গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য

হ্যালো বন্ধুরা,আজ কে আমি নিয়ে এসেছি,গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য।গাঁদা ফুল যা আমাদের সবারই পছন্দ তালিকায় রয়েছে।গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই।গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য কি তা আজ আমরা জেনে যাব।গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজকের আলোচনা ।
গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি - গাদাঁ ফুলের বৈশিষ্ট্য
গাঁদা ফুল, যা আমাদের প্রিয় ফুলের মধ্যে একটি। গাঁদা ফুলের মালা আমরা কমবেশি সবার ব্যবহার করে থাকি। আমরা অনেকেই শখের বসে গাঁদা ফুলের বাগান করে থাকি,আবার অনেকে ছাদে টবে গাঁদা ফুলের গাছ লাগিয়ে রাখি। গাধা ফুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।গাঁদা ফুল নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও গাঁদা ফুলের সংরক্ষণ ও কিভাবে গাঁদা ফুল গাছ পরিচিতা করতে হয় যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই পাটটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে চলে এসেছি,গাঁদা ফুল আমাদের কাছে একটি প্রিয় ফুল। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে গাঁদা ফুলের মালা পড়ে থাকি। গ্রামের শহরে আমরা সকল বাড়িতেই গাঁদা ফুল গাছ দেখতে পাই। গাঁদা ফুল দেখতে উজ্জ্বল হলুদ বা খয়েরি রংয়ের হয়ে থাকে। 
পূজা- পার্বণ বা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আমরা গাঁদা ফুলের মালা ব্যবহার করে থাকি।এছাড়াও ঘর সাজাতে আমরা গাঁদা ফুলের মালা ব্যবহার করি। আমাদের দেশে বর্ষা ও গ্রীষ্মকালে এই ফুলের চাষ করা হয়। এই সুগন্ধযুক্ত ফুলটি সর্বত্র জন্মায়। ১৯৯০ দশকের পর থেকে গাঁদা ফুলকে চাষাবাদ করা হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে।

গাঁদা ফুলের উপকারিতা

গাঁদা ফুল আমাদের সবার কাছে একটি জনপ্রিয় ফুল।কিন্তু গাঁদা ফুলের উপকারিতা কথাটি হয়তো আমাদের অনেকের কাছে নতুন। কান পাকার ক্ষেত্রে গাঁদা ফুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাঁদা ফুলের পাতার রস কান পাকার সময় কানে দিলে ভালো হয়ে যায়। হাত পা কেটে গেলে সেখানে গাঁদা ফুলের পাতার রস ব্যবহার করলে ক্ষতস্থানে দিলে ক্ষতস্থান সেড়ে যাবে। গাঁদা ফুলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে। 

ফোড়া বা টিউমার এর হাত থেকে রক্ষা পেতে গাঁদা ফুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে। গাঁদা ফুলে থাকা ফ্যাভনয়েড মানব দেহের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। গাঁদা ফুলের চা নিয়মিত পান করার ফলে গ্যাস্ট্রিক, আর্থাইটিস,ব্রণ দূর করে,ত্বক মসৃণ করে, হজম শক্তি বাড়ায়,হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে, বাঁধকের বাধা দূর করে। গাঁদা ফুলের পাপড়ি পুড়ে ছাই করে দাঁত মাজলে দাঁতের সমস্যা দূর হয়। গাঁদা ফুলের পাপড়ি ও মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে পাইলসের সমস্যা দূর হয়। আছে তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে গেলাম গাঁদা ফুলের উপকারিতা কি।

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমর পোস্ট গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি। গাঁদা ফুল আমাদের প্রিয় একটি ফুল। গাঁদা ফুলের গন্ধ গাঁদা ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে প্রথমে আমাদের মাটি নিতে হবে। বেলে বা বেলে দোআঁশ মাটিতে গাঁদা ফুল ভালো হয়। যদি আপনি মাটিতে গাঁদা ফুল লাগাতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে কিছু মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।

মাটি ঝুরঝুরে করার পর গাঁদা ফুলের বীজ মাটির উপর দিতে হবে। গাঁদা ফুলের বীজের উপরেও অল্প মাটি ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর উপরে পানি ছিটিয়ে দিয়ে মাটি ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। প্লাস্টিক দিয়ে জায়গাটি কভার করে রাখবেন, এতে তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। এবং কয়েকদিন পরে দেখবেন গাঁদা ফুলের গাছ থেকে চারা উঠেছে। আপনি যদি টবে গাঁদা ফুল চাষ করতে চান তাহলে, একই পদ্ধতিতে বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারবেন।

