হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার - হাটু ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো হাঁটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমাদের ঘরে যারা দাদী অথবা নানী রয়েছেন তারা এ রোগে আক্রান্ত। তাদের সাহায্যের জন্য বা আমাদের নিজেদের জ্ঞানের মধ্যে রাখার জন্য হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানবো।তাহল, আমরা শুরু করে দেই হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার।
আমাদের ঘরে যারা বৃদ্ধ রয়েছেন তাদেরকে তাদের অনেকেরই হাটু ব্যাথার সমস্যা রয়েছে। এর রোগে আক্রান্ত রোগীরা অনেক সময় চিন্তায় থাকেন এই রোগ সারানোর জন্য। অনেকে আবার ঘরোয়া উপায় নিয়ে ভাবনার চিন্তা করেন। আজকের এই পার্টির মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে হাঁটু ব্যথার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানিয়ে দেব। তাহলে চলুন, আমাদের আলোচনাটি শুরু করি।
ভূমিকা
যদি হাঁটু ফোলা থাকে, তাহলে ফোলা কমানো। যদি হাঁটুর তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে বরফ ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে গরম সেক দেওয়া যেতে পারে।হাঁটুর শক্তি ও রেঞ্জ অব মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ক্ষয়জনিত সমস্যার প্রধান চিকিৎসা হাড়ক্ষয় বন্ধ করার চিকিৎসা দিতে হবে।যেমন ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরের ওজন কমানো, উঁচু কমোড বা পায়খানা ব্যবহার করা।হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই।হাঁটুব্যথায় বিশেষ কিছু ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়।
এই ব্যায়ামগুলো সারা দিনে অন্তত ২-৩ বার করতে হবে।হাঁটুব্যথার ভালো ব্যায়াম সাঁতার কাটা। এতে জয়েন্টের ওপর চাপ কম পড়ে, কিন্তু মাংসপেশি শক্ত হয়।পা দুটি স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে বিশ্রাম নিন। ৫-১০ বার ব্যায়ামটি করুন।একই অবস্থানে থেকে পায়ের পাতা স্বাভাবিক রেখে বিশ্রাম নিন। এই পদ্ধতিতে ৫-১০ বার ব্যায়াম করুন।হাঁটু ও পরেরবার বাম হাঁটু ভাঁজ করুন। এভাবে ৫-১০ বার ব্যায়াম করুন।খেলাধুলার আগে ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে।
খেলোয়াড়দের হাঁটুর আশপাশের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।দেশে হাঁটুব্যথাকে প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। তবে যেকোনো বয়সের মানুষের হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়া, অস্থিসন্ধির মাঝে দূরত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, বাতসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বরফ কিংবা ঠান্ডা সেঁক আরাম দিতে পারে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথায় গরম পানির সেঁক সবচেয়ে কার্যকর।হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এভাবে করতে পারি আমরা।হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে হাঁটুতে ব্যথা হলে অনেক সময় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় রোগীর অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার
এবার আমরা জানবো হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার করার সম্পর্কে।হাঁটুব্যথাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা অনুভূত হলে।হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়া, অস্থিসন্ধির মাঝে দূরত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, বাতসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।হাঁটাচলা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হয়। চলাফেরার সময় হাঁটু ভাঁজ করলে শব্দ হতে পারে; ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বরফ কিংবা ঠান্ডা সেঁক আরাম দিতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথায় গরম পানির সেঁক সবচেয়ে কার্যকর।হাঁটুব্যথা সব বয়সে হতে পারে। আঘাত, আর্থ্রাইটিস বা অন্য কোনো কারণে এ ব্যথা হতে পারে।স্বাভাবিক থাকলে গরম সেক দেওয়া যেতে পারে। মাংসপেশি শক্তকরণ ও স্ট্রেচিং ব্যায়াম—যা হাঁটুর শক্তি ও রেঞ্জ অব মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ক্ষয়জনিত সমস্যার কারণে।
