রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় - রক্তশূন্যতা বোঝার উপায়

প্রিয় পাঠকেরা আজ আমরা জানবো রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। প্রতিদিন আমরা আয়রন যুক্ত ফল খেলে রক্তশূন্যতা দূর করতে পারবো। সেই ফলগুলো হলো টমেটো বেদনা আঙ্গুর কমলা গাজর ইত্যাদি। সেজন্য রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় - রক্তশূন্যতা বোঝার উপায়
আমরা যদি নিয়মিত আমাদের খাবারে আয়রন যুক্ত ফল রাখি তাহলে রক্তশূন্যতা দূর করতে পারবো। আয়রন যুক্ত ফলগুলো হলো টমেটো বেদনা আঙ্গুর কমলা গাজর ইত্যাদি। আর হ্যাঁ আমাদের অবশ্যই প্রতিদিন ২-৩ টি আয়রন যুক্ত ফল খেতে ভুলবো না। তো চলুন রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নিই।

 ভূমিকা

রক্তশূন্যতা দূর করতে আমাদের প্রতিদিন আয়রনযুক্ত ফল খেতে হবে। কারণ ফলমূলে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে দেহকে মুক্ত রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখতে হবে।পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন এবং আয়রন আছে।যা‌ আমাদের শরীরের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে।

এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব।টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর বেশি খেলে আরও ভালো হয়।প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হল ডালিম।

ডালিম দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারি।আয়রনের আরেকটি উৎস হল পিনাট বাটার। দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে ০.৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। আপানি যদি পিনাট বাটারের স্বাদ পছন্দ না করেন চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটিও শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

আরো অনেক খবর আছে আয়রন যুক্ত যেমন ডিম সয়াবিন বাদাম সামুদ্রিক মাছ খেজুর কিসমিস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে।রক্তের ক্ষয় হলে বা রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কম হলে রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। এই ধরনের সম্যা সাধারনত মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে ।
সন্তান জন্মাদানের সময় এবং মাসিকের কারনেও হয়ে থাকে। এছাড়াও নারীপুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা হতে পারে ক্যান্সার, আলসার ইত্যাদি কারনে। অর্থাৎ যেসব কারনে শরীরের রক্ত শূন্যতা হয়ে থাকে।আর এগুলোই রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়।

রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

এবার আমরা জানবো রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।আমাদের শরীরের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব।টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে।

প্রতিদিন কমপক্ষে একটি টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর বেশি খেলে আরও ভালো হয়।প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হল ডালিম।ডালিম দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারি।আয়রনের আরেকটি উৎস হল পিনাট বাটার।আপনারা কি জানেন দুই চামচ পিনাট বাটারে গ্রাম ০. ৬ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে

আপানি যদি পিনাট বাটারের স্বাদ পছন্দ না করেন চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটিও শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আরো অনেক খবর আছে আয়রন যুক্ত যেমন ডিম সয়াবিন বাদাম সামুদ্রিক মাছ খেজুর কিসমিস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে।রক্তের ক্ষয় হলে বা রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কম হলে রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। এই ধরনের সম্যা সাধারনত মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে সন্তান জন্মাদানের সময় এবং মাসিকের কারনেও হয়ে থাকে।

এছাড়াও নারীপুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা হতে পারে ক্যান্সার, আলসার ইত্যাদি কারনে। অর্থাৎ যেসব কারনে শরীরের রক্ত শূন্যতা হয়ে থাকে।আর এগুলোই রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়।খেজুর আপনার রক্ত শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে।খেজুরের পুষ্টিগুণ রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।

খেজুরের মধ্যে রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য যে আয়রন প্রয়োজন সেই আয়রনের পরিমাণ ভরপুর রয়েছে।তাই আমাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা খুবই বুদ্ধিমান এর একটি কাজ হবে।

রক্তশূন্যতা দূর করার ঔষধের নাম

এবার আমরা জানবো রক্তশূন্যতা দূর করার ঔষধের নাম কি তা সম্পর্কে।যাদের রক্তে লোহার ঘাটতি আছে এমন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিডনি রোগের কারণে রক্তাল্পতা আছে এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। এটি আমাদের শরীরকে যথেষ্ট পরিমাণ লাল রক্ত কোষ তৈরি করতে সহায়তা করে যাতে আমাদের পুরো শরীর জুড়ে অক্সিজেন সঞ্চালন হতে পারে।অ্যানিমিয়ার উপসর্গগুলি হল ক্লান্তি, দুর্বলতা, ফ্যাকাসে চামড়া এবং শ্বাসের অসুবিধা। 

