আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানব আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আপেল একটি পুষ্টিণুন সম্পূর্ণ ফল। এরপরেও আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। সবকিছুরই যেমন ভালো দিক থাকে তেমনি খারাপ দিকে থাকে। তো চলুন আজকে আমরা জেনে আসি আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে।
আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা অনেকেই শুধু আপেলের পুষ্টিগুণ জানে অনেকের কাছেই আপেলের অপকারিতা দিক জানা নেই। আপনারা যদি আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটা শুধু আপনাদের জন্য।

ভূমিকা

আপেল আমাদের একটি স্বাস্থ্য জাতীয় ফল। যা আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টি যোগায় অনেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই ফল আপেল। আপেল ফাইবারঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল আপেল। আপেল আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় আবার বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপেল একটি স্বাস্থ্য সম্মত ফল। আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করেও হার্ট ভালো রাখে আবার ফুলা কমাতে সাহায্য করে।এই আপেল আমরা খালি পেটে খেলেও এসিড হবে না বরং এ আপেল ডাইজেস্টিভ সিস্টেম আরো ভালো হয়ে যাবে।

আপেল খাওয়ার আগে অনেক সময় আমাদের খালি পেট থাকে। তাই প্রথমে পানি খেয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়িয়ে ফল খেতে হবে।আমরা খালি পেটে আপেল খেলে হার্ট ও সুস্থ থাকে এছাড়াও আপেলে আছে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম এই উপাদানগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি অধিকাংশ কমায়। আবার চার থেকে পাঁচ টুকরো আপেল খেলে নয় শতাংশ স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।

আপেলের খোসা ও আমাদের শরীরের জন্য পুষ্টিকর উপাদান আপেলের খোসায় থাকেফ্ল্যাভোনয়েড কোয়ারসেটিন, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে চাইলে আমরা সকালে চায়ের পরিবর্তিতে আপেল খাব। আপেল যেমন আমাদের শরীরের জন্য আমাদের শরীর সতেজ করে তেমনই স্বাস্থ্যর জন্য উপকার করে। এই আপেলে রয়েছে অনেক এনার্জি।

আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। আপেল স্বাস্থ্য সতেজ ও পুষ্টিকর করে তোলে। আপেল একটি পুষ্টিকর ফল যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য দুইটাই ভালো রাখে। আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে অনেক এনার্জি এবং পুষ্টিকর উপাদান। এ আপেল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল এবং সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি ফল তা হলো আপেল। আপেল একটি বিদেশি ফল হল আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায় পুষ্টিগুণের ভরপুর এই ফলটি আপেল। এই আপেলের মধ্যে যে ফাইবারটি রয়েছে তা অন্তের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। যা আপেল খাওয়ার পরেকোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক মনে হয়।
আপেল খাওয়া না ফলে শরীরে খারাপকোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু হলে আমাদের হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আপেল ফলটি ক্যান্সারের প্রতিরোধ করেআমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে। আবার আপেল ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে যারা প্রতিদিন আপেল খান তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ কমে যেতে পারে।

কারো না পেলে অনেক ধরনের ফরমালিন থাকে যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে এবং এনার্জি বাড়ায়।আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা মিষ্টি ফলে আপেলের থেকে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। এবং আমরা করোনা ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি এই আপেলটি করোনা রোগের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে।

আপেল গাছ লাগানোর নিয়ম

আপেল গাছ লাগানো সম্পর্কেও আমরা জেনে নিই। আপেল গাছ লাগানোর নিয়ম গাছটি যেহেতু বড় হবে তাই আমরা একে বড় টবে প্রতিস্থাপন করব এবং ২০ ইঞ্চির একটু টপ বাছাই করতে হবে। এই আপেল ফলটি চাষ করার জন্য আমরা আপেল গাছটি চাষ করার জন্য বেছে নেব উচ্চ পানি নিকাশী ব্যবস্থা যুক্ত মাটি। কিন্তু এটা আমাদের দেখতে হবে আপেল গাছ পানি পছন্দ করে কিন্তু গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা পছন্দ করে না। তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে তাই আপেল গাছটি চাষ করার জন্য বালি মাটি নিমখোল এবং জৈব সার ভালোভাবে মিশিয়ে আপেল গাছটির জন্য মাটি তৈরি করতে হবে।

