টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি - টিয়া পাখির খাবার

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে টিয়া পাখি নিয়ে আলোচনা করব।টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি - টিয়া পাখির খাবার। আমরা অনেকে টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি সম্পর্কে সব জানি। আর আমরা যারা জানিনা তাদের জন্য এই আর্টিকেল আজকে আমরা জেনে নিব টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি - টিয়া পাখির খাবার।

টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি - টিয়া পাখির খাবার
বর্তমানে প্রায় সবার মনে কিছু না কিছু পালন করার ইচ্ছা জাগে। সেই পালনের ক্ষেত্রে টিয়া পাখি একটা সৌন্দর্যময় ও কথা বলার পাখি। অনেকেই পাখিটি সম্পর্কে জানি কিন্তু আমরা কি টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি - টিয়া পাখির খাবার এইসব বিষয়ে জানি। চিন্তা নেই যারা জানেন না তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সেসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নিব। তো বন্ধুরা দেরি না করে আজকের আর্টিকেল শুরু করা যাক।

ভূমিকা

আমরা অনেকেই ট্রেম সাইজের টিয়া পাখি পালতে চাই। কারন এই বাচ্চা টিয়া পাখি বড় হয়ে খুব সহজে পোষ মানে। সহজে কথা বলতে শিখ। এত ছোট বাচ্চাকে সহজে কেউ পালতে পারে না। এই পাখিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়। এবং এই পাখিটি আমাদের সাথে বিভিন্ন রকমের কথা বলে তবে এসব কথা আগে থেকেই শেখাতে হয়। 
টিয়া পাখি দেখতে যেমন সুন্দর জমায় ঠিক তেমনি এটি পালাও খুব কঠিন। পালন করতে গেলে সবসময়ের জন্য একটা লোক এই পাখির সাথে থাকতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা চলুন আজকে আমরা এই পাখি সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেব কিভাবে এই পাখি লালন পালন করতে হয় এটার খাওয়ার পদ্ধতি কি। টিয়া পাখির প্রজনন টিয়া পাখির বাসার ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে আজকে আমরা জেনে নিব।

টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি

প্রিয় বন্ধুরা সবাই টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি জানেনা। টিয়া পাখির বাচ্চার বয়স দেড় ২ মাস হবার সময় পর্যন্ত এদেরকে খাঁচায় রাখা যায় না। এর কারণ হলো প্রাকৃতিক পরিবেশে এই বাচ্চারা তাদের মা-বাবার বানানো বাসাতে থাকে। এর জন্য টিয়া পাখি পালার জন্য কাঠুমে রাখতে হবে এবং তার ভিতরে কিছু কাঠের টুকরা দিতে হবে। টিয়া পাখি যখন পালক উঠে যাবে তখন টিয়া পাখিটিকে খাঁচায় পরিবর্তন করতে পারেন। টিয়ার বাচ্চার খাবার সাধারণত বাজারে আলাদাভাবে পাওয়া যায়। বাজার থেকে টিয়া পাখির যেকোনো ধরনের খাবার কিনে সেটা নরম করে বাচ্চাটিকে খাওয়াতে পারেন।

 নিউটিবার নামে একটি খাবার বাজারে পাওয়া যায়। সেটা গায়ে খাবার বানানোর পদ্ধতি লেখা আছে কিন্তু তার সাথে হালকা পানি মিশ দিয়ে বাচ্চাটাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চাটিকে কি দিয়ে খাওয়াবেন বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য ইনজেকশন এর সিরিজ অথবা করতে পারেন। এটাই হচ্ছে টিয়া পাখির বাচ্চা পালন পদ্ধতি।

টিয়া পাখির আকৃতি

টিয়া আমাদের জাতীয় পাখি না হলেও এটা দেখতে খুব সুন্দর। এই টিয়ার পাখির আরেকটি নাম তোতা। টিয়া পাখি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি কিন্তু টিয়া পাখির আকৃতি সম্পর্কে কেউ কি জানি। তো চলুন আজকেই পাটটিতে জেনে নিব টিয়া পাখির আকৃতি সম্পর্কে। টিয়া পাখি মানুষের মত কথা বলার কারনে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মানুষের মতন করেই এরা কথা বলে।টিয়া পাখির সারাদেশে সর্বত্র জেলায় দেখা যায়। এটা দেখতে খানিকটা কাকের মত। টিয়া পাখি সাধারণত মাথা থেকে লেস পর্যন্ত ৪২ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। কিন্তু টিয়া পাখির ওজন খুব হালকা। 

সাধারণত এরা ১২৫ থেকে ১৩০ গ্রাম হয়ে থাকে।টিয়া পাখি গ্রাম গনজে খুব কম দেখা যায়। তবে যারা এইবটিয়া পাখি পালন করে তারা সবাই জানে যে টিয়া পাখি কতটা সুন্দর্য আছে।বাংলাদেশ অনেক ধরনের টিয়া পাখি আছে। টিয়া পাখির ঠোট গোল আকৃতির হয়ে থাকে। তো আজকে আমরা জানতে পারলাম টিয়া পাখির আকৃতি কেমন।

