বাধক কাটানোর উপায় - বাধক কি

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিব বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে। বাধক মেয়েদের একটি কষ্টের বেদনাদায়ক যন্ত্রণা। যা মেয়েদের মাসিক হওয়ার অবস্থায় হয়। তো চলুন জেনে নিই বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে। আজকে আমাদের পোস্টটি আলোচনা হবে বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে।

বাধক কাটানোর উপায় - বাধক কি
আমাদের মেয়েদের মাসিকের অবস্থায় যেই ব্যথা হয় তাকে আমরা বাধক বলে থাকি। বাধকের ব্যথা খুব কষ্টদায়ক একটা ব্যথা। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের মাসিক হওয়া কালীন একটি ব্যাথা সম্পর্কে। বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিব আজকের পোস্টটিতে।

ভূমিকা

প্রতিবার ঋতুস্রাব হইবার এক বা দুই দিন পূর্বে তলপেটে তীব্র আক্ষেপিক বেদনা ও সেক্রাম প্রদেশে টাটানি যন্ত্রণা হইতে থাকে । স্নায়ুশুলের ন্যায় বেদনা উরু বাহিয়া বিস্তৃত হয় এবং তৎসহ বিবমিষা, বমন, দুর্বলতা, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, পুনঃমুত্রবেগ ইত্যাদি উপসর্গাদি প্রকাশ পায় ।মানসিক উত্তেজনা অথবা অবসাদহেতু অথবা জরায়ুর সাব-ইনভলিউসান প্রসবের পর জরায়ুর আয়তন স্বাভাবিক না হইলে জরায়ুর অর্বুদ, স্যালপিঞ্জাইটিস প্রভৃতি বশতঃ জরায়ু প্রায় সর্বক্ষণই রক্তাধিক্য অবস্থায় থাকে ।

মাসিক ঋতুকালে রক্তাধিক্য বর্ধিত হইয়া ঋতুশুল উপস্থিত হয় । ঋতু প্রকাশ পাইবার ৪/৫ দিন পূর্ব হইতেই বেদনা হয় এবং তৎসহ মস্তকে রক্তাধিক্য, প্যালপিটেসান, জ্বর প্রভৃতি প্রকাশ পায় । অধিক স্রাব হইতে আরম্ভ হইলে বেদনা ও অন্যান্য উপসর্গাদি দূর হয় । কখনো কখনো জরায়ু, ওভারি প্রভৃতির প্রদাহজনিত বেদনা বর্তমান থাকে এবং ঋতুকালে তাহা সমধিক বৃদ্ধি পাইয়া অশেষ যন্ত্রণাদায়ক হয় । ঋতুস্রাব অন্তেও তাহা সম্পূর্ণ দূরীভূত হয় না ।বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে জানব।

জরায়ু সঙ্কোচনে তাহাদের বহিঃগমনকালে প্রসববেদনার ন্যায় নিদারুণ যন্ত্রণা ও অত্যধিক স্রাব হয় । পিণ্ডগুলি বহির্গত হইলেই বেদনার উপশম হয়, কিন্তু পুনরায় ঐরূপ পিণ্ড-সমূহ জন্মাইতে থাকে এবং পুনরায় উক্তরূপ বেদনা ও অত্যধিক রক্তস্রাবসহ পিণ্ডগুল বহির্গত হইয়া যন্ত্রণার শান্তি হয় । এইরূপ পুনঃ পুনঃ সংঘটিত হইতে থাকে । ক্ষেত্রবিশেষ জরায়ু-ঝিল্লি বা এন্ডোমেট্রিয়ামের অধিক বা সমগ্র অংশ বৃহৎ পর্দার ন্যায় বা পিণ্ডাকারে নির্গত হয় । ইহাকে মেম্বেনাস ডিসমেনোরিয়া বলে ।

এরূপ ক্ষেত্রেও উপরোক্তরূপ বেদনা ও অত্যধিক রক্তস্রাবসহ পর্দাগুলি নির্গত হইয়া যন্ত্রণার উপশম হয়, কিন্তু পুনঃ পুনঃ এইরূপ হইতে থাকে । কখনো কখনো বেদনার প্রকৃতি, স্রাবের আধিক্য ও পর্দার আকৃতি প্রভৃতি দ্বারা ইহাকে গর্ভস্রাব বলিয়া ভ্রম হয় ।বাধক কাটানোর উপায় সারা মাসই প্রায় হেসে খেলে কাটানোর পর নির্দিষ্ট চার পাঁচটি দিন প্রায় প্রত্যেক মহিলার কাছেই যেন বিভীষিকা। অস্বস্তি বা শরীর দুর্বলের জায়গাটা বাদ দিলেও ব্যথা বাদ দেওয়া যায় না।
কোমর, তলপেটে অসহ্য ব্যাথাতেই কাহিল হয়ে পড়েন বেশিরভাগ মহিলা। ব্যথা বাড়তে বাড়তে সারা শরীরের ছড়িয়ে পড়ে। হাত, পা, পিঠ সহ সমস্ত শরীরটাই যেন মনে হয় অভিশপ্ত। এই কষ্ট যাঁর হয় তিনি ছাড়াও কেউ বোঝেন না। ১২ বছরের কিশোরী হোক কিংবা ৪২ মধ্যবয়স্কা। পিরিয়ডের যন্ত্রণা সইতে হয় অনেককেই।