রক্ত বৃদ্ধির জন্য ফাইল না খেয়ে আপনি প্রচুর পরিমন শাক শবজি খান।ডালিম ফল এবং অন্যন্য ফল ফলাদি খেলে প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের দেহে রক্ত বৃদ্ধি পাবে ।পিরিয়ড বা মাসিকের সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা হওয়াও বেশ কমন।ঔষধগুলো আপনাকে প্রায় ৬ মাস সেবন করতে হবে। ঔষধ খাওয়ার পরপর কমলালেবুর রস বা লেবুর সরবত খেলে তা আপনার শরীরকে আয়রন শোষণে সহায়তা করতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট সেবনের ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে হতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানা শক্ত হয়, যার কারণে অনেকে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে একটানা তিন–চারদিন পায়খানা নাও হতে পারে।দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়া অভ্যাস করলে।

 শরীরে আয়রনের ঘাটতি বা রক্তাস্বল্পতার সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে সহজেই।দুধে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। এই খাদ্য উপাদানগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। রক্তশূন্যতা দূর করার ঔষধের নাম সম্পর্কে জানলাম।

মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ

এবার আমার জানবো মেয়েদের রক্তশূন্যতা লক্ষণ সম্পর্কে।রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা এমনকি হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে।রক্তশূন্যতা কোনো রোগ নয়। বরং রোগের লক্ষণ। তাই এতে অবহেলা করা যাবে না। পৃথিবীর শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ রক্তশূন্যতায় ভোগে।পদার্থের স্বল্পতাকে বুঝি। বয়স ও লিঙ্গভেদে এই হিমোগ্লোবিন যখন কাঙ্ক্ষিত মাত্রার নিচে তখন বলা হয় অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা।হিমোগ্লোবিন শরীরের গুরুদায়িত্ব পালন করে থাকে।

এটি কোষে কোষে পৌঁছে দেয় অক্সিজেন। সুতরাং হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হলে কোষে অক্সিজেনপ্রবাহ ব্যাহত হয়। ফলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে।স্বল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠে শরীর। হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এমনকি তীব্র রক্তশূন্যতা হৃৎপিণ্ড অকার্যকর করতে পারে। তখন পায়ে পানি জমে। শুয়ে থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। রক্তশূন্যতার কারণে ঠোঁটের কোণে ক্ষত হয়, জিহ্বায় ঘা হয়, চুলের ঝলমলে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

কোনো কোনো রক্তশূন্যতায় প্রান্তীয় ও কেন্দ্রীয় স্নায়ু আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষত ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির কারণ রক্তশূন্যতা। নারীদের মাসিক হয়ে পড়ে অনিয়মিত।আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা সবচেয়ে পরিচিত। এ ছাড়া লোহিত রক্ত কণিকা সময়ের আগেই ভেঙে গেলে রক্তশূন্যতা হয়। দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন কিডনি অকেজো, লিভার অকার্যকর, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মাসহ নানাবিধ রোগে হতে পারে রক্তশূন্যতা। 

হিমোগ্লোবিনের জিনগত রোগ যেমন থ্যালাসেমিয়াসহ আরও অসংখ্য রোগে সৃষ্টি হতে পারে রক্তশূন্যতা। তবে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ এগুলো।আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

সে জন্য খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। লাল মাংস, গিলা-কলিজা, ছোট মাছ, লালশাক, কচুশাকসহ সবজি-আনাজ আর ফলমূল বেশি খেতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে আয়রন ট্যাবলেট, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-১২ খেতে হবে।

শরীরের রক্ত বৃদ্ধির উপায়

এবার আমরা জানবো শরীরের রক্ত বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে।ভিটামিন এ রক্তে আরবিসি তৈরিতেও সাহায্য করে ভিটামিন এ মাছ, ডিম, কলিজা, দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাক, কমলা, হলুদ শাকসবজি, টমেটো ইত্যাদিতে পাওয়া যায় যার সাহায্যে শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।রক্তে লোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। এ সময় শরীরে রক্ত বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

