কানের ইনফেকশনের লক্ষণ - কানের ক্যান্সারের লক্ষণ

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা জেনে নিব কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। আমাদের কানের ব্যথা বা ইনফেকশন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।তো চলুন জেনে নিই কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। বন্ধুরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে।
কানের ইনফেকশনের লক্ষণ - কানের ক্যান্সারের লক্ষণ
আমাদের শরীরের কোন অঙ্গই কম না। আমাদের কানের ব্যথা বা ইনফেকশন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কানের মধ্য অস্বস্তিকর ব্যথা বা কানের ভিতরে চাপ অনুভব করা এগুলো অনেক সমস্যা বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের পোস্ট। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কানের ইনফেকশনের লক্ষণ-কানের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে।

ভূমিকা

ওটিটিস মিডিয়া হল কানের মধ্যভাগের ইনফেকশন, যেটা প্রদাহের কারণ হয় ও কর্ণপটহের অন্তরালে তরল তৈরি করে। এটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা নাসোফারিঙ্গাইটিস গলা ব্যথা, বা শ্বাসের সংক্রমণের কারণে হয়। শরীরের যে কোন অংশ অবশ অথবা ঝিনঝিন, কানে শুনতে সমস্যা হলে, মাথা ঘোরার সমস্যা ইত্যাদি এসব হলে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে- এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম।

পালসাটাইল টিনিটাসের সবচেয়ে সাধারণ শিরার কারণ হল সৌম্য ইন্ট্রাক্রানিয়াল হাইপারটেনশন , যা সিউডোটামুর সেরিব্রি সিন্ড্রোম নামেও পরিচিত, একটি অবস্থা যা অন্যান্য স্নায়বিক লক্ষণের অনুপস্থিতিতে ইন্ট্রাক্রানিয়াল চাপ বৃদ্ধির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বয়সের শাখা জুড়ে বিকাশ হতে পারে, ছয় থেকে পনেরো মাস বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি সহজগ্রাহী হয়। প্রায় 75 শতাংশ বাচ্চা তিন বছর বয়সের আগেই বিশেষত একবার কানের ইনফেকশনে ভোগে।

কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিব।শীতে কানে ইনফেকশনের সমস্যা বেড়ে যায়। ছোট-বড় সবাই এটা বেশি ব্যবহার করা।সর্দি-কাশির সমস্যার ঠিক চিকিৎসা না করা।মাথায় খুশকি বেড়ে যাওয়া।সাঁতার কাটা বা স্নান করার সময় কানে জল ঢুকে যাওয়া।গলা ও নাকে হওয়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে।এটি একটি সাধারণ সমস্যা। ছোট বাচ্চাদের এটি বেশি হতে দেখা যায়। খুব কম বাচ্চাই আছে যাদের জীবনে এ অভিজ্ঞতা হয় না। 

কানের এ ইনফেকশন থেকে সাধারণত কান পাকা রোগের সৃষ্টি হয়। ছোটদের কানের ইনফেকশনের ঠিকমতো ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হলে অথবা ঘনঘন ইনফেকশন হতে থাকলে এ সময় কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। যদি এর সঙ্গে নাকের প্রদাহ অথবা ক্রনিক টনসিল ও এডেনয়েডের সমস্যা যোগ হয়।
তাহলে কানের পর্দা ফাটা ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায়। এ রোগীদের কান দিয়ে পুঁজ-পানি পড়ে এবং কানে ব্যথা হয়। ধীরে ধীরে এরা কানে কম শুনতে শুরু করে। একপর্যায়ে এর সঙ্গে মাথা ঘুরানো যোগ হয়।

কানে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ দূর করার উপায়

এবার আমরা জানবো কানে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ দূর করার উপায় সম্পর্কে।টিনিটাস এবং মাংশপেশীর জটিলতার এক যোগসূত্র রয়েছে; যেমন মাংশপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং মায়োফেশিয়াল ট্রিগার পয়েন্ট ডেভেলপ করা। এসব ইমপেয়ারমেন্ট এর উপস্থিতির কারনে কানের আশেপাশে সোমাটোসেন্সরি পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, যা ঝি ঝি অনুভুতির জন্য দায়ী।কানে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।টিনেটাস রোগের সমস্যা কানের মধ্যে হলেও এর উৎপত্তিস্থল মস্তিষ্ক।

