ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

ড্রাগন ফল আমরা অনেকেই চিনি আবার অনেকে চিনি না তবে এই ফলটির সাথে আমরা মাত্র কয়েক বছর থেকে পরিচিত আমরা অনেকেই জানিনা এই ড্রাগন ফলের ভিতরে কি আছে কেমন হয় এর রং কেমন এবং যারা এই ফলটির সাথে নতুন পরিচিত তারা কিভাবে খাবেন এবং কিভাবে কতদিন ধরবে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য এই পোস্টটি আপনারা করতে পারেন।

তো চলুন বন্ধুরা আমরা যারা এই ফলটির সাথে নতুন পরিচিত তারা জেনে আসি এ ফল কতদিনের ধরে এই ফলের উপকারিতা কি অপকারিতা কি এবং এর গুণগত মান কি এই সব কিছু জানতে হলে আমাদের এই পোষ্টের পুরোপুরি পোস্টটি করতে হবে তাই দেরি না করে পোস্টটি পড়তেই থাকেন।

ভূমিকা 

ড্রাগন ফল যার বৈজ্ঞানিক নামHylocereus undatus ।ড্রাগন ফল এক ধরনের ফনীমনসা প্রজাতির ফল, ড্রাগনের মহাজাতি হাইলোসিরিয়াস। ড্রাগন ফলকে অনেকে কমলন বলে থাকেন। আমাদের দেশে অনেক আগে থেকে ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে প্রচলন হয় ।ড্রাগন ফল একটি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। ড্রাগনের ছোট ছোট ফলগুলো ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৯ ফ্যাট অ্যাসিড সমৃদ্ধ।

ড্রাগন ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ,এবং চুলের ক্ষেত্রেও খুব উপকারী ,দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ড্রাগনের ভূমিকা অপরিসীম গর্ভবতী অবস্থায় এই ফল খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম আরো রয়েছে প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন সি ভিটামিন ই ভিটামিন বি।

ড্রাগন ফল কতদিনে ধরে

ড্রাগন ফল ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসে। ড্রাগন ফলের গাছ আমেরিকান ফল বলে গণ্য করে থাকেন অনেকে।ও ড্রাগন গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। ড্রাগন ফলের গাছ ১.৫থেকে২.৫ মিটার লম্বা। একটি ড্রাগন ফলের ওজন সাধারণ ১৫০থেকে ৬০০ পর্যন্ত হয়। এই ফলটি যারা রোপণের ১ থেকে১.৫ বছরের মধ্যে সংগ্রহ করা যায়।

আরো পরুন...খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাছে ফুল ফোটার ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। ফলটি যখন সম্পূর্ণ লাল রং হয়ে গেলে তার সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। ড্রাগন ফল বছরে পাঁচ থেকে ছয়টি সময়ে ক্ষেত থেকে পাওয়া যায়, সময় গুলো হল জুন থেকে অক্টোবর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি কি

ড্রাগন ফলে রয়েছে খনিজ আন্টি অক্সিডেন্ট প্রোটিন ফাইবার আইরন ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি ভিটামিন বি ভিটামিন ই ক্যালোরি আরো রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড ফেনোলিক অ্যাসিড বিটাসায়ানিন। ড্রাগন ফল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে রক্তের শর্করার চলাচল নিমন্ত্রণে রাখে ড্রাগন ফলটি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।ড্রাগন ফলে আঁশ বেশি থাকার কারণে হজম শক্তিতে সহায়তা করে এবং আঁশ চর্বি কমায়।

ড্রাগন ফল ক্যারোটিন থাকার কারণে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি এ থাকার কারণে চুল ও দাঁতের উপকার হয়ে থাকে ড্রাগনে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি ও আয়রন থাকায় এটি গর্ভবতীদের জন্য একটি আদর্শ ফল। ড্রাগন ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মহিলাদের পোষ্টমনোপজাল জটিলতা কমাতে সহায়তা করে। ব্রণের দাগ দূর করে থাকে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা কি

ড্রাগন ফলটি পাচক সিস্টেম পেট ব্যথা অন্ত্রের সমস্যা দূর করে ।অতিরিক্ত ড্রাগন ফল গ্রহণ করার ফলে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ড্রাগন ফলটি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো একটি উৎস। এই ফলটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে। ড্রাগন ফল পরিমাণ মতো খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত করে তবে পরিমানে বেশি খেলে নিম্ন রক্তচাপ ও প্রেসার হয়ে থাকে

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা

ড্রাগন ফল যা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। ড্রাগন ফল এখন বাংলাদেশে অনেক উৎপাদিত হচ্ছে এই ড্রাগন। ফল রূপচর্চায় অতুলনীয় ড্রাগন ফলে থাকা, ভিটামিন সি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে।ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে ,রূপচর্চা করা যায় ।ড্রাগন ফল দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করা যায়, রোদে পুড়া ত্বকে ড্রাগন ফলের চার ভাগের এক ভাগ ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে অনেক উপকার হয়।

লাল রংয়ের ড্রাগন ফলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, কয়েক ফোটা গোলাপ জল ও নারিকেল তেল নিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় ,যা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখলে এবং সপ্তায় দুইবার ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে ।যাদের ত্বক কুঁচকে যায় তারা ড্রাগন ফলের চার ভাগের এক ভাগ ও দই মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখলে তখনও উজ্জ্বল ও কুঁচকে যাওয়া ভাব চলে যায়

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ড্রাগন ফল যা  একটি পুষ্টিগুনে ভরা ফল। ড্রাগন ফলে কম ক্যালরি থাকে এই ড্রাগন ফল আপনি আপনার ডায়েট লিস্টে যোগ করতে পারেন। ড্রাগন ফলের গুণ ঠিক রাখার জন্য ও স্বাদ যেন নষ্ট না হয় সেজন্যই ড্রাগন ফল কাঁচা অবস্থাতে খাওয়া হয়। লাল ড্রাগনের ১০০ গ্রামে লাল অংশে ২১ মিলিগ্রামে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা প্রতিদিন ভিটামিন সি ৩৪ ভাগ পূরণ করে থাকে। ১০০ গ্রামের ড্রাগন ফলের যে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তা তিনটে গাজরের থেকে  বেশি ও একটি কমলার সমান।

আরো পরুন....কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় 

ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকায় এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, মানুষের চিন্তা ভাবনা দূর করে, ত্বক  উজ্জ্বল করে। এই ফলে রয়েছে আরও বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রোটিন১.১গ্রাম,ফ্যাট০.৪গ্রাম ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ১১.০গ্রাম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ৩ আয়রন, ক্যালসিয়াম , ফসফরাস। ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, হারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে, হার্টের উপকার হয়।

শেষ কথা

ড্রাগন প্রেমিক ভাইয়েরা আপনাদের জন্য ছিল আপনারা এই পোস্টটি করে জানতে পেরেছেন ড্রাগনের গুণগতমান উপকারিতা অপকারিতা জানতে পেরেছে ড্রাগন দিয়ে ও রূপচর্চা করা যায় তো বন্ধুরা আপনাদের জন্য এই পোস্টটি আমি দিয়েছিলাম যদি আপনাদেরকে ভালো লেগে থাকে পোস্টটি শেয়ার করবেন এবং এরকম ধরনের আরো ভালো ভালো পোস্ট পাওয়ার জন্য ফাস্ট ব্লগার আইডি ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#