শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা -শিম চাষ পদ্ধতি

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নেব ।শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। শিম আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে থাকে। এবং শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। ও সীমা আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিব শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা -শিম চাষ পদ্ধতি
শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের কদর বেশি।শিম আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে থাকে। এবং শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। ও শিমে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শিম আমাদের শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী ও আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা -চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

ভূমিকা

বাংলাদেশের একটি শীতকালীন জনপ্রিয় সবজির নাম হলো শিম।শিমে আছে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি এবং বি। শিম সবার জনপ্রিয় সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি। কচি শিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও স্বেতশ্বার। শিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া আমাদের দেহ ঠান্ডা রাখার জন্য শিম খাওয়া যায়। শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। এবং কোষ্টি কাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। শুধু শিম না, শিমের বিচির উপকারিতা অনেক। শিম আমরা ভাজি ভর্তা এবং মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে পারি।
তাছাড়াও শিমের ভাজির চলিত বেশি রয়েছে।শীতের সবজি শিম শরীরের নানা উপকার করে। পুষ্টিবিদদের মতে, শিমে অনেক ধরনের খনিজ রয়েছে।শিমে অনেক ধরনের খনিজ রয়েছে। এছাড়াও এতে ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়।শিমের বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। যারা প্রোটিনের উৎস যেমন- মাছ, মাংস খান না, তারা নিয়মিত শিম খেতে পারেন। শীতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে শিম।শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বকও ভালো থাকে। শিম খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শিমে প্রচুর পরিমাণ খনিজ থাকার কারণে চুল চুল পড়ার সমস্যা সমাধান করতে পারে শিম।শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।

শিম খাওয়ার উপকারিতা

এবার আমরা জেনে নেব শিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। শিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও স্বেতশ্বার। শিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া আমাদের দেহ ঠান্ডা রাখার জন্য শিম খাওয়া যায়। শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। এবং কোষ্টি কাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। শুধু শিম না, শিমের বিচির উপকারিতা অনেক।শিমে অনেক ধরনের খনিজ রয়েছে।শিমে অনেক ধরনের খনিজ রয়েছে। এছাড়াও এতে ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়।শিমের বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।

শিমে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখে।শিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে। এ কারণে এ সবজি ত্বকের আর্দ্রতা দূর করতেও সাহায্য করে। আমাদের শরীরের রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শিম।শিমে থাকা নানা উপাদান হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমায়।নিয়মিত শিম খেলে পাবেন অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।শিমে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তবে এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, জিংক ও মিনারেল। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।পরিপাকের জন্য খুব দরকারি এই শিম।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, তাই কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শিম খুবই উপকারী। শিম খাওয়ার উপকারিতা অনেকশিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শিমের বিচির অপকারিতা

শিমের বিচির অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেব।শর্করা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস বশে রাখার ক্ষমতা আছে। চুল পড়া কমায়. প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় ।শিমের মতে শিমের বিচির পুষ্টিগুণও রয়েছে। এতে রয়েছে উচ্চ মানের ফাইবার প্রোটিন। যেটি শরীর এর জন্য অত্যন্ত উপকারী।এনার্জি বৃদ্ধির জন্য এতে রয়েছে ২০ শতাংশ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া শিমে রয়েছে ভিটামনি ও আয়রন যা শরীরের শক্তি বাড়ায়।শিমে থাকা ভিটামিন ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি শরীর এর ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে।

যাদের শিমের বিচি খেলে এলার্জি বেড়ে যায় তারা এর থেকে দূরে থাকুন। আবার অনেকের শিমের বিচি খেলে মাইগ্রেন এর ব্যথা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত শিমের বিচি খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এরা এটা খাওয়া যাবে না।দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না, কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়।ডালের মতোই শিমের বিচিতে প্রচুর উদ্ভিজ্জ আমিষ আছে। ফলে শিমের বিচি শরীরের আমিষের ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সহায়ক হবে।শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের ক্ষয়রোধে এটি ভূমিকা রাখে।

শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে থাকে। শিমের বিচির অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম।

শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান

এবার জানবো শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। শিমের বিচি এক ধরনের আমিষ।শিমের বিচিতে খাদ্য উপাদান হল - খাদ্যশক্তি ৩৪৭ কিলো ক্যালরি।এটি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। শিম, শিমের বিচি এবং শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার ।শিমের বিচি এবং শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার প্রোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। এনার্জি বা শক্তির জন্য শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট।প্রয়োজনীয় ভিটামিন ওআয়রন।

শিমের বিচি দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা ও অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এতে কোলেস্টোরেল একেবারেই নেই।হজমে সহায়তাসহ দেহে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখে। গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।শিমের বিচি শরীরের আমিষের ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সহায়ক হবে।

শিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

সবার আমরা জানবো শিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।শিমে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তবে এতে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, জিংক ও মিনারেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী।শিম খেলে একদিকে যেমন ওজন বৃদ্ধির ভয় নেই, অন্যদিকে শরীরও থাকবে সুস্থ। শিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক হলো শিম খেয়ে ফেলার ফলে যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।পুষ্টিগুণে ভরপুর এ সবজিটিতে ও আছে সামান্য কিছু ক্ষতিকর উপাদান।

শিমে আছে কিছু সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর সায়োজনিক গ্লুকোসাইড।পুষ্টিসমৃদ্ধ হলেও বেশি পরিমাণে শিম খাওয়া কখনো ঠিক না। কেননা অধিক পরিমাণে শিম খেলে বমিবমি ভাব হতে পারে। পরিমাণ মতো সব সবজি খেলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অধিক পরিমাণে কোনো কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।কোনো খাবারই বেশি পরিমাণে খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনি ভাবে শিম বেশি খেলে আপনার পেটে গ্যাস হতে পারে, বিশেষ করে যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে ও এলার্জি আছে।

তারা কখনোই অতিরিক্ত শিম খাবেন না।অতিরিক্ত শিম খেলে আপনার কফ বেড়ে যেতে পারে, আপনার যদি বাতের ব্যথা থাকে তাহলে সেটাও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে, অতিরিক্ত শিম খেলে আপনার রুচি ও কমে যাবে।

শিম চাষ পদ্ধতি

এবার আমরা জানবো শিম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।শিম গাছ ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মাদায় গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।চারার বয়স ৪০-৪৫ হলে শিমের ডগা পরস্পর প্যাঁচ লেগে যায়।বীজ বপনের আগে ১০-১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে নিতে নিন। প্রতিটি মাদায় ২-৩ টি করে সুস্থ চারা রেখে বাকী চারা গুলো তুলে ফেলতে হবে।সারা বছর চাষ করা শিম।শিম চাষ করার জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আশা মাটি সবচেয়ে ভালো। তবে সব ধরণের মাটিতে চাষ করা যায় শিম।আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।
শিম চাষের আধুনিক পদ্ধতি. জমি নির্বাচন. দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে শিম ভালো হয়।আমিষসমৃদ্ধ এই শিম তরকারি হিসেবে কাজ করে।জমি ছাড়াও রাস্তার ধারে, পথের আলে, ঘরের চালে, গাছেও ফলানো যায়। শিম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানালাম শিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। বাংলাদেশের একটি শীতকালীন সবজি শিম।শিম খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান অনেক।তো যদি আমাদের পোস্টে আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#