আমাদের মস্তিষ্ক অনেক নার্ভ দিয়ে গঠিত। একেক নার্ভের কাজ একেক রকম। মস্তিষ্কের যে অংশ দিয়ে শব্দ প্রক্রিয়াজাত করা হয় সেই অংশের নাম হল অডুটরি করটেক্স। আর এই অংশের মধ্যে থাকে অষ্টম ক্রেনিয়াল নার্ভ ভেসটিবুলো কোকলিয়ার। এই নার্ভের সমস্যা হলে টিনেটাস হয়ে থাকে।এছাড়াও অন্তঃকর্ণের কোষের সমস্যার কারণে টিনেটাস হতে পারে। আমাদের কানের ভেতর ক্ষুদ্র লোম আছে যেগুলো শব্দ তরঙ্গের সাথে নড়াচড়া করে।

এই কোষগুলো এক ধরণের ইলেকট্রিকাল সিগন্যাল অষ্টম ক্রেনিয়াল নার্ভের মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে পাঠায়। মস্তিষ্ক এই সিগন্যালের প্রতিক্রিয়া রূপে সিগন্যাল পাঠায়। এজন্য আমরা শব্দ শুনতে পাই।যদি এই লোমগুলো ছিঁড়ে যায় বা সঠিকভাবে কাজ করতে না পারা জন্য এবং কাজে অনিয়মের জন্য। যার ফলে ভুল এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল পৌঁছায়।  যার ফলে টিনেটাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এ সময় কানে ঝি ঝি ভো ভো শব্দ শুনতে পায়।

এছাড়াও উচ্চ শব্দ স্বর, কানে ময়লা জমা হলে এবং কানের মধ্যে এবনরমাল বোন বেড়ে গেলেও টিনেটাস হতে পারে।পালসাটাইল টিনিটাসের সবচেয়ে সাধারণ শিরার কারণ হল সৌম্য ইন্ট্রাক্রানিয়াল হাইপারটেনশন , যা সিউডোটামুর সেরিব্রি সিন্ড্রোম নামেও পরিচিত, একটি অবস্থা যা অন্যান্য স্নায়বিক লক্ষণের অনুপস্থিতিতে ইন্ট্রাক্রানিয়াল চাপ বৃদ্ধির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।কানে ঝিঁ ঝিঁ শব্দ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিলাম।

শরীরের কোনো অংশে অবশ অবশ লাগে বা ঝিমঝিম করে, কানে শুনতে অসুবিধা হলে বা কানে না শুনতে পেলে, মাথা ঘোরার সমস্যা হলে, এক সপ্তাহের বেশি সময় টিনিটাস থাকলে, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা- এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কানের ইনফেকশনের লক্ষণ

এবার আমরা জেনে নিব কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে।ওটিটিস মিডিয়া হল কানের মধ্যভাগের ইনফেকশন, যেটা প্রদাহের কারণ হয় ও কর্ণপটহের অন্তরালে তরল তৈরি করে। এটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা নাসোফারিঙ্গাইটিস গলা ব্যথা, বা শ্বাসের সংক্রমণের কারণে হয়। যদিও সংক্রমণটি বয়সের শাখা জুড়ে বিকাশ হতে পারে, ছয় থেকে পনেরো মাস বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি সহজগ্রাহী হয়। প্রায় 75 শতাংশ বাচ্চা তিন বছর বয়সের আগেই বিশেষত একবার কানের ইনফেকশনে ভোগে।

কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিব।শীতে কানে ইনফেকশনের সমস্যা বেড়ে যায়। ছোট-বড় সর্দি-কাশির সমস্যার ঠিক চিকিৎসা না করা।মাথায় খুশকি বেড়ে যাওয়া।সাঁতার কাটা বা স্নান করার সময় কানে জল ঢুকে যাওয়া।গলা ও নাকে হওয়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে।এটি একটি সাধারণ সমস্যা। ছোট বাচ্চাদের এটি বেশি হতে দেখা যায়। খুব কম বাচ্চাই আছে যাদের জীবনে এ অভিজ্ঞতা হয় না। কানের এ ইনফেকশন থেকে সাধারণত কান পাকা রোগের সৃষ্টি হয়।