আমরা নার্সারি থেকে টপ কিনে এনে বাসায় টপের ভিতরে আপেল গাছটি চাষ করতে পারি। আমরা আপেল গাছটি চাষ করার সময় যেহেতু নিমখোল দিয়ে চাষ করবো তাই পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পাব। তারপরেও কয়েকদিন পর পর আপেল গাছে নিম তেল স্প্রে করতে হবে। এই আপেল গাছটি আমরা ছাদ বাগানে শোভা পাওয়ার জন্য আপেল গাছটির মাঝেমধ্যে গুড়া খানিকটা খুঁচিয়ে দিয়ে অথবা গোবর সার ভার্মিকম্পোস্ট অথবা কিচেনের বজ্র পদার্থ থেকে তৈরি কম্পোস্ট সার গোড়াই দিয়ে দিতে হবে। এটাই হলো আপেল গাছ লাগানোর নিয়ম।

আপেল কোন ঋতুতে হয়

এবার আমার জেনে নেব আপেল কোন ঋতুতে হয়। আপেল আপাতত হেমন্ত কালে পাকে এবং ৫-৮ সেমি ব্যাসের হয়। আপেল একটি নীতিশীতোষ্ঞ যা প্রাথমিকভাবেই কাঁচা ভক্ষণ করা হয় আপেল একটা ক্ষুদ্র অংশ ক্যানজাত এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবং সারা বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ উৎপাদিত ফল আপেল। আপেল গাছটি রোপন করার সময় দুটি গাছের এমন ভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত পরাগ বাহিদের আনাগোনা হতে পারে।এই আপেল গাছটির আদর্শ হলো প্রতি দুইটি থেকে তিনটি বড় গাছের মধ্যে একটীপরাগ বাহী গাছ থাকতে হবে।

আপেল কোন ঋতুতে হয় এই আপেল গাছটি নিম্নমাত্রার আদ্র তার প্রতি সংবেদনশীল তাই নিয়মিত বৃষ্টিপাত আপেল গাছটির বৃদ্ধির জন্য খুবই উত্তম। আপেল ফলের সর্বতম আকার ও গুণমানের খুবই গুরুত্বপূর্ন আপেল গাছটি দোআশ উত্তম নিষ্কাশনের সুবিধাজক্ত মাটি ও মাটির অম্লতার মাত্র৫.৫থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকলে আপেল ফলটি উৎপাদনের পক্ষে থেকে ভালো হবে।

আপেল খেলে কি ওজন বাড়েn

এখন আমরা জেনে নেব আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে। আমরা অতিরিক্ত আপেল খেলে আমাদের ওজন বাড়তে পারে। আমাদের পরিমিত পরিমাণে আপেল খেতে হবে যাতে আপেল খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ আপেলে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা সবগুলো মিলে আপেল কে বিভিন্ন গুণে সম্পন্ন করে রেখেছে। এই পুষ্টিকর ফলটি আপেলের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের উপাদান। তারপরেও আপেলে রয়েছে নানা ধরনের মিনারেল ও ভিটামিন।

তার সাথে আপেল আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এগুলো সবমিলে আপেলকে বহুগুণে সম্পন্ন করে রেখেছে। আবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে আপেলে যা আমরা আপেল খেলে গুনগুলো বুঝতে পারি আপেলে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের সতেজ ও এনার্জি দেয়। আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে রোজ আপেল খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কমে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।

আপেল এর উপকারিতা

আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। আপেল এর উপকারিতা আপেল একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল যা আমাদের শরীরের সতেজ ও এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে এই আপেল খেয়ে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য পুষ্টিকর হয়ে ওঠে আপেলের রয়েছে অনেক উপাদান। আপেলের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিকর যা আমাদের শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। আপেল খেয়ে আমরা অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।

যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে হার্ট ভালো রাখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখে ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীর ফুলা কমাতে সাহায্য করে আপেল আমাদের অনেক ভালো একটা ফল যা আমরা খেলে আমাদের অনেক উপকারে হয় এবং উপকারে আসে। বহুসাদে সুস্বাদু ফল এবং পুষ্টি করে ভরা এই উপাদান ফলটি হল আপেল। আপেল খেয়ে আমরা শরীরের জোর পায় এবং এনার্জি ভাই আপেল একটি অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করার ক্ষমতা রাখে।

