সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা - কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পোস্ট পাঠক ভাইয়েরা আজকে আমরা জেনে নিব,শরীরে সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা।ফাইটোস্টেরলগুলি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে বলেও বিশ্বাস করা হয়। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা ।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা সম্পর্কে।
সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা - কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা
তিলের বীজে সর্বাধিক মোট ফাইটোস্টেরল উপাদান রয়েছে যার পরিমাণ প্রতি ১০০ গ্রামে ৪০০ থেকে ৪১৩ মিলিগ্রাম। তিলের বীজের অন্যান্য পদার্থগুলি উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতেও পরিচিত।তিলের বীজে থাকা সেসামিন এবং সেসামোলিন তাদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা কোষের ক্ষতি কমিয়ে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে রক্ষা করতে পারে। জেনে নিব শরীরে তিল খাওয়ার উপকারিতা -তিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ভূমিকা

তিলের বীজের তেল ঐতিহ্যগত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ায় যখন সেগুলি একসাথে নেওয়া হয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি আজীবন রোগ যা আপনার শরীরকে ইনসুলিন তৈরি করতে দেয় না। এই অবস্থার একটি দিক হল উচ্চ রক্তে শর্করা, যাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। তিলের বীজে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান। প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসাবে। এগুলি নিরামিষ এবং নিরামিষ খাবারের একটি দুর্দান্ত সংযোজন।

তাছাড়া লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং আপনার ইমিউন সিস্টেম ফাংশনকেও সমর্থন করে ।শরীরে তিল খাওয়ার উপকারিতা অনেক।তিলের বীজ ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, উভয়ই আপনার হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম স্নায়ু সংকেত সংক্রমণ, পেশী আন্দোলন, রক্তনালীর কার্যকারিতা এবং হরমোন নিঃসরণেও ভূমিকা পালন করে।তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে সেগুলি অনেক খাওয়ার ফলে অন্ত্রে বাধা হতে পারে।

যা আপনার বৃহৎ বা ছোট অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে। এমন লোকেদের মধ্যে যাদের অন্ত্র বড় শক্ত হয়ে যায় বা সংকুচিত হয়।তিল বীজের এই বিশেষ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।তিলের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। আর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।সাদা তিলে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
তাই, তিলবীজ অ্যানিমিয়া রোধ করতেও সাহায্য করে।সাদা তিলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে। আমাদের শরীরে তিল খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে।

শরীরের তিলের উপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিব শরীরের তিলের উপকারিতা সম্পর্কে।তিলের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। আর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে তিল।তিল কিন্তু এন্টিএইজিং উপাদান হিসেবে বেশ পরিচিত। যারা অনেকবছর ধরে তিল খেয়ে আসছেন, তাদের দেখলে মনে হয় বয়সের স্টেশন লাপাত্তা হয়ে এক জায়গায় থেমে আছে! পাশাপাশি কর্মক্ষমতা অটুট রাখে।

তিলের তাল পরিমাণ উপকারিতা।তিলের তের গোড়ালি ফাটা, ঠোট ফাটাসহ ত্ক ফাটা রোধে দারুণ কাজ করে। তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিষ্প্রাণ ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। খিদে বাড়ায় তিলের তেল। সাদা তিলে এমন সমস্ত উপাদান আছে যা খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে ৷ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস থাকায় হাড়ও মজবুত করে৷ তিল খাওয়ার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত কিছু খাওয়া যাবে না। তবে রুগ্নি দেহ থেকে স্বাস্থ্যবান হবেন।

আর যারা মোটা তাদের মেদ কমে যাবে।যাদের শরীরের বৃদ্ধি ঘটে না, তাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য তিল খুবই উপকারী।তিল খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমাদের শরীরের জন্য।বুকে কফ জমে যাওয়া অসুখে কালো তিলের তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে তিল।শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায়। তিলের তেল গরম করে লাগালেও আশ্চর্য সুফল পাওয়া সম্ভব।

শীতকালে হাত-পা ফাটা এমনকি গাল বা ঠোঁটেও তিলের তেল লাগালে উপকার পাওয়া যায়।তিল পিষে নিয়ে মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অর্শ্বের রক্তপড়া ও কষ্ট কমে যায়।তো আমরা জেনে নিলাম শরীরের তিলের উপকারিতা সম্পর্কে।

সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা

এবার আমরা জানবো সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা সর্ম্পকে।ক্যালসিয়াম জনিত এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সাদা তিল। বেশিরভাগ মানুষই তিলের নাড়ু খেতে পছন্দ করেন।মানুষের শরীরে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয়, তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয়।শরীরে দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব। আর ক্যালসিয়ামের অভাব মানেই হাড়ের সমস্যা।

বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে।শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরনে সাদা তিল হতে পারে এক মহাঔষধ।ক্যালসিয়াম এমন এক ধরনের খনিজ যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ক্যালসিয়াম শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমেও সহায়তা করে। যেমন- পেশী ও ধমনীর সংকোচন, স্নায়ুতন্ত্রের বার্তা সরবরাহ ইত্যাদি। হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অঙ্গেও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়।শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্টিওপেনিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে হাড়ের ঘনত্ব কম হয়, যার ফলে হাড় স্বাভাবিকের তুলনায় দুর্বল হয়। অস্টিওপেনিয়া অস্টিওপরোসিসের বৃদ্ধি করে এবং হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।ক্যালসিয়াম জনিত এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সাদা তিল।তিলের নাড়ু খেতে পছন্দ করেন ।সেই তিলেরও যে এত গুণ থাকতে পারে তা জানলে সত্যি সত্যি অবাক হতে হয়।

