অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা - অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়

প্রিয় বন্ধুরা, এই পাটে আমরা জানবো অতি পরিচিত অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা অনেকেই অ্যালোভেরার উপকারিতা জানলেও অ্যালোভেরার অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্ক জানি না। তাহলে চলুন, আজ আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা।
অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা - অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়
প্রিয় বন্ধুরা, আজ এই আর্টিকেলে আমরা জানবো অ্যালোভেরা সম্পর্কে।আমরা অনেকে অ্যালোভেরা অনেক গুনাগুন সম্পর্কে জেনেছি। অ্যালোভেরা অনেক উপকারী একটি উপাদান। তা আমরা অনেকেই জানি কিন্তু এলোভেরা সঠিক ব্যবহার ও অপকারিতা অনেকের অজানা। তাহলে চলুন, আমরা আজ বিস্তারিতভাব,জেনে আসি এলোভেরা সম্পর্কে।

ভূমিকা

হ্যালো বন্ধুরা, আমরা জানবো অ্যালোভেরা সম্পর্কে। অ্যালোভেরা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো এই পোস্টে। অ্যালোভেরা উপকারিতা অপকারিতা সবকিছু জানানো হবে এই পোস্টটি দিয়ে।অ্যালোভেরা কোন কোন কাজে আসে। এবং কোন কোন কাজের জন্য ভালো কোন কাজের জন্য ক্ষতিকারক তা আজ জানাবো। অ্যালোভেরা এর পূর্ব বাংলা নাম হচ্ছে ঘৃতকুমারী আর ইংলিশে নাম হচ্ছে এই অ্যালোভেরা। এই উদ্ভিত্বে রসালো উদ্ভিদের মধ্যে একটি। 
এই অ্যালোভেরা গাছটি দেখতে অনেক সময় মনে হয় ক্যাকটাসের মত। কিন্তু এই গাছটি ক্যাকটাস না এই গাছটি হচ্ছে লিলি উদ্ভিদ জাতীয় গাছ। এই অ্যালোভেরা আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে মরুভূমি অঞ্চল মিশরে উৎপত্তি লাভ করে থাকে। অ্যালোভেরার আদি নিবাস হচ্ছে আফ্রিকায়।হোমিও চিকিৎসায় অ্যালোভেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সে আদিম কাল থেকে এলোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে। চলুন, এবার আমরা জেনে আসি অ্যালোভেরার আরো অনেক তথ্য।

অ্যালোভেরার ব্যবহার

বন্ধুরা এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে । অ্যালোভেরা আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। ত্বকের যত্নের চুলের যত্নে আমরা এলোভেরা ব্যবহার করে থাকি। চুলের যত্নে এলোভেরা একটি অতুলনীয় উপাদান। ত্বক চুলকালে কিছু চিনি ও কিছু পরিমাণে এলোভেরা মিশিয়ে ত্বকের ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানির শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করা যায়। 

যেমন কফি পাউডার লেবু চিনি অ্যালোভেরা কিছু পরিমাণ পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে দিলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া কাঁচা হলুদ মধু অ্যালোভেরা এর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে দিলে ত্বকের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ময়েশ্চার হিসেবেও এলোভেরা ব্যবহার হয়ে থাকে। কিছু পরিমাণ টুথপেস্ট ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের কাজে ভাব দূর হয়ে যায়। চুলের যত্নে জন্য ডিম এলোভেরা পেয়াজ বাটা এর সঙ্গে মিশে চুলে দিলে চুল কালো হয়ে আসে।

 ও সিল্কি হয়। এছাড়াও অ্যালোভেরা শ্যাম্পু নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশে চুলে ব্যবহার করলে চুল লম্বা হয়। এছাড়া শুধু এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করলে কালচে দাগ, ব্রণের দাগ, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমরা বিভিন্নভাবে অ্যালোভেরার ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও এলোভেরার শরবত বাজারে প্রায় বিক্রয় হয়ে থাকে। ইসবগুলের ভুষির সঙ্গে অ্যালোভেরা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়াও শুধু অ্যালোভেরা মধু একসঙ্গে খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এলোভেরা বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে।

