পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পানি খাওয়ার নিয়ম

তো আজ আমরা জেনে নিব।পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।পানির অপর নাম জীবন বা জীবনের অপর একটি নাম পানি। তবে সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। তো আমরা জেনে নিই পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পানি খাওয়ার নিয়ম
পানির অপর নাম জীবন বা জীবনের অপর একটি নাম পানি। তবে সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। এটি পান করে পিপাসা মিটানো পর্যন্তই কেবলমাত্র পানির উপকারীতা সীমাবদ্ধ নয়।আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে উজ্জ্বল। আজকের ব্যস্ত জীবনে নিজের ত্বক ও শরীরের যত্ন নেওয়ার একটুও সময় নেই আমাদের হাতে।কিন্তু পরিমানমত পানি খান আপনার শরীর থাকবে শান্ত রক্ষা পাবেন বিভিন্ন অসুখ থেকে।তো চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

ভূমিকা

পানির অপর নাম জীবন বা জীবনের অপর একটি নাম পানি। তবে সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। এটি পান করে পিপাসা মিটানো পর্যন্তই কেবলমাত্র পানির উপকারীতা সীমাবদ্ধ নয়।পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের অসুখের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।অতিরিক্ত ওজন বা ফ্যাট বেড়ে যাওয়া নিয়ে এখন মহিলা থেকে পুরুষ সবাই খুব চিন্তায়। প্রতিদিন পানি পান করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। এবংপানির মধ্যে যেহেতু ক্যালোরির পরিমান একদম শূন্য তাই আপনার দেহের মেটাবলিসম বাড়াতে সাহায্য করে ।
পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।পানি খাওয়ার ফলে আমরা বেঁচে থাকি। ছাড়া আমরা কখনো চলতে পারব না পানি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। পানি ছাড়া আমরা বেঁচে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবো ।পাণীয়টি বাড়ায় মানবশরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা। মানবশরীরের প্রায় সমস্ত অসুখ হয় ইমিউনিটি ক্ষমতা কম থাকার জন্য। পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম।নিজেদের দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন খান ১ লিটার পানি।পানি আপনার ত্বককে কোন ধরনের অ্যালার্জী বা ব্রণর হাত থেকে প্রতিরোধ করে।

সেই পর্যায় যাওয়ার আগেই মুক্তি পান ব্যাথার হাত থেকে।পানি কম খাবেন না, কাজ করার ফাঁকে খান প্রচুর পরিমানে পানি। এই পানিই আপনাকে মুক্তি দেবে ব্যাথার প্রকোপ থেকে।

পানি খাওয়ার নিয়ম

এবার আমরা জানবো পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।খাবারের সঙ্গে মধ্যবর্তী সময় বেশি পানি খেলে খাওয়ার হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। পাকস্থলী বেশি ভরাট হয়ে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।খাবারের সময় অল্প অল্প করে চুমুকে পানি খেতে পারেন। খাবারটিও ধীরেসুস্থে ভালো করে চিবিয়ে সময় নিয়ে গ্রহণ করতে হবে। পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। এই পানি পান করার ফলে শরীরের সব অঙ্গপ্রতঙ্গ সক্রিয় হয়।শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা হয়।

পরিমাণমতো পানি পান না করলে শরীরের নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।সুস্থ রাখতে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত। স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করেন এমন সুস্থ-সবল মানুষ, তার ওজন ও কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে।পানি কিডনির মাধ্যমে আপনার শরীরের সব ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে দেয়। তবে পানি পান করার বিশেষ করে।পানি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী চললে আমরা সুস্থ থাকে।সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কোনও কারণে পানি কম পানের প্রশ্ন এলে, তারা তা করে উঠতে পারেন না। বিপদ বাড়ে। অনেক বেশি পানি খেলে তা রক্তকে পাতলা করে।

প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত

এবার আমরা যেন প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত আমাদের।প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। তবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে, তা নির্ভর করে মূলত আবহাওয়া ও শারীরিক শ্রমের ওপর।যাঁরা কায়িক পরিশ্রম বেশি করেন, তাঁদের বেশি পানি পান করতে হবে।তরল মানে কিন্তু শুধু পানি নয়। যিনি দিনে অনেকবার চা খান, তাকে সেই মাপটাও নিতে হবে।আপনার মোট ওজনকে ৩০ দিয়ে ভাগ করুন। ভাগের ফলাফলই বলে দেবে আপনার আদতে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত।

পুষ্টিবিদদের মতে, আপনার ওজনের ওপর নির্ভর করবে দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাবেন। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে অবশ্যই দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।আমাদের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে অবশ্যই দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ পানি। পানি দিনের যে কোনও সময়েই নির্দ্বিধায় খাওয়া যায়। তাতে উপকারই হয়। ঘুমথেকে উঠেই যারা পানি পান করেন তাদের ওজন হ্রাস না পেলেও উপকার হয়।প্রতিদিন কত লিটার পানি খাওয়া উচিত আমাদের জানা হলো।

