অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি -এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি -এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে। যারা যারা এখনো চিন্তিত আছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি -এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আজকের পোস্ট তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি -এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা।
তো যারা যারা এফেলেটিভ মার্কেটিং নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাদের সকল চিন্তা দূর হয়ে যাবে আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে। অ্যাফেলেটিভ মার্কেটিং কি এবং তার মাধ্যমে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা আজ জানতে পারবেন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা যদি অ্যাফেলেটিভ মার্কেটিং করতে চান তাহলে আমাদের পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা অনেকেই ওয়েবসাইট,ফেসবুক মার্কেটি, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে। আজ আমরা জানবো এফেলেটিভ মার্কেটিং নিয়ে আজকাল ব্লগারদের এফিলিটি মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক লাভবান হচ্ছে। অ্যাফিলেটিভ মার্কেটিং করার জন্য ব্লগার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনার যদি একটা ভালো ফেসবুক পেজ থাকে এবং সেখানে হাজারো ফলোয়ার থাকে আপনি সেখানে অ্যাফেলেটিভ মার্কেটিং করতে পারবেন এবং রোজগার করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা। instagram এ রেফারেলের মাধ্যমে এফেলেটিভ মার্কেটিং করা যায়।
এফিলিয়েট অর্থ কি
আপনারা যদি জানতে চান এফিলিয়েট অর্থ কি তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।এফিলিয়েট মার্কেটিং তা একটি ইংরেজি শব্দ। এফিলিয়েট অর্থ হচ্ছে অনুমোদিত বিপণন। যার অর্থ হচ্ছে অন্যের কোম্পানির প্রোডাক্ট নিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে কিছু বেশি মূল্য দিয়ে বিভিন্ন পেজের বা চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি করে যে কমিশন চার্জ পাওয়া যায়,সেইটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনলাইনের একটি উপাদান হচ্ছে এফিলিয়েট। কোন কোম্পানির পণ্য সেল করার পর যে কমিশন চার্জ পাওয়া যায় তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং।আর আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা এফিলিয়েট অর্থ কি সেটা জেনে গেলাম।
আরো পরুন....১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমান যুগে আপনার যদি কোন স্কিল না থাকে। কিন্তু আপনি অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে এফিলেট মার্কেটিং আপনার জন্য। কোন প্রকার ল্যাপটপ, কম্পিউটার ছাড়া আপনি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক পেজ, ব্লগার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হয়। আমাদের যার যার কাছে ফোন রয়েছে,কম বেশি সবাই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালায়।এই ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমেও আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুকে যে পণ্য বেচাকেনা পেজ থাকে।
সেই পেজ গুলোতে ফলো দিয়ে দিবেন ,এবং পেজে যারা কাজ করে তাদের সঙ্গে কথা বলে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। এরপর আপনি যে পণ্য বিক্রয় করবেন তার দামের ওপর একটু অতিরিক্ত দাম লাগিয়ে বিক্রয় করতে পারেন, অর্থাৎ একটি মোমবাতির দাম ৩০০ টাকা ডেলিভার চার্জসহ,কিন্তু আপনি মোমবাতির দামটি ৩৫০ টাকায় বিক্রয় করলেন। এই ৫০ টাকায় হচ্ছে আপনার আয় আপনি এইভাবে বিভিন্ন পণ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,আপনারা যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে। এই কথাটি নিয়ে চিন্তিত আছেন পোস্টটা শুধু আপনাদের জন্য। চলুন আজ আমরা জেনে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে। এফিলেট মার্কেটিং মূলত কোন কোম্পানির পন্য বিক্রয় করার পর যে কমিশন চার্জ টা পাওয়া যায় সেটাই হচ্ছে এফিলিট মার্কেটিং ।
যদি আপনাকে আরো সহজ ভাবে বুঝতে চা। তাহলে আমরা অনেকেই ফেসবুকে অনেক পণ্যের পোস্ট দেখে থাকি শাড়ি, মোমবাতি, চুরি, মেকাপের বিভিন্ন জিনিস ইত্যাদি। সেইগুলো পণ্য বিক্রি করার পর বিকৃত দামের চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রয় করার পর যে কমিশন চার্জ টা পাওয়া যায় সেটাকে অ্যাফিলেটিভ মার্কেটিং বলে।
কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
আমরা অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি। এফিলিয়েট কাকে বলে এবং কিভাবে করব এসব কিছু জানা থাকলেও, ঠিক কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এফিলেট মার্কেটিং করার জন্য ভালো হয় আপনি বিদেশে কোন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করলে। আপনার মনে যদি প্রশ্ন জাগে কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়, তাহলে বলা যায় আপনি সফলতার কোম্পানি যেগুলো রয়েছে সেগুলো কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করা জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
- amazon.com একটি সফল প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন লক্ষ্য লক্ষ্য কাস্টমার কেনাকাটা করতে আসেন।amazon.com এ যাবতীয়,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়।আপনি যদি amazon.com ভালো মতো রেফার করে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। তাহলে আপনি মাসে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- Clickbank.com প্রতিষ্ঠানটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে দিনে ছয় মিলিয়নেরও বেশি কাস্টমার কেনাবেচা করতে আসেন। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক টিম এন্ড ইলিয়েম বারব। প্রতিষ্ঠানটি টেকনোলজি রিলেটেড প্রোডাক্ট এর জন্য বিখ্যাত।
এছাড়াও রয়েছে rakuten.com, shareAsale.com, ebay.com ইত্যাদি। এ ছাড়া বাংলাদেশ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল দারাজ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করার আশা নিয়ে এ কাজটি শুরু করে থাকেন তাহলে আপনি এই ভূত মাথা থেকে ছুঁড়ে ফেলুন।এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আমাদের প্রথমে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট, একটি ইউটিউব চ্যানেল, একটি ভালো ফেসবুক পেজ দরকার।
আরো পরুন.. মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
জানতে হবে চমৎকার কনটেন তৈরি করা। আরো জানতে হবে ভালোভাবে রেফার করতে। কারণ এফিলিয়েট অর্থ অনুমোদিত বিপণন। একটি কোম্পানি পণ্য সেল করার মাধ্যমে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকি। তো আজ আমরা জেনে গেলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন।
শেষ কথা
বন্ধুরা,আজকে আপনারা আমার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে গেলেন কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অর্থ কি এবং কিভাবে ইনকাম করতে হয় যা অনেকের অজানা ছিল। আমি আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ভাল মত সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।এবং আমাদের ফার্স্ট ব্লগার আই টি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আর আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url