পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন - পলিথিন তৈরির উপাদান

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা জানব পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন। আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে।
পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন - পলিথিন তৈরির উপাদান
পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।তাই আমরা পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন- পলিথিন তৈরির উপাদান সম্পর্কে জেনে নিব।

ভূমিকা

পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি করে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করে।পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে জেনে নিই।পলিথিন বর্তমান সময়ে অপরিহার্য উপাদান।

প্রায় সব জায়গাতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনে খাবার সংগ্রহ করে তা গ্রহণের ফলে মানব শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ। বর্তমানে ছোট–বড় সব ধরনের হোটেল বা রেস্তোরাঁতে দেখা যায় পলিথিনের ব্যবহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিনে গরম খাবার ঢালার সঙ্গে সঙ্গে বিসফেলন-এ তৈরি হয়। বিসফেলন-এ থাইরয়েড হরমোনকে বাধা দেয়, বিকল হতে পারে লিভার ও কিডনি। বিসলেন-এ গর্ভবতী নারীর রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণে গিয়ে নষ্ট করে দিতে পারে।

এবং দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব। সদ্যোজাত শিশুও বিকলাঙ্গ হতে পারে। পলিথিনের ব্যাগে করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া খাবার গ্রহণ করলেও সমান ক্ষতি হতে থাকে।পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যেখানে সেখানে পড়ে আছে পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ। ময়লা–আবর্জনা ফেলার জন্যও পলিথিন ব্যবহার করা হয়। মাটিতে এটি আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়।

মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। ডাস্টবিনে ফেলা পলিথিন বৃষ্টির পানির সঙ্গে নালায় ঢুকে পড়ে, যে কারণে হালকা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো–অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি করে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করে। সে হিসাবে শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি পলিথিনের ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বলছে, ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি পলিথিনের ব্যাগ জমা হচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানীর লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় প্লাস্টিকের কারখানা আছে প্রায় কয়েকশ।
লালবাগের চান্দিরঘাট এলাকাতে ঘুরে দেখা যায়, পুরোটাই প্লাস্টিক উৎপাদের কারখানা। এখানে প্রকাশ্যে চলে অবৈধ পলিথিনের উৎপাদন ও বিক্রি।

প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর কেন

এবার আমরা জানবো প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে।প্লাস্টিক বর্জ্যের ফলে মাটি দূষিত হয় এবং এতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে জীবজগত ও উদ্ভিদকূল উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া প্লাস্টিক দূষণের কারণে মাটির উর্বরতা ব্যাহত হয়, কৃষি উৎপাদনশীলতা বাধাগ্রস্ত হয় এবং বাস্তুতন্ত্রের সুস্থতা বিঘ্নিত হয়।প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে ভয়ের দিকটি হচ্ছে এর দীর্ঘস্থায়িতা। প্লাস্টিকের পচনে বহু বহু বছর কেটে যায়।

এবং বহু বছর পরও এটি ভেঙে গিয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক নামের ক্ষুদ্রাংশে পরিণত হয়। মাইক্রোপ্লাস্টিকের আকার ৫ মিলিমিটারের চেয়েও কম এবং সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে যে বাতাসে আমরা শ্বাস নিই– তার সবখানেই এখন মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এই ছোট ছোট কণাগুলো খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্ম দেয়। প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর কেন জেনে নেব।

প্লাস্টিক একাধারে মাটি , অনুজীব , উদ্ভিদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।কেননা প্লাস্টিক মাটিতে সহজে পঁচে না।তাই মাটির কোন এক স্তরে আটকে থাকে।তখন মাটিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও প্রয়োজনীয় অনুজীবের চলাচল হয় না।তাই মাটি অনুর্বর থাকে।মাটিতে প্লাস্টিক থাকলে মাটির রস বা আর্দতা বজায় থাকে না।তাই মাটির গুনাগুন হারিয়ে যায়।তাই প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর।বর্তমান বিশ্বের প্রধান ক্ষতিকর হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি।

