এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় - এলার্জি কেন হয়
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা এলার্জি চুলকানি কিভাবে হয় এবং এলার্জি কিভাবে ছড়ায় তো চলুন জেনে নিই এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করবো এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
আমাদের শরীরের জন্য অনেক কিছু খাবার বারন থাকে।কারণ সেগুলো খাবার থেকে আমাদের শরীরে এলার্জির প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমরা অনেক খাবার থেকে বিরত থাকি এবং অনেক খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিবএলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় -এলার্জি কেন হয় সেই সম্পর্কে।
ভূমিকা
এলার্জি খুব কমন একটা সমস্যা। শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে লক্ষণগুলো কমে যেতে পারে। আবার অনেকের ছোটোবেলায় এলার্জির সমস্যা না থাকলেও, পরবর্তীতে নতুন করে এলার্জি দেখা দিতে পারে। কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।তা আমরা জেনে নিব এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জিনিস থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়।
তবে কখনো কখনো কিছু জিনিসকে এটি ভুলে ক্ষতিকর ভেবে বসে, যা আসলে ক্ষতিকর নয়। এসব জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: চামড়া লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানি।অ্যালার্জি হওয়া না হওয়া সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবেশের নানা উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যেটা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।
শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হয় অ্যালার্জেন।এই অ্যালার্জেন যদি কখনও সংক্রমিত হয় তাহলে নানা ধরণের অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন: ত্বকের লাল রঙ ধারণ, চামড়ায় লাল চাকা চাকা হয়ে যাওয়া, বা শরীরের কোন অঙ্গ ফুলে ওঠা।সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে - বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যানফিল্যাকটিক শক দেখা দিতে পারে। তাই আমরা গুরুতর ভাবে জেনে নিই এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
অতিপ্রতিক্রিয়া বা ইংরেজি পরিভাষায় অ্যালার্জি বলতে পরিবেশে অবস্থিতকতগুলি বস্তুর উপস্থিতিতে কিছু কিছু ব্যক্তির দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতার কারণে সৃষ্ট কতগুলি তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে বুঝায়। এই বস্তুগুলি অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো সমস্যা তৈরি করে না।সাধারণত অ্যালার্জি হলে হঠাৎ শরীরে দানা ওঠা শুরু হয়।
বা শরীরে বিভিন্ন স্থানের ত্বক লাল চাকা চাকা হয়েফুলে যায় এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড চুলকানি থাকতে পারে। অনেক সময় সারা শরীরও ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, অস্থিসন্ধি ব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়।
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা
এবার আমরা জানবো এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। অ্যালোভেরা জেল দিয়ে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এলার্জি দূর করতে পারি।কিছু লোক এটি রস হিসাবে ব্যবহার করে। এটি ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায়। অ্যালার্জির কারণে যদি আপনার ত্বকের চুলকানি এবং শুকনো সমস্যা হয় তবে অ্যালোভেরার ওষধি গুণগুলির জন্য দ্রুত জ্বালা এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে কিছুটা তাজা অ্যালোভেরা নিয়ে ত্বকে লাগান।
চুলকানি হল লক্ষণ আর অ্যালার্জি হল কারণ। যা অ্যালার্জেন্স ঘটিত। অর্থাৎ কোনও একটি বিশেষ উপাদান শরীর নিতে না পরলে তার প্রতিক্রিয়া অ্যালার্জি। অ্যালার্জিতে তাঁরাই বেশি আক্রান্ত যাঁদের রক্তে ইওসিনোফিলের মাপ বেশি। বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও চুলকানিটা একটা লক্ষণ, কারণ শরীরের অ্যালার্জেনের প্রতিক্রিয়া বা বহিঃপ্রকাশ হল ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ জ্বালা-যেটা চুলকানির রূপে প্রকাশ পায়। এই চুলকানি শরীরে যে কোনও স্থানে হতে পারে।
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিই আমরা।টি-ট্রি অয়েল এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার দুর্দান্ত উপায়। টি-ট্রি অয়েলও ত্বকের অ্যালার্জিতে খুব সহায়ক। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিআইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অনেক ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়। । ত্বকের লালচেভাব এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে টি-ট্রি অয়েল একটি দুর্দান্ত বিকল্প।অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাধারণত ওজন হ্রাস এবং হজমজনিত সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়, তেমনটা নয়।
