কোমর ব্যথা কেন হয় -কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠকেরা আজকে আমরা জেনে নিব কোমর ব্যথা কেন হয়। তো আজকে আমরা জানতে চলেছি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গের বিষয়ে আর সেইটা হলো কোমর ব্যথা কেন হয়। কোমর ব্যথা এখন প্রায় সব মানুষেরই সাধারন সমস্যা।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমর ব্যথা কেন হয় তা সম্পর্কে।
কোমর ব্যথা কেন হয় -কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ
কোমর ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে মেরুদন্ডের স্ট্রেন এবং মোচ। আমাদের মেরুদণ্ডের মাঝখানে থাকা ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়।এছাড়াও আমাদের ফিটনেসের অবনতি হলে আমরা হাঁচি কাশি দিলে বা নিচু হলেই আমাদের পিঠে চাপ পড়ে আর সেজন্যই আমাদের কোমর ব্যথা হতে পারে।তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক কোমর ব্যথা কেন হয় -কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ তা সম্পর্কে।

ভূমিকা

কোমর ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল মেরুদন্ডের স্ট্রেন এবং মোচ। আমাদের ফিটনেসের অবনতি হলে, কিছু লোক হাঁচি, কাশি, মোচড়ানো বা নিচু হলেই করে তাদের পিঠে চাপ পড়ে ও কোমর ব্যথা হতে পারে। কোমর ব্যথা কেন হয় সে সম্পর্কে অনেক কিছু।মেরুদণ্ডের হাড়গুলি দুর্ঘটনার সময় ভেঙে যেতে পারে যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা পড়ে যাওয়ার পর।এর ফলে আমাদের শরীরের মেরুদন্ডের কশেরুকা পিছলে সামনে বা পিছনে চলে যেতে পারে। এছাড়া কশেরুকা ভেঙ্গে যেতে পারে বাইরে কখনো কশেরুকার সংযোগস্থলে বা আর্চে ফ্র্যাকচার হতে পারে।

কোমর ব্যথার একটি অন্যতম কারণ ডিস্ক হল আমাদের মেরুদন্ডের কুশন। এটি মেরুদন্ডকে যে কোন অবস্থায় শক নেয়া বা চাপ নেয়ায় সহায়তা করে। ডিস্কগুলি মেরুদণ্ডে তাদের অবস্থান থেকে স্ফীত হয়ে জেলি বের হয়ে যায় ফলে মেরুদন্ডের স্নায়ুতে চাপ পড়তে পারে।বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে বয়সের সাথে, ডিস্কগুলি শুকিয়ে যেতে থাকে, ডিস্কের স্পেস কমে যায় এবং তারা মেরুদন্ডকে কম সুরক্ষা দিতে পারে, যাকে ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগ বলে।

মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস নামক একটি অবস্থা তখন ঘটে যখন মেরুদণ্ডের কলামটি মেরুদণ্ডের জন্য খুব সংকীর্ণ হয়। মেরুদণ্ডে চাপ পড়ার ফলে সায়্যাটিক স্নায়ুর তীব্র ব্যথা এবং পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে। আজকে আমাদের কনন্টেনটির ম্যধমে আপনাদের জানাবো কোমর ব্যথা কেন হয়।মেরুদন্ডে অস্টিওআর্থারাইটিস হল পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ ধরনের বাত। এটি বয়সের সাথে সম্পর্কিত। 
এছাড়া আমাদের ফিটনেসের অবনতি হলে, কিছু লোক হাঁচি, কাশি, মোচড়ানো বা নিচু হলেই করে তাদের পিঠে চাপ পড়ে ও কোমর ব্যথা হতে পারে।মেরুদণ্ডের মাঝখানে থাকা ডিস্কেদীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে একটানা কাজ করার ফলে পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে একটানা কাজ করার ফলে পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে।

কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ

আজকে আমরা জেনে নিব কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ সম্পর্কে।একটি স্নায়ু রয়েছে, যা মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ থেকে উৎপত্তি হয়ে ঊরুর পেছন দিক দিয়ে হাঁটুর নিচের মাংসপেশির মধ্য দিয়ে পায়ের আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত। যখন কোনো কারণে এই নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে তখন কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে যায়।স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে তখন কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে যায়, এটাকে ডাক্তারি ভাষায় সায়টিকা বলা হয়।কোমর ও পায়ে ব্যথা অতিপরিচিত একটি সমস্যা হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের এ সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়।

