চিংড়ি মাছ চাষ পদ্ধতি - চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,আজ কে আপনাদের জন্য আমি নিয়ে এসেছে চিংড়ি মাছ চাষ পদ্ধতি- চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য।আমাদের মধ্যে অনেকেরই অজানা চিংড়ি মাছ চাষ পদ্ধতি- চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য কী। কিন্তু অনেক সময় আমরা আগ্রহ হয়ে থাকি,চিংড়ি মাছ চাষ পদ্ধতি- চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য কি এবং কিভাবে চাষ করা হয়।
চিংড়ি মাছ চাষ পদ্ধতি - চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য
আমি আপনাদের কাছে এসেছি চিংড়ি মাছের চাষ করার পদ্ধতি ও চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য। চিংড়ি মাছ কিভাবে চাষ করতে হয় চিংড়ি মাছের কি কি খাদ্য থাকে এসব বিষয়ে আপনার যদি আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ুন এবং আমি আশা করি আমার এই পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো চিংড়ি মাছ নিয়ে। চিংড়ি মাছ কত প্রকার কিভাবে চিংড়ি মাছ চাষ করা যায় চিংড়ি মাছ খেলে কি উপকারিতা ও অপকারিতা হয়, তা আজকে আমরা জেনে যাব এই পোস্টের মাধ্যমে। চিংড়ি মাছ কোথায় চাষ করা যায় পুকুরে না খামারে না নদীতে আমরা সব বিষয়ে আজকে জেনে যাব এই পোস্টের মাধ্যমে। চিংড়ি মাছের অনেক পুষ্টি রয়েছে আবার অনেক সময় চিংড়ি মাছ নিয়ে তর্ক বিতর্ক করা হয়েছে চিংড়ি একটি মাছ না পোকা।চিংড়ি যা ক্যান্সার কোষ কে রোদ করতে ভূমিকা পালন করে। 
চিংড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম অন্যান্য মাছের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালারির এর পরিমাণ কম রয়েছে। আবার যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ যেমন গুণাগুনে পরিপূর্ণ চিংড়ি তার তুলনায় কম যাইনা। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে চিংড়িতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি রয়েছে। চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে নেয়। তো বন্ধুরা চিংড়িতে আরো কি উপকার রয়েছে অপকার রয়েছে চলুন আমরা তা বিস্তারিত জেনে নেই।