পানি না খাওয়ার অপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিব।পানি না খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।শরীরে পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে থাকে।পানির অভাবে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়ে যায়।শরীরে সত্তর শতাংশেরও বেশি পানি। পানির মাধ্যমেই শরীরের অভ্যন্তরে বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণ না হলে হাজারও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।শরীরে পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করে।পানির অভাবে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়।

 শরীরে পানির ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং আমাদের প্রস্রাবের সময় জ্বালা যন্ত্রণা করে। তখন আমাদের বুঝে নিতে হবে পানি ঘাটতি রয়ে গেছে ।যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করা উচিত।পানি না খাওয়ার অপকারিতা অনেক আছে।শরীরের চাহিদার চেয়ে পানি খাওয়ার কোন উপকারিতা নেই বরং অপকারিতা আছে। এতে করে হাইপোনাট্রেমিয়া দেখা দেয়। যার ফলে সোডিয়ামের সমস্যা দেখা দিতে পারে।দাঁড়িয়ে পানি খেলে স্নায়ু উত্তেজনা বেড়ে যায়, ফ্লুইডের ভারসাম্য ঠিক থাকে না এবং হজমে সমস্যা হয়।তৃষ্ণার্ত থাকলেও দ্রুত পানি খায়। এতে করে কিডনিতে ছাঁকন প্রক্রিয়া ভালো ভাবে হয় না আমাদের শরীরে।

বেশি পানি পান করার উপকারিতা

এবার আমরা জানবো বেশি পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে।ঘন ঘন পানি পান করলে তা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। আর সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।ফলে ক্যালোরিও দ্রুত বার্ন হয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে। বেশি বেশি পানি পান আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১লিটার পানি পান করা শুধু আপনার স্বাস্থ্য না আপনার ত্বকের জন্য খুব উপকারী।পানি আপনার ত্বককে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে না।পান করে পিপাসা মিটানো পর্যন্তই কেবলমাত্র পানির উপকারীতা সীমাবদ্ধ নয়।

অতিরিক্ত ওজন বা ফ্যাট বেড়ে যাওয়া নিয়ে এখন মহিলা থেকে পুরুষ সবাই খুব চিন্তায়। প্রতিদিন সঠিক পরিমানে পানি পান করুন আর নিস্কৃতি পান এই চিন্তার হাত থেকে। পরিমিত পানি পান করুন।পরিমিত পানি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় খিদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।পানির মধ্যে যেহেতু ক্যালোরির পরিমান একদম শূন্য তাই আপনার দেহের মেটাবলিসম বাড়াতে সাহায্য করে যা মুক্তি দেয় আপনাকে অতিরিক্ত মেদের হাত থেকে।দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বা আত্মরক্ষার শক্তি খুবই কম। তাই নিজেদের দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন খান ১ লিটার পানি।বেশি পানি পান করার উপকারিতা অনেক।

সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার অপকারিতা

এবার আমরা জানবো সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।আমরা অনেকে বাসি মুখে পানি পানের ফলে দাঁত ও মুখের স্যালাইভাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া পেটে গেলে সমস্যা তৈরি করে।সকল ব্যাকটেরিয়া পানি পানের সঙ্গে পাকস্থলীতে গেলে, পাকস্থলিস্থ অ্যাসিডে মারা যায়। আমাদের শরীরে ৭০ ভাগই পানি। তাই টিকে থাকতে প্রত্যেক জীবের পানি গ্রহণ অত্যাবশক।তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৩ লিটার পানি পানা করা উচিত।দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

বিশেষ করে সকালে খালি পেটে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি।সকালে প্রতিদিন খালি পেটে পানি খেলে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া উচিত।প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয়ে যায় এবং শরীর সহজেই নতুন করে খাবার থেকে পুষ্টি পায়।সকালে উঠে পানি পানের অভ্যাস করুন। কারণ যত বেশি পানি পান করবেন, তত হজম ভালো হবে এবং শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমবে না
শরীরে পানির মাত্রা কমে যাওয়া মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। সারা রাত শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যায় না। তাই সকালে উঠে যদি খালি পেটে পানি পান করা যায় তবে মাথার যন্ত্রণা অনেকটা দূর হয়।সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার অপকারিতা অনেক।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানালাম।পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সবাই জানি পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।পানি ছাড়া আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে গেলাম পানি বিষয়ে অনেক কিছু।যদি আপনাদের আমাদের পোস্টগুলো পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন আর আমাদের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#