বাধক হলে কি হয়

এবার আমরা জানব বাধক হলে কি হয়।মস্তিষ্কের অংশ হাইপোথ্যালামাস বলা হয় যা মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। হাইপোথ্যালামাস পিটুইটারি গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে।এলএইচ এবং এফএসএফে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের উত্পাদনকে প্রভাবিত করে। এই হরমোনগুলি গর্ভাবস্থার আস্তরণের চক্র পরিবর্তনগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। এটা ঋতুস্রাব অন্তর্ভুক্ত।একটি মহিলার নিয়মিত মাসিক চক্র আছে যাতে তার হিপোটামমাস, পিটুইটারি গ্রন্থি, ডিম্বাশয়ে এবং গর্ভাভ সঠিকভাবে কাজ করা উচিত।

তার জরায়ু এবং যোনিতে অবশ্যই একটি স্বাভাবিক শারীরস্থান থাকতে হবে।প্রাথমিক আমেনার্রিয়া যখন একটি মহিলার তার প্রথম মাসিক ঋতু না 15 বা 16 বছর বয়স ছিল না। এই অবস্থা এছাড়াও বিলম্বিত বলা হয়। এটা বেশিরভাগ সময় দেরী বয়স্কদের কারণে এটি খুব পাতলা বা খুব ক্রীড়াবিদ যারা কিশোর মেয়েরা মোটামুটি সাধারণ। এই যুবতী মহিলাদের সাধারণত ওজনসম্মত হয়। শরীরের চর্বিযুক্ত স্বাভাবিক বয়ঃসন্ধিকালের সাথে তাদের দেহের সম্পর্ক নেই।

শরীরের চর্বি বৃদ্ধি এই ঋতু শুরুতে ট্রিগার।অন্য মেয়েদের মধ্যে, ঋতুস্রাবের বিলম্ব একটি জেনেটিক ডিসর্ডার হতে পারে। বা এটি অস্বাভাবিক মহিলা প্রজনন অঙ্গ থেকে হতে পারে।বাধক হলে কি হয় তা আমরা জেনে নিব।পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব , জরায়ু ও ডিম্বকোষের পীড়া , কোষ্ঠ - কাঠিন্য প্রভৃতি কারণে এ রোগ হয় । ঋতুকালে তলপেটে , কোমরে ও শির দাঁড়ায় অসহ্য বেদনা .

বুক ধড়ফড় করা , মাথা যন্ত্রণা প্রভৃতি প্রধান লক্ষণ ওলটকম্বল মুলের ছাল চূর্ণ ৪ গ্রাম ও ৪ টি গোলমরিচ একত্রে বেটে খেতে হবে ঋতু স্রাবের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন সকালে পরপর ৭ দিন ।সামান্য গরম পানি পান করা এবং গরম পানির সেঁক দেওয়া উপকারী ।বাধক হলে কি হয় তা আমরা জানলাম।

বাধক কাটানোর উপায়

এবার আমরা জানবো বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে।তীব্র আক্ষেপিক বেদনা ও সেক্রাম প্রদেশে টাটানি যন্ত্রণা হইতে থাকে । স্নায়ুশুলের ন্যায় বেদনা উরু বাহিয়া বিস্তৃত হয় এবং তৎসহ বিবমিষা, বমন, দুর্বলতা, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, পুনঃমুত্রবেগ ইত্যাদি উপসর্গাদি প্রকাশ পায় ।মানসিক উত্তেজনা অথবা অবসাদহেতু অথবা জরায়ুর সাব-ইনভলিউসান প্রসবের পর জরায়ুর আয়তন স্বাভাবিক না হইলে জরায়ুর অর্বুদ, স্যালপিঞ্জাইটিস প্রভৃতি বশতঃ জরায়ু প্রায় সর্বক্ষণই রক্তাধিক্য অবস্থায় থাকে ।

