ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন তথ্য A to Z - ইউটিউব রুলস
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমরা চাই ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন তথ্য A to Z জানতে। কিন্তু পেরে ওঠা হয় না, ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন তথ্য A to Z তথ্য আমাদের পোস্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনার জানতে পারবেন ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন তথ্য A to Z। তো দেরি না করে চলুন আমরা শুরু করে দিই।
আমরা অনেকেই ইউটিউবে মার্কেটিং করতে চাই।কিন্তু বিষয়গুলো আমাদের অনেকের অজানা, ইউটিউবে কিভাবে মার্কেটিং করা যায়। আমাদের অনেকেরই অজানা কিভাবে ইউটিউবে মার্কেটিং করা যায়। আজকের আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আমি আশা করি,আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন। তাই মনোযোগ সহকারে এই পোস্ট পড়ুন।আমরা দেরি না করে চলুন শুরু করে দিই ইউটিউব দিয়ে কিভাবে মার্কেটিং করা যায়।
ভূমিকা
অনলাইনে যে সব মার্কেটিং করা হয় তা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত। ইউটিউব মার্কেটিং করে মাসে একটা মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের অনেকের ইচ্ছা থাকলেও কিন্তু সঠিক নিয়মে মার্কেটিং করতে না জানার জন্য আমরা ইউটিউব মার্কেটিং ঠিক করতে পারি না। আজকে এ পোস্টের মাধ্যমে আমরা ইউটিউব মার্কেটিং ও ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানবো। একটু মার্কেটিং কি কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায় কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
আরো পড়ুন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল ঠিকানা
সবকিছু আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো যা শেখার পরে আপনাদের অনেক উপকার হবে।আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি সেই চ্যানেলের মাধ্যমে মাসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন আজকে আমরা জেনে আসি ইউটিউবের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায়
Youtubeমার্কেটিংকি- কিভাবে YouTube মার্কেটিং করবেন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি জানেনyoutube মার্কেটিং কি- কিভাবে YouTube মার্কেটিং করবেন যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমাদের পোস্ট পরে সব কিছু জেনে যাবেন।কয়েক বছর আগে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য টিভি একটি ভালো মাধ্যম ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে বিজ্ঞাপন প্রচারে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম ইউটিউব।তাই আজকে আমরা জানবো youtube মার্কেটিং কি- কিভাবে YouTube মার্কেটিং করবেন।বর্তমান যুগে ইউটিউব এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রচার বা বিজ্ঞাপনের ভালো মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান শাখা ইউটিউব। ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার বা পণ্যের প্রচার করাই হলো youtube মার্কেটিং। আরো সহজ হবে বলতে গেলে ইউটিউবে আমরা অনেক কোম্পানি বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি মূলত সেগুলোই youtube মার্কেটিং। আমরা দুটি উপায়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে থাকি।- নিজে অন্যের ভিডিও বা সেবার ভিডিও বানিয়ে নিজের youtube চ্যানেলে দেওয়া, অথবা কিছু টাকা বিনিয়োগ করে অন্য ইউটিউবে দিয়ে ব্যবসার প্রচারণা বাড়ানো।
- অন্য কারো মাধ্যমে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে চাহিদা মাফিক টাকা দিয়ে প্রচারণা করা।
কিভাবে YouTube মার্কেটিং করবেন
