধীরে ধীরে সরু যায়। এ কারণে বায়ু ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অক্সিজেনের অভাব দেখা যায়। এতে হঠাৎ করেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়ার শঙ্কা থাকে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।ভিটামিন-সি জাতীয় লেবু শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে থাকে লেবু।

স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বিখ্যাত আঙুর ফল। ছোট ছোট নানা অসুখ থেকে মুক্তি দিতে ভূমিকা রাখে এই ফল। ত্বক ভালো রাখা ছাড়াও শরীরে অক্সিজেনকে ঠিকমত কাজ করাতে কার্যকরী আঙুর।এছাড়াও শ্বাসকষ্টের রোগীরা আদা, শসা, গাজর ইত্যাদি জাতীয় সবজি খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হবে তা আমরা জানলাম।

শ্বাসকষ্ট কেন হয়

শ্বাসকষ্ট কেন হয় তা আমাদের জানাটা খুবই জরুরী একটা বিষয়।হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসের রোগ, নিউমোনিয়া, স্থূলতা, যক্ষ্মা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া কিডনির অসুখে ভুগলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়, যার শারীরিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমেই মনে পড়ে হৃদ্‌রোগ আর ফুসফুসের রোগের কথা।

এসব রোগকে আমরা বেশি ভয় পাই। লক্ষ করে থাকবেন, জোর করে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করে থাকলে প্রয়োজনের তুলনায় বাতাস কম প্রবেশের জন্য রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং দম বন্ধ অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি করে।হৃদ্‌পিণ্ডের রোগে যখন হৃদ্‌পেশির সংকোচন করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন ফুসফুসে রক্ত জমে ফুসফুসকে অনমনীয় করে তোলে, কখনো ফুসফুসে পানি জমে। এতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

তবে কখনো কখনো কোনো রোগের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অনুভূতিকে মেলানো যায় না। চোখের সামনে দেখছেন রোগী ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে বা ফেলছে, বাতাসের জন্য ছটফট করছে, কিন্তু যুক্তিসংগত কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না।শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শর্দি-কাশি থেকে অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার হাঁপানি ও অ্যাজমা থেকেও এই সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে হাঁপানি-অ্যাজমা রোগীদের অসুখ আরও প্রকট আকার ধারণ করে।

শ্বাসকষ্ট কেন হয়শ্বাসকষ্ট শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে না পারা, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।জ্বরসহ বেশ কিছু শারীরিক রোগেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার জন্য নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিন্ড্রোমের কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এটার সঙ্গে উৎকণ্ঠা আর এক ধরনের ভয় পাওয়ার রোগ।হৃদযন্ত্রের সমস্যা বা হার্টের রোগ এবং তার থেকে হাঁপানির কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।

শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ

এবার আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ সেবন করতে হবে।এটি শ্বাসনালির একটি রোগ। এই রোগের ফলে ধীরে ধীরে শ্বাসনালি প্রস্থের দিকে কমতে শুরু করে। শ্বাসনালিতে প্রদাহ তৈরি হয়।শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে সামনের দিকে ঝুঁকে বসতে হবে। এটি করলে শরীর রিলাক্স হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সুবিধা হয়।অ্যাজমার চূড়ান্ত আক্রমণে, ওষুধ-সহ ইনহেলার ব্যবহার করলে বাতাস চলাচলের পথ খুলে যায়

।এটি অ্যাজমা বা হাঁপানি, হে জ্বর এবং ঋতু অনুযায়ী সৃষ্ট এলার্জির লক্ষণগুলি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধ কার্যকরভাবে হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।মধ্যে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি অন্যতম, এই অসুখ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আমরা নিচে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারি। দারচিনিঃ দারচিনির বহুমখী উপকারীতা রয়েছে যা হয়ত অনেকেরই জানা নেই, বহু রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা অনেক। দারচিনি হজমক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

এবং রুচি বাড়ায়, কাশি কমাতে সাহায্য করে, মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ডের শক্তি বৃ্দ্ধির পাশাপাশি স্নায়ু উদ্দীপনার সাহায্য করে এবং সাধারণ বল বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। হরিতকিঃ হরিতকি স্বাদে খুব তিতা ইহা হৃদপিন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক। হরিতকি কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গ একটি পরিচিত মসলা, এর রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। 

