জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় - ওষুধ ছাড়াই জ্বর কমান

বন্ধুরা আমরা অনেকেই জ্বর হলে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে জ্বর হলে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ও ওষুধ ছাড়াই জ্বর কমানো যায় তবে আমরা আজকে জেনে নেব যে কিভাবে আমরা জ্বর হলে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ও ওষুধ ছাড়াই জ্বর কমানো যায় কিভাবে সেই সম্পর্কে আমরা পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে করলেই জানতে পারবো জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং ঔষধ ছাড়াই জ্বর কমানো এই উপায়টি।

জেনে রাখা উচিত যে আমাদের জ্বর হলে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া সহ আরো ভিন্ন উপায়ে কিভাবে আমরা জ্বর থেকে মুক্তি পাব তো বন্ধুরা এই সব কিছু জানতে হলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা রকম জ্বর সর্দি কাশি। সিজেনাল ফ্লু করোনা, ডেঙ্গুর নানা ভাবে এসব জ্বরের উৎপত্তি ঘটে। জ্বর কিন্তু রোগের লক্ষণ নয়। যেমন  চিকিৎসা ছাড়া জ্বর কমে না ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষের পক্ষে জ্বর নির্ণয় করা সম্ভব নয়।কম মাত্রায় জ্বর যাতে 100 ,8ডিগ্রী ফারেনহাইট কম থাকে শরীরের জন্য উপকারিতা বিবেচিত হবে। কম জ্বরের সাথে অন্য কোন উপসর্গ না থাকলে চিকিৎসা নেওয়ার কোন দরকার নাই ।শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস শরীরের জন্য যা ক্ষতিকারক তা বাঁচতে পারে না।

জ্বর হলে কেমন লাগে

হঠাৎ করে জ্বর হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই কমবেশি আছে ,আমাদের অনেকের জ্বর দুই থেকে তিন দিনের হবার পরে ভালো হয়ে যায় তবে জ্বর হলে কেমন লাগে এটাও আমরা খুব ভালো করে জানি ।কিন্তু অনেকের জ্বর আবার দীর্ঘদিন ধরে থাকে। জ্বরের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে সবারই । আমাদের দেশের সাধারণত জ্বর হলে প্যারাসিটামল ও নাপা খেয়ে আমরা ঘরের  জ্বর সরানোর চিকিৎসার নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

আরো পরুন যশোরের বিখ্যাত নদীটির নাম কি

কিন্তু চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে জ্বর অনেক সময় মারাত্মক প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে জ্বর হলে কেমন লাগে চিকিৎসককে বললে, চিকিৎসকের মন্তব্যে জ্বর অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু কিছু জ্বর একাকী সেরে যায় আবারও কিছু কিছু জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বারবার জ্বর হলে করণীয়

আমরা আজকের এই ব্লক পোস্টে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করেছি বারবার জ্বর হলে করণীয় কি আমাদের শরীরে যদি বারবার জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে আমরা বিশ্রাম নেব বারবার জ্বর আসার কারণ কোন ভাইরাস জ্বর বা ভাইরাস যদি প্রতিরোধ না হয় সেক্ষেত্রে বারবার জ্বর চলে আসে। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে জ্বর হলে পরিশ্রম হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না কারণ পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে এবং তা থেকে জ্বর আরো বৃদ্ধি পাবে।

ঘন ঘন জলপট্টি ব্যবহার করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত গোসল করা যাবেনা তবে দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিতে হবে বিশেষ করে কপাল ও ঘাড়ের পিছনের অংশ ভেজা কোন কিছু দিয়ে মুছে নিতে হবে। আর এরকম ধরনের জ্বর হলে আমাদের আলাদা কক্ষে বসবাস করা উচিত কারণ এমন কিছু ভাইরাস জ্বর আছে যা অন্যদেরকেও আক্রমণ করে।

তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে নিজে নিজে কোন ওষুধ খাওয়া যাবেনা অবশ্যই কোনো ভালো চিকিৎসকে পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ কিনে খাবে। এই সব কিছুই বারবার জ্বর হলে করণীয় তবে এ সময় পুষ্টিকর খাবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাবেন মাছ, মাংস,ডিম, দুধ ইত্যাদি জাতীয় খাবার খাবে।

ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া ভাবে জ্বর কমানোর উপায়

আমি আপনি এরকম কম মানুষই আছে যারা জ্বরে ভুগেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়ায় মুশকিল। তবে আজ আমরা জানবো ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া ভাবে জ্বর কমানোর উপায়, সামান্য পরিমাণে ঠান্ডা লাগলে জ্বর , ভাইরাস জনিত জ্বর সামান্য ব্যথা পেলে জ্বর আসতে পারে। জ্বরের ধরনের অনেক জ্বর আবার চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। তবে জ্বরের ধরন ও চিকিৎসা জানা থাকলে তা ঘরোয়া ভাবে কমানো যায়। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে হয়তো আমি আপনি সময় মতো ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে পারিনা। এ সময় প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের দায়িত্ব আমরা নিজেরাই নিতে পারি।

আমরা জ্বর হলে প্রতিদিন তো অনেক খাবার খেয়ে থাকে এই খাবারের পাশাপাশি যদি আমরা স্যুপের সঙ্গে সবজি মেশাতে পারি   তাহলে আমরা অনেক ভিটামিন  মিনারেল ও আন্টি অক্সিডেন্ট। চিকেন সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মিশিয়ে খেলে জ্বর কমে ও শরীরের দুর্বলতা কমায়। তাহলে আজ আমরা জানলাম ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া ভাবে জ্বর কমানোর উপায় তবে এ সময় যদি আমরা চায়ের সঙ্গে আদাও  মসলা জাতি খাবার বেশি বেশি খায় তাহলে জ্বর কমায় কারণ এগুলো তো আছে অ্যান্টিভাইরাস অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা।

জ্বর কত হলে ওষুধ খাওয়া উচিত

ভাইরাস জ্বরের প্রধান অন্যতম কারণ হচ্ছে হঠাৎ করে জ্বর আসে। আমরা কি জানি জ্বর কত হলে ওষুধ খাওয়া উচিত , ভাইরাস জ্বর সাধারণত পাঁচ সাত দিন ধরে থাকি। ১০২_১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর থাকে। শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া চোখ লাল হওয়া নাক দিয়ে পানি পড়া গলা ব্যথা সহ কাশি থাকতে পারে। জ্বর হলে প্রতিনিয়ত আমরা প্যারাসিটামল ও নাপা থাকি এরপরও আমাদের জ্বর কমে না। ডেঙ্গু বাট টাইফয়েট হলে জ্বর প্রথমত শুরু থেকে নামতে চায় না এর কারণে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল বা নাপা খাওয়া যাবেনা।

আজকে আমাদের মূল আলোচনার বিষয় ছিল জ্বর কত হলে ওষুধ খাওয়া উচিত সাধারণত আমাদের শরীরের সাধারণত তাপমাত্রা ৯৮ আমি ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট । প্রাপ্তবয়স্কদের ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি যদি জ্বর থাকে তাহলে তাহলে কিডনি অথবা লিভারের যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন ।

১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

বন্ধুরা যাদের 103 ডিগ্রি জ্বর হয়েছে, তাদের মধ্যে আমাদের কারো এই জ্বর হলে মুখে রুচি থাকে না তাই আমাদের ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি জেনে রাখা উচিত আমাদের কারো যদি ১০৩ ডিপি জ্বর হয় সেক্ষেত্রে আমরা কোন সময় গোসল করব না এটা হল ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়। এছাড়া আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে 103 ডিগ্রি জ্বর হলে আমরা কোন সময় মুখে ওষুধ খাব না যদিও আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি সেক্ষেত্রে আমরা সিরাপ যদি খায় তাহলে মিনিমাম তিন থেকে ছয় ঘন্টা পর খাব। এই ছিল আজকে আমাদের ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করনীয়।

শেষ কথা

আমরা যেন সুস্থ থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ি যেমন সকালে যদি আমরা ভালো থাকি বিকেলেই কারো কারো জ্বর হয়ে যায়। তবে এ থেকে মুক্তি আর কোথায় তবে আমরা এই পোস্টে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং ওষুধ ছাড়া জ্বর কমানো সম্পর্কে ম্যাক্সিমাম আলোচনা করে ফেলেছি তবে আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছে এবং তারা অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং পরবর্তী পোস্টটি পেতে আমাদের এই ফাস্ট ব্লগার আইডিতে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#