কেনো চোখ লাল হয় - চোখ উঠলে কি করবেন
আমরা সারাদিন মাঠে ঘাটে রোদে যে পরিশ্রম করে থাকি এবং শরীরের যে ক্লান্তি তা
থেকে চোখ লাল হয়। তবে লাল চোখ বা চোখের সংক্রমণ খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। চোখ
লাল হয় কখনো কখনো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া কারণেও, তবে কিছু মানুষ চোখ লাল
হওয়াকে উপেক্ষা করে এবং তাতে মনোযোগ দেয় না। এমন পরিস্থিতিতে চোখের সমস্যা
আরও বেশি হতে পারে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। চলুন আমরা চোখ
সম্পর্কে কিছু জেনে আসি।
যারা চোখ নিয়ে সমস্যায় ভুগতেছে এবং একটু চাপ নিলে বা অ্যালার্জিজনিত কিছু খাবার খেলে এছাড়াও যে কোনো কারণে অথবা চোখ লাল হয় এসব ধরনের লক্ষণ খুব একটা ভালো না, তাই যাদের চোখ লাল হয়েছে এই পোস্টটি তাদের জন্য তাদের চোখ লাল হয় চোখ উঠে তারা পোস্টিং ভাল করে মনোযোগ সহকারে পরেন।
কেন চোখ লাল হয়
সাধারণত আমরা বেশি উত্তেজনার সাথে রেগে গেলে আমাদের চোখ লাল হয়ে থাকে, এছাড়াও
নদীতে বেশিক্ষণ ধরে গোসল করলে এবং চোখে ধুলোবালি ,জোরে হওয়ার ধাক্কা এছাড়াও
খালি চোখে গাড়ি চালালে আমাদের চোখ সাধারণত লাল হয়ে থাকে। এছাড়াও আমাদের
সারাদিন চলাচলের পথে চোখে অনেক ধরনের পোকামাকড় বিষাক্ত পোকামাকড় পরে চোখ লাল
হয়। এবং কিছু কিছু বিষাক্ত পোকামাকড় রয়েছে যা চোখে পরা মাত্রই চোখের পর্দায়
ফুসকা পড়ে যায় এবং তা থেকে সবসময় পানি পড়তে থাকে যার জন্য চোখ লাল হয়ে
থাকে।
এলার্জির কারণে চোখ লাল হয়, কান্না করলে চোখ লাল হয়, চোখে সাবান লাগলে
স্বাভাবিক চোখ লাল হয়। আর সাধারণ ভাবে যে কারণে চোখ লাল হয় তার মধ্যে
উল্লেখযোগ ্য চোখ ওঠা, চোখে ছানি পড়া, চোখে স্পর্ট পড়া, চোখে জল পড়া,
এছাড়াও নেত্রনালী বন্ধ হলে চোখের কোনা লাল হয়, চোখে টিউমার হলে, চোখের কোনে
পোজ জমলে চোখ লাল হয়।
ছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রা ঘুমের ওষুধ ঘুম না হওয়া নেশাগ্রস্ত হওয়া কারণে চোখ
লাল হলুদ কে ভাগ হয় এবং চোখ ঘোরা হয়ে যায় তবে আমাদের চোখের ভিতরে যে
জীবাণুগুলো রয়েছে তা সাদা পেচুরের নাই হয়ে বাইরে বের হয় সেগুলো যদি ভিতরে
জমে থাকে তা থেকে ইনফেকশন বা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া জমে পুঁজ জমে চোখের সমস্যা
সৃষ্টি হয়।
চোখ লাল হলে করণীয়
চোখ লাল হলে আপনারা যা করবেন সর্বপ্রথম বাইরে ঘোরাফেরা বেশি না করা এবং উত্তেজনামূলক কাজ না করা একটু ঘুমিয়ে নেওয়া এবং চোখ যদি সাধারণত ধুলোবালি করে বা বাতাসের কারণে কোন পোকামাকড় করার কারণে বা এলার্জিজনিত লাল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কিছু সময় চোখ মুঝে বা পানি দিয়ে ধুয়ে একটু বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে এবং এটা যদি কোন ব্যাকটেরিয়া জনিত লাল হয়ে থাকে তাহলে চোখটি আমরা বেশি বেশি করে পানি দিয়ে দ্রুত করব এবং বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করব চোখের চারিপাশটা পরিষ্কার রাখ া বাইরে বের হওয়ার সময় চোখে চশমা ব্যবহার করা।
