থানকুনি পাতার উপকারিতা -থানকুনি পাতা বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিব থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা থানকুনি পাতার উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক থানকুনি পাতার কি কাজে আসে থানকুনি পাতার রস আমাদের খেলে কি হয় পাতা সম্পর্কে জেনে নিব। ধরা আজকে আমরা জানবো থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
থানকুনি পাতার উপকারিতা -থানকুনি পাতা বৈশিষ্ট্য
তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো থানকুনি পাতা আমাদের কি কি কাজে আসে থানকুনি পাতা খেলে আমাদের কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় থানকুনি পাতার রস খেলে কি কি রোগ মুক্ত হয় এ সম্পর্কে আমরা জেনে নিব। চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নেই থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে থানকুনি পাতার স্টেশন সম্পর্কে জানব।

ভূমিকা

জেনে নিন থানকুনি পাতা শরীরের কোন কোন কাজে লাগে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষধি এই থানকুনি পাতা।তাজা থানকুনি পাতা এক চিমটি লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। কারণ হজমশক্তি ভালো করার জন্য এবং সুস্থ থাকার থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।শুধু পেটই নয় আলসার অ্যাজমাসহ নানা চর্মরোগ সারাতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী।

এতে ত্বকের সজীবতা বাড়ে কোন পুরাতন ক্ষত নিরাময় না করতে পারলে সেদ্ধ থানকুনি পাতার প্রলেপ দিলে অনেক বেশী উপকার হয়। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতে ব্যথা হলে এই পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার মেলে। এছাড়াও শরীরের যে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়: থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপকারি। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের পরিচিত শাক-সবজির তালিকায় শুরুতেই রয়েছে থানকুনি পাতার নাম।
এই শাকের নাম আমাদের প্রায় সবারই জানা।তেতো স্বাদের এই পাতা আমাদের শরীরের জন্য অসংখ্য উপকার বয়ে আনে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এই পাতা খুবই উপকারী।

চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা

চুল পড়া নিরোধকারী পণ্যে অনেক সময় থানকুনির নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা গরমে শুধু চুল নয় ত্বকের সমস্যার জন্যও থানকুনি পাতা বেঁটে মুখে লাগাতে পারেন। ব্রণ থেকে শুরু করে যেকোনও সমস্যা থেকে চুল পড়ার হার কমে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে মাথার ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়া কমতে শুরু করে।

গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। আপনি চুলের উপকারিতার জন্য সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন দেখবেন কিছুদিন পরে আপনি হাতেনাতে ভালো একটি ফলাফল থানকুনি পাতা সকল ধরনের পেটের রোগের মহৌষধ। পাতা বেটে ভর্তা করে বা ঝোল করে খেলে বদহজম ডায়রিয়া আমাশয় ও পেটব্যথা সেরে থানকুনি চুলের জন্য।

থানকুনি পাতার উপকারিতা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা দূর করার জন্য খেতে পারেন থানকুনি পাতা। প্রতিদিন দুইবার ২-৪ চামচ থানকুনির রস ও মধু মিশিয়ে ফলে চুল পড়ার মাত্রা কমতে শুরু করে। চুল পড়ার হার কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা নিয়ে তা গোল গোল খাঁজকাটা পাতা, আকারে একটি পয়সার থেকে কিছুটা বড়। তেতো স্বাদের এই পাতাটি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়

আপনি যদি নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি একটি ভালো কাজ করেছেন কারণ নিয়মিত ধানকুনি পাতা খেলে আলসারসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে৷ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়।থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় এতে বাতের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন অনেকটাই। কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ সারাতে কাজ করে মধুর সঙ্গে থানকুনি পাতার রস।

চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। এই সময়ে নিয়মিত সকালবেলা খালি পেটে এক চামচ করে থানকুনি পাতার রস এবং শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর আশঙ্কা কমে যায়।থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়। থানকুনি পাতা অতি পরিচিত। সাধারণত পুকুর পাড় বা জলাশয়ে এ পাতা দেখা যায়। বর্তমানে যেকোনো অসুখ সরাতে মানুষজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে।

প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু, মিশিয়ে খেলে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে। শরীর থাকবে ফুরফুরে। তবে যৌবন ধরে রাখতেএবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতেও থানকুনি পাতার জুরি মেলা ভার। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ চামচ প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে ।

থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য

আমাশয় থেকে আলসার সেরে যায় এই পাতার গুণেই। আর নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। ক্রনিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে খুবই ভালো থানকুনি পাতা। মানসিক অবসাদ কমায়- যাঁরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য খুব ভালো থানকুনি পাতার রস।থানকুনি একটি অতি উপকারী ভেষজ। চিকিৎসার অঙ্গণে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় ।

