অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে
হবে। অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে। তা, আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। তাহলে,
বন্ধুরা আমরা আজকে আমরা জেনে আসি অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে।
আচ্ছা আমরা কি জানি কাশি হলে করনীয় কি।যখন অতিরিক্ত কাশি হয়।দম বন্ধ হয়ে আসার
মত কাশি হয়, তখন আসলে আমরা কী করব।এই বিষয়ে যদি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান।
তাহলে, চলুন আমরা কাশি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে আসি।
পোস্ট সূচিপত্র : অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
- ভূমিকা
- শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
- অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে
- অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব
- রাতে কাশি কমানোর উপায়
- কাশি ভালো না হওয়ার কারণ
- শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- শেষ কথা
ভূমিকা
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে - শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এগুলো সম্পর্কে জানতে
হলে আমাদের আর্টিকেলটি ভালো করে পড়তে হবে। কাশি সাধারণত ঠান্ডা লাগার কারণে হয়ে
থাকে। আজকে আমরা জানব শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ, অতিরিক্ত কাশি হলে কি করণীয়,
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে, রাতে কাশি কমানোর উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারব।
শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ কি সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে
হবে।শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ হলো:-বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কাশি দুই ধরনের
হয়ে থাকে।যেমন ১.শ্লেষ্মা যুক্ত কাশি, ২.শুকনা কাশি। শুকনো কাশি সাধারণত ফুসফুসে
সংক্রামন, হাঁপানি, যক্ষা, ধুলাবালি ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া ধূমপান
করলেও শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তাই আমরা ধূমপান করা থেকে বিরত থাকব।
আরো পড়ুন জিভে গোড়ায় গোটা কেন হয়
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। অনেক সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও শুকনো
কাশি হতে পারে। আবার অনেক সময় আমরা যখন জোরে জোরে চিল্লাই বা কথা বলি তখনও
কিন্তু শুকনো কাশি আসতে পারে। আবার যাদের অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে তাদের এই কাশি
হতে পারে। তাছাড়া কখনো শীত কখনো গরম এমত অবস্থায় শুকনা কাশি হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে সম্পর্কে আজকে আমরা আর্টিকেলে বলবো।অতিরিক্ত কাশি
হলে কি করতে হবে তার কিছু করনীয় আমরা এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বলবো। তাহলে চলুন
আর দেরি না করে জেনে আসি অতিরিক প্রকাশ হলে কি করতে হবে। অতিরিক্ত কাশি হলে আমরা
প্রথমত তুলসী পাতা রস করে খেতে পারি। তুলসী পাতা ঘাসের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী
পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে দিনে চার থেকে পাঁচবার খাবেন।
তাহলে দেখবেন কাশি আপনার অনেকটাই কমে গেছে এবং আপনি আরাম পাচ্ছেন।নিয়মিত এর রস
করে খেলে কাশি কমে যাবে। তাছাড়া অতিরিক্ত কাশি হলে গরম পানি খেতে হবে। আদা
চায়ের সঙ্গে খেলে গলার খুসখুসানি অনেকটাই কমে যাবে। ফলে কাশি ও কম হবে। তাছাড়া
মধু, লেবুর রস, আদার রস, একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশি অনেকটাই কমে যাবে। এতে করে
গলা ব্যাথা দাও কমে যাবে।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব
অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। সাধারণত কাশি আমাদের
খুব বিরক্তের কারণ। কাশি হলে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। খুসখুসানি কাশি বিরক্তির
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই কাশি নিরাময়ের জন্য আমরা কি ওষুধ খাব তার জন্য ডাক্তারের
পরামর্শ প্রয়োজন। আমরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধি খাবো না। তাহলে বন্ধুরা
চলুন জেনে আসি অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব।
আর এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল আপনাদের মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে।(Kof syrup) কফ সিরাপ কাশির জন্য খুবই উপকারী। এই সিরাপ খেলে খুশখুসা