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়

প্রিয় বন্ধু, এবার জানবো আমরা এলোভেরা মুখের মাখলে কি হয়। প্রিয় বন্ধুরা এলোভেরা ত্বকের জন্যে অনেক উপকারী। মুখে চুলকানি ভাব হলে অ্যালোভেরা চিনির সঙ্গে মিশে ব্যবহার করলে চুলকানি ভাব দূর হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে দিলে ত্বকের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। মেকাপের ময়েশ্চার ক্ষেত্রে এলোভেরা অনেক উপকারী। এছাড়া আর সময় পাচ্ছেন না ত্বকের যত নেওয়ার সেক্ষেত্রে এলোভেরা জেল ও চিনি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। মধু ,এলোভেরা, কফি পাউডার, টুথপেস্ট ,চিনি ,লেবু মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন এতে দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শুধু মধু, অ্যালোভেরা জেল এবং কফি পাউডার দিয়ে। একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

এছাড়াও টুথপেস্ট ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে ৫ মিনিটের মতো ঠোঁটে মাখিয়ে ব্যবহার করলে। আপনার ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এলোভেরা ব্যবহার করে ব্রণ, ব্রণের দাগ, কালচে দাগ দূর করা যায়। তো বন্ধুরা আমরা জেনে গেলাম অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়।

অ্যালোভেরার অপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা, এই পার্টিতে আমরা জানবো অ্যালোভেরার অপকারিতা সম্পর্কে।কোন জিনিসই অতিরিক্ত ব্যবহার করা ঠিক না সবকিছুতেই, ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে excess for everything is bad যার অর্থ কোন জিনিসই অতিমাত্রা ব্যবহার খারাপ ও বিপদজনক। অ্যালোভেরা জুস অতিরিক্ত সেবন করলে ,প্রস্রাব এর রং লালচে ভাব হয়ে যায় ও ডায়রিয়া হতে পারে। ত্বকে অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।

যাদের এ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যা বেশি হতে পারে । অতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস খেলে কিডনী তে সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী রা গর্ভকালীন অবস্থায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার ও সেবন থেকে দূরে থাকুন।অ্যালোভেরা বহুপক্ষে গুণগত সুবিধা সম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। তার চিকিৎসাগুণ ও পুষ্টিগত মান বিশ্বে পরিচিত। তবে, অ্যালোভেরা বিশেষতঃ কিছু অতিরিক্ত শর্তসমূহে অপকারিতা সৃষ্টি করতে পারে। এই উপকারী উদ্ভিদের ব্যবহারের অপেক্ষায়া নিম্নলিখিত অবস্থা সম্ভব:
১. ত্বকের অতিরিক্ত প্রয়োজনে ত্বকের জন্য আগ্রহের সৃষ্টি: অ্যালোভেরা যখন কিছুটা অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়, তখন ত্বকে চেমিক্যাল বা প্রস্তুতির সাথে প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা চার্মজীবীর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
২. খাদ্য অল্পদোষে সমস্যা: অ্যালোভেরা অধিক মাত্রায় নির্দিষ্ট রকমের খাবারের সাথে যোগ করলে পাচনের সমস্যা হতে পারে এবং অ্যালোভেরা এই অসুখে ত্বক উদ্বাবণ বা পুঁজিবিদ্যুতের প্রবাহ ব্যবধানে সহায়ক হতে পারে।
৩. অ্যালোভেরা নিশ্চিত মাত্রা অতিসত্ত্বের উপযোগী হতে পারে: অতিরিক্ত অয়ারিস এবং ত্বকের ব্যথা বা ব্যাথার অভিজ্ঞতা অল্প অ্যালোভেরা অনুমোদন করে না, যেটা কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়গুলিতে আরাম প্রদান করতে পারে।
সংক্ষেপে, অ্যালোভেরা ব্যবহারের সঠিক মাত্রা ও উপযোগ বিবেচনা করা জরুরি যাতে প্রতিটি ব্যবহারই সুরক্ষিত এবং উপকারী হয়।

অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরা উপকারী একটি উদ্ভিদ।অ্যালোভেরা পাতার মাঝে যে অংশ থাকে তার মূল উপাদান পানি। ত্বকের আদ্রর্তা বজায় রাখতে অ্যালোভেরা দারুণ উপযোগী।অ্যালভেরা ত্বকের যেসব উপকার করে সেইগুলো হলো:
মেকআপ রিমুভার
কাজল, মাশ্কারা, শ্যাড তুলে ফেলতে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে অ্যালোভেরা অধিক কার্যকর।অ্যালোভেরা জেলটি চোখের কোনো ক্ষতি করে না।
শেভিং ক্রিম হিসাবে
দাড়ি শেভিং ক্রিম এর পরিবর্তনে ,অ্যালোভেরার জেলটি ব্যবহার করা যায় ।এই জেল টি ব্যবহারে দাড়ি শেভিং করার পরে জ্বালাপোড়া কম হতে পারে ।অ্যালোভেরা শেভিং ক্রিম তৈরি করতে লাগবে অল্প গরম পানি অল্প, তেল ও অ্যালোভেরার জেল। এ তিনটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা যায় ।
অ্যালোভেরা শেভিং ক্রিম।
লেবু ,অ্যালোভেরা জেল ,অ্যালোভেরা জেল, হলুদ ,মধু ,অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল ইত্যাদি।এগুলো দিয়ে বিভিন্ন রকম ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে দিলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়। এছাড়া অ্যালোভেরা একটি ঔষধি গাছ ।অ্যালোভেরা দিয়ে সকালে খালি পেটে শরবত বানিয়ে খেলে অনেক উপকৃতি হওয়া যায় ।দাঁত ও মাড়ি ক্ষয় রোধ করে, এবং ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য এটি অনেক উপকৃত গাছ হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও অ্যালোভেরা ভূমিকা রয়েছে। 

এছাড়াও অ্যালোভেরা চুলের অনেক কাজ করে থাকে। চুল সজীব রাখে,রং বজায় রাখে ও সুন্দর করে তুলে। এছাড়াও দাঁতের যত্নে, ওজন হ্রাস, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, চুল সুন্দর করতে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ,ক্ষতিকারক পদার্থ অপারেশন করতে ,ক্লান্তি দূর করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এলোভেরার জুড়ে মেলা ভার।

অ্যালোভেরার বৈশিষ্ট্য

অ্যালোভেরা একটি ওষুধি গাছ। অ্যালোভেরা সকালে খালি পেটে খেলে অনেক উপকৃত হওয়া যায় ।এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী ,হজম শক্তি বৃদ্ধি, পাকস্থলী ঠান্ডা রাখে ,গ্যাসের সমস্যা দূর করে ,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়াও চুলের অনেক উপকার করে থাকে চুল সজিব রাখে, রং বজায় রাখে ,চুল পড়া বন্ধ করে ,চুলের গোড়া শক্ত করে চুলের আগা ফেটে যাওয়া বন্ধ করে।এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ফেসপ্যাক তৈরিতে সাহায্য করে ,উজ্জ্বল রাখে। 
মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে ,ছেলেদের দাড়ি শেভিং ক্রিম হিসেবে কাজ করে ,মেকাপের ময়েশ্চার হিসেবেও কাজ করে ,ব্রণ দূর করে ,ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে ,রোদে পোড়া দাগ দূর ,করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে ইত্যাদি।

শেষ কথা

বন্ধুরা এই পোস্টটি ছিল অবশ্যই অবশ্যই আপনাদেরজন্য যদি এ পোষ্টটি পড়ে আপনাদেরকে ভালো লেগে থাকে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এ পোস্টটি আরো অনেককে পড়ার সুযোগ করে দিন পোস্টটিতে শেয়ার দিন এবং এরকম ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং নতুন কিছু পাওয়ার জন্য ফাস্ট ব্লগার আইটি এই ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে থাকুন ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিজের শরীরের প্রতি যত্ন রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#