চিংড়ি মাছের উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা, আমরা সবাই কমবেশি চিংড়ি মাছকে পছন্দ করে থাকি। চিংড়ি মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম। আমরা চিংড়ি মাছ পছন্দ করে থাকলেও চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই।চিংড়ি মাছ খেলে আমাদের কি উপকার হয় কি ক্ষতি হয় তা আমাদের অনেকের অজানা। তো আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা। চিংড়ি মাছ না পোকা এই বিষয়ে আমরা প্রায় তর্ক-বিতর্ক করে থাকি এই তর্ক আছে হয়তো থাকবে। চিংড়ি মাছ বা পোকা যাই হোক চিংড়ি মাছ আমাদের সবার কাছেই প্রিয়। চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ।
চিংড়ি মাছের উপকারিতা
  • ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা :চিংড়িতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা দেহে কে ডায়াবেটিস টাইপ২ এর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ গ্লাইসেমিক যা রয়েছে অল্প পরিসরে। যার কারণে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ডাক্তারেরও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিংড়ি মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • ক্যান্সার রোদে চিংড়ি: চিংড়িতে রয়েছে সেলেনিয়াম যা ক্যান্সার রোধে কাজ করে থাকে। এই সেলেনিয়াম ক্যান্সারের কোষ রোধ করে থাকে যার ফলে আমরা ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাই
  • রক্তচাপ কমাতে চিংড়ি: চিংড়িতে থাকা ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দেহে কে সাহায্য করে।
  • শরীর বৃদ্ধিতে চিংড়ি: আমাদের মধ্যে অনেকের শরীর দুর্বল। এই শরীর দুর্ব্যলতা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা থাকি। আমাদের দেহে মূলত আয়রনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়। চিংড়িতে রয়েছে ১৭ শতাংশ আয়রন যা খেলে শরীরে আয়নের অভাব পূরণ হয়ে যায়।
  • হাড় মজবুতে চিংড়ি: ফুসফুসের কারণে আমাদের হার ক্ষয় হয়। ১৪ শতাংশ ফসফরাস রয়েছে চিংড়িতে যা খেলে আমাদের হাড় ক্ষয় রোধ হয়। হার শক্ত ও মজবুত হয়ে যায়।
  • রক্তস্বল্পতা মেটাতে চিংড়ি:হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। চিংড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি১২ যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের দেহ কে রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা করে।
চিংড়িতে রয়েছে ৩৪৭ কিলোগ্রাম ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মস্তিষ্কে গিয়ে সেরেটিনিক উৎপন্ন করে এবং আমাদের বিষন্নতা দূর করে। চিংড়ি খেলে শরীরে ফ্যাট বাধার ভয় থাকে না। চিংড়িতে রয়েছে ৪২ শতাংশ প্রোটিন যা আমাদের দেহের পরিণত চাহিদা দূর করে।দেহে প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে চুল,নখ, ত্বক সুরক্ষিত থাকে। অস্টাক্যানথিন যা মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং আন্টি-ইনফ্লেমেটরি যা মস্তিষ্কের কোষ সুরক্ষা করে। আর এগুলো আমরা চিংড়ি মাছ থেকে পেয়ে থাকি। থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতেও চিংড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ হার স্নায়ু রক্ষা করে,অস্টিওপোরোসিস দূর করে। ৯ শতাংশ কপার বিদ্যমান রয়েছে চিংড়িতে। চিংড়ি কর্মশক্তির বৃদ্ধি করে।

চিংড়ি মাছের অপকারিতা

আপনি যদি কোন জটিল রোগে ভুগেন এবং আপনাকে নিয়মিত মেডিসিন সেবন করে থাকেন। তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিংড়ি খাবেন। এবং যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে বা কোলেস্টেরলের ভয় আছে। তারাও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন কারণ চিংড়িতে রয়েছে ৬৩ শতাংশ কোলেস্টেরল যা আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চিংড়িতে রয়েছে ট্রপোমোসিন যা এক ধরনের প্রোটিন ।চিংড়িতেট্রপোমোসিন রয়েছে যার ফলে আপনার এলার্জির হতে পারে‌। তাই যাদের এলার্জির জনিত রোগ আছে তারা এই চিংড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন

চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। কমবেশি আমরা সবাই চিংড়ি মাছ কে পছন্দ করে থাকি চিংড়ি দিয়ে বিভিন্ন রকম তরকারি ও বড়া করে থাকি। কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নেই চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য নিয়ে তো চলুন আজকে আমরা যে না আসে চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য কি চিংড়ি যা আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী।
চিংড়ির দেহে বিভিন্ন অধিযুক্ত উপাঙ্গ রয়েছে। চিংড়ি নরম অংশ ক্যারোটিন দ্বারা আবৃত। চিংড়িতে অনেক জোড়া উপাঙ্গ রয়েছে। শির পাঁচজোড়া, ব্রক্ষ- উপাঙ্গ আট জোড়া, উদর উপাঙ্গ ছয় জোড়া। দেহে রয়েছে প্রটোপ্রোডাইট, চিংড়ির প্রথম অংশে রয়েছে এন্ডোপ্রোডাইট, বাহিরে দিকে রয়েছে এক্সোপ্রোডাইট।