লবঙ্গ বায়ুনাশক এবং হজমকারক, লবঙ্গের সুবাস শরীরের ক্লান্তি ও মনের বিষণ্ণতা দূর করে। কাঁচা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে সর্দি এবং কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি যেরোগমুক্ত থাকার জন্যে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো রয়েছে আমাদের আশেপাশেই। এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে, প্রক্রিয়াজাত করে খেতে ঝামেলা মনে হয়, তবে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ এর ‘‘ডামানিল’’। শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হবে তা আমরা জানলাম।

শ্বাসকষ্ট লক্ষণ

এবার আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট লক্ষণ সম্পর্কে।ঘন ঘন শ্বাস ফেলা বা নেওয়া, বুকের পাঁজর ওঠানামা, শ্বাসের গতি দ্রুত বা ঘন হওয়া, দম বন্ধ অনুভূতি—এসব উপসর্গ দেখা দিলেই আমরা বলি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি শ্বাসকষ্ট। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে গেলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ কাশি। ধুলাবালু, ধোঁয়ার মতো উপাদানগুলো হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। 

যখন এই ক্ষতিকর মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই প্রদাহ হয়। তা ছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় কাশির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর পদার্থহাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি শ্বাসকষ্ট। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে গেলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।হাঁপানিতে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যায়।

তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাস সরু শ্বাসনালি দিয়ে বের হওয়ার সময় বাঁশির মতো শনশন আওয়াজ শোনা যায়।যাঁরা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে হাঁপানি সম্পর্কিত কাশি এত সহজে দূর হয় না। শীতকালে এই হাঁপানি রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে।হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ হল, কাশি হওয়া। ধুলো-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার মতো বিরক্তিকর উপাদানগুলি হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। বেশিরভাগ মানুষই হাঁপানির সমস্যা আগে থেকে টের পান না।

সাধারণ কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যান। আপনারও যদি হাঁপানির লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকে।প্রদাহের কারণে যখন শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যায় তখন হাঁপানির টান ওঠে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে।আর এগুলোই শ্বাসকষ্ট লক্ষণ।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়

প্রিয় বন্ধুরা,এই পোস্টে আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়। শ্বাসকষ্ট হলে অনেক সময় অস্বস্তিকর বিষয়ে পড়ে যায় শ্বাসকষ্টে আছে এমন মানুষ মানুষজন। অতিরিক্ত বাতাস হলে, একটু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়, জোরে জোরে একটু হাঁটলে, বেশি বাতাস হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট কমাতে নিয়মিত ব্লাক কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। 

ব্ল্যাক কফিতে বিদ্যমান ক্যাফে ইন শ্বাসনালীকে শীতল রাখে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আদা, আদাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি। যা ফুসফুসে প্রদাহ কমিয়ে নিয়ে আসে। এছাড়াও একটি ব্যায়াম করতে পারেন যেমন একটি চেয়ারে বা আরামদায়ক স্থানে বসে পীর সোজা করে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড পর পর নাক দিয়ে এবং তিন থেকে চার সেকেন্ড পর পর মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন।

এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করে দেখুন অনেক আরাম পাবেন। তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে গেলাম শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে এই আর্টিকেলে আমরা জানলাম শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার উপায়।এবং শ্বাসকষ্ট কি কি কারনে হয়ে থাকে ।মূলত অনেকেই জানিনা যে শ্বাসকষ্ট কি কারনে হয়ে থাকে।শ্বাসকষ্ট তাড়াতাড়ি কিভাবে ভালো করে যায় বা শ্বাসকষ্ট হলে আমাদের করণীয় কি। বন্ধুরা,এরকম পোস্ট পেতে চাইলে আমাদের ফাস্ট ব্লগার ওয়েবসাইটের মাঝেমধ্যে ভিজিট করুন। এবং আমাদের সাথেই থাকুন ,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#