কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় - কেশরাজ গাছ এর উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম পাঠক ভাইয়েরা, আজকে আমরা জানবো কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া
যায় সে সম্পর্কে।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়।তো
জেনে নিই কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায়। আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করবো
কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা কেশরাজ গাছ কেমন।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল
ব্যবহার করা হয়। পাতা বেঁটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়।তো
চলুন জেনে নেওয়া যাক কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায়-কেশরাজ গাছ এর উপকারিতা
সম্পর্কে।
ভূমিকা
কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। পাতা বেঁটে রস তৈরি করে
নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল ঘনকালো হয়।
উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড,
ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।গাছটি গুল্ম জাতীয় গাছ।
বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলে বেশি পাওয়া যায়।কেশরাজ গাছ
কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নিব।
চুলের পরিচর্যায় কেশরাজের ব্যবহার সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল ব্যবহৃত। চুলের যত্নে
প্রাচীনকাল থেকেই উদ্ভিদটি ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের জন্য উপকারী বলে একে কেশরাজ
বা কালোকেশী বলা হয়। নিয়মিত এর রস মাথায় মাখলে চুল দীর্ঘ ও কালো হয় এবং চুল ঝরে
পড়া বন্ধ হয়। সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের জন্য চুলের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ
কেশরাজ।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। পাতা বেঁটে রস
তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়।
চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল ঘনকালো হয়। উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে
লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল
বিদ্যমান।কেটে যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে
সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়।পাতা বেটে খেলে কৃমি
নাশ ও কাশি উপশম হয়।কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আমরা জানবো।সব
মানুষ তাকে চেনে তার গুণের জন্য।
অবশ্য সেই গুণ এখন আর তেমন কাজে লাগায় না। কেশড়ের রস মাথায় দিলে চুলের গোড়া মজবুত
হয়। কেশড়ে মেঠো উদ্ভিদ। পতিত জমিতে যেমন দেখা যায়। ফসল ক্ষেতও কেশড়ের ভীষণ পছন্দ।
আর পছন্দ ক্ষেতের আল। আলের দূর্বাঘাসের জটলার ভেতর কেশড়ে গাছের দেখা মিলবেই।কেশড়ে
গাছকে অনেকে ঘাস মনে করে। কিন্তু কেশড়ে তৃণশ্রেণীর গাছের মধ্যে পড়ে না। কেশড়ে
বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ।পাতার কিনারগুলো আঁকাবাঁকা।
আরো পড়ুন চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমূহ
সূর্যমুখীর মতো ফুলের কিনার গোল করে ছোট ছোট সাদা পাপড়ি দিয়ে সাজানো। পাপড়ি
শুকিয়ে ঝরে গেলে ফুলটাই ফলে পরিণত হয়। ফুলের মাঝখানেই ছোট ছোট ত্রিকোণাকার বীজ
দিয়ে সাজানো থাকে। কাঁচা ফল ও বীজ সবুজ রঙয়ের। পাকলে বীজের রঙ হয় কালো। অনেকটা
কালোজিরার মতো দেখতে। বীজ দ্বি-বীজপত্রী। কেশড়ে বারোমাসী উদ্ভিদ। তাই বছরজুড়ে
এদের দেখা যায়। উপজেলার প্রায় প্রতিটি স্থানে।
কেশরাজ দিয়ে চুলের যত্ন
এবার আমরা জানবো কেশরাজ দিয়ে চুলের যত্ন বিষয়ে।সৌর্ন্দযের অন্যতম অংশ হলো চুল।
চুল পড়া বন্ধে নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেছেন। আর শেষমেশ ডাক্তারের কাছে
গিয়েও মিলছে না সমাধান। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি যাদুকরী তেলের রেসিপি যা
তাৎক্ষণিকভাবে চুল পড়া রোধ করবে।ভ্রিংরাজ, বা কেশরাজ ওষধি গুণসম্পূর্ণ একটি
আয়ুর্বেদিক গাছ। এটি খুব সাধারণ ধরণের ঘাস, যা জলাভূমি এবং ধানের জমিতে জন্মে।