হাঁটু ফোলা থাকলে হাঁটাহাঁটি কম করে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।খেলোয়াড়দের হাঁটুর আশপাশের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।দেশে হাঁটুব্যথাকে প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। তবে যেকোনো বয়সের মানুষের হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়া, অস্থিসন্ধির মাঝে দূরত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, বাতসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়।হাটুব্যাথার কারণ ও প্রতিকার করা যেতে পারে।আমরা নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটুব্যথা নিরাময় সম্ভব।
হাটু ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আজ আমরা জেনে নিই ।হাটু ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।হাঁটুতে এক বার ব্যথা হলে সহজে কমতে চায় না। তাই কিছু ব্যায়ামেরও সাহায্য নিতে হবে।হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়।হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে মেথি দারুণ কার্যকরী হতে পারে। এক্ষেত্রে মেথি সাধারণ ব্যথার ওষুধের মতো কার্যকরী।ব্যথার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ঘটে ব্যঘাত। তখন হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে ওঠে।
যাদের ওজন কিছুটা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।হাঁটু ব্যথা দূর করার জন্য কিছু ব্যায়াম দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার, তাই চি, ইয়োগা ইত্যাদি ব্যায়াম বেশ কার্যকরী।লেগ রেইজসহ নানা ধরনের এক্সারসাইজ করা দরকারি। এতে হাঁটু ব্যথা থেকে তো বাঁচবেন।হাঁটুর ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। ওজন বেশি হলে শরীরের ভার তার উপরে গিয়ে ।ফলে হাঁটুর ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। তাই এক্ষেত্রে ওজন কমানো অন্যতম কার্যকরী উপায়।
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার। খাবারের তালিকায় রাখুন তাজা ফল ও সবজি। এ ধরনের খাবারে থাকা ফাইবারসহ নানা পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে পারে।পায়ের স্ট্রেচিং করুন। এতে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যথা দূর করা সম্ভব হবে। হাঁটুর ব্যথা হলে শুরুতেই এ ধরনের নিয়মগুলো মেনে চলুন। এতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের অন্যতম সহজ পদ্ধতি হলো আক্রান্ত স্থানে বরফের ব্যবহার।মরিচের গুড়াও হাঁটু ব্যথার জন্য বেশ কার্যকরী। এক কাপ হালকা গরম অলিভ অয়েলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মরিচের গুড়া মিশিয়ে হাঁটুতে ম্যাসাজ করুন।আর এগুলোই হাটু ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়।
হাটু ব্যথার ট্যাবলেট ভ
এবার আমরা জেনে নিই হাটু ব্যথার ট্যাবলেট সম্পর্কে। আমরা হাটুর ব্যাথা কমাতে যেই ট্যাবলেট খেতে পারি।সেইটা হলো ডিক্লোমল ট্যাবলেট ।ট্যাবলেট আকারে পাশাপাশি মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয় এমন একটি তরল সমাধান হিসাবেও পাওয়া যায়। ওষুধ সাইক্লোঅক্সিজিনেস নামক এনজাইমকে বাধা দিয়ে কাজ করে যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন গঠনের জন্য দায়ী। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন শরীরের মধ্যে প্রদাহ এবং ব্যথা সংবেদন প্রক্রিয়াকে জাগিয়ে তোলে এবং শরীরের মধ্যে ব্যথা জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।
