ডায়াবেটিস কি - ডায়াবেটিস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানুন

আজ আমরা ডায়াবেটিস কি ডায়াবেটিস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানবো। যা এর ফলে আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। তো আজ আমরা জেনে নিব ডায়াবেটিস কি ডায়াবেটিসের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নি ই ডায়াবেটিস কি ডায়াবেটিস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য।

ডায়াবেটিস কি - ডায়াবেটিস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানুন
তো ডায়াবেটিস আমাদের শরীরের এমন একটি গুরুতর অবস্থা।ডায়াবেটিস ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলিতে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।কোষ শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে।ডায়াবেটিস জনিত ইনসুলিনের তারতম্যের জন্য আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রার তারতম্য ঘটে। তো আজকে আমরা ডায়াবেটিস কি-ডায়াবেটিস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা

ডায়াবেটিস আমাদের শরীরের এমন একটি গুরুতর অবস্থা।ডায়াবেটিস ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলিতে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।কোষ শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে। এই ডায়াবেটিসের সূত্রপাত কিভাবে ঘটে চলুন আমার দেখিনি, যেমন তীব্র তৃষ্ণা অতিরিক্ত প্রস্রাবের প্রবণতা প্রচন্ড ক্ষুধা ঝাপসা দৃষ্টি বমি বমি ভাব পেট ব্যথা চুলকানি ইত্যাদি। এভাবে ডায়াবেটিসের সূত্রপাত ঘটে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিন ইনজেকশন গ্রহণ করে বা ইনসুলিন পাম্প ও অন্য ডিভাইস ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।

এই ধরনের ডায়াবেটিসের চিকিৎসা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য শরীরের মধ্যে তৈরি হওয়া ইনসুলিন কে ভালোভাবে ব্যবহার করার উপায় বের করা হয়। ডায়াবেটিস হলে এমন ধরনের রোগ যা আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার তাপমাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে না। ডায়াবেটিস আমাদের শরীরে এমন একটি রোগ। যা আমাদের শরীর থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় কখনোই হয় না। এবং কিছু ওষুধ দ্বারা এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আমরা।

ডায়াবেটিস রোগটি শুধু প্রাপ্ত বয়সকিদের ক্ষেত্রেই ঘটিত। আমরা সুষম খাদ্য গ্রহণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। যা আমাদের শরীরের কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট গুলির বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের শরীরে ইনসুলিন ছাড়া গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না। এটি রক্তনালীতে জমা হয় এটি কোন ব্যক্তিকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত করে তুলে।

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় তা আমরা জানবো। ডায়াবেটিস আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি সুষম খাদ্য খেয়ে। যেমন শাকসবজি ফলমূল ও শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার। যেমন ধরুন লাল বাদামি চালের ভাত ও লাল আটার রুটি বা পাউরুটি। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম মাছ মাংস শিম ও ইত্যাদি। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই ছানা ও পনির, ইত্যাদি।
এমন ধরনের খাবার খেয়ে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ডায়াবেটিকস কি খেলে ভালো হয় আপনার দৈনিক খাবার ও পানীয় প্রয়োজন তা নির্ভর করবে আপনার বয়স শারীরিক ওজন ইত্যাদি। আপনাদের ডায়াবেটিস থাকলে যে কোন রকম ফলমূল খাওয়া চলবে না। তো আমরা জেনে নিলাম ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়। আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সুষম যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় জানবো আমরা। ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেমন চোখ দাঁত হৃদযন্ত্র ও কিডনি সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যৌন সমস্যাও দেখা দেয় ডায়াবেটিসে একসাথে আমাদের দুই চোখকেই আক্রান্ত করে দেয়। ডায়াবেটিসের চোখ আক্রান্ত হওয়াকে আমরা আই ডিজিজ বা ডায়াবেটিক রেটি নোপ্যাথি বলি। 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় আমাদের শরীরে তো আমরা জানলাম। আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয় আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হওয়াতে। আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখবে শুধু ঔষধ ও ইনসুলিন নিলে চলবে না তার জন্য আমাদের প্রতিদিন নিয়মমাফিক গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রতিদিন জীবন যাত্রা ও খাদ্য খাওয়ার উপর প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি তা আমরা জেনে নিই। ডায়াবেটিসের যেসব লক্ষণ তা হলো, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া পিপাসা লাগা দুর্বল লাগা ঘোর ঘোর ভাব আসা বেড়ে যাওয়া সময় মত খাবার না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া। বিভিন্ন মিষ্টি জিনিসের উপর আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া। শরীরে কাঁটা ছেঁড়া হলে দীর্ঘদিন ধরে না সারা শরীরে চুলকানিও খসখসে ভাব দেখা দেওয়া বিরক্ত ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে উঠা । চোখে ঝাপসা ভাব ও চোখে কম দেখা ইত্যাদি। তো আমরা জানলাম ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো সম্পর্কে। এই ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিলে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ আমাদের। আমাদের খালি পেটে সুগারের লেভেল যদি ৮০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকে আর আমরা খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে যদি ১৪০ সুগারের মাত্রা যদি এর আশেপাশে থাকে তাহলে চিন্তার কোন দরকার নেই। তার সঙ্গে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে এ মাত্রাটুকু মেপে রাখা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগটি আমাদের বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডায়াবেটিসি রোগটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল। ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ ডায়াবেটিস শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব জায়গায় এ রোগের রোগী বেড়ে চলেছে। বিশ্বে সাত সেকেন্ডে একটি করে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কি খেলে ডায়াবেটিস হয়