নিয়ে কাশি অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। আবার কাশি অতিরিক্ত পর্যায়ে গেলেও এই
সিরাপ খেতে পারেন। তাছাড়া কফ সিরাপ খেলে ঘুমেরও উপকার করে।
এই কপ সিরাপ খাওয়ার কারণে আপনার ভালো ঘুমও হবে। প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা অতিরিক্ত
কাশি হলে আমরা এই সিরাপটি খেতে পারি। তাহলে আমাদেরকে অনেকটাই কমে যাবে।
রাতে কাশি কমানোর উপায়
রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে আমরা জানবো। রাতে কাশি কমানোর যায় কিভাবে তা
আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো। প্রিয় পাঠ্য বন্ধুরা তাহলে চলুন
আর দেরি না করে জেনে আসি।রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে। অতিরিক্ত কাশির কারণে
রাতে আমাদের ঘুমাতে অনেক সমস্যা হয় এতে করে মনেও মাথায় দুটোতেই চাপ পড়ে। এতে
করে শরীরের ক্লান্তিও বেশি লাগে। রাতে কাশি হলে আমরা ঘরে ঘরোয়া উপায়ে কিছু
সমাধান করতে পারি।
যেমন ধরেন আদা রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে খেলে রাতের কাশি কিছুটা
নিরাময় হবে। আদাতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিব্যাকটেরিয়া যা কাশি কমাতে এবং গলার
খুসখুসানি ভাব কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও দীর্ঘদিনের কাশি হলে নিয়মিত তুলসী
পাতা খেলে এটি কমে যায়।
দিনে ৩ -৪ তুলসী পাতার রস খেলে খুসখুসানি কাশি অনেকটাই কমে যায়। এই উপায় গুলো
যদি আমরা ট্রাই করি তাহলে রাতের কাশি কমে যাবে। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী আমাদের কাশির জন্য ঔষধ সেবন করতে হবে।
কাশি ভালো না হওয়ার কারণ
সাধারণ সময় কাশি ।তবে এটি যদি ভালো না হয় তাহলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কাশি ভালো না হওয়ার কারণ অনেক সময় ঘুম ব্যাহত হয়। ছাড় াও কাশির কারণে গলা
ব্যথা ও বুক ব্যাথা দেখা দেয়। কাশি ভালো না হওয়ার কারণ সম্পর্কে আজকে আমরা এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে আসি ভালো না হওয়ার
কিছু কারণ। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যআমাদের এই আর্টিকেল। যে কারণে কাশি
ভালো হচ্ছে না।
তা হলো যারা ধূমপান করেন। ধূমপানের কারণে কাশি কমতে অনেকটা সময় লাগে। আবার
হাঁপানি রোগ থাকলেও কাশি কমতে সময় নেয়। শ্বাসনালী সংক্রমণ হলে কিছুদিনের মধ্যে
চলে যেতে পারে। কিন্তু খুশখুসানি কাশি থেকে যায়। এটি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ
কিংবা কয়েক মাসে লেগে যেতে পারে। এই সংক্রমণের জন্য কাশি ভালো হতে দেরি করে।
এগুলো কারনে কাশি ভালো হতে সময় লাগে।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা জানতে চলেছি।
তাহলে চলুন জেনে আসি শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় । প্রিয় বন্ধুরা
আমাদের সবার ঘরে সরিষার তেল রয়েছে। আর এই তেল ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের কাশি
অনেকটা কমে যাবে। এই তেল যদি আমরা খেতে পারি তাহলে কাশি থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
তাছাড়া তুলসী পাতা রস করে মধু দিয়ে গরম করে খেলে কাশি থেকে উপশম পাওয়া
যায়।
তুলসী রস নিয়মিত দিনে ৩ থেকে ৪ বার খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়।কাশি থেকে মুক্তি
পাওয়ার আরো একটি উপায় হচ্ছে আদা। আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টো
ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমাদের শরীরে থাকা রোগবালায় অনেক কমে যায়
কিংবা ধ্বংস হয়ে যায়।
আরো পড়ুন শিশুদের টাইফয়েড হলে করণীয়
আদার রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে
কাশি ভালো হয়ে যায়। প্রিয় বন্ধুরা তাহলে আমরা এই ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার
করলে শুকনো কাশি ভালো হয়ে যাবে।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আমরা কাশি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে
গেলাম। আমাদের বাসাতে বৃদ্ধ দাদা দাদি রয়েছে তাদের অনেক সময় কাশি হয়।আবার এমন
সময় ও আছে , তাদের কে দেখা যায় কাশি হতে হতে নাজে হাল অবস্থ হয়।তো আজকে আমরা
জানবো অতিরিক্ত কাশি হলে আমাদের কাজ কী। আমাদের করনীয় কি।অন্যান্য বিষয় জানতে
আমাদের ফাস্ট ব্লগার আইটি ওয়েব সাইটটি। মাঝে মধ্যে ভিজিট করুন এবং শেয়ারের
মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের পাশেই
থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url