কোমর ব্যথা ও হাঁটতে গেলে পায়ে ঝিনঝিন করতে পারে। এসময় হাঁটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আর ডায়াবেটিক রোগীদের এমন সমস্যা দেখা দিয়ে তো সেটি আরও বিপদের কারণ। কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমানো রোগকে আরও জটিল ও জীবনসংহারী করে তুলতে পারে। এ রোগীদের তলপেট ও পায়ের রক্তনালি সংকুচিত বা ব্লক হয়ে পায়ের আঙুলে পচন সৃষ্টি করে। অপারেশন করে নষ্ট এ অংশ কেটে ফেলা ছাড়া তখন আর কোনো উপায় থাকে না।

অনেকের বসা অবস্থায় কোমর ব্যথা ও হাঁটতে গেলে পা ভার ও ঝিনঝিন ভাব করে। হাঁটা আরও বেশি হলে বা দৌড়ালে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। এ রোগীদের দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিক রোগীদের এ সমস্যা হলে তারা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যান এবং বছরের পর বছর ব্যথা নিরাময়ের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ এবং কোমর ও পায়ের এক্সারসাইজ করেন। ব্যথা না করলে অনেকে আবার নিজেরাই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাই।

মাংসপেশি শিথিলকরণের ওষুধ ও নার্ভের বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকেন।তাই শরীরে সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নার্ভ শরীরের যেকোনও স্থানে কোনও সমস্যা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে স্নায়ুর বিভিন্ন কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। যার একটি অন্যতম প্রকাশ ব্যথা। ঘাড় থেকে যে নার্ভগুলি হাতের দিকে বেরিয়ে আসে ও কোমর থেকে যে নার্ভ পায়ের দিকে বেরিয়ে যায়সেগুলি ঘাড়ে বা কোমরে কোনও কারণে ড্যামেজ হলে বা চাপ পড়লে তা থেকে ব্যথার উৎপত্তি হয়।

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ

এবার আমরা জেনে নিব অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে।প্রথমে কোমরে হালকা ব্যথা থাকলেও সময়ে বাড়ে। অনেক সময় আমাদের হাঁটাহাঁটি বেশি হয় কোমর থেকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।বসার চেয়ার টেবিল ঠিকমতো না হলে বা ঠিকমতো না বসলে বা সামনে-পেছনে ঝুঁকে বসলে কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে।অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ এগুলো।যারা শুয়ে বা কাত হয়ে বই পড়েন বা অন্য কাজ করেন, তাদের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অল্প বয়সেই কোমর ব্যথা অনুভূত হয়।আমরা অনেকেই আছি যারা কোনো ভারী জিনিস সঠিক নিয়মে তোলেন না।

ফলে মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিক চাপ পড়ে এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যথা হয়।অল্প বয়সে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হচ্ছে অ্যাংকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস।এই রোগে আক্রান্ত হলে মূলত রোগীর মেরুদণ্ড বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কোমর ব্যথা এই রোগের প্রধান উপসর্গ।কোমরের সঙ্গে ব্যথা থাকে হাত-পায়ের গিরা, গোড়ালি, রগ অথবা রগ ও হাড়ের সংযোগস্থলও।শরীরের এমন ব্যথা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি তীব্র থাকে। 

এরপর রোগী ধীরে ধীরে দিনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার পর এ ব্যথা কমতে থাকে। ব্যথার তীব্রতা অনেক সময় এতই বেশি হয় যে রাতে রোগীর ঘুম প্রায়ই ভেঙে যেতে পারে। রোগী ব্যথার স্থানে জড়তা অনুভব করে, সহজে ব্যথাযুক্ত স্থান নাড়াতে পারে না।ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড শক্ত বা আড়ষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হিপ জয়েন্ট অকার্যকর হতে পারে। তাই অল্প বয়সে কোমর ব্যথা তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আমাদের শরীরের জন্য।ব্যথার তীব্রতা অনেক সময় এতই বেশি হয় যে রাতে রোগীর ঘুম প্রায়ই ভেঙে যেতে পারে। রোগী ব্যথার স্থানে জড়তা অনুভব করে, সহজে ব্যথাযুক্ত স্থান নাড়াতে পারে না।ব করে। হাঁটা আরও বেশি হলে বা দৌড়ালে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। অল্প বয়সে কোমর ব্যথা কারণ হলো এ রোগীদের দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিক রোগীদের এ সমস্যা হলে তারা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যান।

এবং বছরের পর বছর ব্যথা নিরাময়ের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ এবং কোমর ও পায়ের এক্সারসাইজ করেন।এরপরও ব্যথা না কমলে তারা হতাশ হয়ে পরে নিজেরাই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ব্যথার ওষুধ, মাংসপেশি শিথিলকরণের ওষুধ ও নার্ভের বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকেন। এর এক পর্যায়ে তাদের পা ও আঙুল কালো বর্ণ ধারণ করে থাকে।