এই ওষুধটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদনকে বন্ধ করে রোগীর অবস্থার উন্নতি করে যাতে শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ হ্রাস পায়।এমন একটি প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ যা ব্যথা, প্রদাহ, কঠিনতা, জয়েন্ট বা গাঁটে ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি দেয়। এই ওষুধ আঘাতের কারণে সৃষ্ট পেশী ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অ্যাঙ্কাইলুজিং স্পনডিলাইটিস এবং মাইগ্রেনের মতো অবস্থার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।ডিক্লোমল ট্যাবলেট ট্যাবলেট ।
প্রতিটি ট্যাবলেটের প্রভাব ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে। ওষুধের স্ট্যান্ডার্ড প্রস্তাবিত ডোজ হল দিনে দুবার। কোন কারণে আঘাত পাওয়া হাঁটু ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। যে কোনো বয়েসেই আঘাতজনিত ব্যথা হতে পারে। আঘাতের মাধ্যমে হাঁটু নিয়ন্ত্রণকারী মাংসপেশি, লিগামেন্টস, হাড় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাটু ব্যথার ট্যাবলেট সম্পর্কে জানলাম।
হাটু জয়েন্ট এর ব্যথা কমানোর উপায়
এবার আমরা জানবো হাটু জয়েন্ট এর ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে।হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়।খাটে বসে কম্পিউটরে মুখ গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে পিঠ, কোমর, হাঁটুতে ব্যথা।কিন্তু হাঁটু ব্যথা করছে বলেই তো রোজ ব্যথার ওষুধ খেতে পারবেন না। তাতে আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়বে। এর ফলে ঘরোয়া কিছু উপায় বের করে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে।
কোনও ধরনের ব্যথাই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিজে যত্ন নিলে।যদি বেকায়দায় লেগে গিয়ে হাঁটু ব্যথা হয়, তবে সবের চেয়ে বেশি জরুরি হল বিশ্রাম। বিশ্রামের সময়ে পা একটু উঁচু জায়গায় রাখুন। তাতে কাজ আরও দ্রুত হবে।কোথাও ধাক্কা খেয়ে বা পড়ে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেলে বারবার বরফ দিন।শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর উপর তত চাপ পড়বে। তার থেকে ব্যথাও বেশি হবে। ওজন কমানোর সব রকম চেষ্টায় মন দিন। তাতে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়। হয় কোনও আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনও কাপড়ে বরফ বেঁধে নেবেন।হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে মেথি দারুণ কার্যকরী হতে পারে। এক্ষেত্রে মেথি সাধারণ ব্যথার ওষুধের মতো কার্যকরী।আঘাতজনিত ও বাতজনিত ব্যথা যেকোনো বয়সে হতে পারে।
ক্ষয়জনিত ব্যথা ৪০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের ভেতর বেশি দেখা যায়।হাঁটুর ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি খুবই উপকারী।অস্টিওআরথ্রাইটিস প্রতিরোধের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।তো আমরা এইভাবে হাটু জয়েন্ট এর ব্যথা কমাতে পারি। জেনে নিলাম হাটু জয়েন্ট এর ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে।
হাটুর ব্যথা সারানো ব্যায়াম
এবার আমরা জেনে নিব হাটুর ব্যথা সারানো ব্যায়াম সম্পর্কে। আমরা পায়ের পাতায় একটি তোয়ালে বা বেল্ট পেচিয়ে হাত দিয়ে ধরবো।তোয়ালে বা বেল্টের মাধ্যমে পায়ের গোড়ালি টানুন, ধীরে ধীরে কাফ মাসল এরিয়াতে স্ট্রেচ বাড়ান।৩০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে তারপর ছেড়ে দিতে হবে।অন্য পায়ে একই পদ্ধতিতে স্টেচ করতে হবে।একটি দেয়ালের মুখোমুখি দাঁড়ান। আমাদের পিছনে পা প্রসারিত করুন। পায়ের আঙ্গুলগুলো সামনে দেয়ালের দিকে থাকতে হবে।
গ্যাস্ট্রো কোনোমিয়াস মাসলের জন্য পিছনের হাঁটু এবং কোমর সোজা রেখে সামনের পায়ের দিকে ঝুঁকতে হয় লাঞ্জ যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের পায়ের পিছনে টান অনুভব করছে।হাঁটুর উপরে উরুর সামনে অবস্থিত কোয়াড্রিসেপস মাসল গ্রুপ আমাদের শরীরের অন্যতম শক্তিশালী পেশিগুলোর মধ্যে অন্যতম।আমাদেরচলাচলের জন্য এই পেশিগুলোর সুস্থতা অপরিহার্য। পেশিগুলোকে সচল রাখার জন্য অনেক ধরণের ব্যায়াম আছে।