তারপর ক্ষতিকর জিনিষ হচ্ছে প্লাস্টিক, বিশেষ করে রিসাইকেল অনুপযোগী প্লাস্টিক। কারণ, এই প্লাস্টিক গলে না, পচে না- থেকে যায় অনন্তকাল পর্যন্ত। তাই বিশ্বের জল ও স্থলের সর্বত্রই মিশে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি করছে। এমনকি মানুষেরও। কারণ, খাদ্য চক্রের প্রক্রিয়ায় এই প্লাস্টিক মিশে যাচ্ছে, যা খেয়ে মানুষ ও প্রাণীকুল নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।প্লাস্টিক মাটির জন্য ক্ষতিকর কেন তা আমরা জেনে নিই।প্লাস্টিকের দ্রব্যের মধ্যে মাইক্রোবিডস থাকে।

যা সহজেই পরিবেশ দূষণ করতে পারে। এসব মাইক্রোবিডস জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের অন্যান্য জীবের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর ফলে অদৃশ্য মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা ভয়ংকরভাবে বায়ুদূষণ ঘটায়, যা নিঃশ্বাস এর সঙ্গে আমাদের শরীরে ভিতরে গিয়ে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

পলিথিন এর উপকারিতা

এবার আমরা পলিথিন এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।কম্পোস্টেবল পলিথিন ব্যাগ পরিবেশের ওপর কম প্রভাব ফেলে। এর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপকারী দিক রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কম্পোস্টেবল পলিথিন ব্যাগ অন্যান্য জৈব কম্পোস্টেবল পদার্থের মতো করে বিভিন্ন অণুজীব, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে যায়, যা পরবর্তী সময়ে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলের হরমন বাধাগ্রস্ত হয়।

এল ফলে দেখা যায় গর্ভবতীদের ভ্রূণের ক্ষতি হয়ে যায় এবং কিডনি ও লিভারের এর প্রভাব পড়ে। আমরা দেখে থাকি বাজারে যে কোন পণ্য কেনার পরে পলিথিন এর ব্যাগ দেয়।পলিথিন এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।পলিথিন হচ্ছে স্লো পয়জন যা আমাদের জীবন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। পলিথিন মানব শরীরে শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ও ক্যানসার সৃষ্টি করতে সক্ষম।

চিকিত্সাবিজ্ঞানে পলিথিনকে চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়। উজ্জল রঙের পলিথিনে রয়েছে সিসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে দেখা দেয়। পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। বর্তমানে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্বের যে প্রকট সমস্যা তার মূলে রয়েছে পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রভাব। পলিথিন থেকে বিষফোনোল নামক রাসায়নিক নির্গত হয়, যা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশে নানা রকমের রোগ তৈরিতে সহায়তা করে।

পলিথিন প্যাকিংয়ে অবায়ুবীয় ব্যাকটিরয়ার সৃষ্টি হয়, যে খাবার খেলে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাটিতে পলিথিনের কারণে রাসায়নিক পদার্থ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে বৃক্ষের মাধ্যমে অবশেষে মানুষের শরীরে মিশে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।পলিথিন মানব শরীরের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও মারত্মক হুমকি। পলিথিন এমন একটি পদার্থ যার আয়ুষ্কাল হাজার বছর। অপচনশীল পদার্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন অবিকৃত অবস্থায় থাকে বলে।

মাটিতে সূর্যালোক, পানি ও অন্যান্য উপাদান প্রবেশে বাধা দিয়ে মাটির উর্বরতা কমায়। এভাবে মাটির উর্বরতা কমতে থাকলে আগামীতে অধিক উত্পাদনশীল ফসলি জমির সংকটে পড়তে হবে। পতিত পলিথিন মাটির অভ্যন্তরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি চলাচলে বাধা দেয়, যার কারণে মাটির গুণগত মান হ্রাস পায়। পলিথিন উত্পাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়ক।

সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি বছর প্লাস্টিক উত্পাদনে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহার করা হয়। ১ কেজি প্লাস্টিক উত্পাদনে ২ থেকে ৩ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব

