আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আমড়া খাওয়ার নিয়ম

আজকের আলোচ্য বিষয় যেহেতু আমড়া নিয়ে তাই আমরা আজকে জানব আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা অনেকেই আমড়া খেতে অনেক পছন্দ করি আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা যদি এই পোস্টটি পুরোপুরি করে আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ।

তাই চলুন দেরি না করে আমরা এই পোস্টটি পুরোপুরি পরে আসি এবং জেনে আসি এটা আসলে কিভাবে খেতে হবে কিভাবে চাষ করতে হবে এবং কি আছে এর মধ্যে এমন ভিটামিন যা আমাদের অনেক উপকারে আসে তো বন্ধুরা তার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন

ভূমিকা

আমড়া তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রেটটিন জাতীয় ফাইবার রয়েছে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে তাই আমাদের প্রতি নিহত আমড়া খাবার চেষ্টা করতে হবে। সর্দি, কাশি, জ্বরের ,উপ মৌসুমে আমরা প্রচন্ড উপকারী। ভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রান্ত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়‌। এছাড়া জ্বর সর্দি কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগ জীবাণুর মধ্যে কাজ করে।

আমড়া খাওয়ার নিয়ম

আমড়া আকারে ছোট হলেও গুণে অনেক বড়। এক কথায় বলা যায় যে আমড়া খেলে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমড়া খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেক অনেকেই জানিনা তবে এই ফলটিতে অনেক পরিমাণে গুন থাকায় এটা অনেক উপকারিতার কারণেই এই ফলটি অনেকের নিয়ম করে খায়। এই ফলে অনেক ক্যালসিয়াম থাকায় এই ফলটি নিয়ম করে খেতে পারলে অনেক ভালো হয় আমড়া খাওয়ার নিয়ম হলো ভরা পেটে দুপুরে খায় বা রাতে খাই তবে সেটা ভরা পেটে খেতে হবে।

আমড়া গাছ রোপন

আমরা একটি সুস্বাদ্য ফল দেশের বরিশাল অঞ্চলে এ আমরা অনেক পাওয়া যায়। তবে কম বেশি সব  অঞ্চলে আমড়া প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে চলুন জেনে নিই আমড়া গাছ রোপন কিভাবে করবো। বংশবিস্তার ও কলমের মাধ্যমে আমরা আমড়া গাছ চাষ করতে পারি। প্রথমত আমরা বিদেশে যে শ্বাসটুকু থাকে সেই শ্বাসটুকু সরিয়ে নিয়ে বালতি কিংবা ফুলের ট্রপে আমরা চারা দিতে পারি। চারা গজানোর পর ছোট অবস্থায়  চারা গুলো তুলে ভিটিবালি কম্পোস্ট মিশ্রিত অন্যতবে চারা গুলো রোপন করতে হবে । চারা গুলো আস্তে আস্তে বড় হয়।

আরো পরুন... সয়াবিন খেলে কি ওজন বাড়ে - সয়াবিন কিসের তৈরি

একটি থেকে একবার একাধিক চারা গজাতে পারে, আমড়া বীজে তিন থেকে চার অংশে থাকে, যা থেকে একাধিক কাজ হতে পারে আর এর কারণে চারা গুলোর অঙ্কুরোদমন হয়। বীজের চারাতে ও বংশগত গুণাবন থাকে। তবে যেটা কলমের মাধ্যমে লাগানো হয় সেটা কলম থেকে কলমের গুনাগুন পাওয়া যায়। তবে দেশে আমরা রউটস্টইক। ক্লোফোট পদ্ধতিতে আমড়া কলম লাগানো হয়।

আমরা চাষের জমি নির্বাচন গভীর নিষ্কাশিত উর্বর তো দো-আশ মাটি আমড়া চাষের জন্য উপযোগী। গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে আমড়া ভালো হয়। এভাবে যদি আমরা আমড়া গাছ রোপন করি তাহলে খুব ভালো উৎপাদন হয়। তবে আমাদের দেশের মাটি ও আমড়া চাষের জন্য উপযোগী।