ইউটিউব মার্কেটিং কি বিষয়টা আমাদের কাছে সহজ হয়ে গেলেও কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেন এই বিষয়টা খুব সহজ নয়। একটু মার্কেটিং করার জন্য কয়েকটা ধাপ পূরণ করতে হয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুনআমাদের অনেকের হয়তো অজানা ইউটিউব গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আমাদের প্রথমে গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যেটাকে আমরা জিমেইল অ্যাকাউন্ট বলে থাকি। জিমেইল অ্যাকাউন্ট ছাড়া আপনি কখনোই youtube সাইন আপ করতে পারবেন না।
ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করা
সাইনআপ করার পরেই আপনি ইউটিউব ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করলে ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে চ্যানেলের ইউজার নাম ব্র্যান্ড নাম বদল করে অন্য কিছু রাখতে পারেন। তারপরে মাই চ্যানেল, এরকম একটি বাটন আছে সেখানে ক্লিক করে মাই চ্যানেল অপশনটি চালু করে দিতে হবে।এরপর আপনার ইউটিউবের ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট কে আপনার ব্যবসার মতো করে সাজিয়ে তুলুন। আপনার চ্যানেলে পরিচিত গড়ে তুলতে আপনি আপনার একাউন্টে আইকন ও চ্যানেল আর্ট যোগ করতে পারেন।ব্যবসা অথবা পণ্য অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করা।
ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিওইউটিউব চ্যানেল তৈরি ও ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে আপনার পরর্বতী ধাপ হচ্ছে ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি।ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং শুরু হয়।ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে পরিকল্পনা অনুসারে ভিডিও তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ব্যবসা কোন ধরনের সেই অনুযায়ী ভিডিও বানাতে হবে। ভিডিওটা এমন ভাবে তৈরি করবেন যেটা দেখা মাত্র দর্শক আপনার পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনার ভিডিওটি তৈরি করতে হবে অল্প সময়ের মধ্যে কিন্তু ভিডিওটা এমন হবে ভিডিওটার মধ্যে সৃজনশীলতা থাকবে ও ইউনিক হবে।
ভিডিও এসইও অপ্টিমাইজ করা
আমরা সবাই এসইও সার্চ ইঞ্জিন কথাটি শুনে থাকলেও এসইও সার্চ ইঞ্জিন কি সেটা মূলত জানিনা। এসইও অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করা। আমরা গুগল বা ইউটিউবে কোন বিষয় লিখে সার্চ দিলে যে টপিকগুলো সামনে আসে বা ওয়েবসাইটগুলো সামনে আসে তাই হচ্ছে এসইও সার্চ ইঞ্জিন অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ। ভিডিও অপটিমাইজ করার জন্য যে কোন নির্বাচন করতে হবে সেগুলো হলো: ডেসক্রিপশন,ক্যাটাগরিথাম্বনেইল কিওয়ার্ড টাইটেল ট্যাগ ইত্যাদি। যার ফলে আপনি আমার ভিডিওতে ভিউ বাড়বে এবং আপনি দর্শক পাবেন।
ভিডিওতে ইন্টারনেট প্রমোট
আমরা যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন করার জন্য পোস্টার বানিয়ে দেয়ালে ঝুলে দেই ঠিক তেমনি ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ওয়েবসাইট এগুলোর মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এগুলোতে বিজ্ঞাপন দিলে বা প্রমোট করলে দেখবেন আপনার চ্যানেল খুব দ্রুত সাবস্ক্রাইব হতে শুরু করবে এবং দর্শক ও ভিউ বাড়বে।
ইউটিউব অ্যাডসেন্স
খুব কম সময়ে এবং কম খরচে দর্শক পেতে দুর্দান্ত বিষয় হচ্ছে ইউটিউব অ্যাডসেন্স। ইউটিউবে আমরা যখন কোন ভিডিও দেখার সময় আমরা দেখতে পাই ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন। টাকার বিনিময়ে ব্যবসায় মালিকরা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন করে থাকে এই ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে। এই ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আপনি খুব কম সময়ে অনেক দর্শক পেয়ে যাবেন।