গাঁদা ফুলের বীজ সংরক্ষণ

আমরা অনেকেই গাঁদা ফুলের বীজ সংরক্ষণ করে থাকলেও। সঠিক নিয়মের গাঁদা ফুল সংরক্ষণ করতে জানিনা। গাঁদা ফুলের বীজ সংরক্ষণ করার জন্য সব সময় দেশীয় গাঁদা ফুল গুলো বেঁচে নেবেন। যে বীজগুলো কালো রঙের হয়ে থাকবে তার সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত। গাছে যে ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে, তা থেকে বীজ সংরক্ষণ করা উত্তম, কারণে এতে সামনে বছর ভালো ফুল পাওয়া যাবে। আর যদি বৃষ্টি ভেজা ফুলের বীজ সংরক্ষণ করেন এতে বীজ ফাঙ্গাস রোগ হয়ে যাবে। ফুলের যে পাপড়ি গুলো থাকে তা প্রথমে কেটে নিবেন। 

পাপড়ি পোচে বীজের পাঙ্গাশ রোগ হতে পারে। এরপর উপরের খোসা ছাড়ি নিয়ে, বীজগুলো ভালোভাবে ছাড়িয়ে নেবেন। এরপর বীজগুলো দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকিয়ে নেবেন, শুকানোর পর একটি ছোট কৌটায় ভরে রাখবেন।ভিতরে যেন কোনো বাতাস চলাচল করতে না পারে। তাহলে সেই বীজ আপনি সামনে বছর লাগিয়ে ভালো ফুল উৎপাদন করতে পারবেন।তো বন্ধুরা,আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে গেলাম গাঁধা গাঁদা ফুলের বীজ সংরক্ষণ।

গাঁদা ফুলের পরিচর্যা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের কাছে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা নিয়ে কথা বলব। গাঁদা ফুলের উপকারিতা জানলাম এখন জানাবো গাঁদা ফুলের পরিচর্যা। গাঁদা ফুল পরিচর্যা করার জন্য আপনি‌ টবে বা মাটিতে গাছ লাগান। প্রতিদিন নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় গাছে এবং মাটি ভিজিয়ে ছিটিয়ে অল্প করে পানি দিবেন। এতে আপনার গাছ সজিব ও সুস্থ থাকবে। 

এবং গাছটি রোদ থাকে এমন জায়গায় রাখবেন। তো বন্ধুরা গাঁদা ফুলের পরিচর্যা বিষয়টা আমরা জেনে গেলাম।আমরা অনেকেই হয়তো গাঁদা ফুলের গাছে অনিমিত ভাবে পানি দিতাম। এতে অনেক সময় গাছ মরে যেত বা গাছ শুকিয়ে যেত অথবা গাছে ফুল আসতোনা। আজকে আমি আপনাদের সঠিক নিয়মটা শিখে দিলাম আশা করি ,এতে আপনার অনেক উপকৃত হবেন।

টবে গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

প্রিয় বন্ধুরা, তবে গাধা ফুলের চাষ পদ্ধতি নিয়ে আজকের আলোচনা। তবে গাঁদা ফুল চাষ করার জন্য আপনাকে গোবর ও লতাপাতা পোঁচে যায় যে মাটি থাকে সে মাটি নিতে হবে। টবে একটা ছিদ্র করতে হবে এবং ছিদ্রতে এটি কংকর দিতে হবে,অতিরিক্ত পানি জমে গেলে সেই ছিদ্র দিয়ে যেন বের হয়ে যায়। টবে গাঁদা ফুল চাষ করার জন্য এঁটেল মাটি হলে ভালো হয়।
এরপর নার্সারি থেকে অথবা আপনার কাছে যদি কোন গাঁদা ফুলের চারা থাকে তাহলে,সেটি আপনি টবে লাগান।প্রথমে টবে গাছটি রেখে দেবেন, এরপর মাটি দিয়ে টবটি পরিপূর্ণ করে তুলবেন। গাছ লাগানো শেষ হয়ে গেলে পানি দিয়ে গাছ এবং মাটি হাল্কা করে ভিজেয়ে রাখবেন। এবং সকালবেলা ও সন্ধ্যা বেলা নিয়মিত জল দেবেন,অতিরিক্ত জল দিবেন না ছড়িয়ে ছিটিয়ে অল্প করে গাছ ও মাটির ভিজে জল দিবেন। রোদ থাকে এমন জায়গায় গাছ রাখবেন এতে গাছ রোগমুক্ত থাকবে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা গাঁদা ফুলের উপকারিতা ,গাঁদা ফুলের বীজ সংগ্রহ ও টবে কিভাবে গাধা ফুল চাষ করতে হয় তা আজ আমরা জেনে গেলাম। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার যদি উপকার হয় তাহলে আপনি শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন। এবং ফার্স্ট ব্লগার আইটির সঙ্গে থাকুন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,নিয়মিত নামাজ পড়বেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#