আপেল খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি পায় এবং আমাদের রূপ প্রতিরোধ করতে ও সাহায্য করে আপিল এগুলোই আপেলের উপকারিতা। আপেল এর উপকারিতা আপেল খেলে ওজন কমতে পারে এবং আপেলের আরো অনেক উপকারিতা আছে সেগুলো আমরা বহন করতে পারি আপেল খেয়ে।

আপেল এর অপকারিতা

তাহলে এবার আমরা জানবো আপেল এর অপকারিতা সম্পর্কে। আপেল খেলে যাদের এলার্জি আছে তাদের এলার্জি দেখা দিতে পারে। এবং যাদের গ্যাস আছে তাদের গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। আপেলের বীর শরীরের বিষ ক্রিয়া করতে পারে। গর্ভবতীদের জন্য আপেল ক্ষতিকর হতে পারে এবং আপেলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে সঠিক সময় আপেল খেতে হবে। একদিনে অতিরিক্ত আপেল খেলে শরিলে বেশি মাত্রায় ক্যালারি গ্রহণ করে এবং আপেলে থাকে ফাইবার।

যা আপেল খেয়ে খাওয়ার পর দীর্ঘদিন থাকে তার পরিবর্তে পেট ব্যাথা হতে পারে তাই অতিরিক্ত আপেল খাওয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে। আপেল বেশি খেলে সম্ভাব্য গ্যাস এবং পেট ফুলে যাওয়া সম্ভব না থাকে এবং আপেল বেশি খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই আপেলে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি তাই অতিরিক্ত আপেল খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়েট চ্যাটের উপর ভিত্তি করে একটির উপরে অতিরিক্ত আপেল খাওয়া ঠিক না।

আবার আমরা যখন আপেল খায় তখন অসচেতনায় আপেলের বীজও খেয়ে নি যা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।আপেল এর অপকারিতা আপেলে বীজ পেটে গেলে সায়ানাইড তৈরি করে যা চিনি সঙ্গে মিশে গিয়ে সায়ানাইড হাইড্রোজেন তৈরি করে।

আপেল খেলে কি গ্যাস হয়

এবার আমরা জেনে নেব আপেল খেলে কি গ্যাস হয়। আসলে এটা ঠিক অতিরিক্ত আপেল খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় আমরা বিকালে বা রাতে আপেল খেলে হজম ও অন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটায়। যা আমাদের শরীরে পক্ষে একদমই ঠিক না। রাতে আপেল খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ হয় যা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। আপেলের জৈব এসিডে পাকস্থলীর এসিড কে সাধারণের তুলনায় বাড়িয়ে তুলে। আপেল যেমন একটা ভালো পলিটেকনিক খারাপ হলো এটা আমরা নিয়মিত খাব।
অতিরিক্ত খাওয়ার পরে আমাদের শরীর খারাপ হতে পারে পেট ফুলে যেতে পারে গ্যাস হতে পারে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর আপেল আমাদের শরীরে যেমন পুষ্টি যোগায় তেমনি ক্ষতিও করে। আপেল খেলে কি গ্যাস হয় যাদের গ্যাস আছে তাদের নিয়মিত আপেল খাওয়া উচিত অতিরিক্ত আপের খেলে তাদের গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আমরা আপেল সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। আপেল যেমন শরীরের জন্য পুষ্টিকর তেমনি ক্ষতিকারক ও। তাই আমরা আপেল অতিরিক্ত খাব না এবং নিয়মের মধ্যে খাব। আপেল সম্পর্কে আমাদের অনেক ধারণা হলো আপেলে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনি আপেল ক্ষতিকারক অধিকার দিক আছে বেশি আপেল খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা নিয়ম করে আপেল খাব তো আমরা আপেল সম্পর্কে অনেক ধারণা দিলাম আপনাদের ভালো লেগে থাকলে আমাদের পোস্টটি ভাল করে পড়বেন এবং নিয়ম গুলো মেনে চলুন ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#