youtube মার্কেটিং কেন করবেন
হ্যালো বন্ধুরা আজ আমরা আপনার কাছে ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন পার্ট নিয়ে চলে এসেছি। আমাদের পোষর মাধ্যমে আমরা আপনাকে যা জানাবো আপনিyoutube মার্কেটিং কেন করবেন। আমাদের অনেকের প্রশ্ন জাগে আমরা কেন ইউটিউব মার্কেটিং করব, ইউটিউব মার্কেটিং করে আমাদের কি লাভ। ইউটিউব যা একটা অনলাইন প্লাটফর্ম। ইউটিউব যেখানে প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন লোকজন ঘোরাফেরা করে। গুগলের পরে ইউটিউব একটি সার্চ ইঞ্জিন যেখানে মানুষজন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে সার্চ দেয়।ইউটিউবে প্রায় ৮০ টি ভাষায় কনটেন্ট লেখা আছে।
১০০ ভাগের মধ্যে প্রায় ভাগ ৬০ ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আমাদের যাদের এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে আমরা কমবেশি সবাই ইউটিউব ব্যবহার করি। প্রায় অধিকাংশ লোকজন একটা ব্র্যান্ড বা পণ্যের ধারণা পেয়ে থাকি ইউটিউব থেকে। অধিকাংশ লোকজন কনটেন্ট দেখা থেকে ভিডিও দেখার বিষয় বেশি আগ্রহী হয়। আমাদের যদি একটা প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং চ্যানেলটি এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করা থাকে।তাহলে সেখানে আমরা পেয়ে যাব এডসেন্স যার মাধ্যমে আমরা মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারব।
কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হবেন।
আজকে আমরা জানবো কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হবেন। আরো অনেকেই ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাই বা অনেকে করে থাকি কিন্তু সফল হতে পারি না। আপনি যদি একটু ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন এবং আপনার চ্যানেলটি ইউনিট পরিপূর্ণ রয়েছে। একটা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারেন। এখন আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে youtube মার্কেটিং করে সফল হবেন।সফল হতে হলে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটা ইউনিক নাম,লোগো,ডেসক্রিপশন প্রয়োজন।
ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটা URL দরকার হয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে একটা ইউটিউবে URL ৩০ দিনের মধ্যে চেঞ্জ করা যায় না।ইউটিউবে সফল হওয়ার জন্য আরেকটি দিক হচ্ছেSEO যুক্ত করতে হবে। আপনার চ্যানেলটি ইউনিক এবং সার্চ দিলে প্রথমে আসে। তাহলে আপনি আপনার চ্যানেলে কোন কোম্পানি পণ্য সেবা বিক্রি করার জন্য সে কোম্পানি আপনাকে আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য করবে এবং আপনাকে মাসিক ইনকামের অফার দিয়ে থাকবেন আর এভাবে আপনি এটুক মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন।
ইউটিউব রুলস
আমরা অনেকেই ইউটিউবের সঙ্গে পরিচিত থাকলে আমরা অনেকেই ইউটিউব রুলস বিষয়টা কি আমাদের অনেকেরই তা অজানা। আমরা অনেকেই চাই না ইউটিউবে কি কি রুলস রয়েছে। আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানব ইউটিউব রুলস কি।youtube যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার জন্য প্রতিদিন মানুষ ইনভেস্ট করে যাচ্ছেন কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় ইউটিউব চ্যানেল উধাও হয়ে গিয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল অধাও হয়ে না যায় সেই জন্য আমাদেরকে ইউটিউব রুলস মানতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড না হওয়ার জন্য আমাদেরকে দুইটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
- community guidelines
- copyright strike