এবার আমরা পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চলেছি।পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে চর্মরোগ, ক্যান্সারসহ আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পলিথিন ব্যাগকে চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়। পলিথিনে মাছ, মাংস মুড়িয়ে রাখলে কিছুক্ষণ পর এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়ে ওঠে। পলিথিনে রঙ করার জন্য ব্যবহৃত ক্যাডমিয়াম মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।উন্নত দেশগুলোয় ক্যাডমিয়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ফ্রিজে বা স্বাভাবিকভাবে সংরক্ষণের জন্য ঝুঁকিমুক্ত মোটা কাগজ ব্যবহার হয়। তাছাড়া আমাদের দেশে বর্তমানে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধত্বের যে প্রকট সমস্যা, তার মূলেও রয়েছে পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রভাব।রাজধানীবাসী ওয়াসার পরিষ্কার পানি পায় না। অবাক হলেও সত্য যে, এর পেছনেও পলিথিন অনেকাংশে দায়ী। পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্যে বুড়িগঙ্গা ভয়াবহ দূষণের শিকার। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বর্জ্যে অনেক আগেই বিষাক্ত হয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার পানি। 

বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নদীর তলদেশে জমাট বেঁধেছে ৮ ফুট পুরু পলিথিনের স্তর। যদিও পরিবেশবিদরা বলছেন, এ জন্য পলিথিনের পাশাপাশি অন্যান্য কারণও দায়ী। তবে পলিথিনের ভূমিকা সর্বাগ্রে। পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিক দ্রব্য উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদনের সময় ক্ষতিকর বায়ু ও তৈরি হচ্ছে যার ফলে মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এবং পরিবেশের ওপর ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যার ফলে দিন দিন আমাদের পরিবেশ দূষণ হয়।

পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে সেই সম্পর্কে জেনে নিই।পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের কুফল থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এর সঙ্গে মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অর্থাৎ পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধের আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ ও শপিং ব্যাগ জব্দ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তারপরও পলিথিনের আগ্রাসন কিছুতেই কমছে না। পলিথিন এমন একটি উপাদানে তৈরি, যা পরিবেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। এর মধ্য থেকে বিষফেনোল নামক বিষ নির্গত হয় এবং খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশে যায়। পলিথিন মাটির সঙ্গে মেশে না। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে।

ডাস্টবিনে ফেলা পলিথিন বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনে ঢুকে পড়ে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। পলিথিন নদীর তলদেশে জমা হয়ে নদীর তলদেশ ভরাট করে ফেলে। পলিথিন পোড়ালে বাষুদূষণ ঘটে। এখন কাগজ ও পাটের ব্যাগের ব্যবহারই আমাদের পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারে। পাটের ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে সরকারের ব্যাপক নজরদারিসহ প্রচারমাধ্যমগুলোতে (রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা) ব্যাপক প্রচার দরকার।

স্লো পয়জন বলতে যা বোঝায়, পলিথিন তাই। পলিথিন ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিন উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে এটির বাজারজাতকারী ও ব্যবহারকারীরা পর্যন্ত জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে রয়েছে। এটি ব্যবহারে চর্মরোগ, ক্যান্সারসহ আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে পলিথিন ব্যাগকে চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়। পলিথিনে মাছ, মাংস মুড়িয়ে রাখলে কিছুক্ষণ পর এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন

এবার আমরা জানবো পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে।পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি করে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করে।পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে জেনে নিই।

পলিথিন বর্তমান সময়ে অপরিহার্য উপাদান। প্রায় সব জায়গাতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনে খাবার সংগ্রহ করে তা গ্রহণের ফলে মানব শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ। বর্তমানে ছোট–বড় সব ধরনের হোটেল বা রেস্তোরাঁতে দেখা যায় পলিথিনের ব্যবহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিনে গরম খাবার ঢালার সঙ্গে সঙ্গে বিসফেলন-এ তৈরি হয়। বিসফেলন-এ থাইরয়েড হরমোনকে বাধা দেয়, বিকল হতে পারে লিভার ও কিডনি।

বিসলেন-এ গর্ভবতী নারীর রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণে চলে যাওয়ার কারণে ভ্রূণ নষ্ট হতে পারে এবং দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব। সদ্যোজাত শিশুও বিকলাঙ্গ হতে পারে। পলিথিনের ব্যাগে করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া খাবার গ্রহণ করলেও সমান ক্ষতি হতে থাকে।পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে জানতে চলেছি আমরা।যেখানে সেখানে পড়ে আছে পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ। ময়লা–আবর্জনা ফেলার জন্যও পলিথিন ব্যবহার করা হয়।