আমাদের শরীরে  হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিন্তু এই হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতার অভাব দেখা দিতে পারে।মাংস, ডিম, কচু, কলিজা, আলু সিদ্ধ ইত্যাদি এই খাবারগুলো আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবি তৈরি করতে সাহায্য করে। এসব খাবারে আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করে এবং রক্তসল্পতা প্রতিরোধ করে। শরীরে এগুলোর চাহিদা পূরণে পালং শাক, বাদাম, ডাল, তিলের বীজ সিরিয়াল এগুলো খেতে পারি।

সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো রাখতে সবুজ শাকসবজি প্রত্যেকদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে কমলা এর ভূমিকা অনেক। কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক ভূমিকা রাখে, আমরা সবাই জানি কমলা তে অনেক উপকার রয়েছে।

এছাড়া কলা, আঙ্গুর, গাজর ইত্যাদি আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো হৃদপিণ্ড থেকে দেহের সব অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করা। হিমোগ্লোবিন দেহকোষ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডও সংগ্রহ করে এবং তা পুনরায় ফুসফুসের কাছে পৌঁছে দেয়।শরীরের রক্ত বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে গেলাম।

রক্তশূন্যতা বোঝার উপায়

এবার আমরা জানবো রক্তশূন্যতা বোঝার উপায় সম্পর্কে।যখন রক্তশূন্যতা ধীরে ধীরে হয়, তখন লক্ষণগুলি প্রায়ই অস্পষ্ট হয়, যেমন ক্লান্তি বোধ, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা এবং ব্যায়াম করার কম ক্ষমতা। যখন রক্তস্বল্পতা দ্রুত হয়, তখন বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হওয়া, চেতনা হ্রাস এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধির মতো লক্ষণগুলি থাকতে পারে।বিভিন্ন কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি সবচেয়ে বড়অপুষ্টিজনিত একটি সমস্যা।

অ্যানিমিয়ার রোগীর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে সবচেয়ে উপকারী চিকিৎসা হলো হাত, পা ম্যাসাজ করা। এতে করে শরীরে রক্ত চলাচল সঠিক উপায়ে হবে। রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহণ করে। ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগী সব কাজে হাঁপিয়ে বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। রক্তাল্পতার প্রভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে। অনেকেই ভাবেন, ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হচ্ছে।

এ ছাড়াও রক্ত শূন্যতার কারণে চোখের ভেতরের মাংস পেশিগুলোও লাল রং হারিয়ে ফেলে।শরীরের আয়রন কমে গেলেই দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। এর প্রভাবে চুলও পড়ে যেতে পারে। কাজেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।রক্তশূন্যতার রোগীরা অল্পেই ক্লান্তি ও বিষণ্নতায় ভোগেন। যা ডেকে আনতে পারে মাথাব্যথাও। কিছু ক্ষেত্রে রোগী মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন।হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকাও কিন্তু রক্তশূন্যতার ইঙ্গিত দেয়।

 তাই এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সময়মতো চিকিৎসা না করালে ঘটতে পারে ।রক্ত স্বল্পতা হলে রোগী অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। সামান্য কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।অনেক সময় রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক ফ্যাকাশে হতে থাকে।আয়রনের অভাবে রক্ত স্বল্পতা হতে পারে। এই আয়রনের অভাবে অতিরিক্ত চুল ঝরে যেতে শুরু করে।রক্ত স্বল্পতায় আক্রান্তকে বিষণ্ণতায় ভুগতে দেখা যায়।
সারাক্ষণ দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা হওয়ার কারণে রোগীকে বিষণ্ণতা গ্রাস করে।ছাড়াও রক্ত স্বল্পতার আর একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। রক্ত স্বল্পতার কারণে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত দেহে সঞ্চালনের জন্য পাম্প করতে পারে না। ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।আর এগুলোই রক্তশূন্যতা বোঝার উপায়।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানালাম। রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।পুষ্টিহীনতা এবং শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি।দীর্ঘদিন ধরে যারা ব্যথার ওষুধ সেবন করেন, তারাও রক্তাল্পতায় ভোগি আমরা।তো বন্ধুরা আমাদের সবসময় আয়রন যুক্ত খাবার খেতে হবে যাতে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা প্রভাব না করতে পারে।

আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আয়রনযুক্ত খাবার রাখতে হবে যেমন বেদনা কলা কমলা আঙ্গুর ইত্যাদি। বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং নিয়ম অনুযায়ী চলবেন। আর এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#