গর্ভ অবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন আজ আপনাদের জানাবো ও গর্ভ অবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা। আমড়া কষ ও অম্ল স্বদযউক্ত ফল এতে প্রায় ৯০% পানি ৪/৫ শতাধিক কার্বোহাইড্রট অল্প পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়া ভিটামিন সি ২০ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। ক্যারোটি২৭০ মাইত্তোগ্রাম সামান্য পরিমাণ ভিটামিন বি ও ক্যালসিয়াম থাকে। এজন্য গর্ভাবস্থায় আমড়া খাবার উপকারিতা অপরিসীম কেননা আমড়া তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যার শরীরের   ডিটক্সিফাই  সাহায্য করে।এ পাশাপাশি গর্ভস্থ  ভ্রূণ মায়ের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।

আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

বন্ধুরা আমাদে অনেকের বাড়িতে আমড়া গাছ  আছে আর এই আমড়া খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানিনা তবে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে তা জানবো। আমড়া তে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা রক্ত জমাট বাধাতে সাহায্য করে। আমরা তে থাকা ভিটামিন সি ই এটির অ্যান্টি অক্সাইডন্টএর কাজ করে। যার কারনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি দেহের ক্লোজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এবং ত্বকের বলি রেখার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করে।

আমড়া তে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা এটি শিশুদের দৈহিক ক্ষমতা বজায় রাখার কাজ করে। আমরা যদি নিয়মিত আমড়া খাই তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। আমরা তে প্রচুর পরিমাণ আইরন থাকাতে রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশি কাজ করে। পাশাপাশি হিমোগ্লোবিনের ঠিক রাখে এছাড়া কোলস্টেরলের পরিমাণ কমায়, আমরা খেলে মুখের অরুচি ভাব দূর করে অরুচি দূর করে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে, এছাড়াও বদ হজম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এর জন্য আমড়া অতিরক্ত উপকারিতা রয়েছে।

আমড়া ভিন্ন ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ যেমন সর্দি-কাশি ইনফ্লোজার রোধে আমড়া খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। আন্টি অক্সাইড বেশি থাকায় ত্বক ,নখ , চুল সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে মুখের ব্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে আমড়া এই জন্যে উপকারিতা

আমড়া খাওয়ার অপকারিতা

আমাদের দেশের সুস্বাদ্য ফল হচ্ছে আমড়া কারণ টক ও মিষ্টি হওয়ার কারণে আমরা সকলে এই ফলটিকে পছন্দ করে থাকি। আমাদের ছোট থেকে বড় সকলের কাছে এই ফলটি অনেক পছন্দনীয়। ফলটি আকারে ছোট হলেও এটি অনেক স্বাদযুক্ত তবে আমরা কি জানি এই আমড়া খাওয়ার অপকারিতা, আমরা যদি বাজারে যাই তাহলে আমরা সকলে এই ফল দেখে থাকি, মরিচ গুড়া ও লবণের সংমিশ্রিত এই ফলটি আরো দ্বিগুণ স্বাদ যুক্ত করে তোলে। আবার অনেকে আছে যে এই ফল মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে খেতে ভালোবাসে।

এর পাশাপাশি আমরা এই ফলের আচার ও খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। তবে এই ফলটির গুণাগুণ ও উপকারিতা আমাদের সকলেরই অজানা। তবে আমড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তোমরা যারা ওজন কমাতে চাও তাহলে আমড়া বেশি পরিমাণ খাওয়ার দরকার নাই। তবে খালি পেটে আমরা খেলে আমড়া খেলে পেট ব্যথা বদ হজম এইসব সমস্যা হতে পারে।

এইসব ফল ভরা পেটে খেতে হবে যেমন সকালের নাস্তার পর দুপুরে খাবারের পর বিকেলে এমন টাইমে খেতে হবে যাতে পেটে কিছু পরিমাণ খাবার থাকে অর্থাৎ ভরা পেট থাকে তাই আমরা আমড়া খাওয়ার অপকারিতা দিকটা দেখে এই ফলটি খাব। আমরা সাধারণত মরিচ গুড়া ওলবণ  মিশ্রিত খাবার খায়, এই ক্ষেত্রে আমড়া গুনাগুন উপাদান নষ্ট হয় এবং পরিপূর্ণ পুষ্টি গুণ কাজ করে না।

শেষ কথা

আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে আমরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরা। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনারা সহজেই জানতে পারবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিন্ন ধরনের আইটেম ও রয়েছে। আপনারা চাইলেই তা দেখতে পারেন। এই আর্টিকেল বোন পড়ার মাধ্যমেও জানার মধ্যে দিয়ে আপনাদের কোন না কোন উপকারে আসতে পারে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#