আয়ুর্বেদে এটি বহু রোগ দূরীকরণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও চুলের সমস্ত সমস্যা দূর
করতে ব্যবহৃত হয় কেশরাজের তেল।একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল গরম করতে হবে। এবার
কিছুটা কাটা ভ্রিংরাজের পাতা নিন এবং যদি পাতা না পান তবে এক চামচ কেশরাজের
গুঁড়া ব্যবহার করুন। এরপরে এক চা চামচ মেথি দানা যোগ করুন এবং পাঁচ মিনিটের মতো
মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন। ৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন এতে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে
যাবে।
মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।কেশরাজ দিয়ে চুলের
যত্ন কিভাবে নিবো আমরা তা জেনে নিই।কেশুতি পাতার অন্যান্য অনেক নাম আছে। যেমন, এই
গাছ থেকে কালো রং বের করে সেটা চুল কালো করার জন্য ব্যবহার করা হয় বলে এর আর এক
নাম কালোকেশী। এছাড়াও কেউতি, কালাকেশারিয়া ও কালসাতা বলেও একে ডাকা হয়। তবে চুলের
যত্নে কাজে আসে বলে কেশুতি পাতার সর্বাধিক জনপ্রিয় নাম হল কেশরাজ।
এই গাছের পাতা বেটে সরাসরি চুলে মাসাজ করা যাবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে। ২৫০
গ্রাম তিলের তেল আর ২৫০ গ্রাম নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে কেশুতি
পাতা বেটে তার রস মেশান। এর মধ্যে একটা গোটাআমলকী, একটা গোটা জবাফুল, এক মুঠো
কারিপাতা ও সামান্য একটু মেথি দিয়ে দিন। এবার এই সবক’টা উপাদান ফুটিয়ে ঠান্ডা করে
ছেঁকে রেখে দিন। কাচের বোতলে রাখলে ভাল হয়। এই মিশ্রণ মাথায় মাসাজ করলে মাথা
ঠান্ডা হবে।
চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল লম্বা ও কালো হবে। উকুন হলেও এই মিশ্রণ খুব কাজে দেয়।
ভাল করে এটা মেখে একটা সাদা পরিষ্কার কাপড় মাথায় বেঁধে শুয়ে পড়ুন। সকালে দেখবেন,
উকুন সব মরে গেছে।
কেশরাজ গাছ চেনার উপায়
এবার আমরা জানতে চলেছি কেশরাজ গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে।পাতা ছোট, গাঢ় সবুজ রঙের
এবং লম্বায় ৪ থেকে ৫ সে. মি। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। উদ্ভিদটি দেখতে
কালচে রঙের এবং পাতা ও গাছের রস চুলকে ঘন কালো করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে,নতুন
চুল গজাতে সহায়তা করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে তাই অনেকের কাছে কালোকেশী
হিসেবেই সমধিক পরিচিত।শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয়
বিপরীতভাবে।
লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে
সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে।কেশরাজ গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি
আমরা।দেখতে অনেকটা ঠিক ঘাসফুলের মতো। বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।শাখা লতানো,
শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়।পতিত জমিতে কিংবা আলের ধারে উদ্ভিদটি জন্মে
থাকে।উদ্ভিদটি লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।পাতা ছোট, গাঢ় সবুজ
রঙের এবং লম্বায় ৪ থেকে ৫ সে.মি।
পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। উদ্ভিদটি দেখতে কালচে রঙের এবং পাতা ও গাছের রস
চুলকে ঘন কালো করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে,নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে এবং চুলের
গোড়া শক্ত করে তাই অনেকের কাছে কালোকেশী হিসেবেই সমধিক পরিচিত।কেশুতি, কেউতি,
কালসাতা,কালোকেশী, কেশড়ে, কালোকশী, কেশঠি, কোশুতি, খেতুয়া, মইরচর, কালোকেশশিরিয়া,
কালাহুনা,কেশার্ত, কেশরাজ, বাংড়া, কেসুরিয়া, কেশরঞ্জন, কেশরঞ্জক,কালসূতা প্রভৃতি
স্থানীয় নামে পরিচিত।
অন্যান্য ঘাসের সাথে কেশরাজের ফুল সহজেই মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। ঠিক যেন গাঁয়ের
কোনো বধূর নাকফুল। কেশরাজের ফুল সাদা রঙের, বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। প্রশাখার শেষ
প্রান্তে ২-৩টি ফুল ফোটে।পরাগনালী সাদা রঙের প্লেটের মতো। ফলের ভেতর ক্ষুদ্র বীজ
থাকে।বীজ কালো রঙের। দেখতে অনেকটা কালোজিরার মতো।ফল পরিপক্ক হলে ফেটে মাটিতে বীজ