চিংড়ি মাছ কত প্রকার

চিংড়ি মাছ কত প্রকার -প্রিয় বন্ধুরা আমরা চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা থাকলেও চিংড়ি মাছ কত প্রকার তা আমাদের কাছে অজানা একটি । তো আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো চিংড়ি মাছ কত প্রকার ও কি কি।
  • টাইগার চিংড়ি-এশিয়ান ও আফ্রিকান মহাদেশের মধ্যে যে দেশগুলো রয়েছে সেই দেশগুলোতে টাইগার চিংড়ি বেশি দেখা মিলে। এই ধরনের চিংড়ির গায়ে স্ট্রাইপ দাগ রয়েছে, এ ধরনের চিংড়ি লম্বাই ১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। আমরা যে চিংড়িগুলো খেয়ে থাকি ঠিক একই প্রজাতির চিংড়ি এগুলো।
  • রক চিংড়ি-রক শব্দটির অর্থ পাহাড় বা পাহাড়ের মত কোন শব্দ বস্তুকে বোঝায়। রক চিংড়ির ক্যারোটিনটা অন্যান্য চিংড়ির তুলনায় শক্ত হয়ে থাকে। এবং এদেরকে পাহাড়ে এলাকায় শান্ত পানিতে পাওয়া যায়।
  • মিঠা পানির চিংড়ি-মিঠা পানির চিংড়ি, তা আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয়। এই চিংড়ি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে।এই চিংড়ি যেভাবে রান্না করা হোক না কেন এর স্বাদ অতুলনীয়। সালাদ, স্যুপ, থাই স্যুপ অন্যরকম তরকারি ও বড়াতে এই চিংড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • বাম্বেলবি চিংড়ি-দক্ষিণ চায়নার দিকে এ চিংড়ির দেখা মিলে। এই চিংড়ি দেখতে কিছুটা মৌমাছির মত। হলুদ ও কালো রঙের স্ট্রাইপ করা রয়েছে পুরা দেহ।
  • চিংড়ি মাছ কত প্রকার-প্রিয় বন্ধুরা আমরা চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা থাকলেও চিংড়ি মাছ কত প্রকার তা আমাদের কাছে অজানা একটি । তো আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো চিংড়ি মাছ কত প্রকার ও কি কি।
  • টাইগার চিংড়ি-এশিয়ান ও আফ্রিকান মহাদেশের মধ্যে যে দেশগুলো রয়েছে সেই দেশগুলোতে টাইগার চিংড়ি বেশি দেখা মিলে। এই ধরনের চিংড়ির গায়ে স্ট্রাইপ দাগ রয়েছে, এ ধরনের চিংড়ি লম্বাই ১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। আমরা যে চিংড়িগুলো খেয়ে থাকি ঠিক একই প্রজাতির চিংড়ি এগুলো।
  • রক চিংড়ি-রক শব্দটির অর্থ পাহাড় বা পাহাড়ের মত কোন শব্দ বস্তুকে বোঝায়। রক চিংড়ির ক্যারোটিনটা অন্যান্য চিংড়ির তুলনায় শক্ত হয়ে থাকে। এবং এদেরকে পাহাড়ে এলাকায় শান্ত পানিতে পাওয়া যায়।
  • মিঠা পানির চিংড়ি-মিঠা পানির চিংড়ি, তা আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয়। এই চিংড়ি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে।এই চিংড়ি যেভাবে রান্না করা হোক না কেন এর স্বাদ অতুলনীয়। সালাদ, স্যুপ, থাই স্যুপ অন্যরকম তরকারি ও বড়াতে এই চিংড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • বাম্বেলবি চিংড়ি-দক্ষিণ চায়নার দিকে এ চিংড়ির দেখা মিলে। এই চিংড়ি দেখতে কিছুটা মৌমাছির মত। হলুদ ও কালো রঙের স্ট্রাইপ করা রয়েছে পুরা দেহ।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরাএই পোস্টের মাধ্যমে চিংড়ি মাছের চাষের পদ্ধতি জেনে গেলাম।আরো জানলাম চিংড়ি মাছ কত প্রকার ও কি কি। চিংড়ি মাছ খেলে কি উপকারিতা হয় অপকারিতা হয়। তো বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকার হয়েছে ।এবং এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ফাস্ট ব্লগার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এবং শেয়ারের মাধ্যমে দেখার সুযোগ করে দিন,ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, খেয়াল রাখবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#