ছোটদের কানের ইনফেকশনের ঠিকমতো ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হলে অথবা ঘনঘন ইনফেকশন হতে থাকলে এ সময় কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। যদি এর সঙ্গে নাকের প্রদাহ অথবা ক্রনিক টনসিল ও এডেনয়েডের সমস্যা যোগ হয় তাহলে কানের পর্দা ফাটা ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায়। এ রোগীদের কান দিয়ে পুঁজ-পানি পড়ে এবং কানে ব্যথা হয়। ধীরে ধীরে এরা কানে কম শুনতে শুরু করে। একপর্যায়ে এর সঙ্গে মাথা ঘুরানো যোগ হয়।কটন বাড বা এ ধরনের কোনো কিছু দিয়ে কান চুলকাবেন না।

এতে কানের পর্দা ফেটে গিয়ে কানে শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে। কানে ময়লা জমলে তা বের করতে কাঠি ব্যবহার না করে অলিভ অয়েল দিন। এতে কানের ময়লাও বের হবে, পর্দাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

ঢোক গিলতে কানে শব্দ 

এবার আমরা জানবো ঢোক গিলতে কানে শব্দ সম্পর্কে।ঢোক গিললে শব্দ হওয়া অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক। হাতের ৫টি আঙ্গুল তো আর সমান হয় না। এটা আপনার কানের ময়লার কারণে হতে পারে আবার এমনিতেও হতে পারে। ওজন আধিক্য, হৃদরোগের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপসহ নানা কারণে কানে শব্দ শোনা বাড়তে পারে। ফলে অবসাদ, মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, কাজে অমনোযোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা, উদ্বেগ, মাথাব্যথা, এমনকি পারিবারিক জীবনে সমস্যা হতে পারে। 

কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ কিছু নিয়ম মেনে চললে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।ঢোক গিলতে কানে শব্দ সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।আপনি যখন গিলতে, চিবিয়ে বা হাই তোলেন, তখন ইউস্টাচিয়ান টিউব যা আপনার গলার পিছনের কানের সাথে সংযোগ করে আপনার কানের ভিতরের চাপকে বাইরের পরিবেশের মতোই হতে দেয়। এটি চাপকে সমান করে এবং প্রায় শব্দের মতো পপিং ঘটতে পারে।কানে তুলা বা কাপড় দিয়ে চুলকানো বা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা।

আমাদের খুব সাধারণ ভুল গুলোর মধ্যে মারাত্মক একটি হলো কান পরিস্কারের চেষ্টা করা।কান গঠনগত ভাবেই ময়লা বের করে দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন । যে কানে ময়লা অনুভূত হয় রাতে সে কান নিচের দিকে রেখে ঘুমালে আপনা থেকেই তা বের হয়ে আসে।কানে কাপড় বা তুলা প্রবেশ করালে তা ময়লাকে আরো ভিতরের দিকে ঠেলে দেয়। এবং পরিস্থিতি আরো জটিল করে ফেলে, কারণ কাপড়ের সাথে বারিবের  ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ঢুকে যায়।

কানের মধ্যভাগে যেসব অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, মধ্য কানের হাড় মোটা হয়ে যাওয়া, কানের মধ্যে অতিরিক্ত ময়লা জমা (ইয়ার ওয়াক্স), কানের ক্যানসার, টিএমজি আর্থাইটিস, নেক ইনজুরি, অ্যান্টিবায়োটিকস, ওয়াটার পিল এবং অ্যান্টিডিপ্রেসিভ ড্রাগ থেকেও কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ বা টিনিটাস হতে পারে। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ থেকেও কানের মধ্যে শব্দ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই কোন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

হিয়ারিং টেস্ট করে অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যার কারণ জানা যায়। এছাড়া অনেক সময় চিকিৎসক সমস্যা নিরূপণ করে চিকিৎসা দেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কানের ক্যান্সারের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো কানের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে।কানে এক ধরনের বিরল ক্যান্সার হওয়ার উপসর্গ হল কানে ব্যথা হওয়া। প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে, কানের যেকোন তিনটে অংশে ব্যথা হতে পারে কানের একদম ভিতরে, মাঝামাঝি অংশে বা একেবারে কানের বাইরে অংশে। ইংল্যান্ডে ১০ লক্ষের মধ্যে অন্তত এক জন কানের মধ্যখানে ব্যথা হয়ে কানের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যাদের বিগত ১০ বছরের মধ্যে কানে ইনফেকশন হয়েছে।