চলুন এখন আমরা জেনে আসি এই দুইটা বিষের মধ্যে কি কি নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হবে না।Community guidelines যার মধ্যে কিছু কিছু নিয়ম আছে আপনাকে এই নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে। আপনি যদি এই নিয়মগুলো না মানেন তাহলে ইউটিউব আপনাআপনি আপনার চ্যানেলটি সাসপেন্ড করে দিবে বা রিমুভ করে দিবে। চলুন এখন আমরা জেনে আসি নিয়ম গুলো কি কি
No hacking No cracking
ইউটিউবের সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়টা হচ্ছে নো হ্যাকিং নো ক্রাকিং। কাজের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক অ্যাপস কিনে নিতে হয়। কিন্তু অনেক ইউটিউবাররা তা না করে mod versionবা creck version উপায় বেছে নেই। যার ফলে অ্যাপস কোম্পানির মালিকরা তেমন ইনকাম করতে পারেনা। আর এইসব কনটেন্ট ইউটিউব Allow না করে ইউটিউব থেকে Remove করে বা frezz করে রেখে দেয়। তাই যাদের মাথায় নো হ্যাকিং নো ক্রাকিং বিষয়বস্তুটা আছে তারা এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা বাদ দেন।
sexual or Nudity content
ইউটিউবে যতগুলা কন্টেন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ পাই sexual or Nudity content। দেখবেন যেই কনটেন্ট গুলো যৌনতা বিষয়ক রয়েছে।সেগুলোর প্রতি মানুষের এক প্রকার মোহ কাজ করে। আর সেই ভিডিওগুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হচ্ছে। কিন্তু যারা sexual or Nudity content নে কাজ করতে চাচ্ছেন তারা এটা করবেন না। হয়তো এই কন্টেনে কাজ করলে আপনার অনেক ভিউ হবে এবং খুব কম সময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন sexual or Nudity content এরকম বিষয় নিয়ে ইউটিউব কখনোই কাজ করে না। একটা না একটা সময় ইউটিউব আপনার চ্যানেলটি remove করে দিবে।
misleading metadata
ইউটিউবে এমন কিছু ভিডিও দেখা যায়। যে ভিডিওগুলোতে লোভ দেখানোর মত কিছু লেখা থাকে। কিন্তু ভিডিওটি দেখা শুরু করলে এরকম কিছু পাওয়া যায় না। ইউটিউব এগুলা কখনোই মানবে না। youtube কখনো চায় না তার দর্শকগুলো হতাশ হক। আপনি যদি misleading metadata নিয়ে কাজ করেন তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ ইউটিউব আপনার চ্যানেলটি সাসপেন্ড অথবা চিরতরে ওধাও করে দেবে।
using unrelated tag
আপনি ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার পরে ভিডিওটি কোন টপিক নিয়ে ছাড়ছেন সেটা কিন্তু youtube শুরুর দিকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না কিন্তু ইউটিউবে যে বোট বাটনটি রয়েছে সেটা আপনার ভিডিওর ধারণা নেয়ার চেষ্টা করে। আপনি যখন ইউটিউবে কোন নতুন ভিডিও আপলোড করেন তখন থেকে ইউটিউব আপনার ভিডিও ট্যাগ অপশনটা যাচাই করে যে আপনি কি ট্যাগ করে ভিডিও ছাড়ছেন।কেউ যখন আপনার লেখা ট্যাগ ইউটিউবে সার্চ দেয় তখন বোট টি আপনার চ্যানেলটি সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
কিন্তু এই সুযোগটাকে ই অনেকে খারাপ দিকে নিয়ে যায়। অর্থাৎ ভিডিওটি হয় কার্টুন ভিত্তি কিন্তু আপনি ভিডিও ট্যাগের যে লেখেন নিউ বাংলা নাটক বা মুভি তাহলে দেখুন কেউ যদি নাটক বা মুভি লিখে সার্চ দেয় তখন আপনার কার্টুনটি তাদের সামনে চলে আসবে এবং দর্শক বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবেন। কিন্তু ইউটিউব কখনো চাই না তার দর্শক বিভ্রান্তি হক। তখন youtube আপনার চ্যানেলটিকে কমিউনিটি গাইডলাইন্স ভায়োলেন্স এ নিয়ে যাবে যা একটি চ্যানেলের জন্য বিপদ ডেকে আনে।এখন আমরা জানবো কপিরাইট স্ট্রিকের ব্যাপারে।