সাদা তিলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে , যা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন দরকারি ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করে।হাইপারসেন্সিটিভ ডায়াবেটিস রোগীদের প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাদা তিল কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।সাদা তিলের উচ্চ ফাইবার উপাদানগুলি অন্ত্রের মসৃণ ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে, যা পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ফলমূল ও শাকসবজির সাথে সাদা তিল মিশিয়ে খেলে আপনার হজম সিস্টেম সঠিক কার্যক্ষমতায় থাকবে। তিল ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, জিঙ্কের পাশে এমন একটি খনিজ যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি।তো আমরা জেনে গেলাম সাদা তিলের ক্যালসিয়াম অপকারিতা সর্ম্পকে।

কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা

এবার আমরা জানবো কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।খাদ্য হিসেবে তিল খুবই জনপ্রিয়। নাড়ু, মোয়া ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তিল। এছাড়া তিলের তেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তিলের তেল ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার ক্ষেত্রেও। পুষ্টির সমস্যা নিরসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাদের এই সমস্যা নিরসনে কালো তিলের প্রয়োজন। এই তিলের তেল প্রয়োগ করলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এমনকি চুল গজাতেও সাহায্য করে। 

শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তিলের তেল শরীরের রং উজ্জ্বল করে দেয় এবং শরীরের ছোট ছোট দোষত্রুটি দূর করে দেয়।যদি মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো না হয় এবং খুব ব্যথা-বেদনা হয় তাহলে তিলের তেল খাওয়া উচিত। দু চা চামচ তিল পিষে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন। এক চতুর্থাংশ পানি থেকে গেলে সেই পানিটুকু পান করলে মাসিক ঠিক মতো হবে।কালো তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন রসের মতো হয়ে যাবে।

তখন গিলে খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত কিছু খাওয়া যাবে না। এভাবে তিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের মালিশও করা যায়।যাদের শরীরের বৃদ্ধি কমে যায়, তাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য তিল খুবই উপকারী।অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায় এবং দুর্বল হয়ে চুল পড়ে যায়। তাদের এই সমস্যা নিরসনে কালো তিলের প্রয়োজন। এই তিলের তেল প্রয়োগ করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।

এমনকি চুল গজাতেও সাহায্য করে।যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়।তো জেনে নিলাম কালো তিল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

তিল খাওয়ার অপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিব।তিল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।যেহেতু তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, সেগুলি অনেক খাওয়ার ফলে অন্ত্রে বাধা হতে পারে। যা আপনার বৃহৎ বা ছোট অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে। এমন লোকেদের মধ্যে যাদের অন্ত্র বড় শক্ত হয়ে যায় বা সংকুচিত হয়।অনেকের বিভিন্ন বাদাম যেমন কাজুবাদাম, চিনাবাদামে অ্যালার্জি থাকে। তারা তিল খাওয়া এড়িয়ে যাবেন। তিল তাদের অ্যালার্জির মাত্রা বাড়িয়ে তুলে।

নিয়মিত তিল গ্রহণে কোলনে প্রবাহিত করে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ১৫ ন্যানোগ্রাম তিল খেলে কোলনে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়, যা কোলন ক্যানসার উদ্ভব করে থাকে।অতিরিক্ত তিল খাওয়ার ফলে রক্তনালীর মধ্যে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে থাকে। হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।তিল খাওয়া এড়িয়ে যাবেন। তিল তাদের অ্যালার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা কারণে চোখ।

নাক লাল হওয়া, অ্যাজমা, হজমের সমস্যা হতে পারে,তিলে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকসাটিভ আছে। নিয়মিত গ্রহণে বিশেষত যাদের ফুড অ্যালার্জি আছে, তারদের তিলের খাবার গ্রহণ করলে ডায়ারিয়া দেখা দিতে পারে।তিল গ্রহণ ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত তিল খেলে বা অতিরিক্ত তিলের পণ্য ব্যবহার করলে ত্বকে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।গর্ভকালীন প্রথম কয়েক মাসে তিল বা তিল জাতীয় খাবার বেশি খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে থাকে।

তিল বা তিল জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে তিল বা তিলের খাবার খাওয়া উচিত।আর এগুলোই হচ্ছে তিল খাওয়ার অপকারিতা।

তিলের পুষ্টিগুণ

এবার আমরা জানবো তিলের পুষ্টিগুণ কতটা ।তিলের বীজে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তিলের আরও একটি গুণ রয়েছে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়।যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়ে যাবে।তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক।

ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ করে থাকে।রসুন দিয়ে গরম করা তিলতেলের ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়। এই তেল বাতের ব্যথাও অর্থাৎ বাত সারিয়ে দেয়।শিশুদের জন্য তিল অনেক উপকারী। বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেজন্য শিশুদের জন্য উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়ু বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়। আমাদের শরীরের জন্য তিলের পুষ্টিগুণ অনেক।তেল তুলোয় লাগিয়ে মুখে রাখাও যেতে পারে।

 হিং, কালো নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল পেটে মালিশ করলে বা সেঁক দিলে পেটের ব্যথা সারে এবং গ্যাস কমে যায়।তিলের তেলে রসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা কমায়। তিল অনেক উপকারি উপাদান শরীরের জন্য।
তিলের নাড়ু আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় মিষ্ঠান্ন খাবার। তিল বীজের পুষ্টিগুণ. তিলে ভিটামিন, ক্যালরি, ইত্যাদি।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – তিলের তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি সহজে নষ্ট হয় না।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে গেলাম। তিলের উপকারিতা তিলের পুষ্টিগুণ আরো অনেক কিছু।তিল সম্পর্কে তিলের বীজে পাওয়া অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজগুলো।তিলের যে সমস্ত উপকারিতা রয়েছে. সাদা তিলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।তিলের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন।

আর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এবং এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#