তবে ওজন হ্রাস করা বা ডায়রিয়াস নিরাময়ের জন্য এটি কেবল দুর্দান্ত স্কিনকেয়ার এজেন্টই নয়। এটিতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকে চুলকানি এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমায়।নারকেল তেল স্কিন কেয়ারের জন্য সেরা ।এটিতে ময়েশ্চারাইজিং রয়েছে যা অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। শুধু তাই নয়, নারকেল তেল অ্যালার্জির কারণে চুলকানিও কমায়। একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিন এবং ৫ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন।
তারপরে আপনি যেখানে অ্যালার্জির লক্ষণদেখছেন সেই জায়গায় এই গরম তেলটি প্রয়োগ করুন। মনে রাখবেন, এ্যালার্জির জায়গায় রেখে দিন, ম্যাসাজ করবেন না। এক ঘন্টা রেখে দিন। ৩-৪ ঘন্টা পর পর নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের অ্যালার্জি উপশম করবে।
রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এবার আমরা জেনে নিব রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।রক্তের এলার্জি বা রক্তে পাওয়া ইসিনোফিল সহ অন্যান্য রক্ত কোষের মতো লোহিত, স্বেত রক্ত কণিকা থেকে উৎপাদিত হয়।এতে অস্বস্তি এবং কষ্টের কারণ হতে পারে।যা রক্তের এলার্জির লক্ষণগুলি উপশম করতে এবং সামগ্রিক সুস্থতার প্রচার করতে সাহায্য করতে পারে।আমাদের শরীর রোগ-জীবাণু প্রতিরোধ করে। শরীরের এই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার ত্রুটি হলো অ্যালার্জি।
যার অ্যালার্জি আছে।রক্তে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার। যেমন দই, টক দই, যা শরীরের অন্ত্রকে উন্নত করে অ্যালার্জি প্রতিকার ও প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (মাছ, ফল, বাদাম ইত্যাদি), হলুদ (কারকুমিনযুক্ত), আনারস (ব্রোমালিন যুক্ত) অ্যালার্জির প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ইনফ্লামেশন কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি এবং ডি এর সংমিশ্রণ একটি গতিশীল যুগল যখন এটি অ্যালার্জি ঋতু আসে। আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা যদি অ্যালার্জির উপসর্গে ভুগছেন, তাহলে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে এই দুটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী এবং অ্যালার্জি-প্রতিরোধকারী পুষ্টি উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার উপায়।গোলাপজল চোখের অ্যালার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দিন।
এতে যে ইনফেকশনের কারণে চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে সেটি কেটে যায়। গোলাপজল দেয়ার পর চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। তখন পুরোপুরি কাজ হবে না।কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন। চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রণার উপশম হবে।
চর্ম এলা্জির দূর করার উপায়
এবার আমরা জানবো চর্ম এলা্জির দূর করার উপায় সম্পর্কে।কর্পূর এবং নারকেল তেল -যদি আপনার ত্বকে এলার্জি থাকে এবং সেই জায়গায় যদি চুলকানি হয় তাহলে সেখানে কাপুর এবং নারকেল তেল ব্যাবহার করতে পারেন। কাপুর এবং নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে এলার্জির জায়গায় দিন তাহলে আপনি দ্রুত আরাম পাবেন।ধুলাবালি ছাড়াও কোনো বস্তুর প্রতি অতি সংবেদনশীলতার কারণেও অ্যালার্জি হতে পারে।
যেমন ধাতব অলংকার, প্রসাধনসামগ্রী, কোনো রাসায়নিক, ডিটারজেন্ট, সাবান, পারফিউম, প্লাস্টিকের তৈরি গ্লাভস বা বস্তু, গাছ, ফুলের রেণু, ওষুধ, সিনথেটিক কাপড় ইত্যাদি। এ সমস্যা জন্মগত ও পারিবারিক কারণে হতে পারে। বিশেষ বস্তুতে অ্যালার্জির ক্ষেত্রে ওই বস্তুর সংস্পর্শে এলে শরীরে হিস্টামিন, সেরোটনিন ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। এর ফলে ত্বকে চাকা, ত্বক লাল, চুলকানি, চোখ লাল বা চোখে চুলকানি ইত্যাদি হতে পারে।
কারও কারও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানিও হতে পারে। নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যাও থাকতে পারে।চর্ম এলা্জির দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যে বস্তুতে অ্যালার্জি রয়েছে, তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। যেমন, যার ডিটারজেন্ট বা সাবানে অ্যালার্জি, তিনি বাসনকোসন, কাপড়চোপড় ধোয়ার সময় হাতে গ্লাভস পরবেন। যার অলংকারে অ্যালার্জি, তিনি তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