মাসিক ঋতুকালে রক্তাধিক্য বর্ধিত হইয়া ঋতুশুল উপস্থিত হয় । ঋতু প্রকাশ পাইবার ৪/৫ দিন পূর্ব হইতেই বেদনা হয় এবং তৎসহ মস্তকে রক্তাধিক্য, প্যালপিটেসান, জ্বর প্রভৃতি প্রকাশ পায় । অধিক স্রাব হইতে আরম্ভ হইলে বেদনা ও অন্যান্য উপসর্গাদি দূর হয় । কখনো কখনো জরায়ু, ওভারি প্রভৃতির প্রদাহজনিত বেদনা বর্তমান থাকে এবং ঋতুকালে তাহা সমধিক বৃদ্ধি পাইয়া অশেষ যন্ত্রণাদায়ক । বাধক কাটানো উপায় অনেক আছে।

ঋতুকালে তলপেটে , কোমরে ও শির দাঁড়ায় অসহ্য বেদনা , বুক ধড়ফড় করা , মাথা যন্ত্রণা প্রভৃতি প্রধান লক্ষণ ।ওলটকম্বল মুলের ছাল চূর্ণ ৪ গ্রাম ও ৪ টি গোলমরিচ একত্রে বেটে খেতে হবে ঋতু স্রাবের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন সকালে পরপর ৭ দিন । সামান্য গরম পানি পান করা এবং গরম পানির সেঁক দেওয়া উপকারী ।এটি জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশন-এ সাহায্য করে।

পর পর কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেপের রস খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়, তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি না খাওয়াই ভালো। পিরিয়ড নিয়মিত করা ছাড়াও কাঁচা পেপে হজমে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে।

বাধক কি

এবার আমরা জেনে নিব বাধক কি।মাসিক ঋতুস্রাবের সহিত তলপেটে ও সাধারণভাবে শারীরিক মৃদু অস্বস্তিবোধ হওয়াই স্বাভাবিক । কিন্তু ঋতুস্রাব অত্যধিক যন্ত্রণাদায়ক হইলে তাহাকে ডিসমেনোরিয়া বা বাধক বলা হয় । বাধক হইলে ঋতুস্রাব প্রায় স্বল্প হয় । অধিকও হইতে পারে । মুক্ত বায়ুতে কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্ত ও সমাজের নিম্নস্তরের রমণীগণের মধ্যে বাধক অপেক্ষাকৃত অল্প দেখা যায় । কাহারও প্রতি মাসেই ঋতুস্রাবকালে যন্ত্রণা হয়, কাহারও বা এক দুই মাস অন্তর পরপর এক দুই মাস যন্ত্রণা হয় ।

হলুদ মসলা জাতীয় দ্রব্য হলেও প্রাচীন কাল থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার নানামুখী। এটি পিরিয়ড নিয়মিত করতে এবং শরীরে হরমোন ব্যাল্যান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংসপেশী সঙ্কোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ পিরিয়ড-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ নিয়ে মধু বা গুড় দিয়ে কিছুদিন খেয়ে দেখুন, পরিবর্তন নিজেই টের পাবেন।মাসিক নিয়মিত করতে জিরা অনেক ভালো কাজে দেয়।

এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ জিরা নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি এবং জিরা দুটোই খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত সেবন করে দেখুন, সুফল পাবেন । বাধক কি মাসিক নিয়মিত না হওয়ার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। শরীরে যে সমস্ত হরমোন পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রেস-এর কারণে সেগুলোর ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়। যার ফলে ঠিকমত পিরিয়ড হয় না। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে।

পিরিয়ড নিয়মিত করতে সব থেকে উপযোগী পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এই দুটি অন্যতম।স্নায়ুপ্রধান ও স্নায়ুশুল প্রবণতাযুক্ত রমণীগণের জরায়ুপেশীর স্নায়ুমণ্ডলীর উত্তেজনার ফলেও এইরূপ হইয়া থাকে । এজন্য ইহার অন্য নাম নিউর্যালজিক ডিসমেনোরিয়া । সচরাচর প্রথম দিনের পরেই উপযুক্ত পরিমাণে ঋতুস্রাব আরম্ভ হয়।

বাধক কেন হয়

এবার আমরা জেনে নিব বাধক কেন হয়।বন্ধ্যাত্ব নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে নারীদেরই এজন্য নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশি।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইহার অন্যতম কারণ বলিয়া নির্দিষ্ট হয় । জরায়ু অথবা জরায়ু-গ্রীবা মধ্যে অর্বুদাদিজনিত কারনেও এইরূপ হইতে পারে । সাধারণতঃ জরায়ু মধ্যে রক্ত ধীরে ধীরে নিঃসৃত হইয়া জমাট বাঁধে এবং ফাইব্রোলাইসিন প্রতিক্রিয়ায় তাহা পুনরায় দ্রবীভূত হইয়া স্রাবসহ নির্গত হয় । রজঃস্রাবের রক্ত জমাট হওয়ার জন্য দায়ী করা যায় না । 