টেবিল বা চেয়ালে ধরে ভারসাম্য বজায় রেখে এক পায়ে দাঁড়াতে হবে।অন্য পা ভাজ করে কোমরের কাছাকাছি বা নিতম্ব পর্যন্ত নিয়ে এসে একই পাশের হাত দিয়ে গোড়ালিকে ধরতে হবে।মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবো সামনের দিকে ঝুঁকা যাবে না।পায়ের গোড়ালিকে হাত দিয়ে নিতম্বের দিকে চেপে ধরুন যতক্ষণ না পর্যন্ত উরুর সামনে টান অনুভব করছেন।সমতল ভূমিতে শুয়ে কাঁধ, নিতম্ব এবং হাঁটু সোজা লাইন বরাবর রেখে এক পাশে আনতে হবে।
আমাদের এক হাত মাথার নিচে থাকবে এবং আমাদের অন্য হাত মুক্ত থাকবে।হাত দিয়ে গোড়ালি ধরে চাপ প্রয়োগ করতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত উরুর সামনে আপনি স্ট্রেচ বা টান অনুভব করেন। এক্ষেত্রে হাঁটু যেন শুরুতে যেমন কাঁধ বরাবর অবস্থানে ছিল, তেমনই থাকে – হাঁটু সামনে চলে আসলে প্রসারণ মাত্রা কমে যাবে।আর এগুলোই হচ্ছে হাটুর ব্যথা সারানো ব্যায়াম।
হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার
এবার আমরা জেনে নিব হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার সম্পর্কে।আমরা সবাই জানি হয়তো রসুন আমাদের শরীরের বাত-ব্যথা দূর করে থাকে। তাই আমাদের শরীরের জন্য রসুন ও খুব উপকারী।রসুন রান্নার স্বাদে পরিবর্তন আনা ছাড়াও, রসুন শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণাও দূরে রাখে। এবং কি আদা ও আমাদের শরীরের হাঁটুর ব্যথা কমাতে আদা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।রোজের জীবনযাপনে কিছু অনিয়মের কারণেই মূলত কাহিল হয়ে পড়ে হাঁটু।
তার মধ্যে অন্যতম খাওয়াদাওয়ায় কোনও নিয়ম না মানা। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক অনেকটাই দায়ী এর জন্য।তাই সুস্থ ভাবে চলাফেরা করতে খাবারদাবারে আনতে হবে বদল। শরীরের পেশি সবল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গরম ভাতে এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়াও কাঁচা রসুনও খেতে পারেন।-কাশি কমানো থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা সবেতেই আদা খুব উপকারী।
রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও, চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। আদা হাঁটুর ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী।সকালে ভেজানো বাদাম খান অনেকেই। এই অভ্যাস ভাল। তবে শুধু কাঠবাদাম খেলে হবে না।সঙ্গে খেতে হবে আখরোট আর কাঠবাদামও। এ ছাড়াও ডায়েটে রাখুন চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সিডসের মতো উপকারী কিছু বাদাম এবং বীজ। হাঁটুর ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।ঠান্ডা লাগা কমানো থেকে শরীরের আরও অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ফল।
শীত পড়তেই বাজার ছেঁয়েছে নানা ধরনের বাহারি ফলে। হাঁটুর ব্যথা সারাতে সেখান থেকেই বেছে নিতে পারেন বেরিজাতীয় কিছু ফল।শরীরের দেখাশোনায় অলিভ অয়েলের ভূমিকা বলা বাহুল্য। এই তেল ওমেগা ৩-র উৎস। এই তেলে রয়েছে ‘ওলিয়োক্যানথাল’ নামক উপাদান, যা হাঁটুর পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে কয়েক দিন অলিভ অয়েলে খাবার তৈরি করে খেতে পারি।হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার এগুলো।
শেষ কথা
তো আজকে আমরা জেনে নিলাম। হাটুর ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। এবং আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংগ আমাদের হাঁটু। আমাদের শরীরের কোনো অংশ কম না। সবকিছুরই প্রয়োজন আছে।বেশির ভাগ রোগী হাড়ক্ষয়ের কারণে হাঁটুব্যথা নিয়ে আসেন। এই সমস্যা পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি হয়।
এমন ব্যথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা সঠিক চিকিৎসা ও বিশেষ কিছু ব্যায়াম করলে ভালো উপকার পাবেন।অনেক সময় কোমরে বা পায়ের গোড়ালির নিচে ব্যথা হলেও সেই ব্যথা হাঁটুতে অনুভূত হতে পারে।যদি হাঁটুর তাপমাত্রা বেশি থাকে।তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url