পড়ে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলে চারা গজায়।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল
ব্যবহার করা হয়।
পাতা বেঁটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং
চুল ঘনকালো হয়। উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন,
গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।কেটে যাওয়া
স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়
এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়।পাতা বেটে খেলে কৃমি নাশ ও কাশি উপশম হয়।
কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায়
এবার আমরা জানবো কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।কেশরাজ উদ্ভিদের
পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। পাতা বেঁটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায়
দিলে মাথা ঠান্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল ঘনকালো হয়। উদ্ভিদে
এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন,
গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।গাছটি গুল্ম জাতীয় গাছ। বাংলাদেশ, ভারত,
চীন, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলে বেশি পাওয়া যায়।
কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নিব।চুলের পরিচর্যায় কেশরাজের
ব্যবহার সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল ব্যবহৃত। চুলের যত্নে প্রাচীনকাল থেকেই উদ্ভিদটি
ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের জন্য উপকারী বলে একে কেশরাজ বা কালোকেশী বলা হয়। নিয়মিত
এর রস মাথায় মাখলে চুল দীর্ঘ ও কালো হয় এবং চুল ঝরে পড়া বন্ধ হয়। সৌন্দর্য পিপাসু
মানুষের জন্য চুলের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ কেশরাজ।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা,
কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়।
পাতা বেঁটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং
চুল ঘনকালো হয়। উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন,
গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।কেটে যাওয়া
স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়
এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়।পাতা বেটে খেলে কৃমি নাশ ও কাশি উপশম হয়।কেশরাজ
গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আমরা জানবো।
সব মানুষ তাকে চেনে তার গুণের জন্য। অবশ্য সেই গুণ এখন আর তেমন কাজে লাগায় না।
কেশড়ের রস মাথায় দিলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। কেশড়ে মেঠো উদ্ভিদ। পতিত জমিতে যেমন
দেখা যায়। ফসল ক্ষেতও কেশড়ের ভীষণ পছন্দ। আর পছন্দ ক্ষেতের আল। আলের দূর্বাঘাসের
জটলার ভেতর কেশড়ে গাছের দেখা মিলবেই।কেশড়ে গাছকে অনেকে ঘাস মনে করে। কিন্তু কেশড়ে
তৃণশ্রেণীর গাছের মধ্যে পড়ে না। কেশড়ে বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ।পাতার কিনারগুলো
আঁকাবাঁকা।
সূর্যমুখীর মতো ফুলের কিনার গোল করে ছোট ছোট সাদা পাপড়ি দিয়ে সাজানো। পাপড়ি
শুকিয়ে ঝরে গেলে ফুলটাই ফলে পরিণত হয়। ফুলের মাঝখানেই ছোট ছোট ত্রিকোণাকার বীজ
দিয়ে সাজানো থাকে। কাঁচা ফল ও বীজ সবুজ রঙয়ের। পাকলে বীজের রঙ হয় কালো। অনেকটা
কালোজিরার মতো দেখতে। বীজ দ্বি-বীজপত্রী। কেশড়ে বারোমাসী উদ্ভিদ। তাই বছরজুড়ে
এদের দেখা যায়। উপজেলার প্রায় প্রতিটি স্থানে।
কেশরাজ গাছ এর উপকারিতা
এবার আমরা জেনে নিব কেশরাজ গাছ এর উপকারিতা সম্পর্কে।কেশরাজ উদ্ভিদের পাতা,
কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। পাতা বেঁটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে
মাথা ঠান্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল ঘনকালো হয়। উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড
স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং
ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।কেশরাজ উদ্ভিদটি চুলের জন্য বেশি উপকারি বলে একে কেশরাজ বলা
হয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে বহুকাল ধরেই চুলের যত্নে এই গুল্মজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা