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ ও তার সম্পর্কে।ডিস্ক ফেটে জেলি বের হয়ে স্নায়ু না নার্ভকে চাপ দেয়া, এবং মেরুদন্ডের কশেরুকার অবস্থা পরিবর্তনের কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।কোমর ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল মেরুদন্ডের স্ট্রেন এবং মোচ। আপনি খুব ভারী কিছু উত্তোলন করে বা নিরাপদে উত্তোলন না করে পেশী, টেন্ডন বা লিগামেন্টকে আঘাত করতে পারেন। এছাড়া আপনার ফিটনেসের অবনতি হলে, কিছু লোক হাঁচি, কাশি, মোচড়ানো বা নিচু হলেই করে তাদের পিঠে চাপ পড়ে ও কোমর ব্যথা হতে পারে।

এই গুরুতর বিষয় নিয়ে জানবো যে কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ।মেরুদণ্ডের হাড়গুলি দুর্ঘটনার সময় ভেঙে যেতে পারে, যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা পড়ে যাওয়ার পর। এর ফলে মেরুদন্ডের কশেরুকা পিছলে সামনে বা পিছনে চলে যেতে পারে।কোমর ব্যথার একটি অন্যতম কারণ। ডিস্ক হল আমাদের মেরুদন্ডের কুশন। এটি মেরুদন্ডকে যে কোন অবস্থায় শক- নেয়া বা চাপ নেয়ায় সহায়তা করে। ডিস্কগুলি মেরুদণ্ডে তাদের অবস্থান থেকে স্ফীত হয়ে জেলি বের হয়ে যায় ।

ফলে মেরুদন্ডের স্নায়ুতে চাপ পড়তে পারে। তারা সরে যেতে পারে বা ছিঁড়ে জেল বের হয়ে যেতে পারে যা হার্নিয়েটেড ডিস্ক নামে পরিচিত।কিডনিজনিত ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। এটি পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হওয়ার কথা। এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথা থেকে থেকে আসে, শোয়া-বসা বা কোনো কিছুতেই আরাম মেলে না।কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ সাধারণত বিশ্রাম ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ভালো হয়।

বন্ধ করলে ব্যথা আবার ফিরে আসে।  ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজি।শরীরের ওজন বেড়ে গেলে কোমরে ব্যথা হয়। বিভিন্ন কঠিন রোগের লক্ষণ হিসেবেও পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে।অনেক সময় পেশিতে টান, আঘাত বা চাপের কারণে পিঠে বা পিঠে ব্যথা হয়।

কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায়

এবার আমরা জেনে নিব কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে।কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।গুড়াঁ দুধের সঙ্গে মেথি বীজের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যথার জায়গায় ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়।ব্যাক পেইনের সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। অনেকেই এ ধরনের ব্যথা কমাতে মুঠো ভরে পেইনকিলার। পেন কিলার ওষুধ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য সরষে দিলেও  ব্যথা কিন্তু চিরস্থায়ী ভালো করতে পারে না।

নারকেল তেলে কর্পুর মিশিয়ে গরম করে নিন। এরপর ঠান্ডা করে ওই তেল কোমরে ব্যবহার করুন কয়েকবার। দেখবেন ব্যথা মুহূর্তেই সেরে যাবে।ব্যাক পেইন কমানোর আরও একটি উপায় হলো নীলগিরি তেল ব্যবহার। ব্যথার স্থানে এই তেল মালিশ করলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।কোমরে ব্যথা কমাতে চাইলে দিনে দু’বার গরম সেঁক দিন।সরিষার তেলের মধ্যে রসুন কুচি মিশিয়ে গরম করে ব্যবহার করলেও শরীরের যে কোনো ব্যথা থেকেই দ্রুত নিস্তার মেলে।

গরম দুধে কাঁচা হলুদ বা হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করার অনেক উপকারিতা আছে। ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে হলুদ দুধ।আদার চায়েরও রয়েছে অনেক গুণ। কোমর ব্যথা কমাতে আদার চাও অনেক উপকারী।পান পাতায় ঘি লাগিয়ে তারপর সেটি গরম করে পিঠে বা কোমরে কিছুক্ষণ সেঁক দিন। দেখবেন ব্যথা কমবে দ্রুত।খুব অল্প সময়ে সহজে করা যায় এমন কিছু ব্যায়ামের কথাই জানা যাক। এই ব্যায়াম প্রতিদিন রাতে ও সকালে বিছানায়কোমরের সঙ্গে ব্যথা থাকে।