আপনার যদি হাড়ের জোড়ায় ব্যথা থাকে তবে থানকুনি পাতা আপনার সে সমস্যা দূর করতে পারে। কারণ থানকুনি আপনার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থানকুনি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। একটি গবেষণা অনুসারে থানকুনির ইথানোলিক নির্যাসটিতে স্থূলতা বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারণ থানকুনি পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা খুব দ্রুত ক্ষত সারাতে সক্ষম। দীর্ঘদিনের ক্ষত ও জ্বালাপোড়া সারানোর এই ছোট্ট থানকুনি পাতার এত গুণ।

কে জানত নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খাওয়া শুরু করলে একাধিক উপকার মেলে।থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য থানকুনি পাতা চেনার উপায় | থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য থানকুনি পাতা দেখতে গোলাকার তবে পাতার চারপার্শে হালকা খাঁজ কাটা থাকে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। যাদের চর্ম রোগ রয়েছে তারা এই ফুলের রস মালিশ করে উপকার পেয়েছেন। থানকুনি পাতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি। 

যে সকল এলাকার লবনাক্ত আভাস সেই সকল গ্রামবাংলায় থানকুনির আর একটি ব্যাপক ব্যবহার হল ছোট ছেলে-মেয়েদের পেটের অসুখ ও জ্বরে । এর জন্য পাতার রস বা ক্কাথ ব্যবহার করা থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য।

থানকুনি পাতার অপকারিতা c

থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।থানকুনি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। পেট ও মস্তিষ্কের বিকাশে দুর্দান্ত কার্যকর।থানকুনি পাতার অপকারিতা জেনে নিন, থানকুনি পাতা শরীরের কোন কোন কাজে লাগে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষধি এই থানকুনি পাতা। ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি পায় শুধু পেটই নয় আলসার অ্যাজমাসহ নানা চর্মরোগ সারাতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকর।

এতে ত্বকের সজীবতা বাড়ে।কোন পুরাতন ক্ষত নিরাময় না করতে পারলে সেদ্ধ থানকুনি পাতার প্রলেপ দিলে অনেক বেশী উপকার হয়।ছোট ছোট সবুজ পাতা দারুণ ওষধিগুণসম্পন্ন। কত কাজেই না লাগে। এই থানকুনি দিয়ে সৌন্দর্যচর্চা সেটা কি কেউ শুনেছে আগে।থানকুনি পাতার অপকারিতা। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতে ব্যথা হলে এই পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার মেলে। এছাড়াও শরীরের যে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা।

খালি পেটে থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয় থানকুনি পাতা আমাদের দেশে খুবই অনেকটা অনাদরেই বেড়ে ওঠে এই থানকুনি পাতা। কিন্তু এর উপকারিতা বেশ দামি। এখন অবশ্য চাষও হচ্ছে অনেক জায়গায়। তেতো রাতে কি ঠিক মতো ঘুম না হলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন থানকুনি পাতা।

উপকার মিলবে একেবারে হাতে নাতে। কারণ এতে রয়েছেথানকুনি পাতা কি থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম; থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে কাশি রোদ জ্বর কমায় আমাশয় ।

থানকুনি পাতায় কি কি উপকার করে

থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।রক্ত জমাট বেঁধে যায় না থানকুনি পাতার মধ্যে থাকে নানা রকম খনিজ উপাদান যা তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপকারি। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতায় কি কি উপকার করেজেনে নেওয়া যাক ফোনে পাতাকে মূত্রনালী সংক্রমণ দূর করে থাকে।

থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি সর্দির জন্য উপকারী। পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহার আছে। আমাশয়ে ভাল কাজ করে। সাময়িকভাবে কাশি কমাতে সাহায্য করে। গলা ব্যাথার জন্য এক্ষুনি থানকুনি পাতায় কি কি উপকার করে ফলে দুশ্চিন্তা দূর হয়। অনিদ্রা দূর করে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে তাদের জন্য থানকুনি পাতা বিশেষ উপকারী হতে পারে। এই পাতার রস মানসিক শান্তি প্রদানে কাজ করে বলে অ্যাংজাইটি ।
এই পাতায় রয়েছে শুধু রান্না করে খাওয়ার জন্য নয়, থানকুনি পাতা আরও অনেক ভূমিকা আছে। বিশেষ করে এই পাতার বহু ধরনের ভেষজ গুণ রয়েছে।থানকুনি পাতায় এমন কিছু গুণ রয়েছে যা নিয়মিত খেতে পারলে একাধিক উপকারপাওয়া যায়। পেটের অনেক গুপ্ত রোগ সেরে যায় এই পাতার হজম শক্তি বাড়ায় থানকুনি পাতা হজম বাড়াতে সাহায্য করে।একটি গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারী ।

শেষ কথা

তো চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা থানকুনি পাতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম থানকুনি না বলি কি কি রূপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানলাম থানকুনি পাতা আমাদের কি কি কাজে লাগে সেটা দিয়ে আমরা চুলের যত্ন করতে পারি ত্বকের যত্ন করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা জানলাম। বন্ধুরা আমাদের এই পেজটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#