টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা - টমেটো খাওয়ার নিয়ম

টমেটো একটি শীতকালীন সবজি আজকে আমরা টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে জানবো শীতকাল পড়লে যেন পড়ে যায় টমেটো খাওয়ার হিড়িক তাই চলো আমরা আজকে জানি আসি টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা তবে আমরা যারা টমেটো কে অনেক ভালোবাসি কিন্তু কেউ জানে না যে এটার মধ্যে কতটা বা কতটা গুণসমত তোলো তা নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা।

টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা
তাহলে চলুন বন্ধুরা আমরা টমেটো সম্পর্কে কিছু ধারনা নিয়ে আসি যা আমরা অনেকেই জানিনা আমরা জানলে অবশ্যই অবাক হব যে টমেটোর গুণ ক্ষমতা কত এবং এটি জানার জন্য আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি করতে হবে এবং জানতে হবে তার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন এবং পোস্টটি পড়তেই থাকুন

ভূমিকা

টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ ,কে, লাইকোপেন, ফোলিক অ্যাসিড, ত্তোমিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমুহ । ত্বকের সুস্থতা চেহারা উজ্জ্বলতার পাশাপাশি টমেটো হার্ট ভালো রাখে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে‍‌ন হজমের সাহায্য করে ব্রণ, দূর করে রক্তচাপ, স্বাভাবিক রাখে কিডনি ,সুস্থ রাখে।বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো টমেটো খাওয়ার অপকারিতা উপকারিতা ও নিয়ম তা সম্পর্কে বিস্তারিত। টমেটোতে আছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন কে ফলিক এসিড লাইকোপেন ত্তোমিয়াম আরো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমূহ।

টমেটোর সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত টমেটো আমাদের দেশে শীতকালে সবজি আবার গ্রীষ্মকালীন অফিসের লাভজনকভাবে চাষ করে এবং পাওয়া যায়। টমেটো আমরা সবজি এবং সালাত হিসেবে ব্যবহার করে থাকি । ভিটামিন খনিজ সমৃদ্ধ টমেটো চাহিদা সারাদেশে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি বিশেষ অর্থকড়ি সবজি হিসেবে চলে আসছে। সবজি হিসেবে ব্যবহার ও খাদ্য প্রক্রিয়া করণ শিল্পের ব্যবহার সুপরিচিত। আমাদের দেশে বাজার চাহিদা পূরণ করেও রপ্তানি প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে।

রান্নার উপকরণ সহ খাবারের টমেসে সস ও ব্যবহার করে আসছে। সর্বস্তরের এটি জনপ্রিয় আকর্ষণ হওয়ার কারণ ভালো স্বদ উচ্চ পুষ্টি গুন বহুবিধ উপায়ে ব্যবহার করার যোগ্য এই ফল। এর জন্য প্রিয় ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আমি ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি আছে। আর এই টমেটোতে লাইকোপেন নামের বিশেষ উপাদান আছে যা ফুসফুস ,পাকস্থলী,অগ্যাশয়,কোলন স্তন, মূত্রাশয় পোস্টেট ইত্যাদি দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়তা করে।

গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত কাপ টমেটো সস খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায় আর যদি পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আমরা টমেটো রান্না করে খাই তাহলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায় থ্রম্বোসিসের পরিমাণ কমায়। টমেটো সারা রান্না করার সময় তো মনে করা হয় তাই আমাদের সবার কাছে টমেটো অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল কারণ টমেটো শুধু স্বাদ বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী টমেটো তো অতিরিক্ত বিদ্যামান থাকার কারণে এটাকে সুপার ফুড মানে গণ্য করা হয়।

সকালে খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

টমেটো খেলে আমাদের শরীরের ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, আমরা যদি প্রতিদিন সকালে একটি বা দুটি করে টমেটো সকালে খালি পেটে টমেটো খাই তাহলে আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এক থেকে দুইবার টমেটো খেলে শরীরের রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর হতে পারে সর্দি, কাশি, জনিত রোগে ও টমেটো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। টমেটোতে ভিটামিন সি, লাইকোপেন, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ,পর্যন্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি টমেটোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলেন্টোরল কমানোর উপাদান।
তোমরা যারা ওজন কমাতে চাও তাদের যেন এই টমেটো খুবই উপকারী, তবে টমেটোর সবচাইতে গুণ হলো এটি রান্না করার পরও এর গুনগুলি বজায় থাকে। টমেটো গর্ভাবস্থায় খুবই উপকারী, টমেটোতে আছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভালো। পেটে কৃমি হলে সকালে খালি পেটে টমেটোর সাথে কালো গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কাঁচা টমেটো খেলে মুখের লালচে ভাব দেখা যায় মুখের টমেটো পাপ্ল ঘুষে মুখের ত্বক উন্নতি দেখা যায় নিয়মিত টমেটো খেলে ডায়াবেটিসের উপকার, চোখের আলো বাড়ায় এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