আপনি যদি অন্য কোন চ্যানেল থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার চ্যানেলে ছাড় আপলোড করেন। তাহলে কয়েকদিন পর ডাউনলোড করা চ্যানেলের মালিক আপনার কপিরাইট করা ভিডিওটি strike মাধ্যমে রিমুভ করে ফেলবেন।এবং আপনি তিন মাসের মধ্যে যদি আপনি তিনবার কপিরাইট পান তাহলে গুগল আপনার চ্যানেলকে রিমুভ করে দেবে।এবং যে জিমেইল দিয়ে আপনি চ্যানেলটি খুলেছিলেন। সেই জিমেইলের অধীনে থাকা যতগুলো চ্যানেল রয়েছে সবগুলো একেক করে সাসপেন্ড হতে শুরু করবে।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায়
হ্যালো বন্ধুরা, আমরা অনেকেই ইউটিউবের মধ্যে চ্যানেল খুলতে চাই। কিন্তু অনেকে পেরে ওঠে না মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায় আজকে আপনাদের আমি জানি দিবো। যদি আপনি ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে চান এবং তার মোবাইল দিয়ে তাহলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায় এই পোস্টে শুধু আপনার জন্য। তো আমার জেনে আসি কিভাবে চ্যানেল খুলতে হয়।ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে হলে প্রথমে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এরপর আপনার ফোনে ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে ইউটিউব লগইন করতে হবে।
যদি আপনার ইউটিউব একাউন্টে ক্রিয়েট না থাকে। তাহলে আপনি জিমেইল দিয়ে আগে আপনার ইউটিউব চ্যানেল লগইন করে নিবেন। এরপর ড্যাশবোর্ড আপনার সামনে চলে আসবে। এরপরে বাম পাশে আপনার প্রোফাইল আইকনের চাপ দিবেন। এরপর আপনাকে সেটিংস অপশানে গিয়ে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি একটি পেজ পাবেন যেখানে লেখা থাকবে ইউটিউব চ্যানেল।আর এভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রথম ধাপ শুরু হয়ে গেল।এরপর আপনাকে তিনটি অপশন দেখানো হবে। অপশন গুলো হল:
- Channel status and features
- Create a new channel
- View adveced settings
- এই তিনটা অপশনের মধ্যে আপনাকেCreate a new channel অপশনে ক্লিক করতে হবে এরপর আপনার সামনে আসবে create a new channel name। সেখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেলের একটি নাম দিতে পারবেন। নামটি আপনার নিজের নাম দিতে পারেন অথবা নাম্বার দিয়ে দিতে পারেন।
- এরপর আপনার চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করতে হবে। এরপর channel customise আসলে ক্লিক করার পর আপনাকে আবার তিনটি অপশন দেখাবে। এর মধ্যে আপনাকে basic info অপশনে ক্লিক করে আপনার চ্যানেল সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন এবং সেখানে ইমেল, ভাষা,লিঙ্ক অ্যাড করতে পারবেন। এরপর আপনাকে branding অপশন এ ক্লিক করে আপনাকে চ্যানেলের পিক অথবা ইমোজি এড করতে হবে।
- কিন্তু প্রথমে আপনাকে ডেস্কটপ মোড অন করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে সৃজনশীলদের সাথে একটি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ছাড়তে হবে ।কিন্তু সাবধান থাকবেন কারণ ইউটিউব কখনো কপিরাইট ভিডিও youtube এ রাখে না এবং আপনার চ্যানেলটি যেকোনো সময় সাসপেন্ড করে দিতে পারে।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা, আজকে আমরা জেনে গেলাম ইউটিউব বিষয় বিভিন্ন তথ্য ইউটিউবে কিভাবে চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হয়। চ্যানেল ক্রিয়েট করার নিয়ম ইউটিউব থেকে আয় করতে হয় কিভাবে সবকিছু আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আমি আশা করি আমাদের আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকার হয়েছে। এবং এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার আইটি মাঝে মাঝে ভিজিট করুন। এবং শেয়ারের মাধ্যমে অনেকে জানিয়ে দিন ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আমাদের পাশে থাকবেন এবং সমাজকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং সমাজের সুন্দর করার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url