এলার্জিজনিত চোখ যদি লাল হয় তাহলে আমরা লক্ষ্য রাখবো চোখ না চুলকানো টাই ভালো
এবং এ থেকে আমরা আরো কিছু থেকে বিরত থাকবো মোবাইলের আলো ঘরের বেশি আলো
কম্পিউটারের আলো থেকে দূরে থাকবো। এছাড়া চোখে পোকামাকড় পড়ে যদি চোখ লাল হয়
তাহলে চোখে আমরা তাকিয়ে কিছু সময় পানি ছটছট করে দিতে পারি
আরো পড়ুন পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ
আমাদের চোখের ভিতরে যে ময়লা থাকবে তা বেরিয়ে আসবে এবং তখন আরাম লাভ হবে
এছাড়া যদি চোখে ছানি পড়া জাল পড়া এবং চোখে ইনফেকশন হলে আমরা চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাবো বা ড্রপ ব্যবহার করব।
চোখের লাল কমানোর ঘরোয়া উপায়
মানব দেহের চোখ একটি বিশেষ অঙ্গ তবে সেই চোখের যদি একটু কিছু হয় তাহলে অনেক
বিবৃতি কর ও অশান্তি মনে হয় চোখে অনেক সময় অনেক কিছু হয়ে থাকে চোখ ওঠা থেকে
শুরু করে চোখের উচ্চ লেভেলের সমস্যা পর্যন্ত তবে চলুন আমরা জেনে আসি চোখ লাল
কমানোর ঘরোয়া উপায় কি করবেন চোখ লাল হলে।
- আমাদের চোখ লাল হলে দীর্ঘক্ষণ গোসল করার থেকে বিরত থাকব।
- আমাদের চোখ দিয়ে যদি রাত্রে বেলা হয়তো পানি পরে বা জ্বালা করে সেক্ষেত্রে ঘরে যদি কয়েল দেওয়া থাকে সে কয়েল নিভিয়ে দিব এবং কয়েল থেকে বিরত থাকবো।
- যদি কোন সমস্যা ছাড়া চোখ লাল হয়ে থাকে বা আপনি যদি বুঝেন চোখ লালের সাথে চোখ জ্বালা করতেছে সে ক্ষেত্রে আপনি চশমা ব্যবহার করতে পারেন এবং আলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
- এই চোখ লাল হওয়াটা যদি কোন এলার্জিজনিত কারণে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা অ্যালার্জিজনিত কোন খাবার থেকে বিরত থাকবো।
- অহেতুক চোখ লাল হওয়ার ভাব বা চোখ দিয়ে পানি পড়ার ভাব দেখলে আমরা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারি। তবে এটা যদি বেশিক্ষণ ধরে থাকে বা সমস্যা যদি বেশি হয় তাহলে আমরা কিছুক্ষণ পর পর ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারব।
- চোখের লাল ভাব কমাতে আমরা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারি পানির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে চোখ ধুলে অনেক আরাম পাওয়া যায় এবং এগুলোর জল অনেক ভালো কাজে দেয়।
- চোখের যত্নের জন্য আমরা শসা ব্যবহার করতে পারি শশা কেটে নিয়ে চোখের ওপর ১০ মিনিট রেখে দিলে চোখের লালচে ভাব কমে যায়।
- সারাদিন আমরা বাহিরে ঘোরাফেরা করে চোখে অনেক ময়লা ধুলাবালি অপরিষ্কার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা পানি ঝাপটা দিয়ে তা পরিষ্কার রাখবো।
- চোখ লাল হলে আমরা কাজল দেওয়া থেকে বিরত থাকব।
- চোখ লাল হলে আমরা শ্যাম্পু দেওয়া থেকে সাবান দেওয়া থেকে বিরত থাকবো।
চোখ লাল হলে আমরা ভয় নয় বরং সতর্ক থাকবো এবং সচেতন থাকবো চোখের স্বাস্থ্য
ভালো রাখার জন্য আমরা বাদাম, সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল,ছোট মাছ বেশি বেশি খাব।
চোখ লাল হওয়ার ওষুধ
