ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ - প্রস্রাব থেকে মুক্তির উপায়
ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের য়েড জ্বর ভালো লক্ষণ ভালো করার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা
জানবো।ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই
আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে
আসিঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ।
প্রিয় বন্ধুরা ঘন ঘন প্রস্রাবে বিষয়টা আমাদের অনেকের জানা থাকলেও কিন্তু
বিষয়টা কিভাবে ভালো করে জানা নেই।তাই এবং এর থেকে কিভাবে চিরকালের মুক্তি পাওয়া
যায় ।তা আমরা অনেকে জানিনা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তা আজ আমরা জেনে নেব।
চলুন আমাদের আলোচনা শুরু করি।
পোস্ট সূচিপত্র:ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ - প্রস্রাব থেকে মুক্তির উপায়
- ভূমিকা
- ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ
- ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির ওষুধ
- ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি করতে হয়
- ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন
- মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন
- শেষ কথা
ভূমিকা
ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের জন্য হয়ে থাকে সেটা আমাদের অনেকের অজানা। ঘন ঘন প্রস্রাব
শুধু ডায়াবেটিসের লক্ষণ এমনটা নয়। ডায়াবেটিস হলে যে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে সেটা
আমাদের ভুল ধারণা। ঘন ঘন প্রস্রাব অনেকগুলো কারণেই হয়ে থাকতে পারে বা এই লক্ষণও
রয়েছে। কি সে সম্পর্কে আজকে আপনারা জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তাহলে
চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় সে সম্পর্কে।
ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ
প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ কে সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানতে
পারবো। তাহলে চলুন জেনে আসি ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ।ঘন ঘন প্রসব হলে যে
ডায়াবেটিস হয়েছে তা এমনটা নয়। ডায়াবেটিস ছাড়াও অনেক সময় ঘন ঘন প্রসাব হতে
পারে। মতথলির স্নায়ু বিকলতা হলেও আমাদের অনেক সময় ঘন ঘন প্রস্রাব হতে
পারে।
আবারো মুত্রতলীতে ক্যান্সার দেখা দিলে আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে। অনেক
কারণে ADH হরমোনের অভাবে প্রভাব দেখা দেয়। কোন ইনফেকশন দেখা দিলে এমন সমস্যা হতে
পারে । যেমন মুতেথলির সমস্যা কিংবা কিডনির সমস্যা হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
সাধারণত পুরুষদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।
আরো পড়ুন ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ
সাধারণত এই সমস্যা থেকে ব্লাডের সমস্যা ও হতে পারে। এগুলো লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে
হবে আপনার কোন জটিল সমস্যা হয়েছে। তাই বেশি দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির ওষুধ
ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির ওষুধ সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। ঘন ঘন প্রসাব শুধু
ডায়াবেটিসের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তা না। এটি অন্য কারণে হয়ে থাকে। দিনে ৫
থেকে ৬ বার প্রসাব এটা কোন অসুখের কারণ না। এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ঘন ঘন
প্রস্রাব যদি দিনও রাতে সমান হয় তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। আবার
অনেকে শুরু থেকে এন্টিবায়োটিক খেতে শুরু করে। এর ফলে আরো বেশি ক্ষতিকর প্রভাব
পড়ে।
তাহলে বন্ধুরা আজকে আমরা জানব ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির ওষুধ সম্পর্কে। তাহলে
চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির ওষুধ কি। এমতাবস্থায়
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়া ও সাবস্ক্রিপশন অনুসরণ করা উচিত।
ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি করতে হয়
ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি করতে হয় সে সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে
জানতে পারবো। চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি করতে হয় সে
সম্পর্কে। প্রিয় পাঠ্যবন্ধুরা যদি আমাদের ঘন ঘন প্রসাব হয় তাহলে আমাদের করণীয়
হবে প্রথম অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ
গ্রহণ করা। এর সাথে সাথে ডায়াবেটিস হইছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করা অনেক
দরকার।
এছাড়াও সোডা যেসব খাবার রয়েছে তা থেকে বিরত থাকা অনেক দরকার। এছাড়াও এমন
অবস্থায় কিছু ফল খেতে পারেন যেমনটা ধরেন,আপেল,আঙ্গুর,কলা,নারিকেল,তরমুজ ।
ঘুমানোর আগে কফি, চা এবং সোডা যুক্ত যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকতে
হবে।
ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের জানাবো।
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার একটি উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের
জানাবো। আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে ঘনঘন
প্রস্রাব দূর করা যায়। প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে আসি
ঘরোয়া ভাবে ঘন ঘন প্রসাব কিভাবে নিরাময় করা যায়।
আমরা আর্টিকালের মাধ্যমে জানাবো ঘরোয়া উপায়ে পানীয় তৈরি করে সেবন করলে আমাদের
এই ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সমাধান হবে। এই পানীয় তৈরি করতে দুটি জিনিসের
প্রয়োজন সেটি হচ্ছে আতপ চাল এবং পানি। রাতে ঘুমানোর আগে একমুঠো আতপ চাল এক গ্লাস
পানির মধ্যে ভালো করে মিশাতে হবে।
সকালে উঠে খালি পেটে শুধু পানিটুকু পান করবেন এবং চাল ফেলে দেবে। এভাবে ২০-৩০দিন
খেলে আপনার এই ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হয়ে যাবে দেখবেন আগের মত
স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন
সাধারণত ছেলে অথবা মেয়ের ক্ষেত্রে দিনে ৬ থেকে ৮ বার প্রসাব করা স্বাভাবিক। তবে
রাতে শোবার আগে একবার প্রসাব করাও স্বাভাবিক। ছেলেদের ঘন ঘন প্রসাবের প্রথম লক্ষণ
হচ্ছে ডায়াবেটিস। প্রাইভেটিসের করণীয় আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে। তাছাড়া
উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত ডিউরেটিকসের এর মত ঔষধ এর কারণেও ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। আরো
কিছু কারণেও ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
তা হচ্ছে:-মূত্রতন্ত্রে সংক্রমণ এর ফলে হয়ে থাকে, মূত্রাশয়ের অতিক্রিয়াশীল এর
ফলে, মূত্রাশয়ে টিউমারের ফলে, সার্জারির ফলে, স্ট্রোক এর ফলে ছেলেদের ঘন ঘন
প্রসাব হয়ে থাকে। তাহলে বন্ধুরা আজকে আমরা আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে চলেছি
ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ।
মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন
মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন সে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে আজকে
জানানো হবে। দিলেন ৫ থেকে ৬ বার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি প্রসাবের
চাপ হলে এটা চিন্তার বিষয়। আর এই ঘন ঘন প্রসাবের চাপের কারণে অনেক সময় নির্ঘুম
রাত কাটাতে হয়। এর জন্য কিছু ঘরোয়া করণীয় হল:-বেশি বেশি করে পালং শাক খাবে।
আরো পড়ুন শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
পালং শাকে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি অবদান যা এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে
সাহায্য করে। সিড়িতে থাকা ফাইবার ব্লাডের অস্বাভাবিকতা কমায়। তাছাড়া ছোলা,
কুমড়ার বীজ তিলের বীজ, ডালিম ইত্যাদি খেলে মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব কমে যায়।
শেষ কথা
বন্ধুরাএই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আজ প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে
এসেছে এবং আপনাদের অনেক প্রশ্নের হয়তোবা উত্তর এখানে পেয়ে গিয়েছেন। তো বন্ধুরা
আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এরকম তথ্যমূলক পোস্ট পাবলিশ করা হয়। আপনারা এই
তথ্যগুলো জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট মাঝেমধ্যে ভিজিট করুন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url