কাঁকড়া কি খাওয়া হয় - কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম আমরা কি জানি যে, কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা কি।আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা কি কি। তো চলুন দেরি না করে জেলে নেওয়া যাক কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা।
কাঁকড়া কি খাওয়া হয় - কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা
কাঁকড়া, কাঁকড়া হচ্ছে একটা চেনা জানা প্রচলিত প্রাণী। সাধারণত নানা রকম জলাশয়ে সৃষ্টি হয়ে থাকে যেমন নদী লালা খাল বিল পকুর পুস্কনি ইত্যাদি। কিন্তু একা একলা আবার খাওয়া যায় এই কাকড়া খাওয়ার নানা উপকারিতা হয়েছে। এমনকি আবার অনেকে চাষ করে থাকে। তোর ছেলের আজকে আমরা চোখের পলকে দেখে নেব। এবং ভালো করে এই পোস্টটি পড়ব।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ কাকড়া একটি নূন্যতম খাদ্য। বর্তমানে কোন একটি জায়গায় বেড়াতে গেলে অথবা কোন একটি ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে গেলে রেগে আমরা কাকা রান্না করা দেখতে পাই। কাকড়া আর্থ্রোপোডা পর্বের ক্রাস্টাসিয় প্রাণি।আমরা সবাই জানি যে কাকড়া নিজের দেহকে পুরো বহিঃ কঙ্কালের দ্বারা আবৃত করে রাখে। বেশিরভাগ সময় এদের জোরা থাকে। আমরা অনেকেই জানি যে পৃথিবীতে প্রায় ৬৭৯৩ টি প্রজাতির কাকড়া রয়েছে।পৃথিবীতে খাবার এসব কাকড়া প্রায় বেশিরভাগ সময় সাগরেই পাওয়া যায়। 
তাছাড়া অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখা যায় যে মিঠা পানিতে কিছু কাকড়া বসবাস করে।কাকরা সাধারণত চার মি. মি. হয়ে থাকে। তো আমরা আজকের পাঠে জানব কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা। এই পাঠের মাধ্যমে আরো জানতে পারবো যে কাঁকড়ার জীবন চক্র কি এবং জানতে পারবো কাঁকড়ার অপকারিতা কি। তো চলুন দেরি না করে আজকের পাটটি আমরা খুব মনোযোগ সহকারে পড়বো।

কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে কাকড়া একটি জলজ প্রাণী। এটা সাধারণত সাগর নদী ইত্যাদি জলসার বসবাস করে। আপনি কি জানেন কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা। আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে না জানেন তাহলে চলেন আজকে আমরা জেনে নেব কাঁকড়া কি খাওয়া হয় ও কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা।আমরা সবাই একটি সামুদ্রিক জিব। সে মাত্র বসবাস করা মাছ যেমন খাওয়া হয় ঠিক তেমনি সমুদ্রে বসবাস করা কাকরাও খাওয়া হয়।

এই কাকা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আজকে আমরা দেখতেছি যে আমাদের দেশের বাইরে অন্য দেশে কাঁকড়া কে মাংসের একটি উৎস্য ধরা হয়।যা আবার আমাদের দেশের কিছু অঞ্চলে সহজেই ধরা যায় এবং অন্যগুলিতে একটি সুস্বাদু। চীন বিশ্বের বৃহত্তম কাঁকড়া রপ্তানিকারক, যখন স্পেন আমদানি করে এবং বেশি ব্যবহার করে। এ পাট টি পড়ে আমরা বুঝতে পারি যে কারা খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে।

কাঁকড়ার জীবন চক্র

বন্ধুরা কাঁকড়া হল এমন একটি প্রাণী যাদের শরীরে দশটি করে পা থাকে। আর এদের শরীর খোলস দ্বারা আবৃত থাকে যেটা দেখতে মেটালের মত মনে হয়। এদের দুটি পা হতে ভয়ংকর চিমটা বা পাঞ্জা থাকে। বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগরে এদেরকে দেখা যায় কিন্তু এদের কিছু প্রাণী রয়েছে। যারা উষ্ণ মন্ডলে এলাকায় শস্য পানি এবং মাটিতে থাকতে ভালবাসে। বৃষ্টির সময় এরা ঘাসে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বিশ্বে প্রায় 800 এর বেশি প্রজাতি রয়েছে এদের। কিন্তু বন্ধুরা আপনারা কি জানেন এই কাকড়া গুলোর জন্ম কোথা থেকে হয়।