তাদের এই বিরল ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদের বিশেষত কানের মাঝখানে ক্যানসার হয়।কানের বাইরে, মাঝখানে এবং ভিতরে ক্যানসারের ভিন্ন রকমের উপসর্গ থাকে। এমনই জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্যানসার রিসার্চের এক গবেষক। কানের বাইরের অংশের ক্যানসার এক ধরনের গোলাপি রংয়ের পিণ্ড তৈরি হয়।কানের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিব।প্রতিনিয়ত ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর পরিসংখ্যান আরও ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।

তবে ক্যানসারের চিকিৎসা জটিল হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। শুরুতেই যদি আমরা সতর্ক হই, ক্যানসার যদি খুব দ্রুত নির্ণয় করা যায়, তাহলে দেখা যায়, তাদের পাঁচ বছরের যে সার্ভাইভাল সেটি অনেক বেশি হয়। শুরুতেই মানুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। এবং তখন যা হয়, দেরিতে রোগ নির্ণয় হয় এবং শেষ দিকে ভালো কিছু হওয়ার থাকে না। মনে রাখতে হবে।

হেলথ কেয়ার এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তামাক ও মদ্যপান মূল কারণ বিবেচ্য হলেও আমাদের দেশের জন্য পান-সুপারি-জর্দা অনেকাংশে দায়ী। বলা হয়ে থাকে নাক-কান-গলার ক্যানসারের মধ্যে ৭৫ শতাংশই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে হয়। বেশির ভাগ ওরোফ্যারেনজিয়াল ক্যানসারের প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হলো তামাকের ব্যবহার। মদ্যপানের সঙ্গে ধূমপান যৌথভাবে ওরোফ্যারেনজিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়াতে পারে।

কানের পর্দা ফাটার লক্ষণ

এবার আমরা জানবো কানের পর্দা ফাটার লক্ষণ সম্পর্কে।বড়দের ক্ষেত্রে কান পাকা রোগটি সাধারণত ছোটোবেলা থেকেই শুরু হয়ে থাকে। তাদের হয় ছোটোবেলা থেকেই কানের পর্দা ফাটা থাকে অথবা ইউস্টেশিয়ান টিউবের কার্যক্ষমতা ব্যবহৃত হওয়ার জন্য কানের পর্দা আগে থেকেই দুর্বল থাকে। অনেক সময় দেখি কানের ভেতর পানি গেলে কান পাকা শুরু হয়। আপাতত দৃষ্টিতে তাই মনে হয়; কিন্তু কানের ভেতরে পানি গেলে কান পাকা রোগ শুরু হওয়ার কথা নয়।

অবশ্য কানের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হলে সুস্থ পর্দাও ফেটে যেতে পারে। যেমনটি হতে পারে কানে ভালোমতো থাপ্পড় লাগলে। অল্প সর্দি-কাশিতে কানের পর্দা ফেটে গিয়ে পুঁজ-পানি বের হচ্ছে। কানের পর্দা সুস্থ থাকলে এ রকম হওয়ার কথা নয়। বয়স্ক রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোটোবেলা থেকে কানের পর্দা দুর্বল থাকে অথবা ক্রমাগত নাক বা সাইনাসের প্রদাহের কারণে ।কানের পর্দা ফাটার লক্ষণ সম্পর্কে জানাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অল্প সর্দি-কাশিতে কানের পর্দা ফেটে গিয়ে পুঁজ-পানি বের হচ্ছে। কানের পর্দা সুস্থ থাকলে এ রকম হওয়ার কথা নয়। বয়স্ক রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোটোবেলা থেকে কানের পর্দা দুর্বল থাকে অথবা ক্রমাগত নাক বা সাইনাসের প্রদাহের কারণে বা ক্ষেত্রবিশেষে টনসিলের ক্রমাগত প্রদাহের কারণে কানের পর্দা দুর্বল হয়ে যায়।পর্দা ফাটা থাকলে অবশ্যই কান শুকনা রাখতে হবে। কানের ভেতর যেন পানি না যায়। গোসল করার সময় তুলাতে তেল দিয়ে।