হাত-পায়ের গিরা, গোড়ালি, রগ অথবা রগ ও হাড়ের সংযোগস্থলও।শরীরের এমন ব্যথা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি তীব্র থাকে। এরপর রোগী ধীরে ধীরে দিনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার পর এ ব্যথা কমতে থাকে। ব্যথার তীব্রতা অনেক সময় এতই বেশি হয় যে রাতে রোগীর ঘুম প্রায়ই ভেঙে যেতে পারে। রোগী ব্যথার স্থানে জড়তা অনুভব করে, সহজে ব্যথাযুক্ত স্থান নাড়াতে পারে না।

ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড শক্ত বা আড়ষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হিপ জয়েন্ট অকার্যকর হতে পারে। তাই অল্প বয়সে কোমর ব্যথা তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত আমাদের শরীরের জন্য।ব্যথার তীব্রতা অনেক সময় এতই বেশি হয় যে রাতে রোগীর ঘুম প্রায়ই ভেঙে যেতে পারে। রোগী ব্যথার স্থানে জড়তা অনুভব করে, সহজে ব্যথাযুক্ত স্থান নাড়াতে পারে না।ব করে। হাঁটা আরও বেশি হলে বা দৌড়ালে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। অল্প বয়সে কোমর ব্যথা কারণ হলো এ রোগীদের দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিক রোগীদের এ সমস্যা হলে তারা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যান এবং বছরের পর বছর ব্যথা নিরাময়ের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ এবং কোমর ও পায়ের এক্সারসাইজ করেন।এরপরও ব্যথা না কমলে তারা হতাশ হয়ে পরে নিজেরাই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ব্যথার ওষুধ, মাংসপেশি শিথিলকরণের ওষুধ ও নার্ভের বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকেন। এর এক পর্যায়ে তাদের পা ও আঙুল কালো বর্ণ ধারণ করে থাকে।

কোমরের ডান পাশে ব্যথা হলে করনীয়

এবার আমরা জানবো কোমরের ডান পাশে ব্যথা হলে করনীয় কি আমাদের।মাজার ডান পাশ্বে ব্যথা, দাঁড়ালে বসলে যন্ত্রনা করে কোমরের ডান পাশে হাড় ও মেরুদণ্ডে ব্যথা |কোমরের ডান পাশে ব্যথার বেশিরভাগ কারণের মধ্যে হাড় এবং পেশী জড়িত যা মেরুদণ্ডের কলামকে সরিয়ে দেয়। অন্যান্য অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা কখনও কখনও কোমরের ডান পাশে ব্যথার কারণ হয়।কিডনিতে পাথর মেরুদন্ড-সম্পর্কিত কোমরের ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। কিডনির পাথর মূত্রনালীর ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ও ব্যাথা হয়ে থাকে।

কিডনির অবস্থানের উপর নির্ভর করে কিডনিতে পাথরের ব্যথা কোমরের বাম বা ডান দিকে হবে।অস্বাভাবিক হাড়ের বৃদ্ধি আর্থ্রাইটিস, আগের ট্রমা বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। যখন স্পার্স ডান দিকের জয়েন্টে বিকশিত হয়, তখন কোমরের ডান দিকের ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে।স্কোলিওসিস হ’ল মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিক বক্রতা। অস্বাভাবিক বক্ররেখার কারণে পেশী টানটান হতে পারে এবং মেরুদণ্ডের এক অংশে অতিরিক্ত প্রসারিত হতে পারে এবং অন্য অংশে সংকুচিত হতে পারে।

স্কোলিওসিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোমরের ডান পাশে ব্যথা হয় সাধারণত।কোমরে ব্যথা অনেক কারনে হতে পারে। যেমনঃ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, পড়ে যাওয়া বা গাড়ি দুর্ঘটনার ফলে হতে পারে। কিন্তু প্রায়শই কোমরে ব্যথা হয় ভুলভাবে করা প্রতিদিনের কাজের ফল।কোনো বস্তুর কাছে পৌঁছানো বা তুলতে বাঁকানো, কম্পিউটারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই অবস্থানে বসে থাকা, ভ্যাকুয়ামে বাঁকানো এবং ভারি ব্যাগ তানা।
তবে সবচেয়ে ভালো খবর হলো সাধারন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করা এতটা কঠিন নয়।কোমর ব্যথা প্রতিরোধের জন্য আপনি করতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলির মধ্যে একটি উঠা এবং নড়াচড়া করা। ব্যায়াম কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করার আরেকটি কারণ হল ব্যায়াম আপনাকে আপনার ওজন কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে ।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম। কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং কোমরের ব্যথা সারানো যায় কিভাবে সেসব সম্পর্কে।কোমরে ব্যথা কমাতে চাইলে দিনে দু'বার গরম সেঁক দিন। এটি অনেক উপকারী।কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানালাম কোমর ব্যথা সম্পর্কে কিছু কথা।তো যদি আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং নিয়ম অনুযায়ী চলবেন।আর এইধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#