ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা - ব্রকলি চাষ পদ্ধতি

তো আজ আমরা জেনে নিব।ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা - ব্রকলি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। ব্রকলি উৎপাদিত আমাদের দেশে না হলে ও স্বাদ স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির কারণে এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়।তো বন্ধুরা আজ জানবো ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ।তো চলুন জেনে নিই ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।
ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা - ব্রকলি চাষ পদ্ধতি
যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে তরুন রাখতে ইচ্ছুক তারা নিয়মিত খাবার তালিকায় ব্রকলি রাখুন।কারণ,ব্রকলিতে থাকা “সালফোরাফেন” নামক উপাদান এজিং প্রসেস কে স্লো করে দিতে সাহায্য করে থাকে।যা আমাদের দীর্ঘদিন ধরে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া,সালফোরাফেন আমাদের দেহের অ্যারোবিক সেল গুলোকে “ডিটক্সিফিকেশন এনজাইম নেটওয়ার্ক”প্রসেসের মাধ্যমে ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে থাকে।তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিই ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা - ব্রকলি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

ভূমিকা

ব্রকলিতে আছে এক বাটি ভাতের সমান প্রোটিন। কিন্তু ক্যালারি থাকে তার অর্ধেক।ব্রকলি আমাদের শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।ব্রকলি খেলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে ও অস্টিওপরোসিসে আক্রান্তদের হাড়ভাঙন রোগ থেকে রক্ষা করে। আধা কাপ ব্রকলি সারাদিনের ভিটামিন সি-এর চাহিদা প্রায় ৮৪ শতাংশ পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। এবং আমাদের শরীরের হওয়া সর্দি জ্বর কাশি ইত্যাদি আরো অনেক রোগ থেকে বাঁচতে হলে খাদ্য তালিকায় আমাদের ব্রকলি রাখা উচিত। ব্রকলিতে আছে লুটিন আর জিয়াজেস্হিন নামের ক্যারোটিনয়েড

এছাড়া,সালফোরাফেন আমাদের দেহের অ্যারোবিক সেল গুলোকে “ডিটক্সিফিকেশন এনজাইম নেটওয়ার্ক”প্রসেসের মাধ্যমে ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে থাকে। ব্রকলিকে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী খাদ্য। এতে থাকে খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ত্বক পরিষ্কার করে থাকে ব্রকলি।ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, নানান ধরনের ভিটামিন।ব্রকলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।ব্রকলি উপকারিতা অনেক। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ব্রকলিতে‌ থাকা ভিটামিন সি।

তো ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায় ব্রকলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ।তো চলুন আজকে আমরা জেনে নিব ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

ব্রকলি কি

ব্রকলি কি ব্রকলি হচ্ছে,ক্রসিফেরী গোত্রের অন্তর্ভুক্ত শীতকালীন সবজি। ব্রকলিতে আছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ফোলেট ও আঁশ । ব্রকলিতে থাকায় হৃদরোগ বহুমূত্র ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।ব্রকলি কি ব্রকলি জারণরোধী ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি সরবরাহ করে কোষের ক্ষতি রোধ করে থাকে। সাধারণত বাংলাদেশে তিন ধরনের ব্রকলি দেখা যায়। ব্রকলি হয় ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ ব্রকলি কয়েক হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও এশিয়া মাইনরের দিকে এমনি জন্মে থাকতো। রোমানদের শাসনামলে আমলে ইতালীয়দের হাতে ব্রকলির চাষাবাদ শুরু হয়। 
পৃথিবীতে কয়েক জাতের ব্রকলি আছে।বাংলাদেশে ক্যালাব্রেসে ব্রকলি আর স্প্রাউটিং ব্রকলি বেশি পাওয়া যায়।ব্রকলি সেদ্ধ বা বেক করলে এর পুষ্টি উপাদান বিশেষ ভিটামিন সি হ্রাস পায়। ভাপে সিদ্ধ করলে একটু কম নষ্ট হয় ব্রোকলি। তবে ব্রকলি কাঁচা খেলে সবচেয়ে ভালো হয় ও পুষ্টিমান অপরিবর্তিত থাকে।ব্রকলিতে আছে উচ্চমাত্রার গ্লুকোরাফানিন।ব্রকলির মতো এমন অসাধারণ ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ সবজি খুব কমই আছে। আধা কাপ ব্রকলি সারা দিনের ভিটামিন সির চাহিদার প্রায় ৮৪ শতাংশ পূরণ করার ক্ষমতা রাখে ব্রকলি। আমাদের অনেক রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের খাদ্য তালিকায় ব্রকলি যোগ করা উচিত।

ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা

এবার আমরা জানবো ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।ব্রকলি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি। আমাদের বিশেষ বিশেষ রোগের প্রতিরোধ করে ব্রকলি। ব্রকলি একটি সবুজ জাতীয় সবজি। আমাদের শরীরে হওয়া ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ করে ব্রকলি। ব্রকলির বিটা ক্যারোটিন সেলিনিয়াম যৌথ ভিটামিন সি প্রোস্টেট ফুসফুস কোলন ও প্রাণ ক্রিয়াটিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করা ব্রকলি। ব্রকলিতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয় ব্রকলি। আমরা সালাদে ও রান্নায় এখন অনেকেই ব্রখলি খেয়ে থাকি। 

কোন হাটে বাজারে প্রচুর পরিমাণ ব্রকলি পাওয়া যাচ্ছে। এবং পুষ্টিবিদেরা ব্রকলি কেন দারুন পুষ্টিকর সবজি বলে। ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা ব্রকলিতা দুর্দান্ত কিছু উপকারী উপাদান আছে। ব্রকলি তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে,আমেরিকান ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় ক্যানসার প্রতিরোধী দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রোকলি। বাংলাদেশের দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রকলি। এবং ব্রকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক থাকে, ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস ব্রকলি। এছাড়াও ব্রকলি ত্বকের জন্য ভালো, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে । 

প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে ব্রকলি তে এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আছে। যা আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক সুন্দর করে।ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে।গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি।ব্রকলি। এবং ব্রকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক থাকে, ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস ব্রকলি।

 এছাড়াও ব্রকলি ত্বকের জন্য ভালো, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে । প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে ব্রকলি তে এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আছে। যা আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক সুন্দর করে।ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে।গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি।

ব্রকলি খাওয়ার অপকারিতা

একটু আগে আমরা জানলাম ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এবার আমরা জানবো ব্রকলি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। যেহেতু ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমায়। তাই আমাদের ব্লকলি অতিরিক্ত সেবনের কারণে হাইপোটেনশন হতে পারে।অতিরিক্ত ব্রোকলি সেবনও হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ব্রকলি খাওয়ার অপকারিতা ব্রকলিতে ভিটামিন কে থাকার কারণে রক্ত পাতলা রোগীদের রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তো বন্ধুরা ব্রকলিতে যেমন উপকার আছে তেমনি ব্রকলির অপকারিতা ও আছে।

ব্রকলি চাষ পদ্ধতি

ব্রকলি চাষ করা হয় কিভাবে।তো চলুন জেনে নিই ব্রকলি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। ব্রকলি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি।ব্রকলি চাষ করতে হলে মাটি ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে।মধ্য ভাদ্র-মধ্য পৌষ এর মধ্যে বীজ বপন ও চারা রোপণ করতে হবে ব্রকলির।২৫-৩০দিন বয়সের চারা ৫০সেন্টিমিটার দূরে রোপন করতে হয়।পুষ্টির দিক দিয়ে ও ব্রোকলি অনেক সমৃদ্ধ।অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত ব্রোকলির চারা রোপন করা যায়। কম বয়সের চারা দ্রুত বাড়ে। সেপ্টেরম্বর মাসে যখন বৃষ্টি কমে আসে তখন উঁচু জমি দেখে বীজ তলা করা হয়।

আগাম মৌসুমে বৃষ্টি হলে বীজতলায় পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির সময় চারাকে রক্ষা করতে হবে।ব্রোকলি ঠান্ডা আবহাওয়ার ফসল বলে বাংলাদেশে শুধু রবি মৌসুমে ব্রকলি চাষ করা হয়।ব্রকলি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে চারা লাগানোর পর চারার গোড়ায় অবশ্যই পানি দিতে হবে।তবে মনে রাখবেন ব্রোকলি একটি অগভীমূলী ফসল।ব্রোকলি চাষের সময় জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে।সাধারনত ব্রোকলির কেন্দ্রীয় মাথা বা ফুল গুচ্ছটিই তোলা হয়। তোলার সময় সঠিকভাবে বুঝে ব্রোকলি সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রকলির বীজ

ব্রকলির বীজ সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা অনেকেই ব্রকলি চিনে থাকলেও ব্রকলির বীজ সম্পর্কে তেমন একটা জানিনা প্রিয় বন্ধুরা ব্রকলির বীজ সম্পর্কে এখনো কোন তথ্য নেই আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোন ওয়েবসাইটেও হয়তো বা এই ব্রকলির বীজ সম্পর্কে জানতে পারবেন না
যদি কখনো ব্রকলির বীজ সম্পর্কে কোন আপডেট এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে আমরা তা জানিয়ে দেবো ব্রকলিড বীজ কি এবং বকরির বীজ কিভাবে রোপন করতে হয় এই সম্পর্কে সবকিছু আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ইনশাল্লাহ।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানালাম ব্রকলির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।ব্রকলি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি। পুষ্টির দিক দিয়ে ও ব্রোকলি অনেক সমৃদ্ধ।অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়।তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#