কাঁচা টমেটোর উপকারিতা

এক সময় শীতকালের টমেটো আকর্ষণ ছিল আজকে আমরা জানবো কাঁচা টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে,এখন সারা বছরের টমেটো পাওয়া যায় পাওয়া যায় বলে সে আকর্ষণ এখন অনেকটাই কমে গেছে তবে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা শীতকালীন যে টমেটো পাওয়া যায়, এবং টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায় অন্য সময় ঠিক তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না, শীতকালে বেশি টমেটো পাকার ফলে অনেকে আবার রয়েছে সন্দেহ পাকা টমেটোতে নাকি অনেক বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এই নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ। তাই কাঁচা টমেটোর উপকারিতা অপরিসীম, 

এটা মনে করে যদি টমেটো খাওয়া বাদ দেন তাহলে এই বাঁদরের কারণে আপনি টমেটো থেকে যে উপকার পাওয়া যায় তা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেননা কাঁচা টমেটো পাকানো হয় রাসায়নিক দিয়ে, তাই কাঁচা টমেটো খেতে পারেন কাঁচা টমেটো কিন্তু উপকার কম নেই, কাঁচা টমেটোতে ও বেশ উপকার আছে তাহলে আজকে আমরা জানতে পারলাম কাঁচা টমেটোর উপকারিতা অনেক রকমের আছে

টমেটো মুখে মাখার উপকারিতা

আপনারা কি জানেন প্রতিদিন টমেটো মুখে লাগানোর কি উপকার, যে টমেটো আমার দিয়ে দৈনন্দের ত্বকের শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হতে পারে যদি আপনি প্রতিদিন টমেটো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন , কারণ রসালো লালচে ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সাইড ভরপুর যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা আমাদের ত্বক সুন্দর রাখার জন্য ভাল কাজ করে।

ত্বক এ লাগানোর টমেটো অনেক উপকারিতা আছে আমরা টমেটো রস ম্যাশ টমেটো প্লাপ্ব ব্যবহার করতে পারি বা ত্বকের জন্য ভালো এরকম অন্য উপাদান টমেটোর রসের সাথে মিশে আমরা ফেসওয়াশ তৈরি করতে পারি। আমরা নিয়মিত টমেটো রস মুখে লাগিয়ে নিলে বেশ উপকার পেতে পারে, টমেটো রস মুখে লাগাতে বেশ উপকারও পাওয়া যায়, আমরা যদি প্রতিদিন নিয়মিত টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে নি তাহলে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করবে।

এর কারণ হচ্ছে টমেটোতে অনেক ইনজাইম থাকে জাব প্রাকৃতিএক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে তুমি তোমার মুখের জন্য এক্সফোলিয়েট হিসেবে চিনির সাথে ব্যাবহার করতে পারেন। টমেটোতে এসিডো থাকে যা ত্বকের কোন ক্ষতি করে না তুমি তোমার ত্বকের নিশ্চিন্ত ভাবে টমেটো ব্যবহার করতে পারো।

টমেটোর বিচি খেলে কি হয়

আমাদের সবার কাছে রান্নার কাজে প্রিয় হচ্ছে টমেটো, তো আমরা কি জানি টমেটোর বিচি খেলে কি হয় , পুষ্টিগুনে ভরপুর সুস্বদু ফল টমেটো, টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ভিটামিন আশ যা ভীষণভাবে স্বাস্থ্য কারি, টমেটো বিজি আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ , টমেটো বিজিজে আছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে আবার টমেটো বিজ নাকি সহজে হজম হয় না।

এই নিয়ে দ্বিধা বোধ হয় আমরা অনেকেই কিন্তু এই দ্বিধা সরানোর জন্য গবেষণা আমাদের জানিয়েছে যে টমেটো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তারা তাদের গবেষণা অনুযায়ী জানিয়েছে টমেটো বীজ সম্পূর্ণ নিরাপদ উপকারী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত, পুষ্টিবিদ গবেষণার টমেটো বিশেষ গুণাগুণ এর কথা বলা টমেটোর বিচি খেলে কি হয় এটাও বলা হয়েছে। 

টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়

বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়, আমাদের যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের কি বলতে চাই যে টমে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তাদের জন্য টমেটো খাওয়া উচিত না, টমেটো খাওয়ার ফলে গ্যাস ও অ্যাসিটির বাড়তে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অম্বলের রোগ হয় টমেটো খাওয়ার থেকে এড়িয়ে চলুন। টমেটো খেলে পেটব্যথা সমস্যা বাড়তে পারে। তাহলে আমরা এতটুকু পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম যেটমেটো খেলে কি গ্যাস হয় কি না

টমেটো দিয়ে ফেস ওয়াশ

বন্ধুরা তোমাদের আজ টমেটো দিয়ে ফেস ওয়াশ কি তৈরি করা হয় তা জানাবো, প্রথমে একটি টমেটো ম্যাচ করে নিন এরপর এক চামচ মধু সাথে মিশিয়ে নে এটি ভালোভাবে একটা বাটিতে মেখে নিন তারপর ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন, এরপর দেখুন মুখে তো কত উজ্জ্বল ও নরম হয়। আমাদের অনেকের ত্বকে ব্রণ কালো দাগ ছোপ থাকে, আর এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অবশ্য ব্যবহার করতে পারেন টমেটো মাক্স।

এই টমেটো মাক্স নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের রোম কূপের ছিদ্র গুলো ছোট দেখা যায়, এর প্রভাবে মুখ মুখে মসৃণ ভাব ফিরে আসে ফলে মেকআপ করলো তা খুব সুন্দর মসৃণ করে। অর্থাৎ শুধু যে মেকাপে কাজ করে ঠিক তেমন নয় টমেটো মাক্সেও দারুন মুখে অযাচিত দাগ, ছোপ, কালো ভাব, ট্যান রুক্ষতা ব্রন ইত্যাদি একদম চলে যায়। টমেটো মাক্স যেভাবে তৈরি করে নিবেন দুই টেবিল চামচ টমেটো রস, অ্যাপ টেবিল চামচ সুলতানি মাটি এবং এক চা চামচ মধু, এর সাথে এক চামচ কাঁচা দুধ দিলে ভালো হয়। 
তাহলে আজকে আমরা জানলাম টমেটো দিয়ে ফেস ওয়াশ তৈরি করা সম্ভব তাছাড়াও টমেটোর ভালোভাবে রস বের করে নিতে হবে এবং একটি পরিষ্কার বাটিতে রাখতে হবে এরপর বের করা রসটি একটি পরিষ্কার কাচের পাত্রে ঢেলে নিন, এরপর টমেটো রসের ,সাথে সুলতানি মাটি, মধু, কাঁচা দুধ, তা ভালোভাবে পেস্টের মিশ্রণ তৈরি করে নিন, এটি হলো টমেটো রসে তৈরি করা মাক্স প্যাক।

টমেটো লেবুর ফেসওয়াশ

লেবুর ভেতর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর এই ভিটামিন সি টমেটো লেবুর ফেসওয়াশ তৈরি করা সম্ভব ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সাইড থাকার জন্য শরীরের স্বাস্থ্যতার জন্য যেমন উপকারিতা এমনি রূপচর্চার কাজেও লেবু টমেটো উপকারী। ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে হলে ব্যবহার করতে হবে লেবু তবে আগে জানতে হবে এই লেবু কিভাবে আমরা ব্যবহার করব, এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো লেবু ও টমেটো রস দিয়ে ফেসওয়াশ তৈরি লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অনেকে হয়তোবা লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানেন না তাই আজ আপনাদের লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানাবো।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা এক্ষুনি জেনে নিই লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য যা লাগবে তা হল লেবুর রস, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা দুধ, গোলাপজল ,ইত্যাদ সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন,পর্যন্ত এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন, সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করার পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার কালো ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু করবে এবং এই প্যাকটি লাগানোর পরে কয়েক ঘন্টার রোদে না বের হওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে টমেটো লেবুর ফেসওয়াশ  তৈরি করা হয়।

শেষ কথা

এই পোস্টটি পড়ার পর এতক্ষণে আপনারা জানতে পারলেন যে লেবু দিয়ে ফর্সা টমেটো সস দিয়ে ফর্সা এবং টমেটো ভিন্ন ধরনের উপকরণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলে ফলো দিন তাহলে আমরা আপনাদের অনেক ধরনের রূপচর্চা বিষয়ে জানাতে পারবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#