হচ্ছে। এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই গাছ থেকে কালো এক ধরনের রং বের
করা হয়, যা চুলকে আরো কালোকরতে সাহায্য করে। কিন্তু এই গাছ শুধু চুলের যত্নেই
শেষ নয়, এই গাছ আমাদের আরো অনেক অনেক উপকারে আসে। তাই এই গাছকে রাস্তার ধারে
সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায়ও লাগাতে হবে। না হয় এই মহৎ উপকারী গাছটি
একদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে।
কেশরাজ গাছ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই আমরা।এই গাছকে ভেষজ উদ্ভিদও বলা হয়।
কারণ এটি মানুষের অনেক অনেক উপকারে আসে। এটি বৈজ্ঞানিক ভাবেও সমাদৃত এবং
প্রমাণিত। তাই জেনে নিন এর উপকারিতা সমূহ।আপনার শরীরের কেটে যাওয়া স্থানে
কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আস্তে আস্তে আক্রান্ত স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।পাতা, ফুল ও ফলসহ বেটে রস তৈরী
করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়।
চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হবে। এর রস সংগ্রহ করা না গেলে বা কম পাওয়া
গেলে, এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিলের তেল বা নারকেলের তেল সাথে মিশিয়ে
ব্যবহার করলেও সমান উপকার পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এই উদ্ভিদ ছত্রাকরোধী বা
অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসাবে কাজ করে।
কেশরাজ ব্যবহারের নিয়ম
এবার আমরা কেশরাজ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিব।বাংলায় অত্যন্ত এই পাতা
অত্যন্ত পরিচিত ৷ চুলের যত্নে কেশরাজ পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ প্রতীকী ছবি
৷ কেশরাজকে অনেক কেশুত বা কেশুতি পাতা নামেও পরিচিত ৷ মাঠে, ঘাটে, জলাশয়ের
ধারে বা এদিকে ও দিকে কেশুত পাতা পাওয়া যায় ৷ নারী কিংবা পুরুষ, উভয়েরই
সৌর্ন্দযের অন্যতম রহস্য চুল। তাইতো এর প্রতি নিতে হবে বিশেষ যত্নও। নইলে
অকালেই টাক হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকেই এর থেকে রেহাই পেতে
নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেন। যেগুলো চুল পড়া রোধে মোটেও কার্যকর হয়
না। আবার অনেকেই এই সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের কাছে যান। তারপরও মিলছে না
কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।কেশরাজ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই আমরা।আয়ুর্বেদেও
ভৃঙ্গরাজের ব্যবহারের উল্লেখ আছে। ‘কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’
বইতেও এর ব্যবহারের উল্লেখ আছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ভৃঙ্গরাজ তেল রাতে শুতে যাওয়ার সময়েই মাথায় মালিশ
করা উচিত।স্ক্যাল্পে চুলের গোড়ায় এই তেল মালিশ করা উচিত। যা আপনার হেয়ার
ফলিকলকে পুষ্টি জোগান দেবে। এবং আপনার চুলকে আরও মজবুত করবে। আসলে ফলিকল
ক্ষতিগ্রস্ত হলেই কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। তাই আয়ুর্বেদ
অনুসারে এভাবেই ব্যবহার করতে পারেন।চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নানা ঘরোয়া টোটকাই
কাজে লাগাই আমরা।
আরো পড়ুন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আবাসিক হোটেল ভাড়া
এছাড়া নামী-দামি নানা হেয়ার প্রোডাক্টও ব্যবহার করে থাকি। যাতে চুলের সমস্যা
কম হতে পারে। চুল বাড়েও তাড়াতাড়ি। এর জন্য আপনি যেমন বিভিন্ন হেয়ার
প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন, একইভাবে ভরসা করতে পারেন আয়ুর্বেদেও। আসলে ভৃঙ্গরাজ
এমন একটি উপাদান, যা চুলের যত্নে খুবই কার্যকরী। আর সেই কারণেই নানা হেয়ার
প্রোডাক্টেও এই ভৃঙ্গরাজ ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।
বন্ধুরা আমরা অনেকেই কেশরাজ গাছ সম্পর্কে কিছু জানি না।তো আপনারা আমাদের পুরো
কনন্টেনটা ভালো করে পড়লে। কেশরাজ গাছ সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেক কিছু।আর
আমাদের পোস্ট গুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন
এবং আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url