কিন্তু জরায়ুমধ্যে অতি দ্রুত ও অত্যধিক স্রাব হইলে অথবা উপরোক্ত কারণে স্বাভাবিক ঋতুস্রাবে বাধা ঘটিলে রক্ত জমাট বাঁধিয়া জরায়ুপথ ও জরায়ু-মুখের তুলনায় বৃহৎ রক্ত-পিণ্ড সমূহের উদ্ভব হয় । জরায়ু সঙ্কোচনে তাহাদের বহিঃগমনকালে প্রসববেদনার ন্যায় নিদারুণ যন্ত্রণা ও অত্যধিক স্রাব হয় । পিণ্ডগুলি বহির্গত হইলেই বেদনার উপশম হয়, কিন্তু পুনরায় ঐরূপ পিণ্ড-সমূহ জন্মাইতে থাকে এবং পুনরায় উক্তরূপ বেদনা ও অত্যধিক রক্তস্রাবসহ পিণ্ডগুল বহির্গত হইয়া যন্ত্রণার শান্তি হয় ।

এইরূপ পুনঃ পুনঃ সংঘটিত হইতে থাকে । ক্ষেত্রবিশেষ জরায়ু-ঝিল্লি বা এন্ডোমেট্রিয়ামের অধিক বা সমগ্র অংশ বৃহৎ পর্দার ন্যায় বা পিণ্ডাকারে নির্গত হয় । ইহাকে মেম্বেনাস ডিসমেনোরিয়া বলে ।বাধক কেন হয় এরূপ ক্ষেত্রেও উপরোক্তরূপ বেদনা ও অত্যধিক রক্তস্রাবসহ পর্দাগুলি নির্গত হইয়া যন্ত্রণার উপশম হয়, কিন্তু পুনঃ পুনঃ এইরূপ হইতে থাকে । কখনো কখনো বেদনার প্রকৃতি, স্রাবের আধিক্য ও পর্দার আকৃতি প্রভৃতি দ্বারা ইহাকে গর্ভস্রাব বলিয়া ভ্রম হয় ।

বাধক কাটানোর ওষুধ

এবার আমরা জানবো বাধক কাটানোর ওষুধ সম্পর্কে।খুব বেশি পরিশ্রম , পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব , জরায়ু ও ডিম্বকোষের পীড়া , কোষ্ঠ - কাঠিন্য প্রভৃতি কারণে এ রোগ হয় । ঋতুকালে তলপেটে , কোমরে ও শির দাঁড়ায় অসহ্য বেদনা , বুক ধড়ফড় করা , মাথা যন্ত্রণা প্রভৃতি প্রধান লক্ষণ । ওলটকম্বল মুলের ছাল চূর্ণ ৪ গ্রাম ও ৪ টি গোলমরিচ একত্রে বেটে খেতে হবে ঋতু স্রাবের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন সকালে পরপর ৭ দিন ।সামান্য গরম পানি পান করা এবং গরম পানির সেঁক দেওয়া উপকারী ।

বাধক কাটানোর ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিই।কাঁচা পেপে পিরিয়ড রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। এটি জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশন-এ সাহায্য করে। পর পর কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেপের রস খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়, তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি না খাওয়াই ভালো। পিরিয়ড নিয়মিত করা ছাড়াও কাঁচা পেপে হজমে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে।অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাঁস রূপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এটি হরমোন রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। সব থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা অ্যালোভেরা পাতার রস সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে খান। তবে পিরিয়ড চলাকালীন না খাওয়াই ভালো।পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটা হল রক্তে ইনসুলিন ও সুগার-এর মাত্রার তারতম্য। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার-এর মাধ্যমে আপনি এর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। 
এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। আপনার পিরিয়ড সাইকেল নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক সাহায্য করবে।মাসিক নিয়মিত করতে জিরা অনেক ভালো কাজে দেয়। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ জিরা নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নিলাম বাধক কাটানোর উপায় সম্পর্কে। মেয়েদের সবচেয়ে কষ্টদায়ক যন্ত্রণা হচ্ছে বাধকের যন্ত্রণা। মাসিক হওয়া কালীন যে ব্যাথা হয় তাকে আমরা বাধক বলে থাকি। মাসিক হলে আমাদের বাধকের মত ব্যথার মুখোমুখি হতে হয়। মেয়েদের সবচেয়ে কষ্টদায়ক ব্যথা বাধকের ব্যথা। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#