ভিজিয়ে তারপর তুলা চিপে কানে দিয়ে গোসল করতে হবে। কোনো সময়ই পানির তলে সাঁতার কাটা যাবে না বা পানিতে ঝাঁপ দেয়া যাবে না। কানে ইনফেকশন থাকলে কানটি ঠিকমতো পরিষ্কার করা দরকার এবং তারপর কানে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হয়।কান পরিষ্কার করা জরুরি এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এটি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কদাচিৎ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে বা ইনজেকশন দেওয়া লাগতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ কান শুকনা অবস্থায় কানে দেয়া নিষেধ- এটি কানে মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলতে পারে, এমনকি কানে শোনা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাজেই শুকনা কানে ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করার প্রবণতা অবশ্যই দূর করতে হবে।কানে শোনা এবং কানের অন্যান্য ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য অডিওগ্রাম করানো দরকার। এতে বোঝা যায় কান কতখানি নষ্ট হয়েছে।

অনেক সময় সমস্যা আমরা বুঝতে পারি না; কিন্তু ভেতরে ভেতরে কানের ক্ষতি হতে থাকে এবং শ্রবণশক্তি ক্রমাগত কমতে থাকে। কাজেই প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর কানের হেয়ারিং টেস্ট করে শ্রবণশক্তির পরিমাণ রেকর্ড করা উচিত।

কানে ঘা হলে করণীয় 

এবার আমরা জেনে নিই কানে ঘা হলে করণীয় সম্পর্কে।কান পরিষ্কার না করা।হেডফোন বা ইয়ারবাডস বেশি ব্যবহার করা।সর্দি-কাশির সমস্যার ঠিক চিকিৎসা না করা।মাথায় খুশকি বেড়ে যাওয়া।সাঁতার কাটা বা স্নান করার সময় কানে জল ঢুকে যাওয়া।গলা ও নাকে হওয়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে। সাধারণত কানে ব্যথা বা কান ভারী ভারী লাগলে আমরা খোচাখুচি করি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন কানে ব্যথা, কান ভারী লাগা বা কানের সমস্যার পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে।

কোন ইনফেকশন।সাধারণত কানের বাইরের দিকে বা মিড্‌ল ইয়ারেই ইনফেকশন হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দি কানের দিকে চলে গিয়ে ইনফেকশন বাধায়। বড় থেকে বাচ্চা সকলেরই কানের ইনফেকশন হতে পারে। এখন শরীর সুস্থ রাখতে অধিকাংশ লোকই সাঁতার কাটে। তারপরে কান পরিষ্কার করতে ইয়ার বাড ব্যবহার করা হয়। ফলে খুব সহজেই কানে ব্যাকটিরিয়া প্রবেশ করে ও ইনফেকশন হতে পারে।

এক্সটার্নাল ইয়ারে তখন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।অনেকেরই স্বভাব থাকে কটন বাড দিয়ে সারাক্ষণ কান পরিষ্কার করার। সেটা আরও বিপজ্জনক। মনে রাখতে হবে, সেগুলো হল কটন বাড। ইয়ার বাড নয়। প্রত্যেকের কানেই একটা ওয়্যাক্সের স্তর থাকে, যা কানের অন্দরমহলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ঘন ঘন কটন বাড দিয়ে কান খোঁচালে সেই স্তর নষ্ট হয়ে যায়।কানে ঘা হলে করণীয় কি আমাদের জেনে নিই।
এটি কানের একটি ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন যা কানের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে নষ্ট করে দেয়, কান কখনও শুকায় না, প্রায়ই কানে ব্যথা থাকে এবং কানের শ্রবণক্ষমতা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এক সময় এ সমস্যা অন্তঃকর্ণে (কানের ভেতরের অংশ) চলে গেলে তীব্র মাথা ঘুরা শুরু হয়। এ ইনফেকশন ব্রেনে চলে গেলে স্ট্রোক, সেরিব্রাল অ্যাবসসেস এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম কানের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য কানের ও অনেক ভূমিকা রয়েছে।অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমাদের কান। আমাদের কানের ইনফেকশন বা ব্যথা আমাদের মাথার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। তো বন্ধুরা আমরা আজকের পোস্টটিতে কান সম্পর্কে অনেক ধারণা দিলাম।তো আপনাদের যদি আমাদের পোস্টগুলো পড়ে ভালো লেগে থাকে। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#