ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য - ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে

তো বন্ধুরা আজকে পোস্টটিতে আমরা জেনে নিব।ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য সম্পর্কে।এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে।এডিস মশা কামড়ালেই যে মানুষের ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে।তো আজকে আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য সম্পর্কে ‌। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য সম্পর্কে।
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য - ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উপসর্গগউল হলো, জ্বর মাথাব্যথা বমি পেশি ইত্যাদি। আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর বলে।ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে আমাদের। ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক রুপ ধারণ করলে রোগীকে রক্ত দিতে হতে পারে। আজকে জেনে নেবডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য - প্রতিকার সম্পর্কে।

ভূমিকা

ডেঙ্গু জ্বরএকটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব আমাদের শরীরে গ্রীষ্মকালে দেখা দিতে পারে।এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর সমস্যা দেখা দিতে পারে।ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে থাকে।ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য সম্পর্কে জানবো।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশটি অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের একটি হিসেবে ডেঙ্গু চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আগে আমাদের শরীরে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন জ্বর মাথা ব্যাথা বমি গাটে ব্যথা ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য সম্পর্কে জেনে নিই।মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে।ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও ননস্টেরয়েডাল প্রদাহপ্রশমী ওষুধ সেবন করা যাবে। তাতে আমাদের শরীরে থাকা রক্তের ঝুঁকি বেয়ে যেতে পারে।

প্রতি বছর পাঁচ থেকে পঞ্চাশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয় গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর-বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ। মূলত মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর বেশি প্রভাব ফেলে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোন বিশেষ লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বাড়ি তে থেকেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব হবে।

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭টি তথ্য

এবার আমরা জেনে নেব ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭ টি তথ্য। ডেঙ্গু জ্বর একটি এসিড মশা দ্বারা বাহিত হয় ডেঙ্গু ভাইরাস। ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত এই রোগটি গ্রীষ্মকালীন হওয়া সম্ভাবনা থাকে। আমাদের শরীরে এসিড মশা কামড়ের ফলে তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ছড়া চোর ডেঙ্গু জ্বরের উপ স্বর্গ গুলো শুরু হয়ে যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ৭ টি তথ্য জেনে নিই। 
  • ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আগে যেগুলো প্রভাব দেখা দিবে যেমন, জ্বর মাথাব্যথা বমি গাটে ব্যথা ইত্যাদি।
  • সাধারণভাবে ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। আমাদের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার পর জ্বর একটানা থাকতে পারে।
  • ডেঙ্গু জ্বরের সাথে শরীরে ব্যথা মাথা ব্যথা চোখের পিছনে ব্যাথা ও শরীরের লালচে দাগ হতে পারে।
  • ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গেলে গায়ে ব্যথা যে সব ওষুধ রয়েছে তা থেকে বিরত থাকবেন।
  • ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • এডিস মশা সাধারণত ডিম পাড়ে স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু জ্বরটি ভাইরাস জনিত রোগ।
  • ডেঙ্গু সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত যায়।
এপ্রিল মাসে এই হাড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের প্রচন্ড পেট ব্যথা ও মাথা ব্যাথা করবে। এবং ক্রমাগত বমি বমি ভাব হবে ও আমাদের দাঁতের মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত হবে। এবং আমাদের অনিয়মিত পায়খানা হবে আর এগুলোই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। আর এগুলো লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

এবার জানবো শিশুর ডেঙ্গুর রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। যেহেতু ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশই শিশু, তাই রোগ চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্রাপক হারে বেড়ে যাওয়া ডেঙ্গু রোগের আক্রান্তদের সবচেয়ে বড় একটি অংশ হলো শিশু ‌।শিশুদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় মা-বাবা বা অভিভাবকদেরকেই সচেতনতার সাথে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুদের ডেঙ্গুজ্বর থেকে বাঁচাতে হলে শুরুতেই আমাদের খুবই সাবধানতা ভাবে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে হবে শিশুদের।

এডিস মশা কামড়ে পরে কোন শিশুকে কামড়ালে তার শরীরেও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।মশার কামড় প্রতিরোধে আরেকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হবে।সাধারণত ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা কামড় দেয়ার পর সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই।অবশ্য চারিদিকে যেহেতু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, তাই এই সময়ে শিশুর জ্বর এলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিব। আমাদের শরীরে হওয়ার জ্বর মাথা ব্যথা গা ব্যাথা চোখের পিছনে ব্যথা অন্ধি সন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি এগুলো হল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ।ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ। এসব লক্ষণ সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।ডেঙ্গুও করোনার মতো ভাইরাসজনিত রোগজ্বর, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে বিশেষত চোখের পেছনের দিকে ব্যথা, মাংসপেশি, হাড় এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি হলো ডেঙ্গুর লক্ষণ।এগুলো ডেঙ্গুর রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর যদি শরীর আরও বেশি খারাপ হতে থাকে।

 আক্রান্ত রোগীদের কোন বিশেষ লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বাড়ি তে থেকেই এই রোগের নিরাময় করা সম্ভব। আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে শরীরের ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়। এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্কভাবে চলাচল করতে হবে।ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়।ডেঙ্গু সংক্রমণে অনেক ক্ষেত্রেই প্লেটলেট সংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন হয়।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে

এবার আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে কমে যেতে পারে।ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে একজন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারি।লক্ষণগুলো সাধারণত দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত থাকে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী সুস্থতার দিকে চলে আসে।ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর-বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ। জুন-জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণত হ্রাস পেতে দেখা যায়।ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করেতে পারি। 

এই রোগ লোকালয়ে ছড়িয়ে পরার হাত থেকে সহজেই নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে তা আমরা জেনে নিই।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় না‌।ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়।ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কমে যায়। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

এবার আমরা জানবো ডেঙ্গুর জ্বর হলে কি খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীকে নরম জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।সেইসাথে বাড়িতে ফল থেকে বের করা জুস, স্যুপ, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, বা অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে। এগুলো আমাদের শরীরের পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের এমন ভাবে খাবার নির্বাচিত করতে হবে যা আমাদের শরীরের ক্যালরি পূরণ করতে পারবে। পাতলা মুখ দই খিচুড়ি।ডেঙ্গুর অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এবার ডেঙ্গু জ্বরে হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে যাচ্ছে।
কমে যাচ্ছে রক্তচাপ, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, রোগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে, যা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নামে পরিচিত।রোগীর বিপাকের হার, শরীরের তাপমাত্রা, হজমশক্তি ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে পথ্য নির্বাচন করতে হবে।পানিসহ অন্যান্য তরল মিলে সারা দিনে ৩ লিটার তরল নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য তরল যেমন তাজা ফলের সরবত। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে তা আমরা জেনে গেলাম।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে সাতটি তথ্য প্রতিকার। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। ডেঙ্গু জ্বর হলে যেগুলো লক্ষণ দেখা দেয়।এডিস মশার কামড়ে একজন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারি।লক্ষণগুলো জ্বর মাথা ব্যাথা পেট ব্যথা বমি বমি ভাব আরো ইত্যাদি। 

তো আমরা জানলাম ডেঙ্গুর জ্বর হলে আমাদের কি করনীয় বা ডেঙ্গু জ্বরের কি কি খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে এই সাবধানতা ভাবে চলবো আমরা যাতে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পেতে পারি। তো এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#