কোথা থেকে আসে এই কাকড়াগুলো তো চলুন আজকে জেনে নেব কাঁকড়ার জীবন চক্র। তো চলুন আজকে আমরা কাঁকড়ার জীবন চক্র সম্পর্কে আলোচনা শুরু করি। এই প্রক্রিয়ায় সবার আগে পুরুষ এবং মহিলা কাকড়ার মিলন হয়। মিলন হওয়ার কিছুদিন পরে মহিলা কাঁকড়া ডিম দেয়। যখনই মহিলা কাঁকড়া ডিম দেয়ার অবস্থায় চলে আসে। তারপর তারা স্রোতের পানিতে চলে যায়। যেখানে গিয়ে তারা তাদের ডিমের থলি খুলতে সাহায্য করে।

আপনারা জানলে অবাক হবেন যে মহিলা কাঁকড়া একসাথে প্রায় এক থেকে পাঁচ লক্ষ ডিম দিতে পারে যদিও তারা সব ডিম একসাথে দিতে পারে না কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। এই ডিমগুলো তোদের বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার কারণে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে কাকড়া ডিম লাখের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার বেঁচে থাকে। আর যেই ডিম গুলো বেঁচে থাকে সেই ডিমগুলোর মধ্যে কাকড়ার বাচ্চা বিকাসিত হতে দেখা যায়। ডিম থেকে বাচ্চা জন্মাতে সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ দিন সময় লাগে।

ডিম থেকে বাচ্চা জন্মানোর পর এরা খাবারের জন্য বেরিয়ে পড়ে। কাকড়ার বাচ্চা কীটপতঙ্গ খেয়ে বড় হতে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে এরা চার থেকে পাঁচ বার খোলাস বদলায়। উপরে যা যা আলোচনা করলাম এই সবগুলো হচ্ছে কাঁকড়ার জীবন চক্র।

কাঁকড়ার অপকারিতা

কাকড়া খাওয়া এটা আমরা সাধারণত সবাই জানি। কাকার উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা জানি কিন্তু আমরা ঠিক জানি না যে কাঁকড়ার অপকারিতা কি এবং সেই সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ও নেই। আমাদের দেশের প্রায় খুব কম মানুষই কাঁকড়া খেয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি আমদানি করেও বিক্রয় করা হয়।

এবার জানামতে কাকড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে কিন্তু কাঁকড়ার অপকারিতা নেই। তো আজকাল এই পার্টিতে শুধু উপকারিতা নেই জেনে থাকবো। যদি বেঁচে থাকি তাহলে হয়তো কোনদিন কাকড়া খাওয়ার অপকারিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে আর্টিকেল লিখব।

কাঁকড়া কাটার পদ্ধতি

হ্যালো বন্ধুরা আমরা অনেকেই কাকড়া কাঁকড়া কাটার পদ্ধতি জানি। আর আমরা যারা জানি না যে কাঁকড়া কাটার পদ্ধতি কি। তারা আজকে জেনে দিব কাঁকড়া কাটার পদ্ধতি কি। তো বন্ধুরা চলো দেরি না করে আজকের আমাদের কাঁকড়া কাটার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনাটি শুরু করা যাক। ‌ মাছ কাটার সুরি বা দা যে কোন একটা কিছু নিয়ে কোথায় আমরা ছোট ছোট পা গুলো কেটে নিব। তারপরে কাকড়ার চেমটার মতো যে বড় দুটো পা আছে।
হাত দিয়ে মুছরে ভেঙে ফেলব। তারপরে কাকড়ার উপরের আবৃত শক্ত খোসা ছাড়িয়ে নেব। খোলসগুলো ফেলে দিব সেগুলো আমরা খাব না। তারপরে চোখের উপরে যে খোলস টা আছে সেটাও ঠিক একই ভাবে আমরা ছাড়িয়ে নিব। এরপরে কাকাগুলো পিস পিস করে কেটে নিয়ে সেটাকে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবো। সাধারণত আমরা এই পদ্ধতিতে কাঁকড়া কাটতে পারি।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পাটটি পড়ে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমরা এখানে কাঁকড়া সম্পর্কে যা যা পরেছি তা থেকে যদি একটু উপকৃত হই তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি সবার মাঝে শেয়ার করে দেবো। এবং সব সময় ফাস্ট ব্লগার আইটি ওয়েবসাইটটিকে সাপোর্ট দিয়ে যাব। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো আছেন ভালো থাকবেন অন্যকে ভাল রাখার চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#