কি খেলে ডায়াবেটিস হয় তা আমরা জানবো। আমাদের বিশ্বে ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ২০৪৫ সালে মধ্য এ সংখ্যা ৬৩ কোটি ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন। ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। হলে আমাদের শরীর অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কি খেলে ডায়াবেটিস হয় আমাদের তীর্থ জীবন যাপনের এবং খাবারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নির্মূল করা ও সম্ভব।

ডায়াবেটিস রোগীর সাদা, রুটি, বাবা পাউরুটি অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে। এর ফলে ব্রাউন বা হোলগ্রেইন রুটি খেতে হবে যাক কোন পরিশোধিত চিনির সঙ্গে মিশানো থাকে না। আর অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে ডায়াবেটিস রোগীকে দূরে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস রোগী চিনির মুক্ত খাবার খেয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিরাময় করার উপায়

দুটো ডায়াবেটিস করার উপায় জেনে নি আমরা, আপনারা দ্রুত ডায়াবেটিস নিরাময় করার উপায় প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে ধূমপান মধ্যপান ছেড়ে দিতে হবে বিষ্টি পরিহার করতে হবে যেসব লক্ষণ দেখা দিয়ে ডায়াবেটিস হতে পারে সেইসব লক্ষণ থেকে হতে হবে। দ্রুত ডায়াবেটিস করার উপায় হল পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম।
স্বাভাবিক শরীরের ওজন ধরে রাখা এবং তামাক বর্জন করা এসব নিয়ম মেনে চললে আমরা দ্রুত ডায়াবেটিস নিরাময় করতে পারি। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বর্জন করা খাদ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা ও মানসিক চাপ না নেওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো এবং বাইরের খাবার বন্ধ করতে হবে। দ্রুত ডায়াবেটিস নিরাময় করার উপায় সম্পর্কে জানলাম।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার কি কি হতে পারে তা সম্পর্কে আমরা জেনে নিব। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকায় যা যা থাকতে হবে, যেমন ফলমূল শাকসবজি লাল চালের ভাত লাল আটা রুটি বা পাউরুটি, শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার এগুলো। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ ডিম মাংস আলো বিভিন্ন ধরনের বাদাম। দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার যেমন পনি র ঘি দইছানা ইত্যাদি। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার এগুলো। ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিন একই খাবার না খেয়ে নানান রকমের শাকসবজি ফলমূল ও কিছু সার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন যেমন লাল চালের ভাত লাল আটা রুটি বা পাউরুটি। এবং চিনি লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই কমিয়ে দেওয়া খাব যা একেবারে না খেলেই নয় সেই পরিমাণ খাবার খাব।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজ আমরা জানলাম ডায়াবেটিস কি ডায়াবেটিস রোগীর খাবার কি ধরনের হওয়া উচিত। আবার কত পরিমান খাবার খেলে ডায়াবেটিস কমে যাবে এবং কি কি খাবার খেলে ও দ্রুত ডায়াবেটিস নিরাময়ের উপায় সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানলাম। তো আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং পোস্টটির কথা অনুযায়ী চলুন ফলাফল পেয়ে যাবেন। এবং সব সময় আমাদের পাশে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#