মাটিতে এটি আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। ডাস্টবিনে ফেলা পলিথিন বৃষ্টির পানির সঙ্গে নালায় ঢুকে পড়ে, যে কারণে হালকা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো–অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি করে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করে। সে হিসাবে শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি পলিথিনের ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বলছে, ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি পলিথিনের ব্যাগ জমা হচ্ছে।

একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানীর লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় প্লাস্টিকের কারখানা আছে প্রায় কয়েক শ। লালবাগের চান্দিরঘাট এলাকাতে ঘুরে দেখা যায়, পুরোটাই প্লাস্টিক উৎপাদের কারখানা। এখানে প্রকাশ্যে চলে অবৈধ পলিথিনের উৎপাদন ও বিক্রি।

পলিথিন তৈরির উপাদান

এবার আমরা জানবো পলিথিন তৈরির উপাদান সম্পর্কে।পলিইথিলিন ইথিলিন থেকে উৎপন্ন হয়, এবং যদিও ইথিলিন নবায়নযোগ্য সম্পদ থেকে উৎপন্ন হতে পারে, কিন্তু পলিথিন প্রধানত পেট্রোলিয়াম থেকে উৎপন্ন হয়। পলিইথিলিনের ব্যাপক ব্যবহার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে যদি এটিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে না তোলা হয়।পরিবেশের প্রতিটি উপাদানের সুসমন্বিত রূপই হলো সুস্থ পরিবেশ। এই সুসমন্বিত রূপের ব্যত্যয় ঘটলে পরিবেশ দূষণ হয়।

এবং পরিবেশের স্বাভাবিক মাত্রার অবক্ষয় দেখা দেয়। পরিবেশ বিভিন্ন কারণে দূষিত হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও এর জন্য দায়ী। পরিবেশের দুই ধরনের উপাদান রয়েছে। অজীব উপাদান সজীব উপাদান। পরিবেশের অজীব উপাদানগুলো- মাটি, পানি, আলো, বাতাস, জলাশয়, হাওর, নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, হিমবাহ, মরুভ‚মি, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, মেঘমালা, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি।

এবং পরিবেশের সজীব উপাদানগুলো উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব ইত্যাদির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যে বিরাজ করছে মানব কর্তৃক সৃষ্ট পরিবেশ, যেমন- ঘরবাড়ি, গ্রাম-শহর, সুউচ্চ ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, সেতু, বাঁধ, মোটরযান, রেলওয়ে, উড়োজাহাজ, রকেট, স্টিমার, ইটভাটা, বিদ্যুৎ, শিল্পকারখানা, ইন্টারনেট, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, জাহাজ-শিল্প, অস্ত্র-কারখানা, পারমাণবিক চুল্লি ইত্যাদি।

সুতরাং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উভয় পরিবেশের সমন্বয়েই সৃষ্টি হয়েছে আমাদের এ সুন্দর পরিবেশ। একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের জন্য অজীব ও সজীব প্রতিটি উপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভৌতিক, রাসায়নিক ও জৈবিক কারণে এ উপাদানগুলোর মধ্যে যে কোনো একটির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলে সামগ্রিক পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং পলিথিন তৈরির উপাদান সম্পর্কে জানলাম। মানুষের অসচেতনতা।

এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার দ্রব্যের মোড়কে প্রতিদিনই পলিথিন এবং প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ওই দ্রব্যগুলো ব্যবহারের পর বর্জ্য হিসেবে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের মোড়কগুলো ড্রেন, রাস্তাঘাট, মাঠে-ময়দানে, নদী-নালা, খালবিল এবং ফসলের মাঠে ফেলা হচ্ছে।পলিথিনই একমাত্র বস্তু পণ্যবহন বা প্যাকেটজাত করা ছাড়া এর আর কোনো উপকারিতা নেই।

বিপরীতে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব। এমনকি পলিথিনই একমাত্র বস্তু যার দ্বারা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একটি দেশ। স্লোপয়জন বলতে যা বোঝায়, পলিথিন তাই। পলিথিন ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিন উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে এটির বাজারজাতকারী ও ব্যবহারকারীরা পর্যন্ত জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে রয়েছে।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন সেই সম্পর্কে।পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। পুরোনো পলিথিন পুড়িয়ে আবার পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#