আমাদের চোখ লাল হলে চোখে ওষুধ দেওয়ার আগে আমরা লক্ষ্য করব আক্রান্ত চোখে যেন
নোংরা পানি, বাতাস, টিভি দেখা, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা, কম্পিউটারের
ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকা, এবং রোদে বেশিক্ষণ না থাকা আমরা এসব কিছু আজ থেকে
বিরত থাকবো, তবে আমাদের চোখ লাল হলে যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।
- Cloram eye drops 💧
- Ciprocin eye drops 💧
- Ciprozid-DX eye drops 💧
চোখ ওঠার কারণ
যে মৌসুমে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকে সাধারণত এই রোগটা ওই মৌসুমে বেশি হয়।
কন্টাক্টের এর মাধ্যমে এ রোগটি ছড়াই। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার কারণে ও চোখ ওঠা রোগ
হয়। কখনো আবার এলার্জির কারণে এই রোগের দেখা দেয়। এই রোগ কিছু আছে একটি রোগ
আক্রান্ত রোগী যে কোন জিনিস ব্যবহার করলে আপনারও এই রোগ হতে পারেন এবং আই টু আই
কন্টাক্ট এর মাধ্যমে আপনার এই রোগটি হতে পারে।
এ রোগ হওয়ার লক্ষণ গুলি, প্রথমত এ রোগ হবার আগে এক চোখ লাল হয় পরবর্তীতে দুই
চোখে লাল হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখে অস্বস্তি ভাব ,হয় খচখচ করে, চোখের
পাতা ফুলে যায়, চোখ অনেক পরিমাণ ব্যথা করে, সহ্য হয় না, চোখে পিচুটি বা কেতুর
হয়, চোখ হালকা জ্বালাপোড়া হয়, ওঠার পর চোখের পাতা লেগে থাকে, আর কারো চোখের
কর্নিয়া য় আক্রমণ হলে চোখে ঝাপসা দেখে।
চোখ ওঠার উপকারিতা
চোখটা সাধারণত একটি রোগ তবে রোগ হওয়ার কি মানুষের শরীরে অস্বস্তি করে একটি বা
বিভ্রান্তিমূলক একটি বিষয় তবে এ চোখ ওঠার কিছু উপকারিতা ও রয়েছে তা হল। সাধারণ
মূলে আমাদের চোখ উঠে থাকে আমাদের চোখে ভিতর থাকা দূষিত পানি যা ভাইরাস জমিয়ে
রাখে ব্যাকটেরিয়া জমাতে সাহায্য করে এবং তা থেকে চোখ ওঠা রোগটি হয়।
আর এ রোগটি হওয়ার কারণে আমাদের চোখের ভিতর যেগুলো ময়লা থাকে তা বের হয়ে আসে
ধীরে ধীরে এবং তা অবশ্যই তিন থেকে সাত দিনের ব্যাপার। এবং যার আক্রান্ত বেশি তার
একুশ দিন পর্যন্ত থেকে থাকে।
চোখ উঠলে আমাদের খুব বিবৃতি কর অশান্তিতে পড়ে যেতে হয় তবে আমরা তা থেকে বাঁচার
জন্য কি করব চলুন জেনে আসি
- উঠলে আমরা চশমা ব্যবহার করব যা থেকে ধুলাবালি চোখে কম পড়বে এবং চোখে হাত দেওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- কিছু সময় পর পর সাবান দিয়ে হাত ধৌত করবো।
- চোখের কণা যদি ভিজে থাকে তাহলে টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছে নেওয়া এবং চোখ পরিষ্কার রাখা এছাড়া আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে টিস্যু পেপারটি যেখানে সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে কারণ সেখান থেকে রোগ ছড়িয়ে যাবে। যেহেতু এটি ছোঁয়াচে রোগ।
- এ সময় ভিটামিন সি এর সাথে সুষম খাদ্য খেতে হবে।
- এবং এ রোগ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
- চোখ ঘষে ঘষে চুলকানো যাবেনা এবং অন্য কারো আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url