নারকেল তেলের সাথে ভালো করে কর্পূর মিশিয়ে নিন। (কর্পূর যেকোনো দোকানে পাওয়া যাবে) তারপর যে স্থানে এলার্জি দেখা দিয়েছে সেই স্থানে মালিশ করুন। ইনশাআল্লাহ কিছু সময়ের মধ্যে আপনার চর্ম এলার্জি ভালো হয়ে যাবে।চর্ম এলার্জি হলে অ্যালোভেরা থেকে জলে বের করে এলার্জি আক্রান্ত স্থানে লাগালে কিছুক্ষনের মধ্যে তা ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে শরবত খেলে সম্পূর্ণরূপে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এবার আমরা জেনে নিব এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।এলার্জি খুব কমন একটা সমস্যা। শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে লক্ষণগুলো কমে যেতে পারে। আবার অনেকের ছোটোবেলায় এলার্জির সমস্যা না থাকলেও, পরবর্তীতে নতুন করে এলার্জি দেখা দিতে পারে। কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।তা আমরা জেনে নিব এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জিনিস থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়। তবে কখনো কখনো কিছু জিনিসকে এটি ভুলে ক্ষতিকর ভেবে বসে, যা আসলে ক্ষতিকর নয়। এসব জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: চামড়া লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানি।অ্যালার্জি হওয়া না হওয়া সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ।
পরিবেশ প্রায় সবসময়ই নারায়ন উপাদানের সঙ্গে লড়াই করে থাকে এবং শরীর প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে সুস্থ রাখার প্রক্রিয়া হচ্ছে অ্যালার্জেন । যেমন: ত্বকের লাল রঙ ধারণ, চামড়ায় লাল চাকা চাকা হয়ে যাওয়া, বা শরীরের কোন অঙ্গ ফুলে ওঠা।সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে - বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবাঅ্যানফিল্যাকটিক শক দেখা দিতে পারে।
তাই আমরা গুরুতর ভাবে জেনে নিই এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।অতিপ্রতিক্রিয়া বা ইংরেজি পরিভাষায় অ্যালার্জি বলতে পরিবেশে অবস্থিতকতগুলি বস্তুর উপস্থিতিতে কিছু কিছু ব্যক্তির দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতার কারণে সৃষ্ট কতগুলি তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে বুঝায়। এই বস্তুগুলি অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো সমস্যা তৈরি করে না।সাধারণত অ্যালার্জি হলে হঠাৎ শরীরে দানা ওঠা শুরু হয় বা শরীরে বিভিন্ন স্থানের ত্বক লাল চাকা চাকা হয়েফুলে যায় ।
এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড চুলকানি থাকতে পারে। অনেক সময় সারা শরীরও ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, অস্থিসন্ধি ব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়।আর এভাবেই আমরা এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিয়েছি।
এলার্জি কেন হয়
এবার আমরা জানবো এলার্জি কেন হয় তা সম্পর্কে।আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। অনেক সময় ক্ষতিকর নয় এমন ধরণের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে শরীর প্রতিরোধের চেষ্টা করে। শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলে।অ্যালার্জির নানা লক্ষ্মণ, যেমন অ্যালার্জিজনিত সর্দি- এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, অনেকের চোখ দিয়েও জল পড়তে থাকে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি- উপসর্গ হচ্ছে কাশি, ঘন ঘন শ্বাসের সঙ্গে সাঁইসাঁই আওয়াজ, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ভালো করে দম নিতে না পারা, বুকে অস্বস্তি।আর্টিকেরিয়া- ত্বকে লালচে ফোলা ফোলা দাগ, গা, হাত, পায়ে চুলকানি, ত্বকের গভীরে হলে হাত পা ফুলে যেতে পারে।ত্বকে জ্বালা-যন্ত্রণা- চামড়া শুকনো ও খসখসে হয়ে যায়, ত্বকে ছোট ছোট দানা তৈরি হয়, চামড়া ফেটে যাওয়া, ত্বকের চামড়া উঠে যাওয়া।অ্যালার্জি হলো বডির ইমিউন সিস্টেমের একটি ওভার সেনসিটিভ।
বা অতিসংবেদনশীল দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা। এক্ষেত্রে পরিবেশে বিদ্যমান কোনো অ্যালার্জেনের কারণে শরীরে আনএক্সপেক্টেড ডিস্টার্বিং রিয়্যাকশন দেখা যায়। অ্যালার্জি হওয়া কিংবা না হওয়া সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবেশের নানা উপাদান, যেমন- পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।
কিন্তু কখনো কখনো স্বাভাবিক এই প্রক্রিয়াটিই জেনেটিক ত্রুটির কারণে অস্বাভাবিক, অতিসংবেদনশীল কিংবা অপ্রত্যাশিত হয়ে পড়ে- দেখা দেয় অ্যালার্জি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যক্তির শরীর আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়।শরীরের এ এক মহা অস্বস্তি। একটানা হাঁচিতে জেরবার শরীর।
আরো পড়ুন মরিয়ম ফুল বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায়
কখনও আবার নাকে সুড়সুড়ি। রাত বাড়লেই শ্বাসকষ্ট। এসবই অ্যালার্জির চেনা লক্ষ্মণ। এলার্জি কেন হয় তা আমরা জানলাম।অনেক সময় দেখা যায় বৃষ্টিতে ভিজলে, পুকুরে গোসল করলে, ধুলোবালি নাকেমুখে গেলে বা ঠান্ডা পানীয় পান করলে কারও কারও সর্দি-কাশি শুরু হয়ে যায়।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। আমাদের শরীরে অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে। আমরা এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে আমাদের যাদের এলার্জি আছে তাদের এলার্জি প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের শরীরে আমাদের অজান্তেই এলার্জি হয়ে থাকে আর আমরা তা বুঝতে পারি এলার্জি খাবার খাওয়ার পর। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url