কথা বলা টিয়া পাখি কত প্রকার

সাধারণ মানুষের কাছে সবথেকে জনপ্রিয় পাখি হচ্ছে টিয়া পাখি। এটা শুধু দেখতে সুন্দর তা না বরং কথা বলতে পারে।বাংলাদেশের প্রায় অনেক কয় ধরনের টিয়া পাখি রয়েছে। তো চলুন আজকে আমরা জেনে নিব কথা বলা টিয়া পাখি কত প্রকার। সবুজ রং লম্বালেজ চ্যাপ্টা ঠোট দেখলেই সবাই চিনে ফেলে টিয়া পাখি। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কথা বলা টিয়া পাখি কত প্রকার। টিয়া পাখি সাধারণত ছয় প্রকার। যথা
  • vernal handing parrot
  • Red-breasted parakeet
  • Plum readed parakeet
  • Alexandrine parakeet
  • Indian ring necked
  • Blossom-headed parakeet
এই সব ধরনের টিয়া পাখি গুলো সব সময় কথা ভালো বলে। এবং এগুলো দেখতে খুব সুন্দর্যময়।টিয়া পাখি দেশি পাখি তাই এটি খাচায় পালা নিষেধ।তবে পোশ পানিয়ে ছেরে দিয়ে পালন করা যায়।

টিয়া পাখির প্রজনন

আজকে আমরাই পাঠের মাধ্যমে জানবো টিয়া পাখির প্রজনন।টিয়া পাখি একটি জনপ্রিয় পাখি হলেও আমরা অনেকেই এটার প্রজনন সম্পর্কে জানিনা। তো চলেন আজকে আমরা জেনে নেব টিয়া পাখির প্রজনন সম্পর্কে। ইংরেজি বছরের শুরুতে টিয়া পাখির প্রজনন এর কাজ শুরু করে। বছরের শুরুতে জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত এদের প্রজনন মৌসুম। এই সময় কে টিয়া পাখির মৌসুমী সময় বলা হয়। 

এরা গাছের ঠোকোরে কাঠঠোকাদের পরিত্যাক্ত বাসায় বাস করে। মৌসুমীর সময় কাঠঠোকাদের বাসায় ডিম প্রজনন করে। সেখানে দীর্ঘ কয় মাস প্রজনন কাজ সম্পন্ন করে তারা বাসা ত্যাগ করে। তবে এদের বাসা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। এরা যে গাছে বাসা বাঁধে সেই গাছ যদি ভেঙে পড়ে না যায় তাহলে টিয়া পাখির বাসা নষ্ট হয় না। আর এই বাসার ভিতরে তাদের ডিম খুব যত্নে থাকে। সে বাসা থেকে টিয়া পাখি প্রজনন কাজ সম্পন্ন করে।

টিয়া পাখির খাবার

হ্যালো বন্ধুরা,আমাদের অনেকের মনের ভিতরে অনেক সময় টিয়া পাখি পালন করার শখ জাগে। কিন্তু আমরা অনেকেই টিয়া পাখির খাবার সম্পর্কে জানিনা।তা আমরা যদি আজকের এই পাটটি ভালো করে না পড়ি তাহলে সবকিছু ভালো করে বুঝতে পারব না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি খুব ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমরা সবাই যদি একটু ভেবে দেখি,যে টিয়া পাখি পালন করতে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে টিয়া পাখির খাবার সম্পর্কে জানতে হবে।

আমাদেরকে জানতে হবে টিয়া পাখি কি কি খাবার খায় প্রচলন দেরি না করে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। প্রথমে আমরা চলে যাব দানাদার খাবারের ভিতর। দানাদার খাবার হিসেবে টিয়া পাখিকে আমরা দিতে পারি পরিষ্কার ধান ছোলা সূর্যমুখী ফুল এর বীজ মটর কলাই ভাজা ইত্যাদি দিতে পারি। আবার বাদামও দিতে পারি। তবে বাজারের ভিতরে সিনেমা দেবের খোসা দিলে ভালো হয়। ফলের ভিতরে পেয়ারা আপেল আম পেপে তবে পেপে কাঁচা পাকা দুইটাই খেতে পারি।
তবে আপনারা যদি শাক সবজি খাওয়ানো শেখান তাহলে বাঁধাকপির পাতা পুঁইশাক এইসব সবজি খাওয়াতে পারেন। তবে টিয়া পাখি ছোলা পরিষ্কার ধান সূর্যমুখী ফুলের বীজ এই তিনটি খাবার খেতে খুব ভালোবাসে।উপরে আলোচিত এইসব খাবারগুলো টিয়া পাখিকে খাওয়ানো যায় এবং এই খাবারগুলোর মাধ্যমে টিয়া পাখিকে লালন পালন করা যায়।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা টিয়া পাখি হচ্ছে সৌন্দর্যময় একটি পাখি। টিয়া পাখি প্রায় বাংলাদেশের সর্বত্র এলাকায় দেখা যায়। এ পাখি মানুষ শখ করে লালন পালন করে। এই পাখির যেমন গুণ আছে তেমনি অনেক সুন্দর ও তবে এই পাখি মানুষের মতই কথা বলতে পারে। পৃথিবীতে টিয়া পাখির অনেক কয়টি জাত আছে। আজকে আর্টিকেলটি পরে আমার জানতে পারলাম টিয়া পাখি কিভাবে বসবাস করে কোন জায়গায় বাস করে। 

টিয়া পাখির খাবার কি কি টিয়া পাখি বসবাস করে কোন জায়গায়। টিএফআই কত প্রকার টিয়া পাখির প্রজনন ইত্যাদি। প্রিয় বন্ধুরা আজকে যদি আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে উপকৃত হই তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি সবার মাঝে শেয়ার করে দেবো। এবং সবাইকে টিয়া পাখি লালন-পালন করার পদ্ধতি জানার সুযোগ করে দিব। আশা করি ভালো আছেন ভালো থাকবেন সবসময় পাশে থাকবেন। আর আমাদের ওয়েবসাইটটিকে সাপোর্ট দেবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#